আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৪৫

পরিচ্ছেদঃ ১) চলাচলের রাস্তা, ছায়া বা পানির ঘাটে শৌচকার্য করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। আর কিবলাকে সামনে বা পিছনে না করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন

১৪৫. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’তোমরা অভিশাপ আনয়নকারী দু’টি কাজ থেকে বেঁচে থাক। তাঁরা বললেনঃ সে কাজ দু’টি কী হে আল্লাহর রাসূল! যা লা’নত ডেকে নিয়ে আসে? তিনি বললেনঃ মানুষের চলাচলের রাস্তায় অথবা তাদের ছায়ায়[1] পেশাব-পায়খানা করা।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ২৬৯, আবু দাউদ ২৫ প্রমূখ)

الترهيب من التخلي على طرق الناس أو ظلهم أو مواردهم والترغيب في الانحراف عن استقبال القبلة واستدبارها

(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اتَّقُوا اللَّاعِنَيْنِ قَالُوا وَمَا اللَّاعِنَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ الَّذِي يَتَخَلَّى فِي طَرِيقِ النَّاسِ أَوْ ظِلِّهِمْ.
رواه مسلم وأبو داود وغيرهما

(صحيح) وعن ابي هريرة رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اتقوا اللاعنين قالوا وما اللاعنان يا رسول الله قال الذي يتخلى في طريق الناس او ظلهم. رواه مسلم وابو داود وغيرهما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৪৬

পরিচ্ছেদঃ ১) চলাচলের রাস্তা, ছায়া বা পানির ঘাটে শৌচকার্য করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। আর কিবলাকে সামনে বা পিছনে না করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন

১৪৬. (হাসান লি গাইরিহী) মুআয বিন যাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ  ’’তোমরা তিনটি লা’নতের স্থান থেকে বেঁচে থাক। (১) পানির ঘাট, (২) চলাচলের রাস্তা ও (৩) মানুষ যে স্থানের ছায়ায় আশ্রয় নেয় সেখানে পেশাব-পায়খানা করা।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ২৬ ও ইবনে মাজাহ্ ৩২৮)

الترهيب من التخلي على طرق الناس أو ظلهم أو مواردهم والترغيب في الانحراف عن استقبال القبلة واستدبارها

(حسن لغيره) وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : اتَّقُوا الْمَلَاعِنَ الثَّلَاثَ الْبَرَازَ فِي الْمَوَارِدِ وَقَارِعَةِ الطَّرِيقِ وَالظِّلِّ. رواه أبو داود وابن ماجه

(حسن لغيره) وعن معاذ بن جبل رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : اتقوا الملاعن الثلاث البراز في الموارد وقارعة الطريق والظل. رواه ابو داود وابن ماجه

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৪৭

পরিচ্ছেদঃ ১) চলাচলের রাস্তা, ছায়া বা পানির ঘাটে শৌচকার্য করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। আর কিবলাকে সামনে বা পিছনে না করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন

১৪৭. (হাসান লি গাইরিহী) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ আমি শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
’’তোমরা তিনটি অভিশাপের স্থান থেকে বেঁচে থাক। বলা হলঃ হে আল্লাহর রাসূল সে তিনটি অভিশাপের স্থান কি? তিনি বললেনঃ
’’তোমাদের কেহ (পেশাব-পায়খানার জন্য) বসবেঃ (১) মানুষ ছায়া গ্রহণ করে এধরণের স্থানে অথবা (২) রাস্তায় বা (৩) যেখানে পানি জমে থাকে।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ১/২৯৯)

الترهيب من التخلي على طرق الناس أو ظلهم أو مواردهم والترغيب في الانحراف عن استقبال القبلة واستدبارها

(حسن لغيره) وروي عن ابن عباس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: اتَّقُوا الْمَلاعِنَ الثَّلاثَ" قِيلَ: مَا الْمَلاعِنُ الثَّلاثَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: "أَنْ يَقْعُدَ أَحَدُكُمْ فِي ظِلٍّ يُسْتَظَلُّ فِيهِ، أَوْ فِي طَرِيقٍ، أَوْ فِي نَقْعِ مَاءٍ.. رواه أحمد

