পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
قَالَ مُوْسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانَتْ فِيْ شَوَّالٍ سَنَةَ أَرْبَعٍ.
মূসা ইবনু ‘উকবাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, এ যুদ্ধ ৪র্থ হিজরী সনের শাওয়াল মাসে হয়েছিল।
৪০৯৭. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, উহূদ যুদ্ধের দিন তিনি (যুদ্ধের জন্য) নিজেকে পেশ করার পর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দেননি। তখন তাঁর বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। তবে খন্দক যুদ্ধের দিন তিনি নিজেকে পেশ করলে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অনুমতি দিলেন। তখন তাঁর বয়স পনের বছর। [২৬৬৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৯৪)
তারা বিশ জন নেতার উপর এই দায়িত্ব অর্পণ করে যে, তারা সমস্ত গোত্রকে আক্রমণের জন্যে উত্তেজিত করবে। এই চেষ্টার ফল এই দাঁড়াল যে, হিজরী পঞ্চম সনের যুলকা’দাহ্ মাসে (যাদুল মাআ‘দ, ১ম খন্ড, ৩৬৭ পৃষ্ঠ) দশ হাজার রক্ত পিপাসু সৈন্য, যাদের মধ্যে মূর্তিপূজক, ইয়াহূদী প্রভৃতি সবাই শামিল ছিল, মদীনাহর উপর আক্রমণ করে। কুরআন মাজীদে এই যুদ্ধের নাম হচ্ছে আহযাবের যুদ্ধ। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী গোত্রগুলি হলঃ
১। কুরাইশ, বানূ কিনানাহ্, আহলে তিহামাহ- সেনাপতি সুফ্ইয়ান ইবনু হারব।
২। বানূ ফাযারাহ- সেনাপতি উকবা’ ইবনু হুসায়ন।
৩। বানূ মুররাহ- সেনাপতি হারিস ইবনু ‘আওফ।
৪। বানূ আশজা’ ও আহলি নাজদ- সেনাপতি মাস‘ঊদ ইবনু দাখীলা।
মুসলিমরা যখন দেখলেন যে, এই সেনাবাহিনীর সাথে মুকাবালা করার শক্তি তাদের নেই তখন তারা শহরের চতুর্দিকে খন্দক খনন করলেন। দশ দশজন লোক চল্লিশ গজ করে খন্দক খনন করেছিলেন। (তবারী, ২য় খন্ড)
মুসলিমদের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন হাজার। ইসলামী সেনাবাহিনী মদীনাহর ভিতরেই এভাবে অবস্থান করলেন যে, সামনে ছিল খন্দক এবং পিছনে ছিল সালা (যাদুল মাআ‘দ, ৩৬৭ পৃষ্ঠা) পর্বত। আর ইয়াহূদী, বানূ কুরাইযাহ- যারা মদীনাহ্য় বসবাস করতো এবং যাদের চুক্তি অনুযায়ী মুসলিমদের সাথে যোগ দেয়া একান্ত যরুরী ছিল- তাদের সাথে রাত্রির অন্ধকারে বানূ নাযীর ইয়াহূদীদের নেতা হুইয়াই ইবনু আখতাব মিলিত হলো এবং চুক্তি ভঙ্গ করার জন্যে উত্তেজিত করে নিজের দিকে ডেকে নিলো। রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বুঝাবার জন্যে নিজের কয়েকজন দলপতিকে তাদের নিকট বার বার প্রেরণ করলেন। কিন্তু তারা পরিষ্কারভাবে বলে দিলোঃ ‘‘মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যে, আমরা তাঁর কথা মেনে চলবো? তাঁর সাথে আমাদের কোনই চুক্তি ও অঙ্গীকার নেই। (ইবনু হিশাম, ২য় খন্ড, ১৪১ পৃষ্ঠা)
এরপর বানূ কুরাইযাহ শহরের নিরাপত্তায় বাধা সৃষ্টি করল এবং মুসলিম মহিলা ও শিশুদেরকে বিপদে ফেলে দিল। সুতরাং বাধ্য হয়ে তিন হাজার মুসলিম সৈন্যের মধ্য হতেও একটি অংশকে শহরের সাধারণ নিরাপত্তা রক্ষার জন্যে পৃথক করতে হলো। বানূ কুরাইযাহ মনে করেছিল যে, যখন বাহির হতে শত্রু পক্ষের দশ হাজার বীর যোদ্ধার আক্রমণ সংঘটিত হবে এবং তারা শহরের মধ্যে বিশ্বাসঘাতকতা ছড়িয়ে দিয়ে মুসলিমদের নিরপত্তা নষ্ট করে দিবে তখন দুনিয়ায় মুসলিমদের নাম নিশানাও বাকী থাকবে না।
নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহেতু স্বাভাবিক যুদ্ধকে ঘৃণার চোখে দেখতেন, সেহেতু তিনি সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করলেন যে, উৎপাদিত ফলের এক তৃতীয়াংশ প্রদানের শর্তে আক্রমণমুখী গাতফান নেতৃবর্গের সাথে সন্ধি করে নেয়া হোক। কিন্তু আনসার দল যুদ্ধকেই প্রাধান্য দিলেন। সা‘দ ইবনু মু‘আয (রাঃ) এবং সা‘দ ইবনু উবাইদাহ (রাঃ) এই প্রস্ত্ততি সম্পর্কে ভাষণ দিতে দিয়ে বলেনঃ ‘‘যে সময় এই আক্রমণমুখী গোত্রগুলো শির্কের পংকিলে ও মূর্তি পূজার মধ্যে নিমজ্জিত ছিল ঐ সময়েও আমরা তাদেরকে একটা ছড়া পর্যন্ত প্রদান করিনি। আর আজ যখন মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় দান করেছেন তখন কী করে আমরা তাদেরকে আমাদের উৎপাদিত ফলের এক তৃতীয়াংশ প্রদান করতে পারি? তাদের জন্যে আমাদের কাছে তরবারি ছাড়া কিছুই নেই।’’ আক্রমণকারী সৈন্যদের অবরোধ এক মাস বা এক মাসের কাছাকাছি পর্যন্ত ছিল। মাঝে মাঝে দু‘একটি খন্ডযুদ্ধও সংঘটিত হয়। ‘আম্র ইবনু আবদে ওদ, যে নিজেকে এক হাজার বীর পুরুষের সমান মনে করতো, আল্লাহত্ম সিংহ, আলীর (রাঃ) হাতে নিহত হয়। নওফিল ইবনু আবুদিল্লাহ ইবনু মুগীরাও মুকাবালায় মারা যায়। মক্কাহ্বাসীরা নওফিলের মৃতদেহ নেয়ার জন্যে দশ হাজার দিরহাম মুসলিমদের সামনে পেশ করে। রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে বলেনঃ ‘‘মৃতদেহ দিয়ে দাও, মুল্যের প্রয়োজন নেই।’’ (ইবনু হিশাম।)
যখন তারা অবরুদ্ধ মুসলিমদের কোনই ক্ষতি সাধন করতে পারলো না তখন তাদের সাহস হারিয়ে গেল। পৌত্তলিকদের জোটে ভাঙ্গন ধরার পর এবং তাদের মধ্যে হতাশা ও পারস্পরিক অবিশ্বাস সৃষ্টির পর আল্লাহ তাদের উপর ঝড়ো বাতাস পাঠিয়ে দিলেন। বাতাস কাফিরদের সব কিছু তছনছ করে দিল। অবশেষে তারা ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেল।
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
يَعْقُوْبُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيْدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ أَخْبَرَنِيْ نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَرَضَهُ يَوْمَ أُحُدٍ وَهُوَ ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً فَلَمْ يُجِزْهُ وَعَرَضَهُ يَوْمَ الْخَنْدَقِ وَهُوَ ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً فَأَجَازَهُ.
