পরিচ্ছেদঃ ১৯/১. রাতের বেলায় তাহজ্জুদ (ঘুম হতে জেগে) সালাত আদায় করা।
وَقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ )وَمِنْ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ(
মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘আর আপনি রাতের এক অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করুন, যা আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য’’। (সূরাহ্ আল-ইসরা ১৭/৭৯)
১১২০. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশে যখন দাঁড়াতেন, তখন দু‘আ পড়তেন- ‘‘হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আপনি আসমান যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আসমান যমীন এবং তাদের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আসমান যমীনের নূর। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আকাশ ও যমীনের মালিক, আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনিই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য; আপনার সাক্ষাৎ সত্য; আপনার বাণী সত্য; জান্নাত সত্য; জাহান্নাম সত্য; নবীগণ সত্য; মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য, কিয়ামত সত্য। ইয়া আল্লাহ্! আপনার নিকটই আমি আত্মসমর্পণ করলাম; আপনার প্রতি ঈমান আনলাম; আপনার উপরেই তাওয়াক্কুল করলাম, আপনার দিকেই রুজূ‘ করলাম; আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার পূর্বাপর ও প্রকাশ্য গোপন সব অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই অগ্র পশ্চাতের মালিক। আপনি ব্যতীত সত্য প্রকৃত কোন ইলাহ্ নেই, অথবা (অপর বর্ণনায়) আপনি ব্যতীত প্রকৃত কোন সত্য মা‘বূদ নেই।
সুফইয়ান (রহ.) বলেছেন, আবূ উমাইয়্যাহ (রহ.) তাঁর বর্ণনায় وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (বাক্যটি) অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। সুফইয়ান (রহ.).....ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। (৬৩১৭, ৬৩৮৫, ৭৪৪২, ৭৪৯৯; মুসলিম ৬/৩, হাঃ ৭৬৯, আহমাদ ২৮১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৫৪)
بَاب التَّهَجُّدِ بِاللَّيْلِ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنْ اللَّيْلِ يَتَهَجَّدُ قَالَ اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَلِكُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَقَوْلُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لآ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَوْ لآ إِلَهَ غَيْرُكَ
قَالَ سُفْيَانُ وَزَادَ عَبْدُ الْكَرِيمِ أَبُو أُمَيَّةَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ قَالَ سُفْيَانُ قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي مُسْلِمٍ سَمِعَهُ مِنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Ibn `Abbas:
When the Prophet (ﷺ) got up at night to offer the Tahajjud prayer, he used to say: Allahumma lakal-hamd. Anta qaiyyimus-samawati wal-ard wa man fihinna. Walakal-hamd, Laka mulkus-samawati wal-ard wa man fihinna. Walakal-hamd, anta nurus-samawati wal-ard. Wa lakal-hamd, anta-l-haq wa wa'duka-lhaq, wa liqa'uka Haq, wa qauluka Haq, wal-jannatu Han wan-naru Haq wannabiyuna Haq. Wa Muhammadun, sallal-lahu'alaihi wasallam, Haq, was-sa'atu Haq. Allahumma aslamtu Laka wabika amantu, wa 'Alaika tawakkaltu, wa ilaika anabtu wa bika khasamtu, wa ilaika hakamtu faghfir li ma qaddamtu wama akh-khartu wama as-rartu wama'a lantu, anta-l-muqaddim wa anta-l-mu akh-khir, la ilaha illa anta (or la ilaha ghairuka). (O Allah! All the praises are for you, You are the Holder of the Heavens and the Earth, And whatever is in them. All the praises are for You; You have the possession of the Heavens and the Earth And whatever is in them. All the praises are for You; You are the Light of the Heavens and the Earth And all the praises are for You; You are the King of the Heavens and the Earth; And all the praises are for You; You are the Truth and Your Promise is the truth, And to meet You is true, Your Word is the truth And Paradise is true And Hell is true And all the Prophets (Peace be upon them) are true; And Muhammad is true, And the Day of Resurrection is true. O Allah ! I surrender (my will) to You; I believe in You and depend on You. And repent to You, And with Your help I argue (with my opponents, the non-believers) And I take You as a judge (to judge between us). Please forgive me my previous And future sins; And whatever I concealed or revealed And You are the One who make (some people) forward And (some) backward. There is none to be worshipped but you . Sufyan said that `Abdul Karim Abu Umaiya added to the above, 'Wala haula Wala quwata illa billah' (There is neither might nor power except with Allah).