(حسن لغيره) وروي عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: اتقوا الملاعن الثلاث" قيل: ما الملاعن الثلاث يا رسول الله؟ قال: "ان يقعد احدكم في ظل يستظل فيه، او في طريق، او في نقع ماء.. رواه احمد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১) চলাচলের রাস্তা, ছায়া বা পানির ঘাটে শৌচকার্য করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। আর কিবলাকে সামনে বা পিছনে না করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন

১৪৮. (হাসান) হুযায়ফা ইবনে উসায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’যে ব্যাক্তি মুসলমানদের চলাচলের রাস্তায় তাদেরকে কষ্ট দিল, তার উপর তাদের লা’নত আবশ্যক হয়ে গেল।’’

(হাদীছটি ত্বাবরানী স্বীয় [কাবীর] গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেন হা/৩০৫০)

الترهيب من التخلي على طرق الناس أو ظلهم أو مواردهم والترغيب في الانحراف عن استقبال القبلة واستدبارها

(حسن ) وَعَنْ حُذَيْفَةَ بن أُسَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ: "مَنْ آذَى الْمُسْلِمِينَ فِي طُرُقِهِمْ وَجَبَتْ عَلَيْهِ لَعْنَتُهُمْ. رواه الطبراني في الكبير

(حسن ) وعن حذيفة بن اسيد رضي الله عنه، ان النبي صلى الله عليه وسلم ، قال: "من اذى المسلمين في طرقهم وجبت عليه لعنتهم. رواه الطبراني في الكبير

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৪৯

পরিচ্ছেদঃ ১) চলাচলের রাস্তা, ছায়া বা পানির ঘাটে শৌচকার্য করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। আর কিবলাকে সামনে বা পিছনে না করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন

১৪৯. (হাসান লি গাইরিহী) জাবের বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’তোমরা রাতের বেলায় রাস্তার মধ্যভাগে অবস্থান নেয়া থেকে সাবধান। কেননা উহা হল, সাপ ও হিংস্র প্রাণীদের আশ্রয়স্থল, এবং ঐ স্থানে প্রয়োজন পূরণ তথা শৌচকার্য থেকেও সাবধান। কেননা উহা অভিশাপের কাজ।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনে মাজাহ ৩২৯, তাঁর বর্ণনা কারীগণ সবাই নির্ভরযোগ্য)

الترهيب من التخلي على طرق الناس أو ظلهم أو مواردهم والترغيب في الانحراف عن استقبال القبلة واستدبارها

(حسن لغيره) وَعَنْ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاكُمْ وَالتَّعْرِيسَ عَلَى جَوَادِّ الطَّرِيقِ .... فَإِنَّهَا مَأْوَى الْحَيَّاتِ وَالسِّبَاعِ وَقَضَاءَ الْحَاجَةِ عَلَيْهَا فَإِنَّهَا مِنْ الْمَلَاعِنِ. رواه ابن ماجه

(حسن لغيره) وعن جابر بن عبد الله رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اياكم والتعريس على جواد الطريق .... فانها ماوى الحيات والسباع وقضاء الحاجة عليها فانها من الملاعن. رواه ابن ماجه

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৫০

পরিচ্ছেদঃ ১) চলাচলের রাস্তা, ছায়া বা পানির ঘাটে শৌচকার্য করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। আর কিবলাকে সামনে বা পিছনে না করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন

১৫০. (হাসান লি গাইরিহী) মাকহূল থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ’’রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের দরজার (আশে-পাশে) প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন।’’

(আবু দাউদ [মারাসীল গ্রন্থে] বর্ণনা করেছেন ৩)

الترهيب من التخلي على طرق الناس أو ظلهم أو مواردهم والترغيب في الانحراف عن استقبال القبلة واستدبارها

(حسن لغيره) وَعَنْ مكحول رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: نَهىَ رسولُ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُبَالَ بِأبْوَابِ الْمَساَجِدِ. رواه أبو داود في مراسيله

(حسن لغيره) وعن مكحول رضي الله عنه قال: نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم ان يبال بابواب المساجد. رواه ابو داود في مراسيله

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মাকহূল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৫১

পরিচ্ছেদঃ ১) চলাচলের রাস্তা, ছায়া বা পানির ঘাটে শৌচকার্য করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন। আর কিবলাকে সামনে বা পিছনে না করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন

১৫১. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ’’যে ব্যাক্তি প্রস্রাব-পায়খানার সময় কিবলাকে সামনে বা পিছনে না রাখবে, তার জন্য একটি নেকী লেখা হবে এবং তার একটি পাপ মোচন করা হবে।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ত্বাবরানী ১৩২১, সহীহা ১০৯৮)

হাফেয মুনযেরী বলেন, খোলা মাঠে কিবলাকে সামনে বা পিছনে রেখে পেশাব-পায়খানা করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা অসংখ্য প্রসিদ্ধ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। হাদীছগুলো অধিক প্রসিদ্ধ হওয়ার কারণে এবং তা সাধারণ নিষিদ্ধ বিষয় হওয়ার কারণে এখানে উল্লেখ করা হল না। (আল্লাহই সকল বিষয়ে সঠিক জ্ঞান রাখেন)

الترهيب من التخلي على طرق الناس أو ظلهم أو مواردهم والترغيب في الانحراف عن استقبال القبلة واستدبارها

(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :"مَنْ لَمْ يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، وَلَمْ يَسْتَدْبِرْهَا فِي الْغَائِطِ كُتِبَ لَهُ حَسَنَةٌ، وَمُحِيَ عَنْهُ سَيِّئَةٌ. رواه الطبراني

(صحيح) وعن ابي هريرة رضي الله عنه ، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم :"من لم يستقبل القبلة، ولم يستدبرها في الغاىط كتب له حسنة، ومحي عنه سيىة. رواه الطبراني

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৫২

পরিচ্ছেদঃ ২) পানি, গোসলের স্থান ও গর্তে পেশাব করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

১৫২. (সহীহ) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সহীর পানিতে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন।

(মুসলিম ২৮১, ইবনে মাজাহ্ ৩৪৩ ও নাসাঈ ১/৩৪ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترهيب من البول في الماء والمغتسل والجحر

(صحيح) عن جَابرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَنَّهُ نَهَى عَنْ أَنْ يُبَالَ فِي الْمَاءِ الرَّاكِدِ . رواه مسلم وابن ماجه والنسائي

(صحيح) عن جابر رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم ، انه نهى عن ان يبال في الماء الراكد . رواه مسلم وابن ماجه والنساىي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৫৩

পরিচ্ছেদঃ ২) পানি, গোসলের স্থান ও গর্তে পেশাব করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

১৫৩. (সহীহ্) বাকর্ ইবনে মায়েয বলেন, আমি শুনেছি আবদুল্লাহ্ বিন ইয়াযিদ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ

’’ঘরের মধ্যে কোন পাত্রে পেশাব জমা রাখা উচিৎ নয়। কেননা যে ঘরে পেশাব জমা থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করে না। আর তোমার গোসলখানায় কখনই পেশাব করবে না।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ত্বাবরানী ও হাকেম। হাকেম বলেন হাদীছটির সনদ সহীহ[1])

الترهيب من البول في الماء والمغتسل والجحر

(صحيح) وَعَنْ بكر بن ماعز قال سَمِعْتُ عبد الله بن يزيد يحدث عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : لا ينقع بول في طست في البيت فإِنَّ الْمَلائِكَةَ لا تَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ بَوْل مُنْتَقَع ولا تَبُولَنَّ في مغتسلك. رواه الطبراني والحاكم وقال صحيح الإسناد

(صحيح) وعن بكر بن ماعز قال سمعت عبد الله بن يزيد يحدث عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : لا ينقع بول في طست في البيت فان الملاىكة لا تدخل بيتا فيه بول منتقع ولا تبولن في مغتسلك. رواه الطبراني والحاكم وقال صحيح الاسناد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৫৪

পরিচ্ছেদঃ ২) পানি, গোসলের স্থান ও গর্তে পেশাব করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

১৫৪. (সহীহ) হুমায়দ বিন আবদুর রহমান বলেন, আমি এমন একজন লোকের সাথে সাক্ষাত করেছি যিনি নবী (সাঃ) এর সাহাবী ছিলেন, যেমন ছিলেন আবু হুরায়রা (রাঃ)। তিনি বলেছেন, ’’আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতিদিন চুল আঁচড়াতে বা গোসল খানায় পেশাব করতে নিষেধ করেছেন।’’

(আবু দাউদ ২৮ ও নাসাঈ ১/১৩০ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترهيب من البول في الماء والمغتسل والجحر