Narrated Ibn `Umar:
That the Prophet (ﷺ) inspected him on the day of Uhud while he was fourteen years old, and the Prophet (ﷺ) did not allow him to take part in the battle. He was inspected again by the Prophet (ﷺ) on the day of Al- Khandaq (i.e. battle of the Trench) while he was fifteen years old, and the Prophet (ﷺ) allowed him to take Part in the battle.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪০৯৮. সাহল ইবনু সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, পরিখা খননের কাজে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে অংশ নিয়েছিলাম। তাঁরা পরিখা খুঁড়ছিলেন আর আমরা কাঁধে মাটি বহন করছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু‘আ করেছিলেন, হে আল্লাহ! আখিরাতের শান্তি ব্যতীত প্রকৃত কোন শান্তি নেই। আপনি মুহাজির এবং আনসারদেরকে ক্ষমা করে দিন। [৩৭৯৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৯৫)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَنْدَقِ وَهُمْ يَحْفِرُوْنَ وَنَحْنُ نَنْقُلُ التُّرَابَ عَلَى أَكْتَادِنَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اللهُمَّ لَا عَيْشَ إِلَّا عَيْشُ الْآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلْمُهَاجِرِيْنَ وَالأَنْصَارِ.
Narrated Sahl bin Sa`d:
We were with Allah's Messenger (ﷺ) in the Trench, and some were digging the trench while we were carrying the earth on our shoulders. Allah's Messenger (ﷺ) said, 'O Allah! There is no life except the life of the Hereafter, so please forgive the Emigrants and the Ansar."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪০৯৯. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে পরিখা খননের স্থানে উপস্থিত হন। আনসার ও মুহাজিরগণ একদিন ভোরে তীব্র শীতের মধ্যে পরিখা খনন করছিলেন। তাদের কোন গোলাম বা ক্রীতদাস ছিল না যে, তারা তাদেরকে এ কাজে নিয়োগ করবেন। ঠিক এমনি সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মাঝে উপস্থিত হলেন। তাদের অনাহার ক্লিষ্টতা ও কষ্ট দেখে তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আখিরাতের সুখ শান্তিই প্রকৃত সুখ শান্তি। তুমি আনসার ও মুহাজিরদেরকে ক্ষমা করে দাও। সাহাবীগণ এর উত্তরে বললেন-
‘‘আমরা সে সব লোক, যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছি, যতদিন আমরা জীবিত থাকি জিহাদের জন্য।’’ [২৮৩৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৯৬)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا أَبُوْ إِسْحَاقَ عَنْ حُمَيْدٍ سَمِعْتُ أَنَسًا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُوْلُ خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْخَنْدَقِ فَإِذَا الْمُهَاجِرُوْنَ وَالأَنْصَارُ يَحْفِرُوْنَ فِيْ غَدَاةٍ بَارِدَةٍ فَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ عَبِيْدٌ يَعْمَلُوْنَ ذَلِكَ لَهُمْ فَلَمَّا رَأَى مَا بِهِمْ مِنْ النَّصَبِ وَالْجُوْعِ قَالَ اللَّهُمَّ إِنَّ الْعَيْشَ عَيْشُ الْآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلْأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ
فَقَالُوْا مُجِيْبِيْنَ لَهُ :
نَحْنُ الَّذِيْنَ بَايَـعُوْا مُحَـمَّـدَا عَـلَى الْجِـهَـادِ مَـا بـَقِيْنَا أَبَـدَا.
Narrated Anas:
Allah's Messenger (ﷺ) went out towards the Khandaq (i.e. Trench) and saw the Emigrants and the Ansar digging the trench in the cold morning. They had no slaves to do that (work) for them. When the Prophet saw their hardship and hunger, he said, 'O Allah! The real life is the life of the Hereafter, so please forgive Ansar and the Emigrants." They said in reply to him, "We are those who have given the Pledge of allegiances to Muhammad for to observe Jihad as long as we live."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০০. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসার ও মুহাজিরগণ মদিনার চারপাশে খাল খনন করছিলেন আর পিঠে মাটি বহন করছিলেন। আর (খুশিতে) আবৃত্তি করছিলেন-
‘‘আমরা সে সব লোক, যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছি, যতদিন আমরা জীবিত থাকি জিহাদের জন্য।’’
বর্ণনাকারী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের এ কথার উত্তরে বলতেন, হে আল্লাহ! আখিরাতের কল্যাণ ব্যতীত আর কোন কল্যাণ নেই, তাই আনসার ও মুহাজিরদের কাজে বারাকাত দান করুন।
বর্ণনাকারী [আনাস (রাঃ)] বর্ণনা করছেন যে, তাদেরকে এক মুষ্টি ভরে যব দেয়া হত। তা বাসি, স্বাদবিকৃত চর্বিতে মিশিয়ে খাবার রান্না করে ক্ষুধার্ত লোকগুলোর সামনে পরিবেশন করা হত। যদিও এ খাদ্য ছিল একেবারে স্বাদহীন ও ভীষণ দূর্গন্ধময়। [২৮৩৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৯৭)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
أَبُوْ مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيْزِ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ جَعَلَ الْمُهَاجِرُوْنَ وَالأَنْصَارُ يَحْفِرُوْنَ الْخَنْدَقَ حَوْلَ الْمَدِيْنَةِ وَيَنْقُلُوْنَ التُّرَابَ عَلَى مُتُوْنِهِمْ وَهُمْ يَقُوْلُوْنَ:
نَحْنُ الَّذِيْنَ بَايَـعُوْا مُحَـمّـَدَا عَـلَى الإِسْـلَامِ مَـا بـَقِيْنَا أَبَـدَا.
