পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৭১. ‘ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক সফরে তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলেন। সারা রাত পথ চলার পর যখন ভোর কাছাকাছি হল, তখন বিশ্রাম নেয়ার জন্য থেমে গেলেন এবং গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে পড়লেন। অবশেষে সূর্য উদিত হয়ে অনেক উপরে উঠে গেল, [ইমরান (রাঃ) বলেন] যিনি সর্বপ্রথম ঘুম হতে জাগলেন তিনি হলেন আবূ বকর (রাঃ)। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে জাগ্রত না হলে তাঁকে জাগানো হত না। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) জাগলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁর শিয়রের নিকট গিয়ে বসে উচ্চস্বরে ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে লাগলেন। শেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেগে উঠলেন এবং অন্যত্র চলে গিয়ে অবতরণ করে আমাদেরকে নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন। তখন এক ব্যক্তি আমাদের সাথে সালাত আদায় না করে দূরে দাঁড়িয়ে থাকল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করে বললেন, হে অমুক! আমাদের সঙ্গে সালাত আদায় করতে কিসে বাধা দিল? লোকটি বলল, আমি অপবিত্র হয়েছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পাক মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করার নির্দেশ দিলেন, অতঃপর সে সালাত আদায় করল। (ইমরান (রাঃ) বলেন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে অগ্রবর্তী দলের সঙ্গে পাঠিয়ে দিলেন এবং আমরা ভীষণ তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়লাম। এই অবস্থায় আমরা পথ চলছি। হঠাৎ উষ্ট্রে আরোহী এক মহিলা আমাদের নযরে পড়ল। সে পানি ভর্তি দু’টি মশকের মাঝখানে পা ঝুলিয়ে বসে ছিল। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, পানি কোথায়? সে বলল, (আশেপাশে) কোথায়ও পানি নেই। আমরা বললাম, তোমার ও পানির জায়গার মধ্যে দূরত্ব কতটুকু? সে বলল একদিন ও এক রাতের দূরত্ব। আমরা তাকে বললাম, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট চল। সে বলল, আল্লাহর রাসূল কী? আমরা তাকে যেতে না দিয়ে তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়ে গেলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসেও ঐ রকম কথাই বলল যা সে আমাদের সঙ্গে বলেছিল। তবে সে তাঁর নিকট বলল, সে কয়েকজন ইয়াতীম সন্তানের মা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মশক দু’টি নামিয়ে ফেলতে আদেশ করলেন। অতঃপর তিনি মশক দু’টির মুখে হাত বুলালেন। আমরা তৃষ্ণার্ত চল্লিশ জন মানুষ পানি পান করে পিপাসা মিটালাম। অতঃপর আমাদের সকল মশক, বাসনপত্র পানি ভর্তি করে নিলাম। তবে উটগুলোকে পানি পান করান হয়নি। এত সবের পরও মহিলার মশকগুলো এত পানি ভর্তি ছিল যে তা ফেটে যাবার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের নিকট যা কিছু আছে উপস্থিত কর। কিছু খেজুর ও রুটির টুকরা জমা করে তাঁকে দেয়া হল। এ নিয়ে নারীটি খুশীর সঙ্গে তার গৃহে ফিরে গেল। গৃহে গিয়ে সকলের নিকট সে বলল, আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল, এক মহা যাদুকরের সঙ্গে অথবা মানুষে যাকে নবী বলে ধারণা করে তার সঙ্গে। আল্লাহ্ এই মহিলার মাধ্যমে এ বস্তিবাসীকে হিদায়াত দান করলেন। স্ত্রীলোকটি নিজেও ইসলাম গ্রহণ করল এবং বস্তিবাসী সকলেই ইসলাম গ্রহণ করল। (৩৪৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩১৫)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا أَبُوْ الْوَلِيْدِ حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ زَرِيْرٍ سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ قَالَ حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ أَنَّهُمْ كَانُوْا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ مَسِيْرٍ فَأَدْلَجُوْا لَيْلَتَهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ وَجْهُ الصُّبْحِ عَرَّسُوْا فَغَلَبَتْهُمْ أَعْيُنُهُمْ حَتَّى ارْتَفَعَتْ الشَّمْسُ فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ اسْتَيْقَظَ مِنْ مَنَامِهِ أَبُوْ بَكْرٍ وَكَانَ لَا يُوقَظُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَنَامِهِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ فَاسْتَيْقَظَ عُمَرُ فَقَعَدَ أَبُوْ بَكْرٍ عِنْدَ رَأْسِهِ فَجَعَلَ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ صَوْتَهُ حَتَّى اسْتَيْقَظَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَ وَصَلَّى بِنَا الْغَدَاةَ فَاعْتَزَلَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ لَمْ يُصَلِّ مَعَنَا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ يَا فُلَانُ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَنَا قَالَ أَصَابَتْنِيْ جَنَابَةٌ فَأَمَرَهُ أَنْ يَتَيَمَّمَ بِالصَّعِيْدِ ثُمَّ صَلَّى وَجَعَلَنِيْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ رَكُوْبٍ بَيْنَ يَدَيْهِ وَقَدْ عَطِشْنَا عَطَشًا شَدِيْدًا فَبَيْنَمَا نَحْنُ نَسِيْرُ إِذَا نَحْنُ بِامْرَأَةٍ سَادِلَةٍ رِجْلَيْهَا بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ فَقُلْنَا لَهَا أَيْنَ الْمَاءُ فَقَالَتْ إِنَّهُ لَا مَاءَ فَقُلْنَا كَمْ بَيْنَ أَهْلِكِ وَبَيْنَ الْمَاءِ قَالَتْ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ فَقُلْنَا انْطَلِقِيْ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ وَمَا رَسُوْلُ اللهِ فَلَمْ نُمَلِّكْهَا مِنْ أَمْرِهَا حَتَّى اسْتَقْبَلْنَا بِهَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَحَدَّثَتْهُ بِمِثْلِ الَّذِيْ حَدَّثَتْنَا غَيْرَ أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا مُؤْتِمَةٌ فَأَمَرَ بِمَزَادَتَيْهَا فَمَسَحَ فِي الْعَزْلَاوَيْنِ فَشَرِبْنَا عِطَاشًا أَرْبَعِيْنَ رَجُلًا حَتَّى رَوِيْنَا فَمَلَانَا كُلَّ قِرْبَةٍ مَعَنَا وَإِدَاوَةٍ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ نَسْقِ بَعِيْرًا وَهِيَ تَكَادُ تَنِضُّ مِنْ الْمِلْءِ ثُمَّ قَالَ هَاتُوْا مَا عِنْدَكُمْ فَجُمِعَ لَهَا مِنْ الْكِسَرِ وَالتَّمْرِ حَتَّى أَتَتْ أَهْلَهَا قَالَتْ لَقِيْتُ أَسْحَرَ النَّاسِ أَوْ هُوَ نَبِيٌّ كَمَا زَعَمُوْا فَهَدَى اللهُ ذَاكَ الصِّرْمَ بِتِلْكَ الْمَرْأَةِ فَأَسْلَمَتْ وَأَسْلَمُوْا
Narrated `Imran bin Husain:
That they were with the Prophet (ﷺ) on a journey. They travelled the whole night, and when dawn approached, they took a rest and sleep overwhelmed them till the sun rose high in the sky. The first to get up was Abu Bakr. Allah's Messenger (ﷺ)s used not to be awakened from his sleep, but he would wake up by himself. `Umar woke up and then Abu Bakr sat by the side of the Prophet's head and started saying: Allahu-Akbar raising his voice till the Prophet (ﷺ) woke up, (and after traveling for a while) he dismounted and led us in the morning prayer. A man amongst the people failed to join us in the prayer. When the Prophet (ﷺ) had finished the prayer, he asked (the man), "O so-and-so! What prevented you from offering the prayer with us?" He replied, "I am Junub," Alllah's Apostle ordered him to perform Tayammam with clean earth. The man then offered the prayer. Allah's Messenger (ﷺ) ordered me and a few others to go ahead of him. We had become very thirsty. While we were on our way (looking for water), we came across a lady (riding an animal), hanging her legs between two water-skins. We asked her, "Where