পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চোখ বন্ধ থাকত কিন্তু তাঁর অন্তর থাকত বিনিদ্র।

رَوَاهُ سَعِيْدُ بْنُ مِيْنَاءَ عَنْ جَابِرٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

সা‘ঈদ ইবনু মীনাআ (রহ.) জাবির (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন।


৩৫৬৯. আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রাহমান (রহ.) হতে বর্ণিত যে, তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, রমাযান মাসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত কেমন ছিল? ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযান মাসে ও অন্যান্য সব মাসের রাতে এগার রাক‘আতের অধিক সালাত আদায় করতেন না। প্রথমে চার রাক‘আত পড়তেন। এ চার রাক‘আত আদায়ের সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর আরো চার রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। এ চার রাক‘আতের সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিন রাক‘আত আদায় করতেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিত্র সালাত আদায়ের পূর্বে ঘুমিয়ে পড়েন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার চোখ ঘুমায়, আমার অন্তর ঘুমায় না। (১১৪৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩১৩)

 

بَابُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تَنَامُ عَيْنُهُ وَلَا يَنَامُ قَلْبُهُ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ سَعِيْدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَيْفَ كَانَتْ صَلَاةُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ رَمَضَانَ قَالَتْ مَا كَانَ يَزِيْدُ فِيْ رَمَضَانَ وَلَا فِيْ غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّيْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ أَرْبَعًا فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ ثَلَاثًا فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ تَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوْتِرَ قَالَ تَنَامُ عَيْنِيْ وَلَا يَنَامُ قَلْبِي

حدثنا عبد الله بن مسلمة عن مالك عن سعيد المقبري عن ابي سلمة بن عبد الرحمن انه سال عاىشة رضي الله عنها كيف كانت صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم في رمضان قالت ما كان يزيد في رمضان ولا في غيره على احدى عشرة ركعة يصلي اربع ركعات فلا تسال عن حسنهن وطولهن ثم يصلي اربعا فلا تسال عن حسنهن وطولهن ثم يصلي ثلاثا فقلت يا رسول الله تنام قبل ان توتر قال تنام عيني ولا ينام قلبي


Narrated Abu Salama bin `Abdur-Rahman:

That he asked `Aisha "How was the prayer of Allah's Messenger (ﷺ) in the month of Ramadan?" She replied, "He used not to pray more than eleven rak`at whether in Ramadan or in any other month. He used to offer four rak`at, let alone their beauty and length, and then four rak`at, let alone their beauty and length. Afterwards he would offer three rak`at. I said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Do you go to bed before offering the witr prayer?' He said, 'My eyes sleep, but my heart does not sleep."'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬১/ মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য (كتاب المناقب) 61/ Virtues and Merits of the Prophet (pbuh) and his Companions

পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চোখ বন্ধ থাকত কিন্তু তাঁর অন্তর থাকত বিনিদ্র।

৩৫৭০. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি মসজিদে কা‘বা হতে রাতে অনুষ্ঠিত ইসরা-এর ঘটনা বর্ণনা করছিলেন যে, তিন ব্যক্তি তাঁর নিকট হাযির হলেন মি‘রাজ সম্পর্কে ওয়াহী অবতরণের পূর্বে। তখন তিনি মাসজিদুল হারামে ঘুমিয়ে ছিলেন। তাঁদের প্রথম জন বলল, তাদের কোন জন তিনি? মাঝের জন উত্তর দিল, তিনিই তাদের শ্রেষ্ঠ জন। আর শেষজন বলল, শ্রেষ্ঠ জনকে নিয়ে চল। এ রাতে এটুকুই হলো এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাদেরকে আর দেখেন নাই। অতঃপর আর এক রাতে তাঁরা আসলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্তর তা দেখতে পাচ্ছিল। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চোখ ঘুমাত কিন্তু তাঁর অন্তর কখনও ঘুমাত না। এভাবে সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের চোখ ঘুমাত কিন্তু অন্তর ঘুমাত না। অতঃপর জিব্রাঈল (আঃ) দায়িত্ব গ্রহণ করলেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নিয়ে আকাশের দিকে চড়তে লাগলেন। (৪৯৬৪, ৫৬১০, ৬৫৮১, ৭৫১৭, মুসলিম ১/৭৪ হাঃ ১৬২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩১৪)

بَابُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تَنَامُ عَيْنُهُ وَلَا يَنَامُ قَلْبُهُ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَخِيْ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ نَمِرٍ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُنَا عَنْ لَيْلَةِ أُسْرِيَ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَسْجِدِ الْكَعْبَةِ جَاءَهُ ثَلَاثَةُ نَفَرٍ قَبْلَ أَنْ يُوْحَى إِلَيْهِ وَهُوَ نَائِمٌ فِيْ مَسْجِدِ الْحَرَامِ فَقَالَ أَوَّلُهُمْ أَيُّهُمْ هُوَ فَقَالَ أَوْسَطُهُمْ هُوَ خَيْرُهُمْ وَقَالَ آخِرُهُمْ خُذُوْا خَيْرَهُمْ فَكَانَتْ تِلْكَ فَلَمْ يَرَهُمْ حَتَّى جَاءُوْا لَيْلَةً أُخْرَى فِيْمَا يَرَى قَلْبُهُ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نَائِمَةٌ عَيْنَاهُ وَلَا يَنَامُ قَلْبُهُ وَكَذَلِكَ الأَنْبِيَاءُ تَنَامُ أَعْيُنُهُمْ وَلَا تَنَامُ قُلُوْبُهُمْ فَتَوَلَاهُ جِبْرِيْلُ ثُمَّ عَرَجَ بِهِ إِلَى السَّمَاءِ

حدثنا اسماعيل قال حدثني اخي عن سليمان عن شريك بن عبد الله بن ابي نمر سمعت انس بن مالك يحدثنا عن ليلة اسري بالنبي صلى الله عليه وسلم من مسجد الكعبة جاءه ثلاثة نفر قبل ان يوحى اليه وهو ناىم في مسجد الحرام فقال اولهم ايهم هو فقال اوسطهم هو خيرهم وقال اخرهم خذوا خيرهم فكانت تلك فلم يرهم حتى جاءوا ليلة اخرى فيما يرى قلبه والنبي صلى الله عليه وسلم ناىمة عيناه ولا ينام قلبه وكذلك الانبياء تنام اعينهم ولا تنام قلوبهم فتولاه جبريل ثم عرج به الى السماء


Narrated Sharik bin `Abdullah bin Abi Namr:

I heard Anas bin Malik telling us about the night when the Prophet (ﷺ) was made to travel from the Ka`ba Mosque. Three persons (i.e. angels) came to the Prophet (ﷺ) before he was divinely inspired was an Aspostle), while he was sleeping in Al Masjid-ul-Haram. The first (of the three angels) said, "Which of them is he?" The second said, "He is the best of them." That was all that happened then, and he did not see them till they came at another night and he perceived their presence with his heart, for the eyes of the Prophet (ﷺ) were closed when he was asleep, but his heart was not asleep (not unconscious). This is characteristic of all the prophets: Their eyes sleep but their hearts do not sleep. Then Gabriel took charge of the Prophet (ﷺ) and ascended along with him to the Heaven.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬১/ মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য (كتاب المناقب) 61/ Virtues and Merits of the Prophet (pbuh) and his Companions
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে