পরিচ্ছেদঃ ৫২/১১. অন্ধের সাক্ষ্যদান করা, কোন বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত দান করা, তার বিয়ে করা, কাউকে বিয়ে দেয়া, তার ক্রয়-বিক্রয় করা, তার আযান দেয়া ইত্যাদি ব্যাপারে তাকে অনুমোদন করা এবং আওয়াজে পরিচয় করা।
وَأَجَازَ شَهَادَتَهُ قَاسِمٌ وَالْحَسَنُ وَابْنُ سِيْرِيْنَ وَالزُّهْرِيُّ وَعَطَاءٌ وَقَالَ الشَّعْبِيُّ تَجُوْزُ شَهَادَتُهُ إِذَا كَانَ عَاقِلًا وَقَالَ الْحَكَمُ رُبَّ شَيْءٍ تَجُوْزُ فِيْهِ وَقَالَ الزُّهْرِيُّ أَرَأَيْتَ ابْنَ عَبَّاسٍ لَوْ شَهِدَ عَلَى شَهَادَةٍ أَكُنْتَ تَرُدُّهُ وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَبْعَثُ رَجُلًا إِذَا غَابَتْ الشَّمْسُ أَفْطَرَ وَيَسْأَلُ عَنْ الْفَجْرِ فَإِذَا قِيْلَ لَهُ طَلَعَ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَقَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ اسْتَأْذَنْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَعَرَفَتْ صَوْتِيْ قَالَتْ سُلَيْمَانُ ادْخُلْ فَإِنَّكَ مَمْلُوكٌ مَا بَقِيَ عَلَيْكَ شَيْءٌ وَأَجَازَ سَمُرَةُ بْنُ جُنْدُبٍ شَهَادَةَ امْرَأَةٍ مُنْتَقِبَةٍ
কাসিম, হাসান, ইবনু সীরীন, যুহরী ও ‘আত্বা (রহ.) অন্ধের সাক্ষ্যদান অনুমোদন করেছেন। ইমাম শাবী (রহ.) বলেন, বুদ্ধিমান হলে তার সাক্ষ্যদান বৈধ। হাকাম (রহ.) বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেখানে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। ইমাম যুহরী (রহ.) বলেন, তুমি কি মনে কর যে, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দিলে তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে? ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) (দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ায়) জনৈক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে সূর্য ডুবেছে কিনা জেনে নিয়ে ইফতার করতেন। অনুরূপভাবে ফজরের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। ফজর হয়েছে বলা হলে তিনি দু’রাকআত সালাত আদায় করতেন। সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহ.) বলেন, একবার আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট সাক্ষাতের অনুমতি চাইলাম। তিনি আমার আওয়াজ চিনতে পেরে বললেন, সুলাইমান না কি, এসো! তোমার সঙ্গে পর্দার প্রয়োজন নেই। (কেননা) যতক্ষণ (মুকাতাবাতের দেয় অর্থের) সামান্য পরিমাণও বাকি থাকবে ততক্ষণ তুমি গোলাম। সামূরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) মুখমণ্ডল আচ্ছাদিতা নারীর সাক্ষ্যদান অনুমোদন করেছেন।
২৬৫৫. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জনৈক ব্যক্তিকে মসজিদে (কুরআন) পড়তে শুনলেন। তিনি বললেন, আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন। সে আমাকে অমুক অমুক আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, যা আমি অমুক অমুক সূরা হতে ভুলে গিয়েছিলাম। ‘আববাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ.) ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে এতটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার ঘরে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলেন। সে সময় তিনি মসজিদে সালাত রত ‘আববাদের আওয়াজ শুনতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, হে ‘আয়িশাহ! এটা কি ‘আববাদের কণ্ঠস্বর? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ ‘আববাদের প্রতি রহম করুন।(৫০৩৭, ৫০৩৮, ৫০৪২, ৬৩৩৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৭৯)
بَابُ شَهَادَةِ الأَعْمَى وَأَمْرِهِ وَنِكَاحِهِ وَإِنْكَاحِهِ وَمُبَايَعَتِهِ وَقَبُوْلِهِ فِي التَّأْذِيْنِ وَغَيْرِهِ وَمَا يُعْرَفُ بِالأَصْوَاتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونٍ أَخْبَرَنَا عِيْسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ سَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلًا يَقْرَأُ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ رَحِمَهُ اللهُ لَقَدْ أَذْكَرَنِيْ كَذَا وَكَذَا آيَةً أَسْقَطْتُهُنَّ مِنْ سُوْرَةِ كَذَا وَكَذَا وَزَادَ عَبَّادُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ عَائِشَةَ تَهَجَّدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ بَيْتِيْ فَسَمِعَ صَوْتَ عَبَّادٍ يُصَلِّيْ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَا عَائِشَةُ أَصَوْتُ عَبَّادٍ هَذَا قُلْتُ نَعَمْ قَالَ اللَّهُمَّ ارْحَمْ عَبَّادًا
Narrated `Aisha:
The Prophet (ﷺ) heard a man (reciting Qur'an) in the Mosque, and he said, "May Allah bestow His Mercy upon him. No doubt, he made me remember such-and such Verses of such-and-such Sura which I dropped (from my memory). Narrated Aisha: The Prophet (ﷺ) performed the Tahajjud prayer in my house, and then he heard the voice of `Abbad who was praying in the Mosque, and said, "O `Aisha! Is this `Abbad's voice?" I said, "Yes." He said, "O Allah! Be merciful to `Abbad!"