পরিচ্ছেদঃ ১৯/২. রাত জেগে ইবাদত করার গুরুত্ব।
১১২১. সালিম (রহ.) তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবিতকালে কোন ব্যক্তি স্বপ্ন দেখলে তা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খিদমতে বর্ণনা করত। এতে আমার মনে আকাঙ্ক্ষা জাগলো যে, আমি কোন স্বপ্ন দেখলে তা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করব। তখন আমি যুবক ছিলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে আমি মসজিদে ঘুমাতাম। আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন দু’জন ফিরিশতা আমাকে ধরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে চলেছেন। তা যেন কুপের পাড় বাঁধানোর ন্যায় পাড় বাঁধানো। তাতে দু’টি খুঁটি রয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে এমন কতক লোক, যাদের আমি চিনতে পারলাম। তখন আমি বলতে লাগলাম, আমি জাহান্নাম হতে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। তিনি বলেন, তখন অন্য একজন ফেরেশ্তা আমাদের সঙ্গে মিলিত হলেন। তিনি আমাকে বললেন, ভয় পেয়ো না। (৪৪০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৫৫)
بَاب فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْلِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ ح و حَدَّثَنِي مَحْمُودٌ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَ الرَّجُلُ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَى رُؤْيَا قَصَّهَا عَلَى رَسُولِ اللهِ فَتَمَنَّيْتُ أَنْ أَرَى رُؤْيَا فَأَقُصَّهَا عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكُنْتُ غُلَامًا شَابًّا وَكُنْتُ أَنَامُ فِي الْمَسْجِدِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَيْتُ فِي النَّوْمِ كَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَخَذَانِي فَذَهَبَا بِي إِلَى النَّارِ فَإِذَا هِيَ مَطْوِيَّةٌ كَطَيِّ الْبِئْرِ وَإِذَا لَهَا قَرْنَانِ وَإِذَا فِيهَا أُنَاسٌ قَدْ عَرَفْتُهُمْ فَجَعَلْتُ أَقُولُ أَعُوذُ بِاللهِ مِنْ النَّارِ قَالَ فَلَقِيَنَا مَلَكٌ آخَرُ فَقَالَ لِي لَمْ تُرَعْ
Narrated Salim's father:
In the lifetime of the Prophet (ﷺ) whosoever saw a dream would narrate it to Allah's Messenger (ﷺ). I had a wish of seeing a dream to narrate it to Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) I was a grown up boy and used to sleep in the Mosque in the lifetime of the Prophet. I saw in the dream that two angels caught hold of me and took me to the Fire which was built all round like a built well and had two poles in it and the people in it were known to me. I started saying, "I seek refuge with Allah from the Fire." Then I met another angel who told me not to be afraid.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/২. রাত জেগে ইবাদত করার গুরুত্ব।
১১২২. আমি এ স্বপ্ন (আমার বোন উম্মুল মু’মিনীন) হাফসাহ (রাযি.)-এর নিকট বর্ণনা করলাম। অতঃপর হাফসাহ (রাযি.) তা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বর্ণনা করলেন। তখন তিনি বললেনঃ ‘আবদুল্লাহ্ কতই ভাল লোক! যদি রাত জেগে সে সালাত (তাহাজ্জুদ) আদায় করত! তারপর হতে ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) খুব অল্প সময়ই ঘুমাতেন। (১১৫৭, ৩৭৩৯, ৩৭৪১, ৭০১৬, ৭০২৯, ৭০৩১; মুসলিম ৪৪/৩২, হাঃ ২৪৭৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫১ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৫৫ শেষাংশ)
بَاب فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْلِ
فَقَصَصْتُهَا عَلَى حَفْصَةَ فَقَصَّتْهَا حَفْصَةُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللهِ لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنْ اللَّيْلِ فَكَانَ بَعْدُ لاَ يَنَامُ مِنْ اللَّيْلِ إِلاَّ قَلِيلاً.