can we get water?" She replied, "Oh ! There is no water." We asked, "how far is your house from the water?" She replied, "A distance of a day and a night travel." We said, "Come on to Allah's Messenger (ﷺ), "She asked, "What is Allah's Messenger (ﷺ) ?" So we brought her to Allah's Messenger (ﷺ) against her will, and she told him what she had told us before and added that she was the mother of orphans. So the Prophet (ﷺ) ordered that her two water-skins be brought and he rubbed the mouths of the water-skins. As we were thirsty, we drank till we quenched our thirst and we were forty men. We also filled all our waterskins and other utensils with water, but we did not water the camels. The waterskin was so full that it was almost about to burst. The Prophet (ﷺ) then said, "Bring what (foodstuff) you have." So some dates and pieces of bread were collected for the lady, and when she went to her people, she said, "I have met either the greatest magician or a prophet as the people claim." So Allah guided the people of that village through that lady. She embraced Islam and they all embraced Islam.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৭২. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি পানির পাত্র আনা হল, তখন তিনি যাওরা নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত ঐ পাত্রে রেখে দিলেন আর তখনই পানি অঙ্গুলির ফাঁক দিয়ে উপচে পড়তে লাগল। ঐ পানি দিয়ে উপস্থিত সকলেই উযূ করে নিলেন। ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, আমরা তিনশ’ কিংবা প্রায় তিনশ’ জন ছিলাম। (১৬৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩১৬)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ عَدِيٍّ عَنْ سَعِيْدٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِإِنَاءٍ وَهُوَ بِالزَّوْرَاءِ فَوَضَعَ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ فَجَعَلَ الْمَاءُ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ الْقَوْمُ قَالَ قَتَادَةُ قُلْتُ لِأَنَسٍ كَمْ كُنْتُمْ قَالَ ثَلَاثَ مِائَةٍ أَوْ زُهَاءَ ثَلَاثِ مِائَةٍ
Narrated Anas:
A bowl of water was brought to the Prophet (ﷺ) while he was at Az-Zawra. He placed his hand in it and the water started flowing among his fingers. All the people performed ablution (with that water). Qatada asked Anas, "How many people were you?" Anas replied, "Three hundred or nearly three hundred."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৭৩. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পেলাম যখন ‘আসরের সালাতের সময় সন্নিকট। সকলেই পেরেশান হয়ে পানি খুঁজছেন কিন্তু পানি পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উযূর পানি আনা হল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে পাত্রে তাঁর হাত রেখে দিলেন এবং সকলকে এ পাত্রের পানি দ্বারা উযূ করতে নির্দেশ দিলেন। আমি দেখলাম তাঁর হাতের নীচ হতে পানি সজোরে উথ্লে পড়ছিল। তাদের শেষ ব্যক্তিটি পর্যন্ত সকলেই এই পানি দিয়ে উযূ করলেন। (১৬৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩১৭)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَحَانَتْ صَلَاةُ الْعَصْرِ فَالْتُمِسَ الْوَضُوءُ فَلَمْ يَجِدُوْهُ فَأُتِيَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِوَضُوءٍ فَوَضَعَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ فِيْ ذَلِكَ الْإِنَاءِ فَأَمَرَ النَّاسَ أَنْ يَتَوَضَّئُوْا مِنْهُ فَرَأَيْتُ الْمَاءَ يَنْبُعُ مِنْ تَحْتِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ النَّاسُ حَتَّى تَوَضَّئُوْا مِنْ عِنْدِ آخِرِهِمْ
Narrated Anas bin Malik:
I saw Allah's Messenger (ﷺ) at the 'time when the `Asr prayer was due. Then the people were searching for water for ablution but they could not find any. Then some water was brought to Allah's Messenger (ﷺ) and he placed his hand in the pot and ordered the people to perform the ablution with the water. I saw water flowing from underneath his fingers and the people started performing the ablution till all of them did it.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৭৪. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফরে বেরিয়ে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সাহাবাগণও ছিলেন। তারা চলতে লাগলেন, তখন সালাতের সময় হয়ে গেল, কিন্তু উযূ করার জন্য কোথাও পানি পাওয়া গেল না। কাফেলার এক ব্যক্তি সামান্য পানিসহ একটি পেয়ালা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত করলেন। তিনি পেয়ালাটি হাতে নিয়ে তারই পানি দ্বারা উযূ করলেন এবং তাঁর হাতের চারটি আঙ্গুল পেয়ালার মধ্যে সোজা করে ধরে রাখলেন। আর বললেন, উঠ তোমরা উযূ কর। সকলেই ইচ্ছামত উযূ করে নিলেন। তারা ছিলেন সত্তর বা এর কাছাকাছি। (১৬৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩১৮)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُبَارَكٍ حَدَّثَنَا حَزْمٌ قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ بَعْضِ مَخَارِجِهِ وَمَعَهُ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَانْطَلَقُوْا يَسِيْرُوْنَ فَحَضَرَتْ الصَّلَاةُ فَلَمْ يَجِدُوْا مَاءً يَتَوَضَّئُوْنَ فَانْطَلَقَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ فَجَاءَ بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ يَسِيْرٍ فَأَخَذَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَتَوَضَّأَ ثُمَّ مَدَّ أَصَابِعَهُ الأَرْبَعَ عَلَى الْقَدَحِ ثُمَّ قَالَ قُومُوْا فَتَوَضَّئُوْا فَتَوَضَّأَ الْقَوْمُ حَتَّى بَلَغُوْا فِيْمَا يُرِيْدُوْنَ مِنْ الْوَضُوءِ وَكَانُوْا سَبْعِيْنَ أَوْ نَحْوَهُ
Narrated Anas bin Malik:
The Prophet (ﷺ) went out on one of his journeys with some of his companions. They went on walking till the time of the prayer became due. They could not find water to perform the ablution. One of them went away and brought a little amount of water in a pot. The Prophet (ﷺ) took it and performed the ablution, and then stretched his four fingers on to the pot and said (to the people), "Get up to perform the ablution." They started performing the ablution till all of them did it, and they were seventy or so persons.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৭৫. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালাতের সময় উপস্থিত হল। যাদের বাড়ি মসজিদের নিকটে ছিল তারা উযূ করার জন্য নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেলেন। কিন্তু কিছু সংখ্যক লোক গেলেন না তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে পাথরের তৈরী একটি পাত্র আনা হল। এতে সামান্য পানি ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ পাত্রে তাঁর হাত রাখলেন। কিন্তু পাত্রটি ছোট্ট হওয়ার কারণে হাতের আঙ্গুলগুলো বিস্তৃত করতে পারলেন না বরং একত্রিত করে রেখে দিলেন। অতঃপর উপস্থিত লোকেরা ঐ পানি দ্বারাই উযূ করে নিল। হুমাইদ (রহ.) বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম আপনারা কতজন ছিলেন? বললেন, আশি জন। (১৬৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩১৯)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُنِيْرٍ سَمِعَ يَزِيْدَ أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ عَنْ أَنَسٍ قَالَ حَضَرَتْ الصَّلَاةُ فَقَامَ مَنْ كَانَ قَرِيْبَ الدَّارِ مِنْ الْمَسْجِدِ يَتَوَضَّأُ وَبَقِيَ قَوْمٌ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمِخْضَبٍ مِنْ حِجَارَةٍ فِيْهِ مَاءٌ فَوَضَعَ كَفَّهُ فَصَغُرَ الْمِخْضَبُ أَنْ يَبْسُطَ فِيْهِ كَفَّهُ فَضَمَّ أَصَابِعَهُ فَوَضَعَهَا فِي الْمِخْضَبِ فَتَوَضَّأَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ جَمِيْعًا قُلْتُ كَمْ كَانُوْا قَالَ ثَمَانُوْنَ رَجُلًا
