পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৪. উমরাহ্ কাযার বর্ণনা।
ذَكَرَهُ أَنَسٌ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
আনাস (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তা বর্ণনা করেছেন।
৪২৫১. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলকা’দা মাসে ’উমরাহ্ আদায়ের উদ্দেশে রওয়ানা করেন। মক্কা্বাসীরা তাঁকে মক্কা্য় প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানাল। অবশেষে তাদের সঙ্গে চুক্তি হল যে, (আগামী বছর ’উমরাহ্ পালন হেতু) তিনি তিনদিন মক্কা্য় অবস্থান করবেন। মুসলিমগণ সন্ধিপত্র লেখার সময় এভাবে লিখেছিলেন, আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ আমাদের সঙ্গে এ চুক্তি সম্পাদন করেছেন। ফলে তারা (মক্কার কুরাইশরা) বলল, আমরা তো এ কথা স্বীকার করিনি। যদি আমরা আপনাকে আল্লাহর রাসূল বলেই জানতাম তা হলে মক্কা প্রবেশে মোটেই বাধা দিতাম না। বরং আপনি তো মুহাম্মাদ ইবনু ’আবদুল্লাহ। তখন তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল এবং মুহাম্মাদ ইবনু ’আবদুল্লাহ। তারপর তিনি ’আলী (রাঃ)-কে বললেন, রাসূলুল্লাহ শব্দটি মুছে ফেল। ’আলী (রাঃ) উত্তর করলেন, আল্লাহর কসম! আমি কখনো এ কথা মুছতে পারব না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন চুক্তিপত্রটি হাতে নিলেন। তিনি লিখতে জানতেন না, তবুও তিনি লিখে দিলেন[1] যে, মুহাম্মাদ ইবনু ’আবদুল্লাহ এ চুক্তিপত্র সম্পাদন করলেন যে, তিনি কোষবদ্ধ তরবারি ব্যতীত অন্য কোন অস্ত্র নিয়ে মক্কা্য় প্রবেশ করবেন না। মক্কা্বাসীদের কেউ তাঁর সঙ্গে যেতে চাইলেও তিনি তাকে বের করে নিয়ে যাবেন না। তাঁর সাথীদের কেউ মক্কা্য় থেকে যেতে চাইলে তিনি তাকে বাধা দিবেন না। (পরবর্তী বছর) যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা্য় প্রবেশ করলেন এবং নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হল তখন মুশরিকরা ’আলীর কাছে এসে বলল, আপনার সাথী [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে বলুন যে, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে। তাই তিনি যেন আমাদের নিকট থেকে চলে যান। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে মতে বেরিয়ে আসলেন। এ সময়ে হামযাহ (রাঃ)-এর কন্যা চাচা চাচা বলে ডাকতে ডাকতে তাঁর পেছনে ছুটল। ’আলী (রাঃ) তার হাত ধরে তুলে নিয়ে ফাতেমাহ (রাঃ)-কে দিয়ে বললেন, তোমার চাচার কন্যাকে নাও। ফাতেমাহ (রাঃ) বাচ্চাটিকে উঠিয়ে নিলেন। (মদিনা্য় পৌঁছলে) বাচ্চাটি নিয়ে ’আলী, যায়দ (ইবনু হারিসাহ) ও জা’ফার [ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)]-এর মধ্যে ঝগড়া বেধে গেল। ’আলী (রাঃ) বললেন, আমি তাকে তুলে নিয়েছি আর সে আমার চাচার মেয়ে! জা’ফর বললেন, সে আমার চাচার মেয়ে আর তার খালা হল আমার স্ত্রী। যায়দ [ইবনু হারিসা (রাঃ)] বললেন, সে আমার ভাইয়ের মেয়ে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেয়েটিকে তার খালার জন্য ফায়সালা দিয়ে বললেন খালা তো মায়ের মর্যাদার। এরপর তিনি ’আলীকে বললেন, তুমি আমার এবং আমি তোমার। জা’ফর (রাঃ)-কে বললেন, তুমি আকৃতি-প্রকৃতিতে আমার মতো। আর যায়িদ (রাঃ)-কে বললেন, তুমি আমাদের ভাই ও আযাদকৃত গোলাম। ’আলী (রাঃ) [নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে] বললেন, আপনি হামযাহ’র মেয়েটিকে বিয়ে করছেন না কেন? তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, সে আমার দুধ ভাই-এর মেয়ে। [১৭৮১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯২৪)