I narrated the dream to Hafsa who told it to Allah's Messenger (ﷺ). The Prophet said, "Abdullah is a good man. I wish he prayed Tahajjud." After that `Abdullah (i.e. Salim's father) used to sleep but a little at night.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৩. রাতের সালাতে সিজদা্ দীর্ঘ করা।
১১২৩. ‘উরওয়াহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) আমাকে জানিয়েছেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাহাজ্জুদে) এগার রাক‘আত সালাত আদায় করতেন এবং তা ছিল তাঁর (স্বাভাবিক) সালাত। সে সালাতে তিনি এক একটি সিজদা্ এত পরিমাণ করতেন যে, তোমাদের কেউ (সাজ্দাহ হতে) তাঁর মাথা তোলার পূর্বে পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারত। আর ফজরের (ফারয) সালাতের পূর্বে তিনি দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। অতঃপর তিনি ডান কাতে শুতেন যতক্ষণ না সালাতের জন্য তাঁর কাছে মুআয্যিন আসত। (৬২৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৫৬)
بَاب طُولِ السُّجُودِ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ
أَبُو الْيَمَانِ قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً كَانَتْ تِلْكَ صَلاَتَهُ يَسْجُدُ السَّجْدَةَ مِنْ ذَلِكَ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ أَحَدُكُمْ خَمْسِينَ آيَةً قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأْسَهُ وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ ثُمَّ يَضْطَجِعُ عَلَى شِقِّهِ الْأَيْمَنِ حَتَّى يَأْتِيَهُ الْمُنَادِي لِلصَّلاَةِ.
Narrated `Aisha:
Allah's Messenger (ﷺ) used to offer eleven rak`at and that was his prayer. He used to prolong the prostration to such an extent that one could recite fifty verses (of the Qur'an) before he would lift his head. He used to pray two rak`at (Sunna) before the Fajr prayer and then used to lie down on his right side till the call-maker came and informed him about the prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৪. রুগ্ন ব্যক্তির তাহজ্জুদ আদায় না করা।
১১২৪. জুনদাব (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে এক রাত বা দু’ রাত তিনি (তাহাজ্জুদের জন্য) উঠেননি। (১১২৫, ৪৯৫০, ৪৯৫১, ৪৯৮৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৫৭)
بَاب تَرْكِ الْقِيَامِ لِلْمَرِيضِ
أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ سَمِعْتُ جُنْدَبًا يَقُولُ اشْتَكَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَقُمْ لَيْلَةً أَوْ لَيْلَتَيْنِ.
