পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৩৯৫. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বিদায় হাজ্জে রওয়ানা হই। তখন আমরা ‘উমরাহর (নিয়তে) ইহরাম বাঁধি। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা দিলেন, যাদের সঙ্গে কুরবানীর পশু রয়েছে, তারা যেন হাজ্জ ও ‘উমরাহ্ উভয়ের একসঙ্গে ইহরামের নিয়ত করে এবং হাজ্জ ও ‘উমরাহর উভয়টি সমাধা করার পূর্বে হালাল না হয়। এভাবে তাঁর সঙ্গে আমি মক্কা্য় পৌঁছি এবং ঋতুমতী হয়ে পড়ি। এ কারণে আমি বাইতুল্লাহর তওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়ার সায়ী করতে পারলাম না। এ দুঃখ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবহিত করলাম। তখন তিনি বললেন, তুমি তোমার মাথার চুল ছেড়ে দাও এবং মাথা (চিরুনী দ্বারা) আঁচড়াও আর কেবল হাজ্জের ইহরাম বাঁধ ও ‘উমরাহ্ ছেড়ে দাও। আমি তাই করলাম। এরপর আমরা যখন হাজ্জের কাজসমূহ সম্পন্ন করলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর পুত্র ‘আবদুর রহমান (রাঃ)-এর সঙ্গে তানঈম-এ পাঠিয়ে দিলেন। (সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে) ‘উমরাহ্ আদায় করলাম। তখন তিনি [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, এই ‘উমরাহ্ তোমার পূর্বের কাযা ‘উমরাহ্ পূর্ণ করল। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, যারা ‘উমরাহর ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা বাইতুল্লাহ্ তওয়াফ করে এবং সাফা ও মারওয়া সায়ী করার পর হালাল হয়ে যান এবং পরে মিনা থেকে প্রত্যাবর্তন করার পর আর এক তওয়াফ আদায় করেন। আর যাঁরা হাজ্জ ও ‘উমরাহর ইহরাম এক সঙ্গে বাঁধেন, তাঁরা কেবল এক তওয়াফ আদায় করেন। [২৯৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫০)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
إِسْمَاعِيْلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ ثُمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهْلِلْ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ لَا يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيْعًا فَقَدِمْتُ مَعَهُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَلَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَشَكَوْتُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ انْقُضِيْ رَأْسَكِ وَامْتَشِطِيْ وَأَهِلِّيْ بِالْحَجِّ وَدَعِي الْعُمْرَةَ فَفَعَلْتُ فَلَمَّا قَضَيْنَا الْحَجَّ أَرْسَلَنِيْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِيْ بَكْرٍ الصِّدِّيْقِ إِلَى التَّنْعِيْمِ فَاعْتَمَرْتُ فَقَالَ هَذِهِ مَكَانَ عُمْرَتِكِ قَالَتْ فَطَافَ الَّذِيْنَ أَهَلُّوْا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حَلُّوْا ثُمَّ طَافُوْا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوْا مِنْ مِنًى وَأَمَّا الَّذِيْنَ جَمَعُوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوْا طَوَافًا وَاحِدًا.
Narrated `Aisha:
We went out with Allah's Messenger (ﷺ) during Hajjat-ul-Wada` and we assumed the Ihram for `Umra. Then Allah's Messenger (ﷺ) said to us, "Whoever has got the Hadi should assume the Ihram for Hajj and `Umra and should not finish his Ihram till he has performed both (`Umra and Hajj)." I arrived at Mecca along with him (i.e. the Prophet (ﷺ) ) while I was menstruating, so I did not perform the Tawaf around the Ka`ba or between Safa and Marwa. I informed Allah's Messenger (ﷺ) about that and he said, "Undo your braids and comb your hair, and then assume the lhram for Hajj and leave the `Umra." I did so, and when we performed and finished the Hajj, Allah's Messenger (ﷺ)s sent me to at-Tan`im along with (my brother) `Abdur-Rahman bin Abu Bakr As-Siddiq, to perform the `Umra. The Prophet (ﷺ) said, "This `Umra is in lieu of your missed `Umra." Those who had assumed the lhram for `Umra, performed the Tawaf around the Ka`ba and between Safa and Marwa, and then finished their Ihram, and on their return from Mina, they performed another Tawaf (around the Ka`ba and between Safa and Marwa), but those who combined their Hajj and `Umra, performed only one Tawaf (between Safa and Marwa) (for both).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৩৯৬. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। মুহরিম ব্যক্তি যখন বাইতুল্লাহ তওয়াফ করল তখন সে তাঁর ইহরাম থেকে হালাল হয়ে গেল। আমি (ইবনু জুরায়জ) জিজ্ঞেস করলাম যে, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এ কথা কী করে বলতে পারেন? রাবী ‘আত্বা (রহ.) উত্তরে বলেন, আল্লাহ তা‘আলার এই কালামের দলীল থেকে যে, এরপর তার হালাল হওয়ার স্থল হচ্ছে বাইতুল্লাহ এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক তাঁর সাহাবীদের বিদায় হাজ্জের (এ কাজের পরে) হালাল হয়ে যাওয়ার হুকুম দেয়ার ঘটনা থেকে। আমি বললামঃ এ হুকুম তো ‘আরাফাহ-এ উকূফ করার পর প্রযোজ্য। তখন ‘আত্বা (রহ.) বললেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর মতে উকূফে ‘আরাফাহর পূর্বাপর উভয় অবস্থার জন্য এ হুকুম। [মুসলিম ১৫/৩২, হাঃ ১২৪৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫১)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
عَمْرُوْ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَطَاءٌ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ إِذَا طَافَ بِالْبَيْتِ فَقَدْ حَلَّ فَقُلْتُ مِنْ أَيْنَ قَالَ هَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ مِنْ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى (ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيْقِ) وَمِنْ أَمْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَصْحَابَهُ أَنْ يَحِلُّوْا فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ قُلْتُ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ بَعْدَ الْمُعَرَّفِ قَالَ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَرَاهُ قَبْلُ وَبَعْدُ.