قَالَ يَقُوْلُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُجِيْبُهُمْ اللهُمَّ إِنَّهُ لَا خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الْآخِرَهْ فَبَارِكْ فِي الْأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ قَالَ يُؤْتَوْنَ بِمِلْءِ كَفِّيْ مِنْ الشَّعِيْرِ فَيُصْنَعُ لَهُمْ بِإِهَالَةٍ سَنِخَةٍ تُوْضَعُ بَيْنَ يَدَيْ الْقَوْمِ وَالْقَوْمُ جِيَاعٌ وَهِيَ بَشِعَةٌ فِي الْحَلْقِ وَلَهَا رِيْحٌ مُنْتِن.
Narrated Anas:
Al-Muhajirun (i.e. the Emigrants) and the Ansar were digging the trench around Medina and were carrying the earth on their backs while saying, "We are those who have given the pledge of allegiance to Muhammad for Islam as long as we live." The Prophet (ﷺ) said in reply to their saying, "O Allah! There is no goodness except the goodness of the Hereafter; so please grant Your Blessing to the Ansar and the Emigrants." The people used to bring a handful of barley, and a meal used to be prepared thereof by cooking it with a cooking material (i.e. oil, fat and butter having a change in color and smell) and it used to be presented to the people (i.e. workers) who were hungry, and it used to stick to their throats and had a nasty smell.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০১. আইমান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-এর নিকট গেলে তিনি বললেন, খন্দকের দিন আমরা পরিখা খনন করছিলাম। এ সময় একখন্ড কঠিন পাথর বেরিয়ে আসলে তারা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, খন্দকের ভিতর একটি শক্ত পাথর বেরিয়েছে। তখন তিনি বললেন, আমি নিজে খন্দকে নামব। অতঃপর তিনি দাঁড়ালেন। আর তাঁর পেটে একটি পাথর বাঁধা ছিল। আর আমরাও তিন দিন ধরে অনাহারী ছিলাম। কোন কিছুর স্বাদই চাখিনি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানা কোদাল হাতে নিয়ে পাথরটিতে আঘাত করলেন। ফলে তৎক্ষণাৎ তা চূর্ণ হয়ে বালুকারাশিতে পরিণত হল। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য অনুমতি দিন। (বাড়ি পৌঁছে) আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মধ্যে আমি এমন কিছু দেখলাম যা আমি সহ্য করতে পারছি না। তোমার নিকট কোন খাবার আছে কি? সে বলল, আমার কাছে কিছু যব ও একটি বাকরীর বাচ্চা আছে। তখন বাকরীর বাচ্চাটি আমি যবহ করলাম এবং সে যব পিষে দিল। এরপর মাংস ডেকচিতে দিয়ে আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলাম। এ সময় আটা খামির হচ্ছিল এবং ডেকচি চুলার উপর ছিল ও মাংস প্রায় রান্না হয়ে আসছিল। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার (বাড়ীতে) সামান্য কিছু খাবার আছে। আপনি একজন বা দু’জন সঙ্গে নিয়ে চলুন। তিনি বললেন, কী পরিমাণ খাবার আছে? আমি তাঁর কাছে সব খুলে বললাম। তিনি বললেন, এ-তো অনেক বেশ ভাল। তিনি বললেন, তোমার স্ত্রীকে গিয়ে বল, আমি না আসা পর্যন্ত উনান থেকে ডেকচি ও রুটি যেন না নামায়। এরপর তিনি বললেন, উঠ! মুহাজির ও আনসারগণ উঠলেন। জাবির (রাঃ) তার স্ত্রীর কাছে গিয়ে বললেন, তোমার সর্বনাশ হোক! নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো মুহাজির, আনসার আর তাঁদের সাথীদের নিয়ে চলে এসেছেন। তিনি (জাবিরের স্ত্রী বললেন, তিনি কি আপনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উপস্থিত হয়ে) বললেন, তোমরা সকলেই প্রবেশ কর কিন্তু ভিড় করো না। এ ব’লে তিনি রুটি টুকরো করে এর উপর মাংস দিয়ে সাহাবীগণের মাঝে বিতরণ করতে শুরু করলেন। তিনি ডেকচি এবং উনান ঢেকে রেখেছিলেন। এমনি করে তিনি রুটি টুকরো করে হাত ভরে বিতরণ করতে লাগলেন। এতে সকলে পেট পুরে খাওয়ার পরেও কিছু বাকী রয়ে গেল। তিনি (জাবিরের স্ত্রীকে) বললেন, এ তুমি খাও এবং অন্যকে হাদিয়া দাও। কেননা লোকদেরও ক্ষুধা পেয়েছে। [৩০৭০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৯৮)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ أَتَيْتُ جَابِرًا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ إِنَّا يَوْمَ الْخَنْدَقِ نَحْفِرُ فَعَرَضَتْ كُدْيَةٌ شَدِيْدَةٌ فَجَاءُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوْا هَذِهِ كُدْيَةٌ عَرَضَتْ فِي الْخَنْدَقِ فَقَالَ أَنَا نَازِلٌ ثُمَّ قَامَ وَبَطْنُهُ مَعْصُوْبٌ بِحَجَرٍ وَلَبِثْنَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لَا نَذُوْقُ ذَوَاقًا فَأَخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمِعْوَلَ فَضَرَبَ فَعَادَ كَثِيْبًا أَهْيَلَ أَوْ أَهْيَمَ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ائْذَنْ لِيْ إِلَى الْبَيْتِ فَقُلْتُ لِامْرَأَتِيْ رَأَيْتُ بِالنَّبِيِّ شَيْئًا مَا كَانَ فِيْ ذَلِكَ صَبْرٌ فَعِنْدَكِ شَيْءٌ قَالَتْ عِنْدِيْ شَعِيْرٌ وَعَنَاقٌ فَذَبَحَتْ الْعَنَاقَ وَطَحَنَتْ الشَّعِيْرَ حَتَّى جَعَلْنَا اللَّحْمَ فِي الْبُرْمَةِ ثُمَّ جِئْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَالْعَجِيْنُ قَدْ انْكَسَرَ وَالْبُرْمَةُ بَيْنَ الْأَثَافِيِّ قَدْ كَادَتْ أَنْ تَنْضَجَ فَقُلْتُ طُعَيِّمٌ لِيْ فَقُمْ أَنْتَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَرَجُلٌ أَوْ رَجُلَانِ قَالَ كَمْ هُوَ فَذَكَرْتُ لَهُ قَالَ كَثِيْرٌ طَيِّبٌ قَالَ قُلْ لَهَا لَا تَنْزِعُ الْبُرْمَةَ وَلَا الْخُبْزَ مِنْ التَّنُّوْرِ حَتَّى آتِيَ فَقَالَ قُوْمُوْا فَقَامَ الْمُهَاجِرُوْنَ وَالأَنْصَارُ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ قَالَ وَيْحَكِ جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْمُهَاجِرِيْنَ وَالأَنْصَارِ وَمَنْ مَعَهُمْ قَالَتْ هَلْ سَأَلَكَ قُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ ادْخُلُوْا وَلَا تَضَاغَطُوْا فَجَعَلَ يَكْسِرُ الْخُبْزَ وَيَجْعَلُ عَلَيْهِ اللَّحْمَ وَيُخَمِّرُ الْبُرْمَةَ وَالتَّنُّوْرَ إِذَا أَخَذَ مِنْهُ وَيُقَرِّبُ إِلَى أَصْحَابِهِ ثُمَّ يَنْزِعُ فَلَمْ يَزَلْ يَكْسِرُ الْخُبْزَ وَيَغْرِفُ حَتَّى شَبِعُوْا وَبَقِيَ بَقِيَّةٌ قَالَ كُلِيْ هَذَا وَأَهْدِيْ فَإِنَّ النَّاسَ أَصَابَتْهُمْ مَجَاعَةٌ.