Narrated Jundab:
The Prophet (ﷺ) became sick and did not get up (for Tahajjud prayer) for a night or two.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৪. রুগ্ন ব্যক্তির তাহজ্জুদ আদায় না করা।
১১২৫. জুনদাব ইবনু ‘আব্দুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিন বলেন, একবার সাময়িকভাবে জিব্রীল (‘আ.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট হাযিরা হতে বিরত থাকেন। এতে জনৈকা কুরায়শ নারী বলল, তার শয়তানটি তাঁর নিকট আসতে দেরী করছে। তখন অবতীর্ণ হল- ‘‘শপথ পূর্বাহ্নের ও রজনীর! যখন তা হয় নিঝুম। আপনার প্রতিপালক আপনাকে পরিত্যাগ করেননি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হননি’’- (সূরাহ্ ওয়ায্যুহা ৯৩/১-৩)। (১১২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৫৮)
بَاب تَرْكِ الْقِيَامِ لِلْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ جُنْدَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ احْتَبَسَ جِبْرِيلُ صلى الله عليه وسلم عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ أَبْطَأَ عَلَيْهِ شَيْطَانُهُ. فَنَزَلَتْ (وَالضُّحَى * وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى * مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى)
Narrated Jundab bin `Abdullah:
Gabriel did not come to the Prophet (for some time) and so one of the Quraish women said, "His Satan has deserted him." So came the Divine Revelation: "By the forenoon And by the night When it is still! Your Lord (O Muhammad) has neither Forsaken you Nor hated you." (93.1-3)
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৫. তাহজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উৎসাহ দান করা, অবশ্য তিনি তা আবশ্যক করেননি।
وَطَرَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ وَعَلِيًّا عَلَيْهِمَا السَّلاَم لَيْلَةً لِلصَّلاَةِ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ সালাতে উৎসাহ দানের জন্য এক রাতে ফাতিমাহ ও ‘আলী (রাযি.)-এর ঘরে গিয়েছিলেন।
১১২৬. উম্মু সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একরাতে ঘুম হতে জেগে বললেনঃ সুবহানাল্লাহ্! আজ রাতে কত না ফিতনা নাযিল করা হল! আজ রাতে কতই না (রহমতের) ভান্ডার নাযিল করা হল! কে জাগিয়ে দিবে বাড়ীগুলোর লোকজনকে? ওহে! শোন, দুনিয়ার অনেক পোষাক পরিহিতা আখিরাতে উলঙ্গ হয়ে যাবে। (১১৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৫৯)
بَاب تَحْرِيضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى صَلاَةِ اللَّيْلِ وَالنَّوَافِلِ مِنْ غَيْرِ إِيجَابٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ هِنْدٍ بِنْتِ الْحَارِثِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اسْتَيْقَظَ لَيْلَةً فَقَالَ " سُبْحَانَ اللَّهِ مَاذَا أُنْزِلَ اللَّيْلَةَ مِنَ الْفِتْنَةِ، مَاذَا أُنْزِلَ مِنَ الْخَزَائِنِ مَنْ يُوقِظُ صَوَاحِبَ الْحُجُرَاتِ، يَا رُبَّ كَاسِيَةٍ فِي الدُّنْيَا عَارِيَةٍ فِي الآخِرَةِ ".
Narrated Um Salama:
One night the Prophet (ﷺ) got up and said, "Subhan Allah! How many afflictions Allah has revealed tonight and how many treasures have been sent down (disclosed). Go and wake the sleeping lady occupants of these dwellings up (for prayers), perhaps a well dressed in this world may be naked in the Hereafter."
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৫. তাহজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উৎসাহ দান করা, অবশ্য তিনি তা আবশ্যক করেননি।
১১২৭. ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে তাঁর কন্যা ফাতিমাহ (রাযি.)-এর নিকট এসে বললেনঃ তোমরা কি সালাত আদায় করছ না? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের আত্মাগুলো তো আল্লাহ্ তা‘আলার হাতে রয়েছে। তিনি যখন আমাদের জাগাতে ইচ্ছা করবেন, জাগিয়ে দিবেন। আমরা যখন একথা বললাম, তখন তিনি চলে গেলেন। আমার কথার কোন জবাব দিলেন না। পরে আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি ফিরে যেতে যেতে আপন উরুতে করাঘাত করছিলেন এবং কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করছিলেন- وَكَانَ الْإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلاً ‘‘মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্ক প্রিয়’’- (সূরাহ্ আল-কাহ্ফ ১৮/৫৪)। (৪৭২৪, ৪৭৪৭, ৭৪৬৫; মুসলিম ৬/২৮, হাঃ ৭৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬০)
بَاب تَحْرِيضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى صَلاَةِ اللَّيْلِ وَالنَّوَافِلِ مِنْ غَيْرِ إِيجَابٍ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ بِنْتَ النَّبِيِّ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ لَيْلَةً فَقَالَ " أَلاَ تُصَلِّيَانِ ". فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللَّهِ، فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا. فَانْصَرَفَ حِينَ قُلْنَا ذَلِكَ وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَىَّ شَيْئًا. ثُمَّ سَمِعْتُهُ وَهْوَ مُوَلٍّ يَضْرِبُ فَخِذَهُ وَهْوَ يَقُولُ "وَكَانَ الإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَىْءٍ جَدَلاً)".