এই সুহায়লই যিনি এই পবিত্র নামের সাথে ‘রসূলুল্লাহ’ লিখার বিরোধিতা করেছিলেন, কয়েক বছর পরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুসলিম হয়ে যান। নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইনতিকালের পর মক্কাহ মু‘আযযামাহ্য় তিনি ইসলামের সত্যতার উপর এমন এক হৃদয়গ্রাহী ভাষণ প্রদান করেন যা হাজার হাজার মুসলিমের জন্য ঈমানের দৃঢ়তা ও নবায়নের কারণ হয়েছিল।
[2] রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও হামযাহ (রাঃ) একই সাথে এক মহিলার দুধ পান করেছিলেন। সেই বিচারে তারা পরস্পরে দুধ-ভাই। ইসলামে যাদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হারাম তার মধ্যে শর্ত সাপেক্ষে বুকের দুধ পানের কারণও অন্তর্ভুক্ত।
بَاب عُمْرَةِ الْقَضَاءِ
عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوْسَى عَنْ إِسْرَائِيْلَ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ لَمَّا اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ ذِي الْقَعْدَةِ فَأَبَى أَهْلُ مَكَّةَ أَنْ يَدَعُوْهُ يَدْخُلُ مَكَّةَ حَتَّى قَاضَاهُمْ عَلَى أَنْ يُقِيْمَ بِهَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فَلَمَّا كَتَبُوا الْكِتَابَ كَتَبُوْا هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُوْلُ اللهِ قَالُوْا لَا نُقِرُّ لَكَ بِهَذَا لَوْ نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُوْلُ اللهِ مَا مَنَعْنَاكَ شَيْئًا وَلَكِنْ أَنْتَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ فَقَالَ أَنَا رَسُوْلُ اللهِ وَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ ثُمَّ قَالَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِيْ طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ امْحُ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ عَلِيٌّ لَا وَاللهِ لَا أَمْحُوْكَ أَبَدًا فَأَخَذَ رَسُوْلُ اللهِ الْكِتَابَ وَلَيْسَ يُحْسِنُ يَكْتُبُ فَكَتَبَ هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ لَا يُدْخِلُ مَكَّةَ السِّلَاحَ إِلَّا السَّيْفَ فِي الْقِرَابِ وَأَنْ لَا يَخْرُجَ مِنْ أَهْلِهَا بِأَحَدٍ إِنْ أَرَادَ أَنْ يَتْبَعَهُ وَأَنْ لَا يَمْنَعَ مِنْ أَصْحَابِهِ أَحَدًا إِنْ أَرَادَ أَنْ يُقِيْمَ بِهَا فَلَمَّا دَخَلَهَا وَمَضَى الْأَجَلُ أَتَوْا عَلِيًّا فَقَالُوْا قُلْ لِصَاحِبِكَ اخْرُجْ عَنَّا فَقَدْ مَضَى الْأَجَلُ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَتَبِعَتْهُ ابْنَةُ حَمْزَةَ تُنَادِيْ يَا عَمِّ يَا عَمِّ فَتَنَاوَلَهَا عَلِيٌّ فَأَخَذَ بِيَدِهَا وَقَالَ لِفَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَام دُوْنَكِ ابْنَةَ عَمِّكِ حَمَلَتْهَا فَاخْتَصَمَ فِيْهَا عَلِيٌّ وَزَيْدٌ وَجَعْفَرٌ قَالَ عَلِيٌّ أَنَا أَخَذْتُهَا وَهِيَ بِنْتُ عَمِّيْ وَقَالَ جَعْفَرٌ ابْنَةُ عَمِّيْ وَخَالَتُهَا تَحْتِيْ وَقَالَ زَيْدٌ ابْنَةُ أَخِيْ فَقَضَى بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِخَالَتِهَا وَقَالَ الْخَالَةُ بِمَنْزِلَةِ الْأُمِّ وَقَالَ لِعَلِيٍّ أَنْتَ مِنِّيْ وَأَنَا مِنْكَ وَقَالَ لِجَعْفَرٍ أَشْبَهْتَ خَلْقِيْ وَخُلُقِيْ وَقَالَ لِزَيْدٍ أَنْتَ أَخُوْنَا وَمَوْلَانَا وَقَالَ عَلِيٌّ أَلَا تَتَزَوَّجُ بِنْتَ حَمْزَةَ قَالَ إِنَّهَا ابْنَةُ أَخِيْ مِنْ الرَّضَاعَةِ.