Narrated Humaid:
Anas bin Malik said, "Once the time of the prayer became due and the people whose houses were close to the Mosque went to their houses to perform ablution, while the others remained (sitting there). A stone pot containing water was brought to the Prophet, who wanted to put his hand in it, but It was too small for him to spread his hand in it, and so he had to bring his fingers together before putting his hand in the pot. Then all the people performed the ablution (with that water)." I asked Anas, "How many persons were they." He replied, "There were eighty men."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৭৬. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদাইবিয়ায় অবস্থানের সময় একদা সাহাবাগণ পিপাসায় খুব কাতর হয়ে পড়লেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে একটি পাত্রে অল্প পানি ছিল। তিনি উযূ করলেন। তাঁর নিকট পানি আছে ধারণা করে সকলে সেদিকে গেলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কী হয়েছে? তাঁরা বললেন, আপনার সামনের পাত্রের সামান্য পানি ছাড়া উযূ ও পান করার মত পানি আমাদের নিকট নাই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ পাত্রে তাঁর হাত রাখলেন। তখনই তাঁর হাত উপচে ঝর্ণা ধারার মত পানি ছুটে বের হতে লাগলো। আমরা সকলেই পানি পান করলাম ও উযূ করলাম। সারিম (একজন রাবী) বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, আমরা যদি এক লক্ষও হতাম তবুও আমাদের জন্য পানি যথেষ্ট হত। আমরা ছিলাম পনেরশ’। (৪১৫২, ৪১৫৩, ৪১৫৪, ৪৮৪০, ৫৬৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩২০)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ عَطِشَ النَّاسُ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ يَدَيْهِ رِكْوَةٌ فَتَوَضَّأَ فَجَهِشَ النَّاسُ نَحْوَهُ فَقَالَ مَا لَكُمْ قَالُوْا لَيْسَ عِنْدَنَا مَاءٌ نَتَوَضَّأُ وَلَا نَشْرَبُ إِلَّا مَا بَيْنَ يَدَيْكَ فَوَضَعَ يَدَهُ فِي الرِّكْوَةِ فَجَعَلَ الْمَاءُ يَثُوْرُ بَيْنَ أَصَابِعِهِ كَأَمْثَالِ الْعُيُونِ فَشَرِبْنَا وَتَوَضَّأْنَا قُلْتُ كَمْ كُنْتُمْ قَالَ لَوْ كُنَّا مِائَةَ أَلْفٍ لَكَفَانَا كُنَّا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً
Narrated Salim bin Abi Aj-Jad:
Jabir bin `Abdullah said, "The people became very thirsty on the day of Al-Hudaibiya (Treaty). A small pot containing some water was in front of the Prophet (ﷺ) and when he had finished the ablution, the people rushed towards him. He asked, 'What is wrong with you?' They replied, 'We have no water either for performing ablution or for drinking except what is present in front of you.' So he placed his hand in that pot and the water started flowing among his fingers like springs. We all drank and performed ablution (from it)." I asked Jabir, "How many were you?" he replied, "Even if we had been one-hundred-thousand, it would have been sufficient for us, but we were fifteen-hundred."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৭৭. বারা‘আ (ইবনু ‘আযিব) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হুদাইবিয়ায় চৌদ্দশ’ লোক ছিলাম। হুদাইবিয়াহ একটি কূপ, আমরা তা থেকে পানি এমনভাবে উঠিয়ে নিলাম যে তাতে এক ফোঁটা পানিও অবশিষ্ট থাকল না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কূপের কিনারায় বসে কিছু পানি আনার জন্য আদেশ করলেন। তিনি কুল্লি করে ঐ পানি কূপে নিক্ষেপ করলেন। অল্প সময় অপেক্ষা করলাম। তখন কূপটি পানিতে পূর্ণ হয়ে গেল। আমরা পানি পান করে তৃপ্তি লাভ করলাম, আমাদের উটগুলোও পানি পান করে পরিতৃপ্ত হল। অথবা বলেছেন আমাদের উটগুলো পানি পান করে ফিরল। (৪১৫০, ৪১৫১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩২১)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيْلُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ الْبَرَاءِ قَالَ كُنَّا يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً وَالْحُدَيْبِيَةُ بِئْرٌ فَنَزَحْنَاهَا حَتَّى لَمْ نَتْرُكْ فِيْهَا قَطْرَةً فَجَلَسَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى شَفِيْرِ الْبِئْرِ فَدَعَا بِمَاءٍ فَمَضْمَضَ وَمَجَّ فِي الْبِئْرِ فَمَكَثْنَا غَيْرَ بَعِيْدٍ ثُمَّ اسْتَقَيْنَا حَتَّى رَوِيْنَا وَرَوَتْ أَوْ صَدَرَتْ رَكَائِبُنَا
Narrated Al-Bara:
We were one-thousand-and-four-hundred persons on the day of Al-Hudaibiya (Treaty), and (at) Al- Hudaibiya (there) was a well. We drew out its water not leaving even a single drop. The Prophet (ﷺ) sat at the edge of the well and asked for some water with which he rinsed his mouth and then he threw it out into the well. We stayed for a short while and then drew water from the well and quenched our thirst, and even our riding animals drank water to their satisfaction.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৭৮. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ ত্বল্হা (রাঃ) উম্মু সুলায়মকে বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্ঠস্বর দুর্বল শুনেছি। আমি তাঁর মধ্যে ক্ষুধা বুঝতে পেরেছি। তোমার নিকট খাবার কিছু আছে কি? তিনি বললেন, হাঁ আছে। এই বলে তিনি কয়েকটা যবের রুটি বের করলেন। অতঃপর তাঁর একখানা ওড়না বের করে এর কিয়দংশ দিয়ে রুটিগুলো মুড়ে আমার হাতে গোপন করে রেখে দিলেন ও ওড়নার অপর অংশ আমার শরীরে জড়িয়ে দিলেন এবং আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পাঠালেন।
রাবী আনাস বলেন, আমি তাঁর নিকট গেলাম। ঐ সময় তিনি কতক লোকসহ মসজিদে ছিলেন। আমি গিয়ে তাঁদের সামনে দাঁড়ালাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখে বললেন, তোমাকে আবূ ত্বলহা পাঠিয়েছে? আমি বললাম, জি, হাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খাওয়ার দাও’আত দিয়ে পাঠিয়েছে? আমি বললাম, জি-হাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সঙ্গীদেরকে বললেন, চল, আবূ ত্বলহা আমাকে দাও’আত করেছে। আমি তাঁদের আগেই চলে গিয়ে আবূ ত্বলহা (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমনের কথা শুনলাম। এতদশ্রবণে আবূ ত্বলহা (রাঃ) বলেন, হে উম্মু সুলাইম! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গী সাথীদেরকে নিয়ে আসছেন। তাঁদেরকে খাওয়ানোর মত কিছু আমাদের নিকট নেই। উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।