Narrated Ibn Juraij:
`Ata' said, "Ibn `Abbas said, 'If he (i.e. the one intending to perform `Umra) has performed the Tawaf around the Ka`ba, his Ihram is considered to have finished.' said, 'What proof does Ibn `Abbas has as to this saying?" `Ata' said, "(The proof is taken) from the Statement of Allah:-- "And afterwards they are brought For sacrifice unto Ancient House (Ka`ba at Mecca)" (22.33) and from the order of the Prophet to his companions to finish their Ihram during Hajjat-ul-Wada`." I said (to `Ata'), "That (i.e. finishing the Ihram) was after coming form `Arafat." `Ata' said, "Ibn `Abbas used to allow it before going to `Arafat (after finishing the `Umra) and after coming from it (i.e. after performing the Hajj).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৩৯৭. আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (বিদায় হাজ্জে) মক্কার বাত্হা নামক স্থানে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মিলিত হলাম। তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছ? আমি বললাম, হাঁ। তখন তিনি আমাকে (পুনরায়) জিজ্ঞেস করলেন। কোন্ প্রকারে হাজ্জের ইহরামের নিয়ত করেছ? আমি বললাম, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইহরামের মতো ইহরামের নিয়ত করে তালবিয়াহ পড়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বাইতুল্লাহ তওয়াফ কর এবং সফা ও মারওয়াহ্ সায়ী কর। এরপর (ইহরাম খুলে) হালাল হয়ে যাও। তখন আমি বাইতুল্লাহ্ তওয়াফ করলাম ও সফা এবং মারওয়াহ্ সায়ী করলাম। এরপর আমি ক্বায়স গোত্রের এক মহিলার কাছে গেলাম, সে আমার চুল আঁচড়ে দিল (তাতে আমি ইহরাম থেকে মুক্ত হয়ে গেলাম)। [১৫৫৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫২)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
بَيَانٌ حَدَّثَنَا النَّضْرُ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَيْسٍ قَالَ سَمِعْتُ طَارِقًا عَنْ أَبِيْ مُوْسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَدِمْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ أَحَجَجْتَ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ كَيْفَ أَهْلَلْتَ قُلْتُ لَبَّيْكَ بِإِهْلَالٍ كَإِهْلَالِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ طُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حِلَّ فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَأَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَيْسٍ فَفَلَتْ رَأْسِي.
Narrated Abu Musa Al-Ash`ari:
I came to the Prophet (ﷺ) at a place called Al-Batha'. The Prophet (ﷺ) said, "Did you assume the Ihram for Hajj?" I said, "Yes," He said, "How did you express your intention (for performing Hajj)? " I said, "Labbaik (i.e. I am ready) to assume the Ihram with the same intention as that of Allah's Messenger (ﷺ)." The Prophet said, "Perform the Tawaf around the Ka`ba and between Safa and Marwa, and then finish your Ihram." So I performed the Tawaf around the Ka`ba and between Safa and Marwa and then I came to a woman from the tribe of Qais who removed the lice from my head.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৩৯৮. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী হাফসাহ (রাঃ) ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে জানিয়েছেন যে, বিদায় হাজ্জের বছর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের হালাল হয়ে যেতে নির্দেশ দেন। তখন হাফসাহ (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কী কারণে হালাল হচ্ছেন না? তদুত্তরে তিনি বললেন, আমি আঠা জাতীয় বস্তু দ্বারা আমার মাথার চুল জমাট করে ফেলেছি এবং কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদাহ[1] বেঁধে দিয়েছি। কাজেই, আমি আমার কুরবানীর পশু যবহ করার পূর্বে হালাল হতে পারব না। [১৫৬৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫৩)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
إِبْرَاهِيْمُ بْنُ الْمُنْذِرِ أَخْبَرَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ حَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يَحْلِلْنَ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَتْ حَفْصَةُ فَمَا يَمْنَعُكَ فَقَالَ لَبَّدْتُ رَأْسِيْ وَقَلَّدْتُ هَدْيِيْ فَلَسْتُ أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ هَدْيِي.
Narrated Hafsa:
(the wife of the Prophet) The Prophet (ﷺ) ordered all his wives to finish their Ihram during the year of Hajjat-ul-Wada`. On that, I asked the Prophet (ﷺ) "What stops you from finishing your lhram?" He said, "I have matted my hair and garlanded my Hadi. So I will not finish my Ihram unless I have slaughtered my Hadi."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৩৯৯. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আশ‘আম গোত্রের এ মহিলা বিদায় হাজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞেস করে। এ সময় ফদল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) (সওয়ারীতে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে উপবিষ্ট ছিলেন। মহিলাটি আবেদন করল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি হাজ্জ ফারয্ করেছেন। আমার পিতার উপর তা এমন অবস্থায় ফরয হল যে, তিনি অতীব বয়োবৃদ্ধ, যে কারণে সওয়ারীর উপর ঠিক হয়ে বসতেও সমর্থ নন। এমতাবস্থায় আমি তাঁর পক্ষ থেকে হাজ্জ আদায় করলে তা আদায় হবে কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাঁ। [১৫১৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫৪)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
أَبُو الْيَمَانِ قَالَ حَدَّثَنِيْ شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ امْرَأَةً مِنْ خَثْعَمَ اسْتَفْتَتْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَالْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ رَدِيْفُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ فَرِيْضَةَ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ أَدْرَكَتْ أَبِيْ شَيْخًا كَبِيْرًا لَا يَسْتَطِيْعُ أَنْ يَسْتَوِيَ عَلَى الرَّاحِلَةِ فَهَلْ يَقْضِيْ أَنْ أَحُجَّ عَنْهُ قَالَ نَعَمْ.