Narrated Al-Bara:
When the Prophet (ﷺ) went out for the `Umra in the month of Dhal-Qa'da, the people of Mecca did not allow him to enter Mecca till he agreed to conclude a peace treaty with them by virtue of which he would stay in Mecca for three days only (in the following year). When the agreement was being written, the Muslims wrote: "This is the peace treaty, which Muhammad, Apostle of Allah has concluded." The infidels said (to the Prophet), "We do not agree with you on this, for if we knew that you are Apostle of Allah we would not have prevented you for anything (i.e. entering Mecca, etc.), but you are Muhammad, the son of `Abdullah." Then he said to `Ali, "Erase (the name of) 'Apostle of Allah'." `Ali said, "No, by Allah, I will never erase you (i.e. your name)." Then Allah's Messenger (ﷺ) took the writing sheet...and he did not know a better writing..and he wrote or got it the following written! "This is the peace treaty which Muhammad, the son of `Abdullah, has concluded: "Muhammad should not bring arms into Mecca except sheathed swords, and should not take with him any person of the people of Mecca even if such a person wanted to follow him, and if any of his companions wants to stay in Mecca, he should not forbid him." (In the next year) when the Prophet (ﷺ) entered Mecca and the allowed period of stay elapsed, the infidels came to `Ali and said "Tell your companion (Muhammad) to go out, as the allowed period of his stay has finished." So the Prophet (ﷺ) departed (from Mecca) and the daughter of Hamza followed him shouting "O Uncle, O Uncle!" `Ali took her by the hand and said to Fatima, "Take the daughter of your uncle." So she made her ride (on her horse). (When they reached Medina) `Ali, Zaid and Ja`far quarreled about her. `Ali said, "I took her for she is the daughter of my uncle." Ja`far said, "She is the daughter of my uncle and her aunt is my wife." Zaid said, "She is the daughter of my brother." On that, the Prophet (ﷺ) gave her to her aunt and said, "The aunt is of the same status as the mother." He then said to `Ali, "You are from me, and I am from you," and said to Ja`far, "You resemble me in appearance and character," and said to Zaid, "You are our brother and our freed slave." `Ali said to the Prophet 'Won't you marry the daughter of Hamza?" The Prophet (ﷺ) said, "She is the daughter of my foster brother."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৪. উমরাহ্ কাযার বর্ণনা।
৪২৫২. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘উমরাহ্ পালনের উদ্দেশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রওয়ানা করলে কুরাইশী কাফিররা তাঁর এবং বাইতুল্লাহর মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ালো। কাজেই তিনি হুদাইবিয়াহ নামক স্থানেই কুরবানীর জন্তু যবহ করলেন এবং মাথা মুন্ডন করলেন আর তিনি তাদের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি সম্পাদন করলেন যে, আগামী বছর তিনি ‘উমরাহ্ পালনের জন্য আসবেন কিন্তু তরবারি ব্যতীত অন্য কোন অস্ত্র সঙ্গে আনবেন না এবং মক্কা্বাসীরা যে ক’দিন ইচ্ছা করবে তার অধিক তিনি সেখানে অবস্থান করবেন না। সে মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরবর্তী বছর ‘উমরাহ্ পালন করলেন এবং সম্পাদিত চুক্তিনামা অনুসারে মক্কা্য় প্রবেশ করলেন। তারপর তিনদিন অবস্থান করলে মক্কা্বাসীরা তাঁকে চলে যেতে বলল। তাই তিনি চলে গেলেন। [২৭০১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯২৫)
بَاب عُمْرَةِ الْقَضَاءِ