আবূ ত্বলহা (রাঃ) তাঁদেরকে স্বাগত জানানোর জন্য বাড়ি হতে কিছুদূর এগুলেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে দেখা করলেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ ত্বলহা (রাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে তার ঘরে আসলেন, আর বললেন, হে উম্মু সুলায়ম! তোমার নিকট যা কিছু আছে নিয়ে এসো। তিনি যবের ঐ রুটিগুলি হাযির করলেন এবং তাঁর নির্দেশে রুটিগুলো টুকরা টুকরা করা হল। উম্মু সুলায়ম ঘিয়ের পাত্র ঝেড়ে কিছু ঘি বের করে তরকারী হিসেবে উপস্থিত করলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করে তাতে ফুঁ দিলেন অতঃপর দশজনকে নিয়ে আসতে বললেন। তাঁরা দশজন আসলেন এবং রুটি খেয়ে তৃপ্ত হয়ে চলে গেলেন। অতঃপর আরো দশজনকে আসতে বলা হল। তারা আসলেন এবং তৃপ্তি সহকারে রুটি খেয়ে চলে গেলেন। আবার আরো দশজনকে আসতে বলা হল। তাঁরাও আসলেন এবং পেট পুরে খেয়ে নিলেন। ঐভাবে উপস্থিত সকলেই রুটি খেয়ে তৃপ্ত হলেন। সর্বমোট সত্তর বা আশিজন লোক ছিলেন। (৪২২, মুসলিম ৩৬/২০ হাঃ ২০৪০, আহমাদ ১৩২৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩২২)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ طَلْحَةَ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُوْلُ قَالَ أَبُوْ طَلْحَةَ لِأُمِّ سُلَيْمٍ لَقَدْ سَمِعْتُ صَوْتَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ضَعِيْفًا أَعْرِفُ فِيْهِ الْجُوعَ فَهَلْ عِنْدَكِ مِنْ شَيْءٍ قَالَتْ نَعَمْ فَأَخْرَجَتْ أَقْرَاصًا مِنْ شَعِيْرٍ ثُمَّ أَخْرَجَتْ خِمَارًا لَهَا فَلَفَّتْ الْخُبْزَ بِبَعْضِهِ ثُمَّ دَسَّتْهُ تَحْتَ يَدِيْ وَلَاثَتْنِيْ بِبَعْضِهِ ثُمَّ أَرْسَلَتْنِيْ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَذَهَبْتُ بِهِ فَوَجَدْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ وَمَعَهُ النَّاسُ فَقُمْتُ عَلَيْهِمْ فَقَالَ لِيْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم آرْسَلَكَ أَبُوْ طَلْحَةَ فَقُلْتُ نَعَمْ قَالَ بِطَعَامٍ فَقُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِمَنْ مَعَهُ قُومُوْا فَانْطَلَقَ وَانْطَلَقْتُ بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ حَتَّى جِئْتُ أَبَا طَلْحَةَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ أَبُوْ طَلْحَةَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ قَدْ جَاءَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ وَلَيْسَ عِنْدَنَا مَا نُطْعِمُهُمْ فَقَالَتْ اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ فَانْطَلَقَ أَبُوْ طَلْحَةَ حَتَّى لَقِيَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْبَلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُوْ طَلْحَةَ مَعَهُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم هَلُمِّيْ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ مَا عِنْدَكِ فَأَتَتْ بِذَلِكَ الْخُبْزِ فَأَمَرَ بِهِ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَفُتَّ وَعَصَرَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ عُكَّةً فَأَدَمَتْهُ ثُمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْهِ مَا شَاءَ اللهُ أَنْ يَقُوْلَ ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعِشَرَةٍ فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوْا حَتَّى شَبِعُوْا ثُمَّ خَرَجُوْا ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوْا حَتَّى شَبِعُوْا ثُمَّ خَرَجُوْا ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ فَأَذِنَ لَهُمْ فَأَكَلُوْا حَتَّى شَبِعُوْا ثُمَّ خَرَجُوْا ثُمَّ قَالَ ائْذَنْ لِعَشَرَةٍ فَأَكَلَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ وَشَبِعُوْا وَالْقَوْمُ سَبْعُوْنَ أَوْ ثَمَانُوْنَ رَجُلًا
Narrated Anas bin Malik:
Abu Talha said to Um Sulaim, "I have noticed feebleness in the voice of Allah's Messenger (ﷺ) which I think, is caused by hunger. Have you got any food?" She said, "Yes." She brought out some loaves of barley and took out a veil belonging to her, and wrapped the bread in part of it and put it under my arm and wrapped part of the veil round me and sent me to Allah's Messenger (ﷺ). I went carrying it and found Allah's Messenger (ﷺ) in the Mosque sitting with some people. When I stood there, Allah's Messenger (ﷺ) asked, "Has Abu Talha sent you?" I said, "Yes". He asked, "With some food? I said, "Yes" Allah's Apostle then said to the men around him, "Get up!" He set out (accompanied by them) and I went ahead of them till I reached Abu Talha and told him (of the Prophet's visit). Abu Talha said, "O Um Sulaim! Allah's Messenger (ﷺ) is coming with the people and we have no food to feed them." She said, "Allah and His Apostle know better." So Abu Talha went out to receive Allah's Messenger (ﷺ). Allah's Apostle came along with Abu Talha. Allah's Messenger (ﷺ) said, "O Um Sulaim! Bring whatever you have." She brought the bread which Allah's Messenger (ﷺ) ordered to be broken into pieces. Um Sulaim poured on them some butter from an oilskin. Then Allah's Messenger (ﷺ) recited what Allah wished him to recite, and then said, "Let ten persons come (to share the meal)." Ten persons were admitted, ate their fill and went out. Then he again said, "Let another ten do the same." They were admitted, ate their fill and went out. Then he again said, '"'Let another ten persons (do the same.)" They were admitted, ate their fill and went out. Then he said, "Let another ten persons come." In short, all of them ate their fill, and they were seventy or eighty men.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৭৯. ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নিদর্শনাবলীকে বরকতময় মনে করতাম আর তোমরা ঐসব ঘটনাকে ভীতিকর মনে কর। আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সঙ্গে কোন এক সফরে ছিলাম। আমাদের পানি কমে আসল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অতিরিক্ত পানি খোঁজ কর। (খুঁজে) সাহাবীগণ একটি পাত্র নিয়ে আসলেন যার ভিতর সামান্য পানি ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত ঐ পাত্রের ভিতর ঢুকিয়ে দিলেন এবং ঘোষণা করলেন, বরকতময় পানি নিতে সকলেই এসো। এ বরকত আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ হতে দেয়া হয়েছে। তখন আমি দেখতে পেলাম আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে পানি উপচে পড়ছে। কখনও আমরা খাবারের তাস্বীহ পাঠ শুনতাম আর তা খাওয়া হত। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩২৩)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُوْ أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيْلُ عَنْ مَنْصُوْرٍ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ كُنَّا نَعُدُّ الْآيَاتِ بَرَكَةً وَأَنْتُمْ تَعُدُّوْنَهَا تَخْوِيْفًا كُنَّا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ سَفَرٍ فَقَلَّ الْمَاءُ فَقَالَ اطْلُبُوْا فَضْلَةً مِنْ مَاءٍ فَجَاءُوْا بِإِنَاءٍ فِيْهِ مَاءٌ قَلِيْلٌ فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ ثُمَّ قَالَ حَيَّ عَلَى الطَّهُوْرِ الْمُبَارَكِ وَالْبَرَكَةُ مِنْ اللهِ فَلَقَدْ رَأَيْتُ الْمَاءَ يَنْبُعُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلَقَدْ كُنَّا نَسْمَعُ تَسْبِيْحَ الطَّعَامِ وَهُوَ يُؤْكَلُ
Narrated `Abdullah:
We used to consider miracles as Allah's Blessings, but you people consider them to be a warning. Once we were with Allah's Messenger (ﷺ) on a journey, and we ran short of water. He said, "Bring the water remaining with you." The people brought a utensil containing a little water. He placed his hand in it and said, "Come to the blessed water, and the Blessing is from Allah." I saw the water flowing from among the fingers of Allah's Messenger (ﷺ) , and no doubt, we heard the meal glorifying Allah, when it was being eaten (by him).