(صحيح) وَعَنْ حميد بن عبد الرحمن قال لَقِيتُ رَجُلًا صَحِبَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا صَحِبَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَمْتَشِطَ أَحَدُنَا كُلَّ يَوْمٍ أَوْ يَبُولَ فِي مُغْتَسَلِهِ. رواه أبو داود والنسائي

(صحيح) وعن حميد بن عبد الرحمن قال لقيت رجلا صحب النبي صلى الله عليه وسلم كما صحبه ابو هريرة قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم ان يمتشط احدنا كل يوم او يبول في مغتسله. رواه ابو داود والنساىي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৩) শৌচকার্য অবস্থায় কথাবার্তা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

১৫৫. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’দু’জন মানুষ যেন একত্রে শৌচকার্যে বসে পরস্পরে গোপনে কথাবার্তা না বলে এবং একজন অপরজনের লজ্জাস্থান না দেখে। কেননা আল্লাহ্‌ তা ঘৃণা করেন।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ১৫, ইবনে মাজাহ্ ৩৪২ ও ইবনে খুযায়মা ১/৩৯)
এ হাদীছের বাক্য ইবনে মাজাহ থেকে চয়ন করা হয়েছে।

ইবনে খুযায়মার বর্ণনা আবু দাউদের মতই। তাঁদের বর্ণনায়ঃ
তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতেঃ

لَا يَخْرُجْ الرَّجُلَانِ يَضْرِبَانِ الْغَائِطَ كَاشِفَيْنِ عَنْ عَوْرَاتِهِمَا يَتَحَدَّثَانِ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَمْقُتُ عَلَى ذَلِكَ  

’’দু’জন লোক যেন শৌচকার্যে বের হয়ে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত রেখে পরস্পরের সাথে কথা না বলে। কেননা আল্লাহ্‌ তা ঘৃণা করেন। (ইবনে খুযায়মা ১/৩৯)’’

الترهيب من الكلام على الخلاء

(صحيح لغيره) عَنْ أبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدِرِيْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: لَا يَتَنَاجَى اثْنَانِ عَلَى غَائِطِهِمَا يَنْظُرُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا إِلَى عَوْرَةِ صَاحِبِهِ فَإِنَّ اللَّهَ يَمْقُتُ عَلَى ذَلِكَ.
رواه أبو داود وابن ماجه واللفظ له وابن خزيمة

(صحيح لغيره) عن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: لا يتناجى اثنان على غاىطهما ينظر كل واحد منهما الى عورة صاحبه فان الله يمقت على ذلك. رواه ابو داود وابن ماجه واللفظ له وابن خزيمة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৩) শৌচকার্য অবস্থায় কথাবার্তা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন

১৫৬. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’দু’জন শৌচকার্যে বের হয়ে একত্রে বসে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত রেখে পরস্পরের সাথে যেন কথা না বলে। কেননা আল্লাহ্‌ তা ঘৃণা করেন।’’

(ত্বাবরানী [আওসাত গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ২৩৬৪)

الترهيب من الكلام على الخلاء

(صحيح لغيره) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :"لا يَخْرُجُ اثْنَانِ إِلَى الْغَائِطِ، فيَجْلِسَانِ يَتَحَدَّثَانِ، كَاشِفَيْنِ عَنْ عَوْرَاتِهِمَا، فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَمْقُتُ عَلَى ذَلِكَ. رواه الطبراني

(صحيح لغيره) وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم :"لا يخرج اثنان الى الغاىط، فيجلسان يتحدثان، كاشفين عن عوراتهما، فان الله عز وجل يمقت على ذلك. رواه الطبراني

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৪) কাপড় ইত্যাদিতে পেশাব লেগে যাওয়া এবং তা থেকে মুক্ত না হওয়ার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

১৫৭. (সহীহ)  ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি বললেন, এদের দু’জনকে আযাব দেয়া হচ্ছে। খুব বড় কোন পাপের কারণে আযাব হচ্ছে না; বরং তা বড় পাপই তো। তাদের একজন চুগোলখোরি[1] করত। অন্যজন পেশাব থেকে সতর্ক থাকত না।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ২১৮, মুসলিম ২৯২, আবু দাউদ ২০, তিরমিযী ৭০, নাসাঈ ১/২৮ ও ইবনে মাজাহ ৩৪৭)

