পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩০. খন্দকের যুদ্ধ। এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৪১০১. আইমান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-এর নিকট গেলে তিনি বললেন, খন্দকের দিন আমরা পরিখা খনন করছিলাম। এ সময় একখন্ড কঠিন পাথর বেরিয়ে আসলে তারা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, খন্দকের ভিতর একটি শক্ত পাথর বেরিয়েছে। তখন তিনি বললেন, আমি নিজে খন্দকে নামব। অতঃপর তিনি দাঁড়ালেন। আর তাঁর পেটে একটি পাথর বাঁধা ছিল। আর আমরাও তিন দিন ধরে অনাহারী ছিলাম। কোন কিছুর স্বাদই চাখিনি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানা কোদাল হাতে নিয়ে পাথরটিতে আঘাত করলেন। ফলে তৎক্ষণাৎ তা চূর্ণ হয়ে বালুকারাশিতে পরিণত হল। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য অনুমতি দিন। (বাড়ি পৌঁছে) আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মধ্যে আমি এমন কিছু দেখলাম যা আমি সহ্য করতে পারছি না। তোমার নিকট কোন খাবার আছে কি? সে বলল, আমার কাছে কিছু যব ও একটি বাকরীর বাচ্চা আছে। তখন বাকরীর বাচ্চাটি আমি যবহ করলাম এবং সে যব পিষে দিল। এরপর মাংস ডেকচিতে দিয়ে আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলাম। এ সময় আটা খামির হচ্ছিল এবং ডেকচি চুলার উপর ছিল ও মাংস প্রায় রান্না হয়ে আসছিল। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার (বাড়ীতে) সামান্য কিছু খাবার আছে। আপনি একজন বা দু’জন সঙ্গে নিয়ে চলুন। তিনি বললেন, কী পরিমাণ খাবার আছে? আমি তাঁর কাছে সব খুলে বললাম। তিনি বললেন, এ-তো অনেক বেশ ভাল। তিনি বললেন, তোমার স্ত্রীকে গিয়ে বল, আমি না আসা পর্যন্ত উনান থেকে ডেকচি ও রুটি যেন না নামায়। এরপর তিনি বললেন, উঠ! মুহাজির ও আনসারগণ উঠলেন। জাবির (রাঃ) তার স্ত্রীর কাছে গিয়ে বললেন, তোমার সর্বনাশ হোক! নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো মুহাজির, আনসার আর তাঁদের সাথীদের নিয়ে চলে এসেছেন। তিনি (জাবিরের স্ত্রী বললেন, তিনি কি আপনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উপস্থিত হয়ে) বললেন, তোমরা সকলেই প্রবেশ কর কিন্তু ভিড় করো না। এ ব’লে তিনি রুটি টুকরো করে এর উপর মাংস দিয়ে সাহাবীগণের মাঝে বিতরণ করতে শুরু করলেন। তিনি ডেকচি এবং উনান ঢেকে রেখেছিলেন। এমনি করে তিনি রুটি টুকরো করে হাত ভরে বিতরণ করতে লাগলেন। এতে সকলে পেট পুরে খাওয়ার পরেও কিছু বাকী রয়ে গেল। তিনি (জাবিরের স্ত্রীকে) বললেন, এ তুমি খাও এবং অন্যকে হাদিয়া দাও। কেননা লোকদেরও ক্ষুধা পেয়েছে। [৩০৭০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৯৮)
بَاب غَزْوَةِ الْخَنْدَقِ وَهِيَ الْأَحْزَابُ
خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ أَتَيْتُ جَابِرًا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ إِنَّا يَوْمَ الْخَنْدَقِ نَحْفِرُ فَعَرَضَتْ كُدْيَةٌ شَدِيْدَةٌ فَجَاءُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوْا هَذِهِ كُدْيَةٌ عَرَضَتْ فِي الْخَنْدَقِ فَقَالَ أَنَا نَازِلٌ ثُمَّ قَامَ وَبَطْنُهُ مَعْصُوْبٌ بِحَجَرٍ وَلَبِثْنَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لَا نَذُوْقُ ذَوَاقًا فَأَخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمِعْوَلَ فَضَرَبَ فَعَادَ كَثِيْبًا أَهْيَلَ أَوْ أَهْيَمَ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ائْذَنْ لِيْ إِلَى الْبَيْتِ فَقُلْتُ لِامْرَأَتِيْ رَأَيْتُ بِالنَّبِيِّ شَيْئًا مَا كَانَ فِيْ ذَلِكَ صَبْرٌ فَعِنْدَكِ شَيْءٌ قَالَتْ عِنْدِيْ شَعِيْرٌ وَعَنَاقٌ فَذَبَحَتْ الْعَنَاقَ وَطَحَنَتْ الشَّعِيْرَ حَتَّى جَعَلْنَا اللَّحْمَ فِي الْبُرْمَةِ ثُمَّ جِئْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَالْعَجِيْنُ قَدْ انْكَسَرَ وَالْبُرْمَةُ بَيْنَ الْأَثَافِيِّ قَدْ كَادَتْ أَنْ تَنْضَجَ فَقُلْتُ طُعَيِّمٌ لِيْ فَقُمْ أَنْتَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَرَجُلٌ أَوْ رَجُلَانِ قَالَ كَمْ هُوَ فَذَكَرْتُ لَهُ قَالَ كَثِيْرٌ طَيِّبٌ قَالَ قُلْ لَهَا لَا تَنْزِعُ الْبُرْمَةَ وَلَا الْخُبْزَ مِنْ التَّنُّوْرِ حَتَّى آتِيَ فَقَالَ قُوْمُوْا فَقَامَ الْمُهَاجِرُوْنَ وَالأَنْصَارُ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ قَالَ وَيْحَكِ جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْمُهَاجِرِيْنَ وَالأَنْصَارِ وَمَنْ مَعَهُمْ قَالَتْ هَلْ سَأَلَكَ قُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ ادْخُلُوْا وَلَا تَضَاغَطُوْا فَجَعَلَ يَكْسِرُ الْخُبْزَ وَيَجْعَلُ عَلَيْهِ اللَّحْمَ وَيُخَمِّرُ الْبُرْمَةَ وَالتَّنُّوْرَ إِذَا أَخَذَ مِنْهُ وَيُقَرِّبُ إِلَى أَصْحَابِهِ ثُمَّ يَنْزِعُ فَلَمْ يَزَلْ يَكْسِرُ الْخُبْزَ وَيَغْرِفُ حَتَّى شَبِعُوْا وَبَقِيَ بَقِيَّةٌ قَالَ كُلِيْ هَذَا وَأَهْدِيْ فَإِنَّ النَّاسَ أَصَابَتْهُمْ مَجَاعَةٌ.
Narrated Jabir:
We were digging (the trench) on the day of (Al-Khandaq ( i.e. Trench )) and we came across a big solid rock. We went to the Prophet (ﷺ) and said, "Here is a rock appearing across the trench." He said, "I am coming down." Then he got up, and a stone was tied to his belly for we had not eaten anything for three days. So the Prophet (ﷺ) took the spade and struck the big solid rock and it became like sand. I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Allow me to go home." (When the Prophet (ﷺ) allowed me) I said to my wife, "I saw the Prophet (ﷺ) in a state that I cannot treat lightly. Have you got something (for him to eat?" She replied, "I have barley and a she goat." So I slaughtered the she-kid and she ground the barley; then we put the meat in the earthenware cooking pot. Then I came to the Prophet (ﷺ) when the dough had become soft and fermented and (the meat in) the pot over the stone trivet had nearly been well-cooked, and said, "I have got a little food prepared, so get up O Allah's Messenger (ﷺ), you and one or two men along with you (for the food)." The Prophet (ﷺ) asked, "How much is that food?" I told him about it. He said, "It is abundant and good. Tell your wife not to remove the earthenware pot from the fire and not to take out any bread from the oven till I reach there." Then he said (to all his companions), "Get up." So the Muhajirn (i.e. Emigrants) and the Ansar got up. When I came to my wife, I said, "Allah's Mercy be upon you! The Prophet came along with the Muhajirin and the Ansar and those who were present with them." She said, "Did the Prophet (ﷺ) ask you (how much food you had)?" I replied, "Yes." Then the Prophet (ﷺ) said, "Enter and do not throng." The Prophet (ﷺ) started cutting the bread (into pieces) and put the cooked meat over it. He covered the earthenware pot and the oven whenever he took something out of them. He would give the food to his companions and take the meat out of the pot. He went on cutting the bread and scooping the meat (for his companions) till they all ate their fill, and even then, some food remained. Then the Prophet (ﷺ) said (to my wife), "Eat and present to others as the people are struck with hunger."