Narrated Jabir:
We were digging (the trench) on the day of (Al-Khandaq ( i.e. Trench )) and we came across a big solid rock. We went to the Prophet (ﷺ) and said, "Here is a rock appearing across the trench." He said, "I am coming down." Then he got up, and a stone was tied to his belly for we had not eaten anything for three days. So the Prophet (ﷺ) took the spade and struck the big solid rock and it became like sand. I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Allow me to go home." (When the Prophet (ﷺ) allowed me) I said to my wife, "I saw the Prophet (ﷺ) in a state that I cannot treat lightly. Have you got something (for him to eat?" She replied, "I have barley and a she goat." So I slaughtered the she-kid and she ground the barley; then we put the meat in the earthenware cooking pot. Then I came to the Prophet (ﷺ) when the dough had become soft and fermented and (the meat in) the pot over the stone trivet had nearly been well-cooked, and said, "I have got a little food prepared, so get up O Allah's Messenger (ﷺ), you and one or two men along with you (for the food)." The Prophet (ﷺ) asked, "How much is that food?" I told him about it. He said, "It is abundant and good. Tell your wife not to remove the earthenware pot from the fire and not to take out any bread from the oven till I reach there." Then he said (to all his companions), "Get up." So the Muhajirn (i.e. Emigrants) and the Ansar got up. When I came to my wife, I said, "Allah's Mercy be upon you! The Prophet came along with the Muhajirin and the Ansar and those who were present with them." She said, "Did the Prophet (ﷺ) ask you (how much food you had)?" I replied, "Yes." Then the Prophet (ﷺ) said, "Enter and do not throng." The Prophet (ﷺ) started cutting the bread (into pieces) and put the cooked meat over it. He covered the earthenware pot and the oven whenever he took something out of them. He would give the food to his companions and take the meat out of the pot. He went on cutting the bread and scooping the meat (for his companions) till they all ate their fill, and even then, some food remained. Then the Prophet (ﷺ) said (to my wife), "Eat and present to others as the people are struck with hunger."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০২. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন পরিখা খনন করা হচ্ছিল তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ভীষণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখতে পেলাম। তখন আমি আমার স্ত্রীর কাছে ফিরে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার কাছে কোন কিছু আছে কি? আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দারুন ক্ষুধার্ত দেখেছি। তিনি একটি চামড়ার পাত্র এনে তা থেকে এক সা‘ পরিমাণ যব বের করে দিলেন। আমার বাড়ীতে একটা বাকরীর বাচ্চা ছিল। আমি সেটি যবহ করলাম। আর সে (আমার স্ত্রী যব পিষে দিল। আমি আমার কাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে সেও তার কাজ শেষ করল এবং মাংস কেটে কেটে ডেকচিতে ভরলাম। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ফিরে চললাম। তখন সে (স্ত্রী বলল, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের নিকট লজ্জিত করবেন না। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে চুপে চুপে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আমাদের একটি বাকরীর বাচ্চা যবহ করেছি এবং আমাদের ঘরে এক সা যব ছিল। তা আমার স্ত্রী পিষে দিয়েছে। আপনি আরো কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আসুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চস্বরে সবাইকে বললেন, হে পরিখা খননকারীরা! জাবির খানার ব্যবস্থা করেছে। এসো, তোমরা সকলেই চল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার আসার পূর্বে তোমাদের ডেকচি নামাবে না এবং খামির থেকে রুটিও তৈরি করবে না। আমি (বাড়ীতে) আসলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবা-ই-কিরামসহ আসলেন। এরপর আমি আমার স্ত্রীর নিকট আসলে সে বলল, আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন। আমি বললাম, তুমি যা বলেছ আমি তাই করেছি। এরপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে আটার খামির বের করে দিলে তিনি তাতে মুখের লালা মিশিয়ে দিলেন এবং বারাকাতের জন্য দু‘আ করলেন। এরপর তিনি ডেকচির কাছে এগিয়ে গেলেন এবং তাতে মুখের লালা মিশিয়ে এর জন্য বারাকাতের দু‘আ করলেন। তারপর বললেন, রুটি প্রস্তুতকারিণীকে ডাক। সে আমার কাছে বসে রুটি প্রস্তুত করুক এবং ডেকচি থেকে পেয়ালা ভরে মাংস বেড়ে দিক। তবে (উনুন হতে) ডেকচি নামাবে না। তাঁরা ছিলেন সংখ্যায় এক হাজার। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, তাঁরা সকলেই তৃপ্তি সহকারে খেয়ে বাকী খাদ্য রেখে চলে গেলেন। অথচ আমাদের ডেকচি আগের মতই টগবগ করছিল আর আমাদের আটার খামির থেকেও আগের মতই রুটি তৈরি হচ্ছিল। [৩০৭০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৯৯)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
عَمْرُوْ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَاصِمٍ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِيْ سُفْيَانَ أَخْبَرَنَا سَعِيْدُ بْنُ مِيْنَاءَ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ لَمَّا حُفِرَ الْخَنْدَقُ رَأَيْتُ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَمَصًا شَدِيْدًا فَانْكَفَأْتُ إِلَى امْرَأَتِيْ فَقُلْتُ هَلْ عِنْدَكِ شَيْءٌ فَإِنِّيْ رَأَيْتُ بِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَمَصًا شَدِيْدًا فَأَخْرَجَتْ إِلَيَّ جِرَابًا فِيْهِ صَاعٌ مِنْ شَعِيْرٍ وَلَنَا بُهَيْمَةٌ دَاجِنٌ فَذَبَحْتُهَا وَطَحَنَتْ الشَّعِيْرَ فَفَرَغَتْ إِلَى فَرَاغِيْ وَقَطَّعْتُهَا فِيْ بُرْمَتِهَا ثُمَّ وَلَّيْتُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ لَا تَفْضَحْنِيْ بِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَبِمَنْ مَعَهُ فَجِئْتُهُ فَسَارَرْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ذَبَحْنَا بُهَيْمَةً لَنَا وَطَحَنَّا صَاعًا مِنْ شَعِيْرٍ كَانَ عِنْدَنَا فَتَعَالَ أَنْتَ وَنَفَرٌ مَعَكَ فَصَاحَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا أَهْلَ الْخَنْدَقِ إِنَّ جَابِرًا قَدْ صَنَعَ سُوْرًا فَحَيَّ هَلًا بِهَلّكُمْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تُنْزِلُنَّ بُرْمَتَكُمْ وَلَا تَخْبِزُنَّ عَجِيْنَكُمْ حَتَّى أَجِيْءَ فَجِئْتُ وَجَاءَ رَسُوْلُ اللهِ يَقْدُمُ النَّاسَ حَتَّى جِئْتُ امْرَأَتِيْ فَقَالَتْ بِكَ وَبِكَ فَقُلْتُ قَدْ فَعَلْتُ الَّذِيْ قُلْتِ فَأَخْرَجَتْ لَهُ عَجِيْنًا فَبَصَقَ فِيْهِ وَبَارَكَ ثُمَّ عَمَدَ إِلَى بُرْمَتِنَا فَبَصَقَ وَبَارَكَ ثُمَّ قَالَ ادْعُ خَابِزَةً فَلْتَخْبِزْ مَعِيْ وَاقْدَحِيْ مِنْ بُرْمَتِكُمْ وَلَا تُنْزِلُوْهَا وَهُمْ أَلْفٌ فَأُقْسِمُ بِاللهِ لَقَدْ أَكَلُوْا حَتَّى تَرَكُوْهُ وَانْحَرَفُوْا وَإِنَّ بُرْمَتَنَا لَتَغِطُّ كَمَا هِيَ وَإِنَّ عَجِيْنَنَا لَيُخْبَزُ كَمَا هُوَ.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
When the Trench was dug, I saw the Prophet (ﷺ) in the state of severe hunger. So I returned to my wife and said, "Have you got anything (to eat), for I have seen Allah's Messenger (ﷺ) in a state of severe hunger." She brought out for me, a bag containing one Sa of barley, and we had a domestic she animal (i.e. a kid) which I slaughtered then, and my wife ground the barley and she finished at the time I finished my job (i.e. slaughtering the kid). Then I cut the meat into pieces and put it in an earthenware (cooking) pot, and returned to Allah's Messenger (ﷺ) . My wife said, "Do not disgrace me in front of Allah's Apostle and those who are with him." So I went to him and said to him secretly, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have slaughtered a she-animal (i.e. kid) of ours, and we have ground a Sa of barley which was with us. So please come, you and another person along with you." The Prophet (ﷺ) raised his voice and said, "O people of Trench ! Jabir has prepared a meal so let us go." Allah's Messenger (ﷺ) said to me, "Don't put down your earthenware meat pot (from the fireplace) or bake your dough till I come." So I came (to my house) and Allah's Messenger (ﷺ) too, came, proceeding before the people. When I came to my wife, she said, "May Allah do so-and-so to you." I said, "I have told the Prophet (ﷺ) of what you said." Then she brought out to him (i.e. the Prophet (ﷺ) the dough, and he spat in it and invoked for Allah's Blessings in it. Then he proceeded towards our earthenware meat-pot and spat in it and invoked for Allah's Blessings in it. Then he said (to my wife). Call a lady-baker to bake along with you and keep on taking out scoops from your earthenware meat-pot, and do not put it down from its fireplace." They were onethousand (who took their meals), and by Allah they all ate, and when they left the food and went away, our earthenware pot was still bubbling (full of meat) as if it had not decreased, and our dough was still being baked as if nothing had been taken from it.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০৩. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘‘যখন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল উঁচু অঞ্চল ও নীচু অঞ্চল হতে এবং তোমাদের চক্ষু বিস্ফারিত হয়েছিল ........’’- (সূরাহ আল-আহযাব ৩৩/১০)। তিনি বলেন, এ আয়াতখানা খন্দকের যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০০)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
عُثْمَانُ بْنُ أَبِيْ شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا (إِذْ جَآءُوْكُمْ مِّنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَإِذْ زَاغَتِ الْأَبْصَارُ وَبَلَغَتِ الْقُلُوْبُ الْحَنَاجِرَ) قَالَتْ كَانَ ذَاكَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ.
Narrated `Aisha:
As regards the following Qur'anic Verse:-- "When they came on you from above and from below you (from east and west of the valley) and when the eyes grew wild and the hearts reached up to the throats....." (33.10) That happened on the day of Al-Khandaq (i.e. Trench).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০৪. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খন্দক যুদ্ধের দিন মাটি বহন করেছিলেন। এমনকি মাটি তাঁর পেট ঢেকে ফেলেছিল অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) তাঁর পেট ধূলায় আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল। এ সময় তিনি বলছিলেনঃ
আল্লাহর কসম! আল্লাহ হিদায়াত না করলে আমরা হিদায়াত পেতাম না,
দান সাদাকা করতাম না এবং সালাতও আদায় করতাম না।
সুতরাং (হে আল্লাহ!) আমাদের প্রতি রহমত অবতীর্ণ করুন
এবং আমাদেরকে শত্রুর সঙ্গে মুকাবালা করার সময় দৃঢ়পদ রাখুন।
নিশ্চয়ই মক্কা্বাসীরা আমাদের প্রতি বিদ্রোহ করেছে।
যখনই তারা ফিতনার প্রয়াস পেয়েছে তখনই আমরা এড়িয়ে গেছি।
শেষের কথাগুলো বলার সময় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চস্বরে ‘‘এড়িয়ে গেছি’’, ‘‘এড়িয়ে গেছি’’ বলে উঠেছেন। [২৮৩৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০১)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَنْقُلُ التُّرَابَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ حَتَّى أَغْمَرَ بَطْنَهُ أَوْ اغْبَرَّ بَطْنُهُ يَقُوْلُ:
وَاللهِ لَـوْلَا اللهُ مَـا اهْـتَـدَيْـنَـا وَلَا تَصَـدَّقـْنـَا وَلَا صَـلّـَيـْنـَا
فَأَنْـزِلَنْ سَكِيْنَـةً عَـلَـيْـنَـا وَثَـبِّـتِ الْأَقْـدَامَ إِنْ لَاقَـيْـنَـا
إِنَّ الْأُلَى قَـدْ بَـغَـوْا عـَلـَيـْنـَا إِذَا أَرَادُوْا فِــتْــنَـةً أَبَـيْـنَـا
وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ أَبَيْنَا أَبَيْنَا.
