পরিচ্ছেদঃ ১৯/১১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইবাদাতে রাত জাগরণ এবং তাঁর ঘুমানো আর রাত জাগার যতটুকু রহিত করা হয়েছে।

الْقُرْآنَ تَرْتِيلاً إِنَّا سَنُلْقِي عَلَيْكَ قَوْلاً ثَقِيلاً إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وِطَاءً وَأَقْوَمُ قِيلاً إِنَّ لَكَ فِي النَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلاً( وَقَوْلُهُ )عَلِمَ أَنْ لَنْ تُحْصُوهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ عَلِمَ أَنْ سَيَكُونُ مِنْكُمْ مَرْضَى وَآخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِي الْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِنْ فَضْلِ اللهِ وَآخَرُونَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللهِ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ وَأَقِيمُوا الصَّلاَةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَقْرِضُوا اللهَ قَرْضًا حَسَنًا وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ مِنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِنْدَ اللهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا(

قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا نَشَأَ قَامَ بِالْحَبَشِيَّةِ وِطَاءً قَالَ مُوَاطَأَةَ الْقُرْآنِ أَشَدُّ مُوَافَقَةً لِسَمْعِهِ وَبَصَرِهِ وَقَلْبِهِ لِيُوَاطِئُوا لِيُوَافِقُوا.

মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘হে চাদর আবৃত রাসূল! রাতে সালাতে দন্ডায়মান থাকুন সামান্য পরিমাণে রাত বাদ দিয়ে। অর্ধ রাত্রি কিংবা তার চেয়ে কিছু কম। অথবা তার চেয়ে কিছু বৃদ্ধি করুন। আর কুরআন পাঠ করুন ধীরে ধীরে, খুব স্পষ্টভাবে। অবশ্যই আমি আপনার প্রতি অচিরেই এক গুরুভার বাণী অবতীর্ণ করছি। নিশ্চয় রাত্রি জাগরণ প্রবৃত্তি দলনে প্রবলতর এবং বক্তব্যের ব্যাপারে বিশেষ ক্রিয়াশীল। দিনের বেলায় তো রয়েছে আপনার বহু কাজ।’’ (সূরাহ্ মুয্যাম্মিল ৭৩/১-৭)। আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘তিনি অবগত আছেন যে, তোমরা এর যথাযথ হিসাব রাখতে পার না। অতএব, তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হয়েছেন। সুতরাং কুরআনের যতটুকু তোমাদের পক্ষে পাঠ করা সহজ, ততটুকু পাঠ করো। তিনি অবগত আছেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে। কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশভ্রমণ করবে এবং কেউ কেউ আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। অতএব, কুরআনের যতটুকু তিলাওয়াত করা সহজ, ততটুকু তোমরা তিলাওয়াত করো। আর তোমরা সালাত কায়িম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম কর্জ দাও। আর তোমরা নিজেদের মঙ্গলের জন্য যা কিছু নেক কাজ অগ্রে প্রেরণ করবে, আল্লাহর কাছে তা তোমরা পাবে তদপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ পুরস্কার হিসেবে। তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’’ (সূরাহ্ মুয্যাম্মিল ৭৩/২০)।

ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) বলেন, হাবশী ভাষার نَشَأَ  শব্দটির অর্থ قَامَ (উঠে দাঁড়াল) আর وِطَاءً শব্দের অর্থ হল- কুরআনে অধিক অনুকূল। অর্থাৎ তাঁর কান, চোখ এবং হৃদয়ের অধিক অনুকূল এবং তাই তা কুরআনের মর্ম অনুধাবনে অধিকতর উপযোগী। لِيُوَاطِئُوا শব্দের অর্থ হল ‘যাতে তারা সামঞ্জস্য বিধান করতে পারে’।


১১৪১. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কোন মাসে সিয়াম পালন করতেন না। এমন কি আমরা ধারণা করতাম যে, সে মাসে তিনি সিয়াম পালন করবেন না। আবার কোন কোন মাসে সিয়াম পালন করতে থাকতেন, এমন কি আমাদের ধারণা হত যে, সে মাসে তিনি সিয়াম ছাড়বেন না। তাঁকে তুমি সালাত রত অবস্থায় দেখতে চাইলে তাই দেখতে পেতে এবং ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে চাইলে তাও দেখতে পেতে। সুলাইমান ও আবূ খালিদ আহ্মার (রহ.) হুমায়দ (রহ.) হতে হাদীস বর্ণনায় মুহাম্মাদ ইবনু জা‘ফার (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। (১৯৭২, ১৯৭৩, ৩৫৬১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৭৫)

 

بَاب قِيَامِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ مِنْ نَوْمِهِ وَمَا نُسِخَ مِنْ قِيَامِ اللَّيْلِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُفْطِرُ مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يَصُومَ مِنْهُ، وَيَصُومُ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يُفْطِرَ مِنْهُ شَيْئًا، وَكَانَ لاَ تَشَاءُ أَنْ تَرَاهُ مِنَ اللَّيْلِ مُصَلِّيًا إِلاَّ رَأَيْتَهُ وَلاَ نَائِمًا إِلاَّ رَأَيْتَهُ‏.‏ تَابَعَهُ سُلَيْمَانُ وَأَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ عَنْ حُمَيْدٍ‏.‏

حدثنا عبد العزيز بن عبد الله، قال حدثني محمد بن جعفر، عن حميد، انه سمع انسا ـ رضى الله عنه ـ يقول كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يفطر من الشهر حتى نظن ان لا يصوم منه، ويصوم حتى نظن ان لا يفطر منه شيىا، وكان لا تشاء ان تراه من الليل مصليا الا رايته ولا ناىما الا رايته‏.‏ تابعه سليمان وابو خالد الاحمر عن حميد‏.‏


Narrated Anas bin Malik:

Sometimes Allah's Messenger (ﷺ) would not fast (for so many days) that we thought that he would not fast that month and he sometimes used to fast (for so many days) that we thought he would not leave fasting throughout that month and (as regards his prayer and sleep at night), if you wanted to see him praying at night, you could see him praying and if you wanted to see him sleeping, you could see him sleeping.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
১৯/ তাহাজ্জুদ (كتاب التهجد) 19/ Prayer at Night (Tahajjud)