Narrated `Ali bin Abi Talib:
One night Allah's Messenger (ﷺ) came to me and Fatima, the daughter of the Prophet (ﷺ) and asked, "Won't you pray (at night)?" I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Our souls are in the hands of Allah and if He wants us to get up He will make us get up." When I said that, he left us without saying anything and I heard that he was hitting his thigh and saying, "But man is more quarrelsome than anything." (18.54)
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৫. তাহজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উৎসাহ দান করা, অবশ্য তিনি তা আবশ্যক করেননি।
১১২৮. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ‘আমল করা পছন্দ করতেন, সে ‘আমল কোন কোন সময় এ আশঙ্কায় ছেড়েও দিতেন যে, সে ‘আমল লোকেরা করতে থাকবে, ফলে তাদের উপর তা ফরজ হয়ে যাবে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহা সালাত আদায় করেননি।* আমি সে সালাত আদায় করি। (১১৭৭; মুসলিম ৬/১৩, হাঃ ৭১৮, আহমাদ ২৫৪১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬১)
بَاب تَحْرِيضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى صَلاَةِ اللَّيْلِ وَالنَّوَافِلِ مِنْ غَيْرِ إِيجَابٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَدَعُ الْعَمَلَ وَهْوَ يُحِبُّ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ خَشْيَةَ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ النَّاسُ فَيُفْرَضَ عَلَيْهِمْ، وَمَا سَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُبْحَةَ الضُّحَى قَطُّ، وَإِنِّي لأُسَبِّحُهَا.
Narrated `Aisha:
Allah's Messenger (ﷺ) used to give up a good deed, although he loved to do it, for fear that people might act on it and it might be made compulsory for them. The Prophet (ﷺ) never prayed the Duha prayer, but I offer it.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৫. তাহজ্জুদ ও নফল ইবাদতের প্রতি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উৎসাহ দান করা, অবশ্য তিনি তা আবশ্যক করেননি।
১১২৯. উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে মসজিদে সালাত আদায় করছিলেন, কিছু লোক তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলো। পরবর্তী রাতেও তিনি সালাত আদায় করলেন এবং লোক আরো বেড়ে গেল। অতঃপর তৃতীয় কিংবা চতুর্থ রাতে লোকজন সমবেত হলেন, কিন্তু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন না। সকাল হলে তিনি বললেনঃ তোমরা যা করেছ আমি লক্ষ্য করেছি। তোমাদের নিকট বেরিয়ে আসার ব্যাপারে এ আশঙ্কাই আমাকে বাধা দিয়েছে যে, তোমাদের উপর তা ফরজ হয়ে যাবে। এটা ছিল রমাযান মাসের ঘটনা। (৭২৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬২)
بَاب تَحْرِيضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى صَلاَةِ اللَّيْلِ وَالنَّوَافِلِ مِنْ غَيْرِ إِيجَابٍ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ فَكَثُرَ النَّاسُ ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنْ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ أَوْ الرَّابِعَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ وَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلاَّ أَنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ.