Narrated Al-Bara:
The Prophet (ﷺ) was carrying earth on the day of Al-Khandaq till his `Abdomen was fully covered with dust, and he was saying, "By Allah, without Allah we would not have been guided, neither would we have given in charity, nor would we have prayed. So (O Allah), please send Sakina (i.e. calmness) upon us, and make our feet firm if we meet the enemy as the enemy have rebelled against us, and if they intended affliction, (i.e. want to frighten us and fight against us then we would not flee but withstand them)." The Prophet (ﷺ) used to raise his voice saying, "Abaina! Abaina! (i.e. would not, we would not).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০৫. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে পূবের বাতাস দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে, আর আদ জাতিকে পশ্চিমা বাতাস দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।[1] [১০৩৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০২)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيْدٍ عَنْ شُعْبَةَ قَالَ حَدَّثَنِي الْحَكَمُ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ نُصِرْتُ بِالصَّبَا وَأُهْلِكَتْ عَادٌ بِالدَّبُوْرِ.
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) said, "I have been made victorious by As-Saba (i.e. an easterly wind) and the Ad nation was destroyed by Ad-Dabur (i.e. a westerly wind).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০৬. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহযাব (খন্দক) যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিখা খনন করেছেন। আমি তাঁকে খন্দকের মাটি বহন করতে দেখেছি। এমনকি ধূলাবালি পড়ার কারণে তার পেটের চামড়া ঢেকে গিয়েছিল। তিনি অধিকতর পশম বিশিষ্ট ছিলেন। সে সময় আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মাটি বহন রত অবস্থায় ইবনু রাওয়াহার কবিতা আবৃত্তি করে শুনেছি। তিনি বলছিলেনঃ
হে আল্লাহ! আপনি যদি হিদায়াত না করতেন তাহলে আমরা হিদায়াত পেতাম না,
আমরা সাদাকা করতাম না এবং আমরা সালাতও আদায় করতাম না।
সুতরাং আমাদের প্রতি আপনার শান্তি অবতীর্ণ করুন,
এবং দুশমনের সম্মুখীন হওয়ার সময় আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখুন।
অবশ্য মক্কা্বাসীরাই আমাদের প্রতি বাড়াবাড়ি করেছে,
তারা ফিতনা বিস্তার করতে চাইলে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি।
বর্ণনাকারী (বারাআ) বলেন, শেষের কথাগুলি তিনি টেনে আবৃত্তি করছিলেন। [২৮৩৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০৩)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ قَالَ حَدَّثَنِيْ إِبْرَاهِيْمُ بْنُ يُوْسُفَ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ يُحَدِّثُ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْأَحْزَابِ وَخَنْدَقَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأَيْتُهُ يَنْقُلُ مِنْ تُرَابِ الْخَنْدَقِ حَتَّى وَارَى عَنِّيْ الْغُبَارُ جِلْدَةَ بَطْنِهِ وَكَانَ كَثِيْرَ الشَّعَرِ فَسَمِعْتُهُ يَرْتَجِزُ بِكَلِمَاتِ ابْنِ رَوَاحَةَ وَهُوَ يَنْقُلُ مِنْ التُّرَابِ يَقُوْلُ:
اللهُمَّ لَـوْلَا أَنْتَ مَـا اهْـتَـدَيْـنَـا وَلَا تَصَـدَّقـْنـَا وَلَا صَـلّـَيـْنـَا
فَأَنْـزِلَنْ سَـكِيْنَـةً عَـلَـيْـنَـا وَثَـبِّـتِ الْأَقْـدَامَ إِنْ لَاقَـيْـنَـا
إِنَّ الْأُلَى قَـدْ بَـغَـوْا عـَلـَيـْنـَا إِذَا أَرَادُوْا فِــتْــنَـةً أَبَـيْـنَـا
قَالَ ثُمَّ يَمُدُّ صَوْتَهُ بِآخِرِهَا.
Narrated Al-Bara:
When it was the day of Al-Ahzab (i.e. the clans) and Allah's Messenger (ﷺ) dug the trench, I saw him carrying earth out of the trench till dust made the skin of his `Abdomen out of my sight and he was a hairy man. I heard him reciting the poetic verses composed by Ibn Rawaha while he was carrying the earth, "O Allah! Without You we would not have been guided, nor would we have given in charity, nor would we have prayed. So, (O Allah), please send Sakina (i.e. calmness) upon us and make our feet firm if we meet the enemy, as they have rebelled against us. And if they intend affliction (i.e. want to frighten us, and fight against us) then we would not (flee but withstand them)." The Prophet (ﷺ) would then prolong his voice at the last words.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০৭. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথমে যে যুদ্ধে আমি অংশ নিয়েছিলাম সেটা খন্দকের যুদ্ধ ছিল। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০৪)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِيْنَارٍ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ أَوَّلُ يَوْمٍ شَهِدْتُهُ يَوْمُ الْخَنْدَقِ.
Narrated Ibn `Umar:
The first day (i.e. Ghazwa) I participated in, was the day of Al-Khandaq (i.e. Trench).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০৮. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি হাফসাহ (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। সে সময় তাঁর চুলের বেণি থেকে ফোঁটা পানি ঝরছিল। আমি তাঁকে বললাম, আপনি দেখছেন, (নেতৃত্বের ব্যাপারে) লোকজন কী সব করছে। নেতৃত্বের কোন অংশই আমার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়নি। তখন তিনি বললেন, আপনি তাদের সঙ্গে যোগ দিন। কেননা তাঁরা আপনার অপেক্ষা করছে। আপনি তাদের থেকে পৃথক থাকলে বিচ্ছিন্নতা ঘটতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি। হাফসাহ (রাঃ) তাঁকে বলতেই থাকলেন। শেষে তিনি গেলেন। এরপর লোকজন ওখান থেকে চলে গেলে মু‘আবিয়াহ (রাঃ) বক্তৃতা করে বললেন, ইমারতের ব্যাপারে কারো কিছু বলার ইচ্ছা হলে সে আমাদের সামনে মাথা তুলুক। এ ব্যাপারে আমরাই তাঁর ও তাঁর পিতার চেয়ে অধিক হাকদার। তখন হাবীব ইবনু মাসলামাহ (রহ.) তাঁকে বললেন, আপনি এ কথার জবাব দেননি কেন? তখন ‘আবদুল্লাহ (ইবনু ‘উমার) বললেন, আমি তখন আমার গায়ের চাদর ঠিক করলাম এবং এ কথা বলার ইচ্ছা করলাম যে, এ বিষয়ে ঐ ব্যক্তিই অধিক হাকদার যে ইসলামের জন্য আপনার ও আপনার পিতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তবে আমার এ কথায় ঐক্যে ফাটল ধরবে, রক্তপাত ঘটবে এবং আমার এ কথার অন্য রকম অর্থ করা হবে এ আশঙ্কা করলাম এবং আল্লাহ জান্নাতে যে নি‘আমাত তৈরি করে রেখেছেন তা স্মরণ করলাম ব’লে কথা বলা থেকে বিরত থাকলাম। তখন হাবীব (রহ.) বললেন, আপনি (ফিতনা থেকে) রক্ষা পেয়েছেন এবং বেঁচে গেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০৫)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
إِبْرَاهِيْمُ بْنُ مُوْسَى أَخْبَرَنَا هِشَامٌ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ.