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৮০. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁর পিতা (‘আবদুল্লাহ (রাঃ) উহুদ যুদ্ধে) ঋণ রেখে শাহাদাত লাভ করেন। তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, আমার পিতা অনেক ঋণ রেখে গেছেন। আমার কাছে বাগানের কিছু খেজুর ছাড়া অন্য কোন মাল নেই। কয়েক বছরের খেজুর একত্র করলেও তাঁর ঋণ শোধ হবে না। আপনি দয়া করে আমার সঙ্গে চলুন, যাতে পাওনাদারগণ আমার প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ না করে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গে গেলেন এবং খেজুরের একটি স্তূপের চারপাশে ঘুরে দু’আ করলেন। অতঃপর অন্য স্তুপের নিকটে গেলেন এবং এর উপরে বসলেন এবং জাবির (রাঃ)-কে বললেন, খেজুর বের করে দিতে থাক। সকল পাওনাদারের প্রাপ্য শোধ হয়ে গেল আর তাদের যত দিলেন তত থেকে গেল। (২১২৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩২৪)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَامِرٌ قَالَ حَدَّثَنِيْ جَابِرٌ أَنَّ أَبَاهُ تُوُفِّيَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنَّ أَبِيْ تَرَكَ عَلَيْهِ دَيْنًا وَلَيْسَ عِنْدِيْ إِلَّا مَا يُخْرِجُ نَخْلُهُ وَلَا يَبْلُغُ مَا يُخْرِجُ سِنِيْنَ مَا عَلَيْهِ فَانْطَلِقْ مَعِيْ لِكَيْ لَا يُفْحِشَ عَلَيَّ الْغُرَمَاءُ فَمَشَى حَوْلَ بَيْدَرٍ مِنْ بَيَادِرِ التَّمْرِ فَدَعَا ثَمَّ آخَرَ ثُمَّ جَلَسَ عَلَيْهِ فَقَالَ انْزِعُوْهُ فَأَوْفَاهُمْ الَّذِيْ لَهُمْ وَبَقِيَ مِثْلُ مَا أَعْطَاهُمْ
Narrated Jabir:
My father had died in debt. So I came to the Prophet (ﷺ) and said, "My father (died) leaving unpaid debts, and I have nothing except the yield of his date palms; and their yield for many years will not cover his debts. So please come with me, so that the creditors may not misbehave with me." The Prophet (ﷺ) went round one of the heaps of dates and invoked (Allah), and then did the same with another heap and sat on it and said, "Measure (for them)." He paid them their rights and what remained was as much as had been paid to them.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৮১. ‘আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বকর (রাঃ) বর্ণনা করেন, আসহাবে সুফ্ফায় কতক অসহায় গরীব লোক ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বললেন, যার ঘরে দু’জনের খাবার আছে সে যেন এদের মধ্য হতে তৃতীয় একজন নিয়ে যায়। আর যার ঘরে চার জনের খাবার রয়েছে সে এদের মধ্য হতে পঞ্চম একজন বা ষষ্ঠ একজনকে নিয়ে যায় অথবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন। আবূ বকর (রাঃ) তিনজন নিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ে গেলেন দশজন এবং আবূ বকর (রাঃ) তিনজন। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আমি, আমার আববা ও আম্মা। আবূ ‘উসমান (রাঃ) রাবী বলেন, আমার মনে নাই ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) কি এও বলেছিলেন যে, আমার স্ত্রী ও আমাদের পিতা-পুত্রের একজন গৃহভৃত্যও ছিল। আবূ বকর (রাঃ) ঐ রাতে নবীজীর বাড়িতেই খেয়ে নিলেন এবং ইশার সালাত পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করলেন। ইশার সালাতের পর পুনরায় তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গৃহে গমন করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাতের খাবার খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করলেন। অনেক রাতের পর বাড়ী ফিরলেন। তখন তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, মেহমান পাঠিয়ে দিয়ে আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? তিনি বললেন, তাদের কি এখনো রাতের খাবার দাওনি। স্ত্রী বললেন, আপনার না আসা পর্যন্ত তারা খাবার খেতে রাযী হননি। তাদেরকে ঘরের লোকজন খাবার দিয়েছিল। কিন্তু তাদের অসম্মতির নিকট আমাদের লোকজন হার মেনেছে। ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) বলেন, আমি তাড়াতাড়ি সরে পড়লাম। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, ওরে বেওকুফ! আহম্মক! আরো কিছু কড়া কথা বলে ফেললেন। অতঃপর মেহমান পক্ষকে সম্বোধন করে বললেন, আপনারা খেয়ে নিন। আমি কিছুতেই খাব না। ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা যখন গ্রাস তুলে নেই তখন দেখি পাত্রের খাবার অনেক বেড়ে যায়। খাওয়ার শেষে আবূ বকর (রাঃ) দেখলেন তৃপ্ত হয়ে আহারের পরও পাত্রে খাবার আগের চেয়ে বেশি রয়ে গেছে। তখন স্ত্রীকে বললেন, হে বনী ফিরাস গোত্রের বোন! ব্যাপার কী? তিনি বললেন, হে আমার নয়নমণি! খাদ্যের পরিমাণ এখন তিনগুণের চেয়েও অধিক রয়েছে। আবূ বকর (রাঃ) তা হতে কয়েক লোকমা খেলেন এবং বললেন, আমার কসম শয়তানের প্ররোচনায় ছিল। অতঃপর অবশিষ্ট খাদ্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়ে গেলেন এবং ভোর পর্যন্ত ঐ খাদ্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হিফাযতে রইল। রাবী বলেন, আমাদের ও অন্য একটি গোত্রের মধ্যে সন্ধি ছিল। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াতে তাদের মোকাবেলা করার জন্য আমাদের বার জনকে নেতা বানানো হল। প্রত্যেক নেতার অধীনে আবার কয়েকজন করে লোক ছিল। আল্লাহ্ই ভাল জানেন তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে কতজন করে দেয়া হয়েছিল! ‘আবদুর রহমান (রাঃ) বলেন, এদের সকলেই এ খাবার হতে খেয়ে নিলেন। অথবা তিনি যেমন বলেছেন। (৬০২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩২৫)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ أَبِيْهِ حَدَّثَنَا أَبُوْ عُثْمَانَ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِيْ بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفَّةِ كَانُوْا أُنَاسًا فُقَرَاءَ وَأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَّةً مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ فَلْيَذْهَبْ بِثَالِثٍ وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ أَوْ سَادِسٍ أَوْ كَمَا قَالَ وَأَنَّ أَبَا بَكْرٍ جَاءَ بِثَلَاثَةٍ وَانْطَلَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعَشَرَةٍ وَأَبُوْ بَكْرٍ ثَلَاثَةً قَالَ فَهُوَ أَنَا وَأَبِيْ وَأُمِّيْ وَلَا أَدْرِيْ هَلْ قَالَ امْرَأَتِيْ وَخَادِمِيْ بَيْنَ بَيْتِنَا وَبَيْنَ بَيْتِ أَبِيْ بَكْرٍ وَأَنَّ أَبَا بَكْرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ لَبِثَ حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءَ ثُمَّ رَجَعَ فَلَبِثَ حَتَّى تَعَشَّى رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنْ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللهُ قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ مَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ أَوْ ضَيْفِكَ قَالَ أَوَعَشَّيْتِهِمْ قَالَتْ أَبَوْا حَتَّى تَجِيءَ قَدْ عَرَضُوْا عَلَيْهِمْ فَغَلَبُوْهُمْ فَذَهَبْتُ فَاخْتَبَأْتُ فَقَالَ يَا غُنْثَرُ فَجَدَّعَ وَسَبَّ وَقَالَ كُلُوْا وَقَالَ لَا أَطْعَمُهُ أَبَدًا قَالَ وَايْمُ اللهِ مَا كُنَّا نَأْخُذُ مِنْ اللُّقْمَةِ إِلَّا رَبَا مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا حَتَّى شَبِعُوْا وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبْلُ فَنَظَرَ أَبُوْ بَكْرٍ فَإِذَا شَيْءٌ أَوْ أَكْثَرُ قَالَ لِامْرَأَتِهِ يَا أُخْتَ بَنِيْ فِرَاسٍ قَالَتْ لَا وَقُرَّةِ عَيْنِيْ لَهِيَ الْآنَ أَكْثَرُ مِمَّا قَبْلُ بِثَلَاثِ مَرَّاتٍ فَأَكَلَ مِنْهَا أَبُوْ بَكْرٍ وَقَالَ إِنَّمَا كَانَ الشَّيْطَانُ يَعْنِيْ يَمِيْنَهُ ثُمَّ أَكَلَ مِنْهَا لُقْمَةً ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَهْدٌ فَمَضَى الأَجَلُ فَتَفَرَّقْنَا اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ اللهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ غَيْرَ أَنَّهُ بَعَثَ مَعَهُمْ قَالَ أَكَلُوْا مِنْهَا أَجْمَعُوْنَ أَوْ كَمَا قَالَ وَغَيْرُهُ يَقُوْلُ فَعَرَفْنَا مِنْ الْعِرَافَةِ