Narrated `Aisha the mother of the faithful believers:
One night Allah's Messenger (ﷺ) offered the prayer in the Mosque and the people followed him. The next night he also offered the prayer and too many people gathered. On the third and the fourth nights more people gathered, but Allah's Messenger (ﷺ) did not come out to them. In the morning he said, "I saw what you were doing and nothing but the fear that it (i.e. the prayer) might be enjoined on you, stopped me from coming to you." And that happened in the month of Ramadan.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৬. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তাহজ্জুদের সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর ফলে তাঁর উভয় পা ফুলে যেতো।
وَقَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَانَ يَقُومُ حَتَّى تَفَطَّرَ قَدَمَاهُ وَالْفُطُورُ الشُّقُوقُ انْفَطَرَتْ انْشَقَّتْ.
‘আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেছেন, এমনকি তাঁর পদদ্বয় ফেটে যেতো। وَالْفُطُورُ অর্থ ‘ফেটে যাওয়া’ انْفَطَرَتْ ‘ফেটে গেল’।
১১৩০. মুগীরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রি জাগরণ করতেন অথবা রাবী বলেছেন, সালাত আদায় করতেন; এমনকি তাঁর পদযুগল অথবা তাঁর দু’ পায়ের গোছা ফুলে যেত। তখন এ ব্যাপারে তাঁকে বলা হলে তিনি বলতেন, আমি কি একজন শুকরিয়া আদায়কারী বান্দাহ হব না? (৪৮৩৬, ৬৪৭১; মুসলিম ৫০/১৮, হাঃ ২৮১৯, আহমাদ ১৮২৭১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬৩)
بَاب قِيَامِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اللَّيْلَ حَتَّى تَرِمَ قَدَمَاهُ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ زِيَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ إِنْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيَقُومُ لِيُصَلِّيَ حَتَّى تَرِمُ قَدَمَاهُ أَوْ سَاقَاهُ، فَيُقَالُ لَهُ فَيَقُولُ " أَفَلاَ أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا ".
Narrated Al-Mughira:
The Prophet (ﷺ) used to stand (in the prayer) or pray till both his feet or legs swelled. He was asked why (he offered such an unbearable prayer) and he said, "should I not be a thankful slave."
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৭. সাহরীর সময় যে নিদ্রা যায়।
১১৩১. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আস(রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় সালাত হল দাঊদ (‘আ.)-এর সালাত। আর আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট সর্বাধিক প্রিয় সিয়াম হল দাঊদ (‘আ.)-এর সিয়াম। তিনি [দাঊদ (‘আ.)] অর্ধরাত পর্যন্ত ঘুমাতেন, এক তৃতীয়াংশ তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করতেন এবং রাতের এক ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। তিনি একদিন সিয়াম পালন করতেন, একদিন সওমবিহীন অবস্থায় থাকতেন। (১১৫২, ১১৫৩, ১৯৭৪ হতে ১৯৮০, ৩৪১৮, ৩৪২০, ৫০৫২, ৫০৫৪, ৫১৯৯, ৬১৩৪, ৬২৭৭; মুসলিম ১৩/৩৫, হাঃ ১১৫৯, আহমাদ ৬৫০১, ৬৯৩৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬৪)
بَاب مَنْ نَامَ عِنْدَ السَّحَرِ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ أَنَّ عَمْرَو بْنَ أَوْسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ أَحَبُّ الصَّلاَةِ إِلَى اللهِ صَلاَةُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَم وَأَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللهِ صِيَامُ دَاوُدَ وَكَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيْلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ وَيَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا.
Narrated `Abdullah bin `Amr bin Al-`As:
Allah's Messenger (ﷺ) told me, "The most beloved prayer to Allah is that of David and the most beloved fasts to Allah are those of David. He used to sleep for half of the night and then pray for one third of the night and again sleep for its sixth part and used to fast on alternate days."