قَالَ : وَأَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى حَفْصَةَ وَنَسْوَاتُهَا تَنْطُفُ قُلْتُ قَدْ كَانَ مِنْ أَمْرِ النَّاسِ مَا تَرَيْنَ فَلَمْ يُجْعَلْ لِيْ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ فَقَالَتِ الْحَقْ فَإِنَّهُمْ يَنْتَظِرُوْنَكَ وَأَخْشَى أَنْ يَكُوْنَ فِي احْتِبَاسِكَ عَنْهُمْ فُرْقَةٌ فَلَمْ تَدَعْهُ حَتَّى ذَهَبَ فَلَمَّا تَفَرَّقَ النَّاسُ خَطَبَ مُعَاوِيَةُ قَالَ مَنْ كَانَ يُرِيْدُ أَنْ يَتَكَلَّمَ فِيْ هَذَا الْأَمْرِ فَلْيُطْلِعْ لَنَا قَرْنَهُ فَلَنَحْنُ أَحَقُّ بِهِ مِنْهُ وَمِنْ أَبِيْهِ قَالَ حَبِيْبُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَهَلَّا أَجَبْتَهُ قَالَ عَبْدُ اللهِ فَحَلَلْتُ حُبْوَتِيْ وَهَمَمْتُ أَنْ أَقُوْلَ أَحَقُّ بِهَذَا الْأَمْرِ مِنْكَ مَنْ قَاتَلَكَ وَأَبَاكَ عَلَى الإِسْلَامِ فَخَشِيْتُ أَنْ أَقُوْلَ كَلِمَةً تُفَرِّقُ بَيْنَ الْجَمْعِ وَتَسْفِكُ الدَّمَ وَيُحْمَلُ عَنِّيْ غَيْرُ ذَلِكَ فَذَكَرْتُ مَا أَعَدَّ اللهُ فِي الْجِنَانِ قَالَ حَبِيْبٌ حُفِظْتَ وَعُصِمْتَ قَالَ مَحْمُوْدٌ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ وَنَوْسَاتُهَا.
Narrated `Ikrima bin Khalid:
Ibn `Umar said, "I went to Hafsa while water was dribbling from her twined braids. I said, 'The condition of the people is as you see, and no authority has been given to me.' Hafsa said, (to me), 'Go to them, and as they (i.e. the people) are waiting for you, and I am afraid your absence from them will produce division amongst them.' " So Hafsa did not leave Ibn `Umar till we went to them. When the people differed. Muawiya addressed the people saying, "'If anybody wants to say anything in this matter of the Caliphate, he should show up and not conceal himself, for we are more rightful to be a Caliph than he and his father." On that, Habib bin Masalama said (to Ibn `Umar), "Why don't you reply to him (i.e. Muawiya)?" `Abdullah bin `Umar said, "I untied my garment that was going round my back and legs while I was sitting and was about to say, 'He who fought against you and against your father for the sake of Islam, is more rightful to be a Caliph,' but I was afraid that my statement might produce differences amongst the people and cause bloodshed, and my statement might be interpreted not as I intended. (So I kept quiet) remembering what Allah has prepared in the Gardens of Paradise (for those who are patient and prefer the Hereafter to this worldly life)." Habib said, "You did what kept you safe and secure (i.e. you were wise in doing so).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০৯. সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দক যুদ্ধের দিন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, এখন আমরাই তাদেরকে আক্রমণ করব, তারা আমাদের প্রতি আক্রমণ করতে পারবে না। [৪১১০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০৬)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْأَحْزَابِ نَغْزُوْهُمْ وَلَا يَغْزُوْنَنَا.
Narrated Sulaiman bin Surd:
On the day of Al-Ahzab (i.e. clans) the Prophet (ﷺ) said, (After this battle) we will go to attack them(i.e. the infidels) and they will not come to attack us."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১১০. সুলাইমান ইবনু সুরাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহযাব যুদ্ধের দিন কাফিরদের সম্মিলিত বাহিনী মদিনা ছেড়ে যেতে বাধ্য হলে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছি যে, এখন থেকে আমরাই তাদেরকে আক্রমণ করব। তারা আমাদেরকে আক্রমণ করতে পারবে না। আর আমরা তাদের এলাকায় গিয়ে আক্রমণ চালাব। [৪১০৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০৭)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيْلُ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ حِيْنَ أَجْلَى الْأَحْزَابَ عَنْهُ الْآنَ نَغْزُوْهُمْ وَلَا يَغْزُوْنَنَا نَحْنُ نَسِيْرُ إِلَيْهِمْ.
Narrated Sulaiman bin Surd:
When the clans were driven away, I heard the Prophet (ﷺ) saying, "From now onwards we will go to attack them (i.e. the infidels) and they will not come to attack us, but we will go to them."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১১১. ‘আলী (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত যে, তিনি খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু‘আ করে বলেছিলেন, আল্লাহ তাদের ঘরবাড়ি ও কবর আগুন দ্বারা ভরে দিন। কারণ তারা আমাদেরকে মধ্যবর্তী সালাতের সময় ব্যস্ত করে রেখেছে, এমনকি সূর্য অস্তমিত হয়ে গেছে। [২৯৩১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০৮)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَلَا اللهُ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ وَقُبُوْرَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُوْنَا عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتْ الشَّمْسُ.