مُحَمَّدُ بْنُ هُوْا رَافِعٍ حَدَّثَنَا سُرَيْجٌ حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ ح و حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِبْرَاهِيْمَ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مُعْتَمِرًا فَحَالَ كُفَّارُ قُرَيْشٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ فَنَحَرَ هَدْيَهُ وَحَلَقَ رَأْسَهُ بِالْحُدَيْبِيَةِ وَقَاضَاهُمْ عَلَى أَنْ يَعْتَمِرَ الْعَامَ الْمُقْبِلَ وَلَا يَحْمِلَ سِلَاحًا عَلَيْهِمْ إِلَّا سُيُوْفًا وَلَا يُقِيْمَ بِهَا إِلَّا مَا أَحَبُّوْا فَاعْتَمَرَ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فَدَخَلَهَا كَمَا كَانَ صَالَحَهُمْ فَلَمَّا أَنْ أَقَامَ بِهَا ثَلَاثًا أَمَرُوْهُ أَنْ يَخْرُجَ فَخَرَجَ.
Narrated Ibn `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) set out with the intention of performing `Umra, but the infidels of Quraish intervened between him and the Ka`ba, so the Prophet (ﷺ) slaughtered his Hadi (i.e. sacrificing animals and shaved his head at Al-Hudaibiya and concluded a peace treaty with them (i.e. the infidels) on condition that he would perform the `Umra the next year and that he would not carry arms against them except swords, and would not stay (in Mecca) more than what they would allow. So the Prophet (ﷺ) performed the `Umra in the following year and according to the peace treaty, he entered Mecca, and when he had stayed there for three days, the infidels ordered him to leave, and he left.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৪. উমরাহ্ কাযার বর্ণনা।
৪২৫৩. মুজাহিদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং ‘উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) মসজিদে নাববীতে প্রবেশ করেই দেখলাম ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর হুজরার পাশেই বসে আছেন। ‘উরওয়াহ (রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক’টি ‘উমরাহ্ আদায় করেছিলেন? উত্তরে তিনি বললেন, চারটি। এ সময় আমরা (ঘরের ভিতরে) ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর মিসওয়াক করার আওয়াজ শুনতে পেলাম। [১৭৭৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯২৬)
بَاب عُمْرَةِ الْقَضَاءِ
عُثْمَانُ بْنُ أَبِيْ شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ الْمَسْجِدَ فَإِذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا جَالِسٌ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ ثُمَّ قَالَ كَمْ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَرْبَعًا إِحْداهُنَّ في رجب.
Narrated Mujahid:
`Urwa and I entered the Mosque and found `Abdullah bin `Umar sitting beside the dwelling place of `Aisha. `Urwa asked (Ibn `Umar), "How many `Umras did the Prophet (ﷺ) perform?" Ibn `Umar replied, "Four, one of which was in Rajab." Then we heard `Aisha brushing her teeth whereupon `Urwa said, "O mother of the believers! Don't you hear what Abu `Abdur-Rahman is saying? He is saying that the Prophet performed four `Umra, one of which was in Rajab."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৪. উমরাহ্ কাযার বর্ণনা।
৪২৫৪. ‘উরওয়াহ (রহ.) বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন! আবূ আবদুর রহমান [ইবনু ‘উমার (রাঃ)] কী বলছেন, তা আপনি শুনেছেন কি যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারটি ‘উমরাহ্ করেছেন? ‘আয়িশাহ (রাঃ) উত্তর দিলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন কোন ‘উমরাহ্ করেননি যাতে তিনি (ইবনু ‘উমার) তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। তবে তিনি রাজাব মাসে কখনো ‘উমরাহ্ আদায় করেননি। [১৭৭৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯২৬)
بَاب عُمْرَةِ الْقَضَاءِ
ثُمَّ سَمِعْنَا اسْتِنَانَ عَائِشَةَ قَالَ عُرْوَةُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِيْنَ أَلَا تَسْمَعِيْنَ مَا يَقُوْلُ أَبُوْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ إِحْدهُنٌَفي رخب فَقَالَتْ مَا اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عُمْرَةً إِلَّا وَهُوَ شَاهِدُهُ وَمَا اعْتَمَرَ فِيْ رَجَبٍ قَطُّ.