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৭. সাহরীর সময় যে নিদ্রা যায়।
১১৩২. মাসরূক (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট কোন্ ‘আমলটি সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল? তিনি বললেন, নিয়মিত ‘আমল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কখন তাহাজ্জুদের জন্য উঠতেন? তিনি বললেন, যখন মোরগের ডাক শুনতে পেতেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬৫)
আশ‘আস (রাযি.) তাঁর বর্ণনায় বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোরগের ডাক শুনে উঠতেন এবং সালাত আদায় করতেন। (৬৪৬১, ৬৪৬২; মুসলিম ৬/১৭, হাঃ ৭৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬৬)
بَاب مَنْ نَامَ عِنْدَ السَّحَرِ
حَدَّثَنِي عَبْدَانُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَشْعَثَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ سَمِعْتُ مَسْرُوقًا قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَيُّ الْعَمَلِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ الدَّائِمُ قُلْتُ مَتَى كَانَ يَقُومُ قَالَتْ كَانَ يَقُومُ إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو الأَحْوَصِ عَنِ الْأَشْعَثِ قَالَ إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ قَامَ فَصَلَّى.
Narrated Masruq:
I asked `Aisha which deed was most loved by the Prophet. She said, "A deed done continuously." I further asked, "When did he used to get up (in the night for the prayer)." She said, "He used to get up on hearing the crowing of a cock."
Narrated Al-Ashath:
He (the Prophet (p.b.u.h) ) used to get up for the prayer on hearing the crowing of a cock.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৭. সাহরীর সময় যে নিদ্রা যায়।
১১৩৩. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি আমার নিকট ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়ই সাহরির সময় হতো। অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। (মুসলিম ৬/১৭, হাঃ ৭৪২, আহমাদ ২৫৭৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬৭)
بَاب مَنْ نَامَ عِنْدَ السَّحَرِ
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ قَالَ ذَكَرَ أَبِي عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ مَا أَلْفَاهُ السَّحَرُ عِنْدِي إِلاَّ نَائِمًا تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated `Aisha:
In my house he (Prophet (p.b.u.h) ) never passed the last hours of the night but sleeping.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৮. সাহারীর পর ফজরের সালাত পর্যন্ত জেগে থাকা।
১১৩৪. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং যায়দ ইবনু সাবিত (রাযি.) সাহারী খেলেন। যখন তারা দু’ জন সাহারী শেষ করলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সালাত আদায় করলেন। [ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেন] আমরা আনাস ইবনু মালিক (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তাঁদের সাহারী সমাপ্ত করা ও (ফজরের) সালাত শুরু করার মধ্যে কী পরিমাণ ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, কেউ পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করতে পারে এতটা সময়। (৫৭৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬৮)
بَاب مَنْ تَسَحَّرَ ثُمَّ قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ فَلَمْ يَنَمْ حَتَّى صَلَّى الصُّبْحَ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا رَوْحٌ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَزَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ ـ رضى الله عنه ـ تَسَحَّرَا، فَلَمَّا فَرَغَا مِنْ سَحُورِهِمَا قَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الصَّلاَةِ فَصَلَّى. قُلْنَا لأَنَسٍ كَمْ كَانَ بَيْنَ فَرَاغِهِمَا مِنْ سَحُورِهِمَا وَدُخُولِهِمَا فِي الصَّلاَةِ قَالَ كَقَدْرِ مَا يَقْرَأُ الرَّجُلُ خَمْسِينَ آيَةً.
Narrated Qatada:
Anas bin Malik said, "The Prophet (p.b.u.h) and Zaid bin Thabit took their Suhur together. When they finished it, the Prophet (ﷺ) stood for the (Fajr) prayer and offered it." We asked Anas, "What was the interval between their finishing the Suhur and the starting of the morning prayer?" Anas replied, "It was equal to the time taken by a person in reciting fifty verses of the Qur'an."