Narrated `Ali:
On the day of Al-Khandaq (i.e. Trench), the Prophet (ﷺ) said '(Let) Allah fill their (i.e. the infidels') houses and graves with fire just as they have prevented us from offering the Middle Prayer (i.e. `Asr prayer) till the sun had set."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১১২. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, খন্দকের দিন সূর্যাস্তের পর ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এসে কুরায়শ কাফিরদের গালি দিতে লাগলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সূর্যাস্তের পূর্বে আমি সালাত আদায় করতে পারিনি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর শপথ! আমিও আজ এ সালাত আদায় করতে পারিনি। [বর্ণনাকারী বলেন] অতঃপর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বুতহান উপত্যকায় গেলাম। তিনি সালাতের জন্য ‘উযূ করলেন। আমরাও সালাতের ‘উযূ করলাম। তিনি সূর্যাস্তের পর আসরের সালাত আদায় করলেন তারপরে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। [৫৯৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮০৯)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ جَاءَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ بَعْدَ مَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ جَعَلَ يَسُبُّ كُفَّارَ قُرَيْشٍ وَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا كِدْتُ أَنْ أُصَلِّيَ حَتَّى كَادَتْ الشَّمْسُ أَنْ تَغْرُبَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَاللهِ مَا صَلَّيْتُهَا فَنَزَلْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بُطْحَانَ فَتَوَضَّأَ لِلصَّلَاةِ وَتَوَضَّأْنَا لَهَا فَصَلَّى الْعَصْرَ بَعْدَمَا غَرَبَتْ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى بَعْدَهَا الْمَغْرِبَ.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
`Umar bin Al-Khattab came on the day of Al-Khandaq after the sun had set and he was abusing the infidels of Quraish saying, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I was unable to offer the (`Asr) prayer till the sun was about to set." The Prophet (ﷺ) said, "By Allah, I have not offered this (i.e. `Asr) prayer." So we came down along with the Prophet (ﷺ) to Buthan where he performed ablution for the prayer and then we performed the ablution for it. Then he offered the `Asr prayer after the sun had set, and after it he offered the Maghrib prayer.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১১৩. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহযাব যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কুরায়শ কাফিরদের খবর আমাদের নিকট কে এনে দিতে পারবে? যুবায়র (রাঃ) বললেন, আমি। তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার বললেন, কুরায়শদের খবর আমাদের নিকট কে এনে দিতে পারবে? তখনও যুবায়র (রাঃ) বললেন, আমি। তিনি পুনরায় বললেন, কুরায়শদের সংবাদ আমাদের নিকট কে এনে দিতে পারবে? এবারও যুবায়র (রাঃ) বললেন, আমি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রত্যেক নবীরই হাওয়ারী (বিশেষ সাহায্যকারী) ছিল। আমার হাওয়ারী হল যুবায়র। [২৮৪৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮১০)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيْرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ قَالَ سَمِعْتُ جَابِرًا يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْأَحْزَابِ مَنْ يَأْتِيْنَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ فَقَالَ الزُّبَيْرُ أَنَا ثُمَّ قَالَ مَنْ يَأْتِيْنَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ فَقَالَ الزُّبَيْرُ أَنَا ثُمَّ قَالَ مَنْ يَأْتِيْنَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ فَقَالَ الزُّبَيْرُ أَنَا ثُمَّ قَالَ إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوَارِيَّ وَإِنَّ حَوَارِيَّ الزُّبَيْرُ.
Narrated Jabir:
On the day of Al-Ahzab (i.e. clans), Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Who will bring us the news of the people (i.e. the clans of Quraish infidels)?" Az-Zubair said, "I." The Prophet (ﷺ) again said, "Who will bring us the news of the people?" AzZubair said, "I." The Prophet (ﷺ) again said, "Who will bring us the news of the people?" Az-Zubair said, "I." The Prophet (ﷺ) then said, "Every prophet has his Hawari (i.e. disciplespecial helper); my disciple is Az-Zubair.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১১৪. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (খন্দকের যুদ্ধের সময়) বলতেন, এক আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার অর্থে কোন ইলাহ নেই। তিনিই তাঁর বাহিনীকে মর্যাদাবান করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই সম্মিলিত বাহিনীকে পরাভূত করেছেন। এরপর শত্রু ভয় বলতে আর কিছুই থাকল না। [মুসলিম ৪৮/১৮, হাঃ ২৭২৪, আহমাদ ১০৪১১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮১১)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ أَبِيْ سَعِيْدٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُوْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ أَعَزَّ جُنْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَغَلَبَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ فَلَا شَيْءَ بَعْدَهُ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) used to say, "None has the right to be worshipped except Allah Alone (Who) honored His Warriors and made His Slave victorious, and He (Alone) defeated the (infidel) clans; so there is nothing after Him.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১১৫. ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্মিলিত বাহিনীর বিরুদ্ধে দু‘আ করে বলেছেন, হে কিতাব অবতীর্ণকারী ও তৎপর হিসাব গ্রহণকারী আল্লাহ! আপনি সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করুন। হে আল্লাহ! তাদেরকে পরাজিত এবং তাদেরকে প্রকম্পিত করুন। [২৯৩৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮১২)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا الْفَزَارِيُّ وَعَبْدَةُ عَنْ إِسْمَاعِيْلَ بْنِ أَبِيْ خَالِدٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِيْ أَوْفَى رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُوْلُ دَعَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْأَحْزَابِ فَقَالَ اللهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ سَرِيْعَ الْحِسَابِ اهْزِمْ الْأَحْزَابَ اللهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ.
Narrated `Abdullah bin Abi `Aufa:
Allah's Messenger (ﷺ) invoked evil upon the clans saying, "Allah, the Revealer of the Holy Book (i.e. the Qur'an), the Quick Taker of the accounts! Please defeat the clans. O Allah! Defeat them and shake them."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১১৬. ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধ, হাজ্জ বা ‘উমরাহ্ থেকে ফিরে আসতেন তখন প্রথমে তিনবার তাকবীর বলতেন। এরপর বলতেন, সত্যিকার অর্থে আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শারীক নেই। রাজত্ব এবং প্রশংসা একমাত্র তাঁরই। সব বিষয়ে তিনিই সর্বশক্তিমান। আমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তনকারী, তওবা্কারী, তাঁরই ‘ইবাদাতকারী। আমরা আমাদের প্রভুর কাছে সিজদা্কারী, তাঁরই প্রশংসাকারী। আল্লাহ তাঁর ওয়াদা সত্যে পরিণত করেছেন। তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই সম্মিলিত বাহিনীকে পরাভূত করেছেন। [১৭৯৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮১৩)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مُوْسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ وَنَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَفَلَ مِنَ الْغَزْوِ أَوِ الْحَجِّ أَوِ الْعُمْرَةِ يَبْدَأُ فَيُكَبِّرُ ثَلَاثَ مِرَارٍ ثُمَّ يَقُوْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ آيِبُوْنَ تَائِبُوْنَ عَابِدُوْنَ سَاجِدُوْنَ لِرَبِّنَا حَامِدُوْنَ صَدَقَ اللهُ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ.
Narrated `Abdullah:
Whenever Allah's Messenger (ﷺ) returned from a Ghazwa, Hajj or `Umra, he used to start (saying), "Allahu- Akbar," thrice and then he would say, "None has the right to be worshipped except Allah alone Who has no partners. To Him belongs the Kingdom, all praises are for Him, and He is able to do all things (i.e. Omnipotent). We are returning with repentance (to Allah) worshipping, prostrating, and praising our Lord. Allah has fulfilled His Promise, made His Slave victorious, and He (Alone) defeated the clans (of infidels) ."