`Aisha said, "The Prophet (ﷺ) did not perform any `Umra but he (i.e. Ibn `Umar) witnessed it. And he (the Prophet (ﷺ) ) never did any `Umra in (the month of) Rajab."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৪. উমরাহ্ কাযার বর্ণনা।
৪২৫৫. ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ‘উমরাহ্তুল কাযা আদায় করছিলেন তখন আমরা তাঁকে মুশরিক ও তাদের যুবকদের থেকে আড়াল করে রেখেছিলাম যাতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কোন প্রকার কষ্ট দিতে না পারে। [১৬০০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯২৭)
بَاب عُمْرَةِ الْقَضَاءِ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِسْمَاعِيْلَ بْنِ أَبِيْ خَالِدٍ سَمِعَ ابْنَ أَبِيْ أَوْفَى يَقُوْلُ لَمَّا اعْتَمَرَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَتَرْنَاهُ مِنْ غِلْمَانِ الْمُشْرِكِيْنَ وَمِنْهُمْ أَنْ يُؤْذُوْا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Ibn Abi `Aufa:
When Allah's Messenger (ﷺ) performed the `Umra (which he performed in the year following the treaty of Al-Hudaibiya) we were screening Allah's Messenger (ﷺ) from the infidels and their boys lest they should harm him.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৪. উমরাহ্ কাযার বর্ণনা।
৪২৫৬. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণ (‘উমরাহ্তুল কাযা আদায়ের জন্য) আগমন করলে মুশরিকরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল যে, তোমাদের সামনে একদল লোক আসছে, ইয়াসরিবের জ্বর[1] যাদেরকে দুর্বল করে দিয়েছে। এজন্য নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে প্রথম চক্করে হেলে দুলে চলার জন্য এবং দু’ রুকনের মধ্যবর্তী স্থানে স্বাভাবিক গতিতে চলতে নির্দেশ দেন। অবশ্য তিনি তাঁদেরকে সবকটি চক্করেই হেলে দুলে চলার আদেশ করতেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি তাঁর অনুভূতিই কেবল তাঁকে এ হুকুম দেয়া থেকে বিরত রেখেছিল। [১৬০২]
অন্য এক সানাদে ইবনু সালামাহ (রহ.) আইয়ূব ও সা‘ঈদ ইবনু যুবায়র (রহ.)-এর মাধ্যমে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, (সন্ধি সম্পাদনের মাধ্যমে) নিরাপত্তা প্রাপ্ত বছরে যখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মক্কা্য়) আগমন করলেন তখন বললেন, তোমরা মুশরিকদেরকে তোমাদের শক্তিমত্তা দেখানোর জন্য হেলে দুলে তাওয়াফ করো। এ সময় মুশরিকরা কুআয়কিআন পর্বতের দিক থেকে মুসলিমদেরকে দেখছিল। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯২৮)
بَاب عُمْرَةِ الْقَضَاءِ
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ هُوَ ابْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوْبَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَدِمَ رَسُوْلُ اللَّه صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ فَقَالَ الْمُشْرِكُوْنَ إِنَّهُ يَقْدَمُ عَلَيْكُمْ وَفْدٌ وَهَنَهُمْ حُمَّى يَثْرِبَ وَأَمَرَهُمْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَرْمُلُوا الْأَشْوَاطَ الثَلَاثَةَ وَأَنْ يَمْشُوْا مَا بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ وَلَمْ يَمْنَعْهُ أَنْ يَأْمُرَهُمْ أَنْ يَرْمُلُوا الْأَشْوَاطَ كُلَّهَا إِلَّا الإِبْقَاءُ عَلَيْهِمْ قَالَ أَبُوْ عَبْد اللهِ وَزَادَ ابْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوْبَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِعَامِهِ الَّذِي اسْتَأْمَنَ قَالَ ارْمُلُوْا لِيَرَى الْمُشْرِكُوْنَ قُوَّتَهُمْ وَالْمُشْرِكُوْنَ مِنْ قِبَلِ قُعَيْقِعَانَ.