Narrated Ibn `Abbas:
A woman from the tribe of Khath'am asked for the verdict of Allah's Messenger (ﷺ) (regarding something) during Hajjat-ul-Wada` while Al-Fadl bin `Abbas was the companion-rider behind Allah's Messenger (ﷺ). She asked, "Allah's ordained obligation (i.e. compulsory Hajj) enjoined on His slaves has become due on my old father who cannot sit firmly on the riding animal. Will it be sufficient if I perform the Hajj on his behalf?" He said, "Yes."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪০০. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফতেহ মক্কার বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগিয়ে চললেন। তিনি (তাঁর) কসওয়া নামক উটনীর উপর উসামাহ (রাঃ)-কে পিছনে বসালেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিলাল ও ‘উসমান ইবনু ত্বলহা (রাঃ)। অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁর বাহনকে) বাইতুল্লাহর নিকট বসালেন। তারপর ‘উসমান (ইবনু ত্বলহা) (রাঃ)-কে বললেন, আমার কাছে চাবি নিয়ে এসো। তিনি তাঁকে চাবি এনে দিলেন। এরপর কা‘বা শরীফের দরজা তাঁর জন্য খোলা হল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম, উসামাহ, বিলাল এবং ‘উসমান (রাঃ) কা‘বা ঘরে প্রবেশ করলেন। তারপর দরজা বন্ধ করে দেয়া হল। এরপর তিনি দিবা ভাগের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন এবং পরে বের হয়ে আসেন। তখন লোকেরা কা‘বার অভ্যন্তরে প্রবেশ করার জন্য তাড়াহুড়া করতে থাকে। আর আমি তাদের অগ্রণী হই এবং বিলাল (রাঃ)-কে কা‘বার দরজার পিছনে দাঁড়ানো অবস্থায় পাই। তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন্ স্থানে সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেন, ঐ সামনের দু’ স্তম্ভের মাঝখানে। এ সময় বাইতুল্লাহর দুই সারিতে ছয়টি স্তম্ভ ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনের সারির দু’ খামের মাঝখানে সালাত আদায় করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহর দরজা তার পিছনে রেখেছিলেন এবং তাঁর চেহারা ছিল বাইতুল্লাহ্য় প্রবেশকালে সামনে যে দেয়াল পড়ে সেদিকে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয় রাক‘আত সালাত আদায় করেছেন তা জিজ্ঞেস করতে আমি ভুলে গিয়েছিলাম। আর যে স্থানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করেছিলেন সেখানে লাল বর্ণের মর্মর পাথর ছিল। [৩৯৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫৫)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أَقْبَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ وَهُوَ مُرْدِفٌ أُسَامَةَ عَلَى الْقَصْوَاءِ وَمَعَهُ بِلَالٌ وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ حَتَّى أَنَاخَ عِنْدَ الْبَيْتِ ثُمَّ قَالَ لِعُثْمَانَ ائْتِنَا بِالْمِفْتَاحِ فَجَاءَهُ بِالْمِفْتَاحِ فَفَتَحَ لَهُ الْبَابَ فَدَخَلَ النَّبِيُّ وَأُسَامَةُ وَبِلَالٌ وَعُثْمَانُ ثُمَّ أَغْلَقُوْا عَلَيْهِمْ الْبَابَ فَمَكَثَ نَهَارًا طَوِيْلًا ثُمَّ خَرَجَ وَابْتَدَرَ النَّاسُ الدُّخُوْلَ فَسَبَقْتُهُمْ فَوَجَدْتُ بِلَالًا قَائِمًا مِنْ وَرَاءِ الْبَابِ فَقُلْتُ لَهُ أَيْنَ صَلَّى رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ صَلَّى بَيْنَ ذَيْنِكَ الْعَمُوْدَيْنِ الْمُقَدَّمَيْنِ وَكَانَ الْبَيْتُ عَلَى سِتَّةِ أَعْمِدَةٍ سَطْرَيْنِ صَلَّى بَيْنَ الْعَمُوْدَيْنِ مِنْ السَّطْرِ الْمُقَدَّمِ وَجَعَلَ بَابَ الْبَيْتِ خَلْفَ ظَهْرِهِ وَاسْتَقْبَلَ بِوَجْهِهِ الَّذِيْ يَسْتَقْبِلُكَ حِيْنَ تَلِجُ الْبَيْتَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجِدَارِ قَالَ وَنَسِيْتُ أَنْ أَسْأَلَهُ كَمْ صَلَّى وَعِنْدَ الْمَكَانِ الَّذِيْ صَلَّى فِيْهِ مَرْمَرَةٌ حَمْرَاءُ.
Narrated (Abdullah) bin `Umar:
The Prophet (ﷺ) arrived (at Mecca) in the year of the Conquest (of Mecca) while Usama was riding behind him on (his she-camel)'. Al-Qaswa.' Bilal and `Uthman bin Talha were accompanying him. When he made his she-camel kneel down near the Ka`ba, he said to `Uthman, "Get us the key (of the Ka`ba). He brought the key to him and opened the gate (of the Ka`ba), for him. The Prophet, Usama, Bilal and `Uthman (bin Talha) entered the Ka`ba and then closed the gate behind them (from inside). The Prophet (ﷺ) stayed there for a long period and then came out. The people rushed to get in, but I went in before them and found Bilal standing behind the gate, and I said to him, "Where did the Prophet (ﷺ) pray?" He said, "He prayed between those two front pillars." The Ka`ba was built on six pillars, arranged in two rows, and he prayed between the two pillars of the front row leaving the gate of the Ka`ba at his back and facing (in prayer) the wall which faces one when one enters the Ka`ba. Between him and that wall (was the distance of about three cubits). But I forgot to ask Bilal about the number of rak`at the Prophet (ﷺ) had prayed. There was a red piece of marble at the place where he (i.e. the Prophet) had offered the prayer.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪০১. নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী হুয়াই-এর কন্যা সাফিয়া (রাঃ) বিদায় হাজ্জের সময় ঋতুমতী হয়ে পড়েন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে কি আমাদের (মদিনা প্রত্যাবর্তনে) বাধা হয়ে দাঁড়াল? তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি তো তওয়াফে যিয়ারাহ্ করে নিয়েছেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে সেও রওয়ানা করুক। [২৯৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫৬)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنِيْ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَأَبُوْ سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُمَا أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَاضَتْ فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَحَابِسَتُنَا هِيَ فَقُلْتُ إِنَّهَا قَدْ أَفَاضَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَطَافَتْ بِالْبَيْتِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلْتَنْفِرْ.