Narrated `Abdur-Rahman bin Abi Bakr:
The companions of Suffa were poor people. The Prophet (ﷺ) once said, "Whoever has food enough for two persons, should take a third one (from among them), and whoever has food enough for four persons, should take a fifth or a sixth (or said something similar)." Abu Bakr brought three persons while the Prophet (ﷺ) took ten. And Abu Bakr with his three family member (who were I, my father and my mother) (the sub-narrator is in doubt whether `Abdur-Rahman said, "My wife and my servant who was common for both my house and Abu Bakr's house.") Abu Bakr took his supper with the Prophet (ﷺ) and stayed there till he offered the `Isha' prayers. He returned and stayed till Allah's Messenger (ﷺ) took his supper. After a part of the night had passed, he returned to his house. His wife said to him, "What has detained you from your guests?" He said, "Have you served supper to them?" She said, "They refused to take supper until you come. They (i.e. some members of the household) presented the meal to them but they refused (to eat)" I went to hide myself and he said, "O Ghunthar!" He invoked Allah to cause my ears to be cut and he rebuked me. He then said (to them): Please eat!" and added, I will never eat the meal." By Allah, whenever we took a handful of the meal, the meal grew from underneath more than that handful till everybody ate to his satisfaction; yet the remaining food was more than the original meal. Abu Bakr saw that the food was as much or more than the original amount. He called his wife, "O sister of Bani Firas!" She said, "O pleasure of my eyes. The food has been tripled in quantity." Abu Bakr then started eating thereof and said, "It (i.e. my oath not to eat) was because of Sa all." He took a handful from it, and carried the rest to the Prophet. So that food was with the Prophet (ﷺ) . There was a treaty between us and some people, and when the period of that treaty had elapsed, he divided US into twelve groups, each being headed by a man. Allah knows how many men were under the command of each leader. Anyhow, the Prophet (ﷺ) surely sent a leader with each group. Then all of them ate of that meal.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৮২. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে একবার মদিনা্বাসী অনাবৃষ্টির কারণে দুর্ভিক্ষে নিপতিত হল। এ সময় কোন এক জুমু‘আর দিনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুত্বা দিয়েছিলেন, তখন এক লোক উঠে দাঁড়াল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ঘোড়াগুলো নষ্ট হয়ে গেল, বকরীগুলো ধ্বংস হয়ে গেল। আল্লাহর নিকটে বৃষ্টির জন্য দু’আ করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৎক্ষণাৎ দু’হাত উঠিয়ে দু’আ করলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন আকাশ কাঁচের মত নির্মল ছিল। হঠাৎ মেঘ সৃষ্টিকারী বাতাস শুরু হল এবং মেঘ ঘনীভূত হয়ে গেল। অতঃপর শুরু হল প্রবল বৃষ্টিপাত যেন আকাশ তার দরজা খুলে দিল। আমরা পানি ভেঙ্গে বাড়ী পৌঁছলাম। পরবর্তী শুক্রবার পর্যন্ত অনবরত বৃষ্টিপাত হল। ঐ শুক্রবারে জুমু‘আর সময় ঐ ব্যক্তি বা অন্য কেউ দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! গৃহগুলো ধ্বংস হয়ে গেল। বৃষ্টি বন্ধের জন্য আল্লাহর নিকটে দু’আ করুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসলেন এবং বললেন, আমাদের আশে পাশে বৃষ্টি হোক। আমাদের উপর নয়। [আনাস (রাঃ) বলেন,] তখন আমি দেখলাম, মদিনা্ আকাশ হতে মেঘরাশি চারিদিকে সরে গেছে আর মদিনা্কে মুকুটের মত মনে হচ্ছে। (৯৩২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩২৬)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيْزِ عَنْ أَنَسٍ وَعَنْ يُونُسَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ أَصَابَ أَهْلَ الْمَدِيْنَةِ قَحْطٌ عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَبَيْنَا هُوَ يَخْطُبُ يَوْمَ جُمُعَةٍ إِذْ قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ هَلَكَتْ الْكُرَاعُ هَلَكَتْ الشَّاءُ فَادْعُ اللهَ يَسْقِيْنَا فَمَدَّ يَدَيْهِ وَدَعَا قَالَ أَنَسٌ وَإِنَّ السَّمَاءَ لَمِثْلُ الزُّجَاجَةِ فَهَاجَتْ رِيْحٌ أَنْشَأَتْ سَحَابًا ثُمَّ اجْتَمَعَ ثُمَّ أَرْسَلَتْ السَّمَاءُ عَزَالِيَهَا فَخَرَجْنَا نَخُوضُ الْمَاءَ حَتَّى أَتَيْنَا مَنَازِلَنَا فَلَمْ نَزَلْ نُمْطَرُ إِلَى الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى فَقَامَ إِلَيْهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ أَوْ غَيْرُهُ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ تَهَدَّمَتْ الْبُيُوْتُ فَادْعُ اللهَ يَحْبِسْهُ فَتَبَسَّمَ ثُمَّ قَالَ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا فَنَظَرْتُ إِلَى السَّحَابِ تَصَدَّعَ حَوْلَ الْمَدِيْنَةِ كَأَنَّهُ إِكْلِيْلٌ
Narrated Anas:
Once during the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ), the people of Medina suffered from drought. So while the Prophet was delivering a sermon on a Friday a man got up saying, "O Allah's Messenger (ﷺ)! The horses and sheep have perished. Will you invoke Allah to bless us with rain?" The Prophet (ﷺ) lifted both his hands and invoked. The sky at that time was as clear as glass. Suddenly a wind blew, raising clouds that gathered together, and it started raining heavily. We came out (of the Mosque) wading through the flowing water till we reached our homes. It went on raining till the next Friday, when the same man or some other man stood up and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! The houses have collapsed; please invoke Allah to withhold the rain." On that the Prophet (ﷺ) smiled and said, "O Allah, (let it rain) around us and not on us." I then looked at the clouds to see them separating forming a sort of a crown round Medina.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৮৩. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুরের একটি কান্ডের সঙ্গে খুত্বা প্রদান করতেন। যখন মিম্বার তৈরি করে দেয়া হল। তখন তিনি মিম্বরে উঠে খুত্বা দিতে লাগলেন। কান্ডটি তখন কাঁদতে শুরু করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কান্ডটির নিকটে গিয়ে হাত বুলাতে লাগলেন। উপরোক্ত হাদীসটি ‘আবদুল হামীদ ও আবূ ‘আসিম (রহ.).....ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে.....নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একইভাবে বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩২৭)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيْرٍ أَبُوْ غَسَّانَ حَدَّثَنَا أَبُوْ حَفْصٍ وَاسْمُهُ عُمَرُ بْنُ الْعَلَاءِ أَخُوْ أَبِيْ عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ قَالَ سَمِعْتُ نَافِعًا عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ إِلَى جِذْعٍ فَلَمَّا اتَّخَذَ الْمِنْبَرَ تَحَوَّلَ إِلَيْهِ فَحَنَّ الْجِذْعُ فَأَتَاهُ فَمَسَحَ يَدَهُ عَلَيْهِ وَقَالَ عَبْدُ الْحَمِيْدِ أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ الْعَلَاءِ عَنْ نَافِعٍ بِهَذَا وَرَوَاهُ أَبُوْ عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ أَبِيْ رَوَّادٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) used to deliver his sermons while standing beside a trunk of a datepalm. When he had the pulpit made, he used it instead. The trunk started crying and the Prophet (ﷺ) went to it, rubbing his hand over it (to stop its crying).