পরিচ্ছেদঃ ৫২/১১. অন্ধের সাক্ষ্যদান করা, কোন বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত দান করা, তার বিয়ে করা, কাউকে বিয়ে দেয়া, তার ক্রয়-বিক্রয় করা, তার আযান দেয়া ইত্যাদি ব্যাপারে তাকে অনুমোদন করা এবং আওয়াজে পরিচয় করা।
২৬৫৬. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, বিলাল (রাঃ) রাত থাকতেই আযান দিয়ে থাকে। সুতরাং ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) আযান দেয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার করতে পার। অথবা তিনি বলেন, ইবনু উম্মে মাকতূমের আযান শোনা পর্যন্ত। ইবনু মাকতূম (রাঃ) অন্ধ ছিলেন, ‘সকাল হয়েছে’ লোকেরা এ কথা তাকে না বলা পর্যন্ত তিনি আযান দিতেন না। (৬১৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৮০)
بَابُ شَهَادَةِ الأَعْمَى وَأَمْرِهِ وَنِكَاحِهِ وَإِنْكَاحِهِ وَمُبَايَعَتِهِ وَقَبُوْلِهِ فِي التَّأْذِيْنِ وَغَيْرِهِ وَمَا يُعْرَفُ بِالأَصْوَاتِ
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ أَبِيْ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ بِلَالًا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا حَتَّى يُؤَذِّنَ أَوْ قَالَ حَتَّى تَسْمَعُوْا أَذَانَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ وَكَانَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ رَجُلًا أَعْمَى لَا يُؤَذِّنُ حَتَّى يَقُوْلَ لَهُ النَّاسُ أَصْبَحْتَ
Narrated `Abdullah bin `Umar:
The Prophet (ﷺ) said, "Bilal pronounces the Adhan when it is still night (before dawn), so eat and drink till the next Adhan is pronounced (or till you hear Ibn Um Maktum's Adhan)." Ibn Um Maktum was a blind man who would not pronounce the Adhan till he was told that it was dawn.
পরিচ্ছেদঃ ৫২/১১. অন্ধের সাক্ষ্যদান করা, কোন বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত দান করা, তার বিয়ে করা, কাউকে বিয়ে দেয়া, তার ক্রয়-বিক্রয় করা, তার আযান দেয়া ইত্যাদি ব্যাপারে তাকে অনুমোদন করা এবং আওয়াজে পরিচয় করা।
২৬৫৭. মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট ‘কাবা’ (পোশাক) আসল। আমার পিতা মাখরামাহ (রাঃ) তা শুনে আমাকে বললেন, আমাকে তাঁর নিকট নিয়ে চল। সেখান থেকে তিনি আমাদের কিছু দিতেও পারেন। আমার পিতা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার আওয়াজ চিনতে পারলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন একটি ‘কাবা’ সঙ্গে করে বেরিয়ে এলেন, তিনি তার সৌন্দর্য বর্ণনা করছিলেন এবং বলছিলেন, আমি এটা তোমার জন্য যত্ন করে রেখেছিলাম। আমি এটা তোমার জন্য যত্ন করে রেখেছিলাম। (২৫৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৮১)
بَابُ شَهَادَةِ الأَعْمَى وَأَمْرِهِ وَنِكَاحِهِ وَإِنْكَاحِهِ وَمُبَايَعَتِهِ وَقَبُوْلِهِ فِي التَّأْذِيْنِ وَغَيْرِهِ وَمَا يُعْرَفُ بِالأَصْوَاتِ
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ وَرْدَانَ حَدَّثَنَا أَيُّوْبُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ مُلَيْكَةَ عَنْ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَدِمَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَقْبِيَةٌ فَقَالَ لِيْ أَبِيْ مَخْرَمَةُ انْطَلِقْ بِنَا إِلَيْهِ عَسَى أَنْ يُعْطِيَنَا مِنْهَا شَيْئًا فَقَامَ أَبِيْ عَلَى الْبَابِ فَتَكَلَّمَ فَعَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَوْتَهُ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهُ قَبَاءٌ وَهُوَ يُرِيْهِ مَحَاسِنَهُ وَهُوَ يَقُوْلُ خَبَأْتُ هَذَا لَكَ خَبَأْتُ هَذَا لَكَ
Narrated Al-Miswar bin Makhrama:
Some outer garments were received the Prophet (ﷺ) and my father (Makhrama) said to me, "Let us go to the Prophet (ﷺ) so that he may give us something from the garments." So, my father stood at the door and spoke. The Prophet (ﷺ) recognized his voice and came out carrying a garment and telling Makhrama the good qualities of that garment, adding, "I have kept this for you, I have sent this for you."