Narrated `Aisha:
(the wife of the Prophet) Safiya bin Huyai, the wife of the Prophet (ﷺ) menstruated during Hajjat-ul- Wada` The Prophet (ﷺ) said, "Is she going to detain us?" I said to him, "She has already come to Mecca and performed the Tawaf (ul-ifada) around the Ka`ba, O Allah's Messenger (ﷺ)." The Prophet (ﷺ) said, " Let her then proceed on (to Medina).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪০২. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে উপস্থিত থাকাবস্থায় আমরা বিদায় হাজ্জ সম্পর্কে আলোচনা করতাম। আর আমরা বিদায় হাজ্জ কাকে বলে তা জানতাম না। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করেন। তারপর তিনি মাসীহ্ দাজ্জাল সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করেন এবং বলেন, আল্লাহ এমন কোন নবী প্রেরণ করেননি যিনি তাঁর উম্মতকে (দাজ্জাল সম্পর্কে) সতর্ক করেননি। নূহ (আঃ) এবং তাঁর পরবর্তী নবীগণও তাঁদের উম্মতগণকে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। সে তোমাদের মধ্যে প্রকাশিত হবে। তার অবস্থা তোমাদের নিকট অপ্রকাশিত থাকবে না। তোমাদের কাছে এও অস্পষ্ট নয় যে, তোমাদের রব কানা নন। আর দাজ্জালের ডান চোখ কানা হবে। যেন তার চোখ একটি ফোলা আঙ্গুর। [৩০৫৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫৮)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كُنَّا نَتَحَدَّثُ بِحَجَّةِ الْوَدَاعِ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا وَلَا نَدْرِيْ مَا حَجَّةُ الْوَدَاعِ فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ ذَكَرَ الْمَسِيْحَ الدَّجَّالَ فَأَطْنَبَ فِيْ ذِكْرِهِ وَقَالَ مَا بَعَثَ اللهُ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا أَنْذَرَ أُمَّتَهُ أَنْذَرَهُ نُوْحٌ وَالنَّبِيُّوْنَ مِنْ بَعْدِهِ وَإِنَّهُ يَخْرُجُ فِيْكُمْ فَمَا خَفِيَ عَلَيْكُمْ مِنْ شَأْنِهِ فَلَيْسَ يَخْفَى عَلَيْكُمْ أَنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ عَلَى مَا يَخْفَى عَلَيْكُمْ ثَلَاثًا إِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ وَإِنَّهُ أَعْوَرُ عَيْنِ الْيُمْنَى كَأَنَّ عَيْنَهُ
Narrated Ibn `Umar:
We were talking about Hajjat-ul-Wada`, while the Prophet (ﷺ) was amongst us. We did not know what Hajjat-ul-Wada` signified. The Prophet (ﷺ) praised Allah and then mentioned Al-Masih Ad-Dajjal and described him extensively, saying, "Allah did not send any prophet but that prophet warned his nation of Al-Masih Ad-Dajjal. Noah and the prophets following him warned (their people) of him. He will appear amongst you (O Muhammad's followers), and if it happens that some of his qualities may be hidden from you, but your Lord's State is clear to you and not hidden from you. The Prophet (ﷺ) said it thrice. Verily, your Lord is not blind in one eye, while he (i.e. Ad-Dajjal) is blind in the right eye which looks like a grape bulging out (of its cluster).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪০৩. তোমরা সতর্ক থাক। আজকের এ দিনের মত, এ শহরের মত এবং এ মাসের মতো আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের রক্তকে ও তোমাদের সম্পদকে তোমাদের উপর হারাম করেছেন। বল তো, আমি কি আল্লাহর পয়গাম পৌঁছে দিয়েছি। সমবেত সকলে বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। এ কথা তিনবার বললেন, (তারপর বললেন), তোমাদের জন্য পরিতাপ অথবা তিনি বললেন, তোমাদের জন্য আফসোস, সতর্ক থেকো, আমার পরে তোমরা কুফরের দিকে ফিরে যেয়ো না যে, একে অন্যের গর্দান মারবে। [১৭৪২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫৮)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
أَلَا إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِيْ بَلَدِكُمْ هَذَا فِيْ شَهْرِكُمْ هَذَا أَلَا هَلْ بَلَّغْتُ قَالُوْا نَعَمْ قَالَ اللهُمَّ اشْهَدْ ثَلَاثًا وَيْلَكُمْ أَوْ وَيْحَكُمْ انْظُرُوْا لَا تَرْجِعُوْا بَعْدِيْ كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ.
No doubt,! Allah has made your blood and your properties sacred to one another like the sanctity of this day of yours, in this town of yours, in this month of yours." The Prophet (ﷺ) added: No doubt! Haven't I conveyed Allah's Message to you? " They replied, "Yes," The Prophet (ﷺ) said thrice, "O Allah! Be witness for it." The Prophet (ﷺ) added, "Woe to you!" (or said), "May Allah be merciful to you! Do not become infidels after me (i.e. my death) by cutting the necks (throats) of one another."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪০৪. যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঊনিশটি যুদ্ধে স্বয়ং অংশগ্রহণ করেন। আর হিজরতের পর তিনি হাজ্জ আদায় করেন মাত্র একটি হাজ্জে। এরপর তিনি আর কোন হাজ্জ আদায় করেননি এবং তা হল বিদায় হাজ্জ। আবূ ইসহাক (রহ.) বলেন, মক্কা্য় অবস্থানকালে তিনি আরেকটি হাজ্জ করেছিলেন। [৩৯৪৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫৮)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
عَمْرُوْ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا أَبُوْ إِسْحَاقَ قَالَ حَدَّثَنِيْ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً وَأَنَّهُ حَجَّ بَعْدَ مَا هَاجَرَ حَجَّةً وَاحِدَةً لَمْ يَحُجَّ بَعْدَهَا حَجَّةَ الْوَدَاعِ قَالَ أَبُوْ إِسْحَاقَ وَبِمَكَّةَ أُخْرَى.
Narrated Zaid bin Arqam:
The Prophet (ﷺ) fought nineteen Ghazwas and performed only one Hajj after he migrated (to Medina), and did not perform another Hajj after it, and that was Hajj-ul-Wada`,' Abu 'Is-haq said, "He performed when he was in Mecca."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪০৫. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জারীর (রাঃ)-কে বিদায় হাজ্জে বললেন, লোকজনকে চুপ থাকতে বল। তারপর বললেন, আমার ইন্তিকালের পর তোমরা কুফরীর দিকে ফিরে যেয়ো না যে, একে অন্যের গর্দান উড়াবে। [১২১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৫৯)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ عَنْ أَبِيْ زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيْرٍ عَنْ جَرِيْرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ لِجَرِيْرٍ اسْتَنْصِتْ النَّاسَ فَقَالَ لَا تَرْجِعُوْا بَعْدِيْ كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ.
Narrated Jarir:
The Prophet (ﷺ) ordered me during Hajjatul-Wada`. "Ask the people to listen." He then said, "Do not become infidels after me by cutting the necks (throats) of one another. "
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪০৬. আবূ বকরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সময় ও কাল আবর্তিত হয় নিজ চক্রে। যেদিন থেকে আল্লাহ আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। এক বছর হয় বার মাসে। এর মধ্যে চার মাস সম্মানিত। তিনমাস ক্রমান্বয়ে আসে-যেমন যিলকদ, যিলহাজ্জ ও মুহার্রম এবং রজব মুদার বা জমাদিউল আখির ও শাবান মাসের মাঝে হয়ে থাকে। (এরপর তিনি প্রশ্ন করলেন) এটি কোন্ মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই অধিক জানেন। এরপর তিনি চুপ থাকলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, হয়তো তিনি এ মাসের অন্য কোন নাম রাখবেন। (তারপর) তিনি বললেন, এ কি যিলহাজ্জ মাস নয়? আমরা বললামঃ হ্যাঁ। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এটি কোন্ শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই অধিক জানেন। তারপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ধারণা করলাম যে, হয়তো তিনি এ শহরের অন্য কোন নাম রাখবেন। তারপর তিনি বললেন, এটি কি (মক্কা্) শহর নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, এটি কোন্ দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল-ই ভাল জানেন। তারপর তিনি চুপ থাকলেন। এতে আমরা মনে করলাম যে, তিনি এ দিনটির অন্য কোন নামকরণ করবেন। তারপর তিনি বললেন, এটি কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। এরপর তিনি বললেন, তোমাদের রক্ত তোমাদের সম্পদ। রাবী মুহাম্মাদ বলেন, আমার ধারণা যে, তিনি আরও বলেছিলেন, তোমাদের মান-ইজ্জত- তোমাদের উপর পবিত্র, যেমন পবিত্র তোমাদের আজকের এই দিন, তোমাদের এই শহর ও তোমাদের এই মাস। তোমরা শীঘ্রই তোমাদের রবের সঙ্গে মিলিত হবে। তখন তিনি তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। খবরদার! তোমরা আমার ইন্তিকালের পরে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ো না যে, একে অন্যের গর্দান উড়াবে। শোন, তোমাদের উপস্থিত ব্যক্তি অনুপস্থিত ব্যক্তিকে আমার পয়গাম পৌঁছে দেবে। অনেক সময় যে প্রত্যক্ষভাবে শ্রবণ করেছে তার থেকেও তার মাধ্যমে খবর-পাওয়া ব্যক্তি অধিকতর সংরক্ষণকারী হয়ে থাকে। রাবী মুহাম্মাদ [ইবনু সীরীন (রহ.)] যখনই এ হাদীস বর্ণনা করতেন তখন তিনি বলতেন-মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যই বলেছেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা শোন, আমি কি (আল্লাহর পায়গাম) পৌঁছিয়ে দিয়েছি? এভাবে দু’বার বললেন। [মুসলিম ২৮/৯, হাঃ ১৬৭৯, আহমাদ ২০৪০৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬০)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا أَيُّوْبُ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ ابْنِ أَبِيْ بَكْرَةَ عَنْ أَبِيْ بَكْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الزَّمَانُ قَدْ اسْتَدَارَ كَهَيْئَةِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلَاثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِيْ بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ أَيُّ شَهْرٍ هَذَا قُلْنَا اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيْهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ قَالَ أَلَيْسَ ذُو الْحِجَّةِ قُلْنَا بَلَى قَالَ فَأَيُّ بَلَدٍ هَذَا قُلْنَا اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيْهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ قَالَ أَلَيْسَ الْبَلْدَةَ قُلْنَا بَلَى قَالَ فَأَيُّ يَوْمٍ هَذَا قُلْنَا اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيْهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ قَالَ أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ قُلْنَا بَلَى قَالَ فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ قَالَ مُحَمَّدٌ وَأَحْسِبُهُ قَالَ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِيْ بَلَدِكُمْ هَذَا فِيْ شَهْرِكُمْ هَذَا وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ فَسَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ أَلَا فَلَا تَرْجِعُوْا بَعْدِيْ ضُلَّالًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ أَلَا لِيُبَلِّغْ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ فَلَعَلَّ بَعْضَ مَنْ يُبَلَّغُهُ أَنْ يَكُوْنَ أَوْعَى لَهُ مِنْ بَعْضِ مَنْ سَمِعَهُ فَكَانَ مُحَمَّدٌ إِذَا ذَكَرَهُ يَقُوْلُ صَدَقَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ أَلَا هَلْ بَلَّغْتُ مَرَّتَيْنِ.