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৮৪. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বৃক্ষের উপর কিংবা একটি খেজুর বৃক্ষের কান্ডের উপর শুক্রবারে খুত্বা দেয়ার জন্য দাঁড়াতেন। এমতাবস্থায় একজন আনসারী মহিলা অথবা একজন পুরুষ বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার জন্য একটি মিম্বার বানিয়ে দিব? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের ইচ্ছে হলে দিতে পার। অতঃপর তারা একটি কাঠের মিম্বার বানিয়ে দিলেন। যখন শুক্রবার এল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে বসলেন, তখন কান্ডটি শিশুর মত চীৎকার করে কাঁদতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বার হতে নেমে এসে ওটাকে জড়িয়ে ধরলেন। কিন্তু কান্ডটি শিশুর মত আরো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। রাবী বলেন, কান্ডটি এজন্য কাঁদছিল যেহেতু সে খুত্বাকালে যিক্র শুন্তে পেত। (৪৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩২৮)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ أَيْمَنَ قَالَ سَمِعْتُ أَبِيْ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُومُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَى شَجَرَةٍ أَوْ نَخْلَةٍ فَقَالَتْ امْرَأَةٌ مِنْ الأَنْصَارِ أَوْ رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَا نَجْعَلُ لَكَ مِنْبَرًا قَالَ إِنْ شِئْتُمْ فَجَعَلُوْا لَهُ مِنْبَرًا فَلَمَّا كَانَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ دُفِعَ إِلَى الْمِنْبَرِ فَصَاحَتْ النَّخْلَةُ صِيَاحَ الصَّبِيِّ ثُمَّ نَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَضَمَّهُ إِلَيْهِ تَئِنُّ أَنِيْنَ الصَّبِيِّ الَّذِيْ يُسَكَّنُ قَالَ كَانَتْ تَبْكِيْ عَلَى مَا كَانَتْ تَسْمَعُ مِنْ الذِّكْرِ عِنْدَهَا
Narrated Jabir bin `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) used to stand by a tree or a date-palm on Friday. Then an Ansari woman or man said. "O Allah's Messenger (ﷺ)! Shall we make a pulpit for you?" He replied, "If you wish." So they made a pulpit for him and when it was Friday, he proceeded towards the pulpit (for delivering the sermon). The datepalm cried like a child! The Prophet (ﷺ) descended (the pulpit) and embraced it while it continued moaning like a child being quietened. The Prophet (ﷺ) said, "It was crying for (missing) what it used to hear of religious knowledge given near to it."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৮৫. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, প্রথম দিকে খেজুরের কয়েকটি কান্ডের উপর মসজিদে নববীর ছাদ করা হয়েছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই খুত্বা দানের ইচ্ছা করতেন, তখন একটি কান্ডে হেলান দিয়ে দাঁড়াতেন। অতঃপর তাঁর জন্য মিম্বার তৈরি করে দেয়া হলে তিনি সেই মিম্বারে উঠে দাঁড়াতেন। ঐ সময় আমরা কান্ডটি হতে দশ মাসের গর্ভবতী উষ্ট্রীর স্বরের মত কান্নার আওয়াজ শুনলাম। শেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে এসে তাকে হাত বুলিয়ে সোহাগ করলেন। অতঃপর কান্ডটি শান্ত হল। (৪৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩২৯)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَخِيْ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ حَفْصُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُوْلُ كَانَ الْمَسْجِدُ مَسْقُوفًا عَلَى جُذُوعٍ مِنْ نَخْلٍ فَكَانَ النَّبِيُّ إِذَا خَطَبَ يَقُومُ إِلَى جِذْعٍ مِنْهَا فَلَمَّا صُنِعَ لَهُ الْمِنْبَرُ وَكَانَ عَلَيْهِ فَسَمِعْنَا لِذَلِكَ الْجِذْعِ صَوْتًا كَصَوْتِ الْعِشَارِ حَتَّى جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهَا فَسَكَنَتْ
Narrated Anas bin Malik:
That he heard Jabir bin `Abdullah saying, "The roof of the Mosque was built over trunks of datepalms working as pillars. When the Prophet (ﷺ) delivered a sermon, he used to stand by one of those trunks till the pulpit was made for him, and he used it instead. Then we heard the trunk sending a sound like of a pregnant she-camel till the Prophet (ﷺ) came to it, and put his hand over it, then it became quiet."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৮৬. ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফিতনা সম্বন্ধীয় হাদীস স্মরণ রেখেছ যেমনভাবে তিনি বর্ণনা করেছেন। হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, আমিই সর্বাধিক মনে রেখেছি। ‘উমার (রাঃ) বললেন, বর্ণনা কর, তুমি তো অত্যন্ত সাহসী ব্যক্তি। হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ এবং প্রতিবেশি দ্বারা সৃষ্ট ফিতনা-ফাসাদের ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে সালাত, সাদ্কা এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করার দ্বারা। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি এ ধরনের ফিতনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিনি বরং উদ্বেলিত সমুদ্রের ঢেউয়ের মত ভীষণ আঘাত হানে ঐ ধরনের ফিতনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি। হুযাইফাহ (রাঃ) বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! এ ধরনের ফিতনা সম্পর্কে আপনার শঙ্কিত হবার কোন কারণ নেই। আপনার এবং এ জাতীয় ফিতনার মধ্যে এশটি সুদৃঢ় কপাট বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। ‘উমার (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এ কপাটটি কি খোলা হবে, না ভেঙ্গে ফেলা হবে? হুযাইফাহ (রাঃ) বলেন, ভেঙ্গে ফেলা হবে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তা হলে এ কপাটটি আর সহজে বন্ধ করা যাবে না। আমরা হুযাইফাহ্কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘উমার (রাঃ) কি জানতেন, ঐ কপাট দ্বারা কাকে বুঝানো হয়েছে? তিনি বললেন, অবশ্যই; যেমন নিশ্চিতভাবে জানতেন আগামী দিনের পূর্বে আজ রাতের আগমন অনিবার্য। আমি তাঁকে এমন একটি হাদীস শুনিয়েছি, যাতে ভুল-চুকের সুযোগ নেই। আমরা হুযাইফাহ্কে ভয়ে জিজ্ঞেস করতে সাহস পাইনি, তাই মাসরূককে বললাম, মাসরূক (রহ.) জিজ্ঞেস করলেন, এ বন্ধ কপাট কে? হুযাইফাহ (রাঃ) বললেন, ‘উমার (রাঃ) স্বয়ং। (৫২৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৩০)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ عَدِيٍّ عَنْ شُعْبَةَ ح حَدَّثَنِيْ بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يُحَدِّثُ عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ أَيُّكُمْ يَحْفَظُ قَوْلَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفِتْنَةِ فَقَالَ حُذَيْفَةُ أَنَا أَحْفَظُ كَمَا قَالَ قَالَ هَاتِ إِنَّكَ لَجَرِيءٌ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِيْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَجَارِهِ تُكَفِّرُهَا الصَّلَاةُ وَالصَّدَقَةُ وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيُ عَنْ الْمُنْكَرِ قَالَ لَيْسَتْ هَذِهِ وَلَكِنْ الَّتِيْ تَمُوْجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ قَالَ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ لَا بَأْسَ عَلَيْكَ مِنْهَا إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا قَالَ يُفْتَحُ الْبَابُ أَوْ يُكْسَرُ قَالَ لَا بَلْ يُكْسَرُ قَالَ ذَاكَ أَحْرَى أَنْ لَا يُغْلَقَ قُلْنَا عَلِمَ عُمَرُ الْبَابَ قَالَ نَعَمْ كَمَا أَنَّ دُوْنَ غَدٍ اللَّيْلَةَ إِنِّيْ حَدَّثْتُهُ حَدِيْثًا لَيْسَ بِالأَغَالِيْطِ فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَهُ وَأَمَرْنَا مَسْرُوقًا فَسَأَلَهُ فَقَالَ مَنْ الْبَابُ قَالَ عُمَرُ
Narrated Hudhaifa:
Once `Umar bin Al-Khattab said, said, "Who amongst you remembers the statement of Allah's Apostle regarding the afflictions?" Hudhaifa replied, "I remember what he said exactly." `Umar said. "Tell (us), you are really a daring man!'' Hudhaifa said, "Allah's Messenger (ﷺ) said, 'A man's afflictions (i.e. wrong deeds) concerning his relation to his family, his property and his neighbors are expiated by his prayers, giving in charity and enjoining what is good and forbidding what is evil.' " `Umar said, "I don't mean these afflictions but the afflictions that will be heaving up and down like waves of the sea." Hudhaifa replied, "O chief of the believers! You need not fear those (afflictions) as there is a closed door between you and them." `Umar asked, "Will that door be opened or broken?" Hudhaifa replied, "No, it will be broken." `Umar said, "Then it is very likely that the door will not be closed again." Later on the people asked Hudhaifa, "Did `Umar know what that door meant?" He said. "Yes, `Umar knew it as everyone knows that there will be night before the tomorrow morning. I narrated to `Umar an authentic narration, not lies." We dared not ask Hudhaifa; therefore we requested Masruq who asked him, "What does the door stand for?" He said, "`Umar."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৮৭. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না তোমাদের যুদ্ধ হবে এমন এক জাতির সঙ্গে যাদের পায়ের জুতা হবে পশমের এবং যতক্ষণ না তোমাদের যুদ্ধ হবে তুর্কিদের সাথে যাদের চক্ষু ছোট, নাক চ্যাপ্টা, চেহারা লাল বর্ণ যেন তাদের চেহারা পেটানো ঢাল। (২৯২৮) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৩১ প্রথমাংশ)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنَا أَبُوْ الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُوْ الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوْا قَوْمًا نِعَالُهُمْ الشَّعَرُ وَحَتَّى تُقَاتِلُوْا التُّرْكَ صِغَارَ الأَعْيُنِ حُمْرَ الْوُجُوْهِ ذُلْفَ الْأُنُوفِ كَأَنَّ وُجُوْهَهُمْ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "The Hour will not be established till you fight a nation wearing hairy shoes, and till you fight the Turks, who will have small eyes, red faces and flat noses; and their faces will be like flat shields.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৮৮. তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম মানুষ হবে যারা নেতৃত্বে ও শাসন ক্ষমতায় জড়িয়ে না যাওয়া পর্যন্ত একে অত্যন্ত অপছন্দ করবে। মানুষ খণির মত। যারা জাহিলীয়্যাতের যুগে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম, ইসলাম গ্রহণের পরও তারা শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। (৩৪৯৩) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৩১ মধ্যমাংশ)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
وَتَجِدُوْنَ مِنْ خَيْرِ النَّاسِ أَشَدَّهُمْ كَرَاهِيَةً لِهَذَا الأَمْرِ حَتَّى يَقَعَ فِيْهِ وَالنَّاسُ مَعَادِنُ خِيَارُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الْإِسْلَامِ
And you will find that the best people are those who hate responsibility of ruling most of all till they are chosen to be the rulers. And the people are of different natures: The best in the pre-lslamic period are the best in Islam.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৮৯. তোমাদের নিকট এমন যুগ আসবে যখন তোমাদের পরিবার-পরিজনরা ধন-সম্পদের অধিকারী হবার চাইতেও আমার সাক্ষাৎ পাওয়া তার নিকট অত্যন্ত প্রিয় বলে গণ্য হবে। (মুসলিম ৪৩/২৯ হাঃ ২৩৬৪, আহমাদ ৮১৪৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৩১ শেষাংশ)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَى أَحَدِكُمْ زَمَانٌ لَانْ يَرَانِيْ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَكُوْنَ لَهُ مِثْلُ أَهْلِهِ وَمَالِهِ
A time will come when any of you will love to see me rather than to have his family and property doubled."
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৫. ইসলামে নুবুওয়াতের নিদর্শনাবলী।
৩৫৯০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামত সংঘটিত হবেনা যে পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ না হবে খুয ও কিরমান নামক স্থানে (বসবাসরত) অনারব জাতিগুলোর সঙ্গে, যাদের চেহারা লালবর্ণ, চেহারা যেন পিটানো ঢাল, নাক চ্যাপ্টা, চোখ ছোট এবং জুতা পশমের। ইয়াহ্ইয়া ছাড়া অন্যান্য রাবীগণ ও আব্দুর রাজ্জাক (রহ.) হতে পূর্বের হাদীস বর্ণনায় তার অনুসরণ করেছেন। (২৯২৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৩২)
بَابُ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلَامِ
حَدَّثَنِيْ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوْا خُوْزًا وَكَرْمَانَ مِنْ الأَعَاجِمِ حُمْرَ الْوُجُوْهِ فُطْسَ الْأُنُوفِ صِغَارَ الأَعْيُنِ وُجُوْهُهُمْ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ نِعَالُهُمْ الشَّعَرُ تَابَعَهُ غَيْرُهُ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "The Hour will not be established till you fight with the Khudh and the Kirman from among the non-Arabs. They will be of red faces, flat noses and small eyes; their faces will look like flat shields, and their shoes will be of hair."