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৯. তাহজ্জুদের সালাত দীর্ঘ করা।
১১৩৫. ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাতে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সালাত আদায় করলাম। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন যে, আমি একটি মন্দ কাজের ইচ্ছা করেছিলাম। (আবূ ওয়াইল (রহ.) বলেন) আমরা জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কী ইচ্ছে করেছিলেন? তিনি বললেন, ইচ্ছে করেছিলাম, বসে পড়ি এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ইক্তিদা ছেড়ে দেই। (মুসলিম ৬/২৭, হাঃ ৭৭৩, আহমাদ ৪১৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬৯)
بَاب طُولِ الْقِيَامِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِقَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً فَلَمْ يَزَلْ قَائِمًا حَتَّى هَمَمْتُ بِأَمْرِ سَوْءٍ قُلْنَا وَمَا هَمَمْتَ قَالَ هَمَمْتُ أَنْ أَقْعُدَ وَأَذَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Abu-Wail:
`Abdullah said, "One night I offered the Tahajjud prayer with the Prophet (ﷺ) and he kept on standing till an ill-thought came to me." We said, "What was the ill-thought?" He said, "It was to sit down and leave the Prophet (standing)."
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৯. তাহজ্জুদের সালাত দীর্ঘ করা।
১১৩৬. হুযাইফাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা যখন তাহাজ্জুদ সালাতের জন্য উঠতেন তখন মিস্ওয়াক দ্বারা তাঁর মুখ পরিষ্কার করে নিতেন। (২৪৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৭০)
بَاب طُولِ الْقِيَامِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَفْصُ بْنُ عُمَرَ قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ لِلتَّهَجُّدِ مِنْ اللَّيْلِ يَشُوصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ.
Narrated Hudhaifa:
Whenever the Prophet (ﷺ) got up for Tahajjud prayer he used to clean his mouth (and teeth) with Siwak.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/১০. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত কিরূপ ছিল এবং রাতে তিনি কত রাক‘আত সালাত আদায় করতেন ?
১১৩৭. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলেন, একজন জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! রাতের সালাতের পদ্ধতি কী? তিনি বললেনঃ দু’ দু’ রাক‘আত করে। আর ফজর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করলে এক রাক‘আত মিলিয়ে বিতর করে নিবে। (৪৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৭১)
بَاب كَيْفَ كَانَ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلموَكَمْ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُصَلِّي مِنْ اللَّيْلِ
أَبُو الْيَمَانِ قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ إِنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ صَلاَةُ اللَّيْلِ قَالَ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خِفْتَ الصُّبْحَ فَأَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
A man said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! How is the prayer of the night?" He said, "Two rak`at followed by two rak`at and so on, and when you apprehend the approaching dawn, offer one rak`a as witr."
পরিচ্ছেদঃ ১৯/১০. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত কিরূপ ছিল এবং রাতে তিনি কত রাক‘আত সালাত আদায় করতেন ?
১১৩৮. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত ছিল তের রাক‘আত অর্থাৎ রাতে। (মুসলিম ৬/২৬, হাঃ ৭৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৭২)
بَاب كَيْفَ كَانَ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلموَكَمْ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُصَلِّي مِنْ اللَّيْلِ
مُسَدَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ شُعْبَةَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو جَمْرَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَتْ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً يَعْنِي بِاللَّيْلِ.
Narrated Ibn `Abbas:
The prayer of the Prophet (ﷺ) used to be of thirteen rak`at, i.e. of the night prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৯/১০. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত কিরূপ ছিল এবং রাতে তিনি কত রাক‘আত সালাত আদায় করতেন ?
১১৩৯. মাসরূক (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ফজরের দু’ রাক‘আত (সুন্নাত) বাদে সাত বা নয় কিংবা এগার রাক‘আত। (মুসলিম ৬/১৭, হাঃ ৭৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৭৩)
بَاب كَيْفَ كَانَ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلموَكَمْ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُصَلِّي مِنْ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ. فَقَالَتْ سَبْعٌ وَتِسْعٌ وَإِحْدَى عَشْرَةَ سِوَى رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ.
Narrated Masruq:
I asked Aisha about the night prayer of Allah's Messenger (ﷺ) and she said, "It was seven, nine or eleven rak`at besides the two rak`at of the Fajr prayer (i.e. Sunna). "