Narrated Abu Bakra:
The Prophet (ﷺ) said, "Time has taken its original shape which it had when Allah created the Heavens and the Earth. The year is of twelve months, four of which are sacred, and out of these (four) three are in succession, i.e. Dhul-Qa'da, Dhul-Hijja and Al-Muharram, and the fourth is Rajab which is named after the Mudar tribe, between (the month of) Jumaida (ath-thania) and Sha'ban." Then the Prophet (ﷺ) asked, "Which is this month?" We said, "Allah and His Apostle know better." On that the Prophet (ﷺ) kept quiet so long that we thought that he might name it with another name. Then the Prophet (ﷺ) said, "Isn't it the month of Dhul-Hijja?" We replied, "Yes." Then he said, "Which town is this?" "We replied, "Allah and His Apostle know better." On that he kept quiet so long that we thought that he might name it with another name. Then he said, "Isn't it the town of Mecca?" We replied, "Yes, " Then he said, "Which day is today?" We replied, "Allah and His Apostle know better." He kept quiet so long that we thought that he might name it with another name. Then he said, "Isn't it the day of An- Nahr (i.e. sacrifice)?" We replied, "Yes." He said, "So your blood, your properties, (The sub-narrator Muhammad said, 'I think the Prophet (ﷺ) also said: And your honor..) are sacred to one another like the sanctity of this day of yours, in this city of yours, in this month of yours; and surely, you will meet your Lord, and He will ask you about your deeds. Beware! Do not become infidels after me, cutting the throats of one another. It is incumbent on those who are present to convey this message (of mine) to those who are absent. May be that some of those to whom it will be conveyed will understand it better than those who have actually heard it." (The sub-narrator, Muhammad, on remembering that narration, used to say, "Muhammad spoke the truth!") He (i.e. Prophet) then added twice, "No doubt! Haven't I conveyed (Allah's Message) to you?"
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪০৭. ত্বরিক ইবনু শিহাব (রহ.) হতে বর্ণিত যে, একদল ইয়াহূদী বলল, যদি এ আয়াত আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হত, তাহলে আমরা উক্ত অবতরণের দিনকে ’ঈদের দিন হিসেবে উদযাপন করতাম। তখন ’উমার (রাঃ) তাদের জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ আয়াত? তারা বলল, এই আয়াতঃ فَقَالُوا الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمْ الإِسْلَامَ دِيْنًا ’’আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন (জীবন-বিধান)-কে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামাত পরিপূর্ণ করলাম’’- (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৩)। তখন ’উমার (রাঃ) বললেন, কোন্ স্থানে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল তা আমি জানি। এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফাহ্য় দন্ডায়মান অবস্থায় ছিলেন। [৪৫, ৬৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬১)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ أَنَّ أُنَاسًا مِنَ الْيَهُوْدِ قَالُوْا لَوْ نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فِيْنَا لَاتَّخَذْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ عِيْدًا فَقَالَ عُمَرُ أَيَّةُ آيَةٍ (فَقَالُوا الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمْ الْإِسْلَامَ دِيْنًا) فَقَالَ عُمَرُ إِنِّيْ لَأَعْلَمُ أَيَّ مَكَانٍ أُنْزِلَتْ أُنْزِلَتْ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ.
Narrated Tariq bin Shibab:
Some Jews said, "Had this Verse been revealed to us, we would have taken that day as `Id (festival)." `Umar said, "What Verse?" They said:-- "This day I have Perfected your religion for you, Completed My Favor upon you And have chosen for you Islam as your religion" (5.3) `Umar said, "I know the place where it was revealed; It was revealed while Allah's Messenger (ﷺ) was staying at `Arafat."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪০৮. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (মদিনা মুনাওয়ারা থেকে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ‘উমরাহর ইহরাম বেঁধেছিলেন আর কেউ কেউ হাজ্জের ইহরাম, আবার কেউ কেউ হজ্জ ও ‘উমরাহ্ উভয়ের ইহরাম বেঁধেছিলেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন। যাঁরা শুধু হাজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন অথবা হাজ্জ ও ‘উমরাহর ইহরাম একসঙ্গে বেঁধেছিলেন, তারা কুরবানীর দিনের পূর্বে হালাল হতে পারেননি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬২)
মালিক (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি উপরোক্ত হাদীসটিকে এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বিদায় হাজ্জকালীন সময়ে। [২৯৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬৩)
ইসমা‘ঈল (রহ.) সূত্রেও মালিক (রহ.) থেকে এভাবে বর্ণিত আছে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬৩)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجَّةٍ وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَهَلَّ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحَجِّ فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ أَوْ جَمَعَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَلَمْ يَحِلُّوْا حَتَّى يَوْمِ النَّحْرِ.
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ وَقَالَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ حَدَّثَنَا مَالِكٌ مِثْلَهُ.
Narrated `Aisha:
We set out with Allah's Messenger (ﷺ), and some of us assumed the lhram for `Umra, some assumed it for Hajj, and some assumed it for both Hajj and `Umra. Allah's Messenger (ﷺ) assumed the Ihram for Hajj. So those who had assumed the Ihram for Hajj or for both Hajj and `Umra, did not finish their Ihram till the day of An-Nahr (i.e. slaughter of sacrifices).
Malik also narrated as above, saying, "(We set out) with Allah's Messenger (ﷺ) in Hajjat-ul-Wada`...)"