Narrated Ibn `Abbas:
When Allah's Messenger (ﷺ) and his companions arrived (at Mecca), the pagans said, "There have come to you a group of people who have been weakened by the fever of Yathrib (i.e. Medina)." So the Prophet (ﷺ) ordered his companions to do Ramal (i.e. fast walking) in the first three rounds of Tawaf around the Ka`ba and to walk in between the two corners (i.e. the black stone and the Yemenite corner). The only cause which prevented the Prophet (ﷺ) from ordering them to do Ramal in all the rounds of Tawaf, was that he pitied them.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৪. উমরাহ্ কাযার বর্ণনা।
৪২৫৭. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহ এবং সাফা ও মারওয়া-এর মধ্যখানে এ জন্যই সা‘য়ী করেছিলেন, যেন মুশরিকদেরকে তাঁর শৌর্য-বীর্য দেখাতে পারেন। [১৬৪৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯২৯)
بَاب عُمْرَةِ الْقَضَاءِ
مُحَمَّدٌ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ إِنَّمَا سَعَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ لِيُرِيَ الْمُشْرِكِيْنَ قُوَّتَهُ.
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) hastened in going around the Ka`ba and between the Safa and Marwa in order to show the pagans his strength. Ibn `Abbas added, "When the Prophet (ﷺ) arrived (at Mecca) in the year of peace (following that of Al-Hudaibiya treaty with the pagans of Mecca), he (ordered his companions) to do Ramal in order to show their strength to the pagans and the pagans were watching (the Muslims) from (the hill of) Quaiqan.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৪. উমরাহ্ কাযার বর্ণনা।
৪২৫৮. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় মাইমূনাহ (রাঃ) -কে বিয়ে করেছেন এবং (ইহরাম খোলার পরে) হালাল অবস্থায় তিনি তাঁর সঙ্গে বাসর যাপন করেছেন। মাইমূনাহ (রাঃ) (মক্কার নিকটেই) সারিফ নামক স্থানে ইন্তিকাল করেছেন। [১৮৩৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৩০)
بَاب عُمْرَةِ الْقَضَاءِ
مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا أَيُّوْبُ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَيْمُوْنَةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ وَبَنَى بِهَا وَهُوَ حَلَالٌ وَمَاتَتْ بِسَرِفَ
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) married Maimuna while he was in the state of lhram but he consummated that marriage after finishing that state. Maimuna died at Saraf (i.e. a place near Mecca).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৪৪. উমরাহ্ কাযার বর্ণনা।
৪২৫৯. [ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন] অপর একটি সানাদে ইবনু ইসহাক-ইবনু আবূ নাজীহ ও আবান ইবনু সালিহ-‘আত্বা ও মুজাহিদ (রহ.)-ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উমরাহ্তুল কাযা আদায়ের সফরে মায়মূনাহ (রাঃ)-কে বিয়ে করেছিলেন। [১৮৩৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৩০)
بَاب عُمْرَةِ الْقَضَاءِ
قَالَ أَبُوْ عَبْد اللهِ وَزَادَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِيْ نَجِيْحٍ وَأَبَانُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ عَطَاءٍ وَمُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَيْمُوْنَةَ فِيْ عُمْرَةِ الْقَضَاءِ.
Ibn `Abbas added:
The Prophet married Maimuna during the `Umrat-al-Qada' (i.e. the `Umra performed in lieu of the `Umra which the Prophet (ﷺ) could not perform because the pagans, prevented him to perform that `Umra).