This hadith also reaches us through another chain.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪০৯. সা‘দ (ইবনু আবূ ওয়াক্কাস) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জের সময় আমি বেদনার কারণে মরণ রোগে আক্রান্ত হলে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে এলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার রোগ যে মারাত্মক হয়ে গেছে তা আপনি দেখতে পাচ্ছেন। আমি একজন সম্পদশালী লোক কিন্তু আমার একমাত্র কন্যা ব্যতীত অন্য কোন উত্তরাধিকারী নেই। কাজেই আমি কি আমার সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ সাদাকা করে দেব? তিনি বললেন, ‘না’। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তবে কি আমি সম্পদের অর্ধেক সাদাকা করে দেব? তিনি বললেন, ‘না’। আমি বললাম, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ, তখন তিনি বললেন, এক-তৃতীয়াংশই ঢের। তুমি যদি তোমার উত্তরাধিকারীদের সচ্ছল অবস্থায় ছেড়ে যাও তবে তা তাদেরকে অভাবী অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম-যাতে তারা মানুষের কাছে হাত পেতে বেড়াবে। আর তুমি যা-ই আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্ত খরচ কর, তার বিনিময়ে তোমাকে প্রতিদান দেয়া হবে। এমনকি যে লোকমা তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে ধর তারও। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি আমার সাথীদের পিছনে পড়ে থাকব? তিনি বললেন, তোমাকে কক্ষনো পেছনে ছেড়ে যাওয়া হবে না, আর (তুমি পিছনে পড়ে গেলেও) আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশে ‘আমল করবে তা দ্বারা তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ও সমুন্নত হবে। সম্ভবত তুমি আরো জীবিত থাকবে। ফলে তোমার দ্বারা এক সম্প্রদায় উপকৃত হবে। অন্য সম্প্রদায় (মুসলিমরা) ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহ! আমার সাহাবীদের হিজরত আপনি জারী রাখুন এবং তাদের পিছনের দিকে ফিরিয়ে দিবেন না। কিন্তু আফসোস সা‘দ ইবনু খাওলা (রাঃ)-এর জন্য, (রাবী বলেন) মক্কা্য় তার মৃত্যু হওয়ায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মনে কষ্ট পেয়েছিলেন। [৫৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬৪)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
أَحْمَدُ بْنُ يُوْنُسَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ هُوَ ابْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ عَادَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ مِنْ وَجَعٍ أَشْفَيْتُ مِنْهُ عَلَى الْمَوْتِ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ بَلَغَ بِيْ مِنَ الْوَجَعِ مَا تَرَى وَأَنَا ذُوْ مَالٍ وَلَا يَرِثُنِيْ إِلَّا ابْنَةٌ لِيْ وَاحِدَةٌ أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِيْ قَالَ لَا قُلْتُ أَفَأَتَصَدَّقُ بِشَطْرِهِ قَالَ لَا قُلْتُ فَالثُّلُثِ قَالَ وَالثُّلُثُ كَثِيْرٌ إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُوْنَ النَّاسَ وَلَسْتَ تُنْفِقُ نَفَقَةً تَبْتَغِيْ بِهَا وَجْهَ اللهِ إِلَّا أُجِرْتَ بِهَا حَتَّى اللُّقْمَةَ تَجْعَلُهَا فِيْ فِي امْرَأَتِكَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ آأُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِيْ قَالَ إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ فَتَعْمَلَ عَمَلًا تَبْتَغِيْ بِهِ وَجْهَ اللهِ إِلَّا ازْدَدْتَ بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً وَلَعَلَّكَ تُخَلَّفُ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُوْنَ اللهُمَّ أَمْضِ لِأَصْحَابِيْ هِجْرَتَهُمْ وَلَا تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنْ الْبَائِسُ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ رَثَى لَهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُوُفِّيَ بِمَكَّةَ.
Narrated Sa`d:
The Prophet (ﷺ) visited me during Hajjat ul-Wada` while I was suffering from a disease which brought me to the verge of death. I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! My ailment has reached such a (bad) state as you see, and I have much wealth, but I have no-one to inherit from me except my only daughter. Shall I give 2/3 of my property as alms (in charity)?" The Prophet (ﷺ) said, "No," I said, "Shall I give half of my property as alms?" He said, "No." I said, "(Shall I give) 1/3 of it? " He replied, " 1/3, and even 1/3 is too much. It is better for you to leave your inheritors wealthy rather than to leave them poor, begging people (for their sustenance); and whatever you spend for Allah's Sake, you will get reward for it even for the morsel of food which you put in your wives mouth." I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Should I remain (in Mecca) behind my companions (who are going with you to Medina)?" The Prophet (ﷺ) said, "If you remain behind, any good deed which you will do for Allah's Sake, will upgrade and elevate you. May be you will live longer so that some people may benefit by you and some other (i.e. infidels) may get harmed by you." The Prophet (ﷺ) then added, "O Allah! Complete the Migration of my companions and do not turn them on their heels. But the poor Sa`d bin Khaula (not the above mentioned Sa`d) (died in Mecca) ." Allah's Messenger (ﷺ) pitied Sa`d for he died in Mecca.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪১০. নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত। ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁদেরকে অবহিত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হাজ্জে তাঁর মাথা মুন্ডন করেছিলেন। [১৭২৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬৫)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
إِبْرَاهِيْمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا أَبُوْ ضَمْرَةَ حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُمْ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَلَقَ رَأْسَهُ فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) got his head shaved during Hajjat-ul-Wada`.'
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪১১. নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত। ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাঁকে অবহিত করেন যে, বিদায় হাজ্জে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীদের অনেকেই মাথা মুন্ডন করেন আর তাঁদের কেউ কেউ মাথার চুল ছেঁটে ফেলেন। [১৭২৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬৬)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
عُبَيْدُ اللهِ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِيْ مُوْسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ أَخْبَرَهُ ابْنُ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَلَقَ فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَأُنَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَقَصَّرَ بَعْضُهُمْ.
Narrated Ibn `Umar:
During Hajjat-ul-Wada`, the Prophet (ﷺ) and some of his companions got their heads shaved while some of his companions got their head-hair cut short.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪১২. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি গাধায় চড়ে রওয়ানা হন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হাজ্জকালে মিনায় দাঁড়িয়ে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। তখন গাধাটি সালাতের একটি কাতারের সামনে এসে পড়ে। এরপর তিনি গাধার পিঠ থেকে নেমে পড়েন এবং তিনি লোকেদের সঙ্গে সালাতের কাতারে সামিল হন। [৭৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬৭)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِيْ يُوْنُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِيْ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّهُ أَقْبَلَ يَسِيْرُ عَلَى حِمَارٍ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ بِمِنًى فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ يُصَلِّيْ بِالنَّاسِ فَسَارَ الْحِمَارُ بَيْنَ يَدَيْ بَعْضِ الصَّفِّ ثُمَّ نَزَلَ عَنْهُ فَصَفَّ مَعَ النَّاسِ.
Narrated `Abdullah bin `Abbas:
That he came riding a donkey when Allah 's Apostle was standing at Mina during Hajjat-ul-Wada`, leading the people in prayer. The donkey passed in front of a part of the row (of the people offering the prayer). Then he dismounted from it and took his position in the row with the people.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪১৩. হিশামের পিতা [‘উরওয়াহ (রহ.)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার উপস্থিতিতে উসামাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিদায় হাজ্জের সওয়ারী চালনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে বললেন, মধ্যম গতিতে চলেছেন আবার প্রশস্ত পথ পেলে দ্রুতগতিতে চলেছেন। [১৬৬৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬৮)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ هِشَامٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ قَالَ سُئِلَ أُسَامَةُ وَأَنَا شَاهِدٌ عَنْ سَيْرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ حَجَّتِهِ فَقَالَ الْعَنَقَ فَإِذَا وَجَدَ فَجْوَةً نَصَّ.
Narrated Hisham's father:
In my presence, Usama was asked about the speed of the Prophet (ﷺ) during his Hajj. He replied, "It was Al-`Anaq (i.e. moderate easy speed) and if he encountered an open space, he used to increase his speed."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৭৮. বিদায় হজ্জ
৪৪১৪. আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বিদায় হাজ্জে (মুযদালিফায়) মাগরিব ও ঈশার সালাত এক সঙ্গে আদায় করেছেন। [1] [১৬৭৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৬৯)
ইব্নু ‘আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আট রাক‘আত একত্রে (যুহ্র ও আসরের) এবং সাত রাক‘আত একত্রে (মাগরিব-‘ইশার) সালাত আদায় করেছি। (বুখারী পর্ব ১৯ঃ /৩০ হাঃ ১১৭৪, মুসলিম হাঃ , লুলু ওয়াল মারজান হাদীস নং ৪১১)
* একটি যাত্রীদল সিরিয়া হতে এসে জানালো যে, রোমক সম্রাট হিরাক্লিয়াস মদীনা আক্রমণের প্রস্ত্ততি নিচ্ছে। আরবের নহম, জুযাম, আমিলাহ, গাসসান প্রভৃতি খৃস্টান গোত্রগুলি তাদের সাথে মিলিত হয়েছে। মুতা যুদ্ধে হিরাক্লিয়াসের অধীনস্থ শাসনকর্তার পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণই যেন এই অভিযানে উদ্দেশ্য ছিল।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন যে, এই আক্রমণমুখী শত্রু বাহিনী আরবের নিজস্ব যমীনে প্রবেশ করার পূর্বেই তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে যাতে দেশে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় বাধা সৃষ্টি না হয়। এই মুকাবালা এমন সম্রাটের বিরুদ্ধে ছিল, যে সে সময় অর্ধ পৃথিবীর শাসনকর্তা ছিল এবং যে বাহিনী তখনই ইরান সাম্রাজ্যকে পদানত করে ফেলেছিল।
মুসলিমদের অস্ত্রশস্ত্র যানবাহন ও রসদাদির অত্যন্ত অভাব ছিল। তার উপর রৌদ্র ও গ্রীষ্মের ছিল ভীষণ প্রকোপ। মদীনায় ফল পেকে গিয়েছিল। সুতরাং তখন ছিল ফল খাওয়া ও ছায়ায় বসে থাকার দিন।
রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রসদ সংগ্রহের জন্য যে সাধারণ চাঁদার তহবিল খুললেন, তাতে ‘উসমান (রাঃ) ৯০০ উট, ১০০ ঘোড়া, এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা দান করলেন, তাকে মুজহেযু জায়শিল উসরাহ অর্থাৎ অভাবগ্রস্ত ও ক্ষধার্ত সেনাবাহিনীর রসদ প্রস্ত্ততকারী উপাধি দেয়া হলো। ‘আবদুর রহমান বিন ‘আওফ দিলেন চল্লিশ হাজার রৌপ্য মুদ্রা। ‘উমার ফারুক (রাঃ) দিলেন সমস্ত গৃহের অর্ধেক যা কয়েক হাজার মুদ্রা ছিল। আবূ বাক্র (রাঃ) যা কিছু আনলেন তা মূল্যের দিক দিয়ে নিতান্ত কম হলেও জানা গেল তিনি বাড়িতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের মহবব্ত ছাড়া আর কিছুই রেখে আসেননি। আবূ উফায়েল আনসারী (রাঃ) সারা রাত ধরে একটি জমিতে পানি দিয়ে চার সের খেজুর পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলেন তা থেকে স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের জন্য দুই সের রেখে বাকী দই সের দিয়ে দিলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খেজুরগুলোকে সমস্ত মাল ও রসদের উপর ছিটিয়ে দাও। প্রায় ৮২জন লোক যারা টালবাহানা করে বাড়িতে রয়ে গিয়েছিল, প্রসিদ্ধ মুনাফিক আবদুল্লাহ ইবনু ‘উবাই ইবনু সালূল ঐ লোকগুলোকে এ কথা বলে শান্ত করেছিল যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সঙ্গী সাথীরা আর মদীনাহ্তে ফিরে আসতে পারবে না। রোমক সম্রাট হিরাক্লিয়াস তাদেরকে বন্দী করে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দিবে।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ত্রিশ হাজারের একটি বাহিনী নিয়ে তাবূক অভিমুখে যাত্রা করলেন। সেনাবাহিনীতে যানবাহনের স্বল্পতা ছিল, ১৮ জন লোকের জন্য একটি উট নির্ধারিত ছিল। রসদপত্র না থাকার কারণে অধিকাংশ জায়গায় গাছের পাতা খেতে হয়। ফলে ঠোঁটে ক্ষত হয়ে যায়। কোন কোন জায়গায় পানি পাওয়াই যাইনি। এক্ষেত্রে উট যবহ করে তার পাকস্থলির পানি পান করা হয়। অসীম সহনশীলতা ও ধৈর্যের সাথে সমস্ত দুঃখ কষ্ট সহ্য করে তাবূক পৌঁছৈ যান। তথায় নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মাস অবস্থান করেন। সিরিয়াবাসীর উপর এটার এমন প্রভাব পড়ে যে, তারা ঐ সমস্ত আরবের উপর আক্রমণ করার পরিকল্পনা ত্যাগ করে এবং আক্রমণ করার সুবর্ণ সুযোগ নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইনতিকালের পরবর্তী সময়ে ঠিক করে। (রহমাতুল লিল ‘আলামীন)
بَاب حَجَّةِ الْوَدَاعِ.
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيْدَ الْخَطْمِيِّ أَنَّ أَبَا أَيُّوْبَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيْعًا.
Narrated `Abdullah bin Yazid Al-Khatmi:
That Abu Aiyub informed him that he offered the Maghrib and `Isha' prayers together with the Prophet during Hajjat-ul-Wada`.