বুখারীর অপর বর্ণনায় ও ইবনে খুযায়মার (সহীহ) গ্রন্থে এসেছে (বুখারী ২১৮)


أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  مَرَّ بِحَائِطٍ مِنْ حِيطَانِ مَكَّةَ أَوْ الْمَدِينَةِ فَسَمِعَ صَوْتَ إِنْسَانَيْنِ يُعَذَّبَانِ فِي قُبُورِهِمَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  إنهما ليُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ ثُمَّ قَالَ بَلَى كَانَ أَحَدُهُمَا لَا يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ وَكَانَ الْآخَرُ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বা মদীনার কোন একটি গোরস্থানের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি দু’জন মানুষের কবর থেকে আযাবের আওয়াজ শুনতে পেলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ

’’এদের দু’জনকে আযাব দেয়া হচ্ছে। খুব বড় কারণে তাদেরকে আযাব দেয়া হচ্ছে না। অতঃপর তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাদের একজন পেশাব থেকে সতর্ক হত না, অপরজন চুগোলখোরি করত।’’

(ইমাম বুখারী অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন ’পেশাব থেকে সতর্ক না থাকা কাবীরা গুনাহের অন্তর্গত’)

ইমাম খাত্তাবী বলেন, অর্থাৎ- যে কারণে তাদেরকে আযাব দেয়া হচ্ছে সেগুলো তাদের দৃষ্টিতে খুব বড় মনে হয়নি। অথবা একাজগুলো এমন বড় ধরণের নয় যে, তা থেকে বেঁচে থাকা তাদের জন্য কঠিন ছিল। আর তা হচ্ছে পেশাব থেকে সতর্ক থাকা ও চুগোলখোরী ছেড়ে দেয়া। ধর্মীয় দৃষ্টিতে কাজগুলো বড় পাপ নয়, এমন নয়; বরং মুলতঃ তা বড় পাপের কাজ। হাফেয মুনযেরী বলেন, এজন্যেই নবী (সাঃ) পরক্ষণেই বলেছেন ’’বরং তা বড় পাপই তো।’’ (আল্লাহই অধিক জানেন)

الترهيب من إصابة البول الثوب وغيره وعدم الاستبراء منه

عن ابن عباس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِقَبْرَيْنِ فَقَالَ إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ بَلَى إنَّهُ كَبِيْرٌ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ وَأَمَّا الْآخَرُ فَكَانَ لَا يَسْتَتِرُ مِنْ الْبَوْلِ. رواه البخاري ومسلم وأبو داود والترمذي والنسائي وابن ماجه

عن ابن عباس رضي الله عنهما ان رسول الله صلى الله عليه وسلم مر بقبرين فقال انهما ليعذبان وما يعذبان في كبير بلى انه كبير اما احدهما فكان يمشي بالنميمة واما الاخر فكان لا يستتر من البول. رواه البخاري ومسلم وابو داود والترمذي والنساىي وابن ماجه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৪) কাপড় ইত্যাদিতে পেশাব লেগে যাওয়া এবং তা থেকে মুক্ত না হওয়ার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

১৫৮. (সহীহ্ লি গাইরিহী) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’অধিকাংশ কবরের আযাব পেশাবের কারণে হয়ে থাকে। সুতরাং তোমরা পেশাব থেকে সতর্ক থাক।’’

(বাযযার ২৪৩, ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে], হাকেম ১/১৮৪ ও দারাকুতনী ১/১২৮ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترهيب من إصابة البول الثوب وغيره وعدم الاستبراء منه

(صحيح لغيره) وَعَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ عَامَّةَ عَذَابِ الْقَبْرِ فِيْ الْبَوْلِ فَاسْتَنْزِهُوا مِنَ الْبَوْلِ. رواه البزار والطبراني في الكبير والحاكم والدارقطني

(صحيح لغيره) وعن ابن عباس رضي الله عنهما، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ان عامة عذاب القبر في البول فاستنزهوا من البول. رواه البزار والطبراني في الكبير والحاكم والدارقطني

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৪) কাপড় ইত্যাদিতে পেশাব লেগে যাওয়া এবং তা থেকে মুক্ত না হওয়ার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

১৫৯. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমরা পেশাব থকে পবিত্র থাক। কেননা পেশাবের কারণেই অধিকাংশ কবরের আযাব হয়ে থাকে।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন দারাকুতনী ৪৬৬)

الترهيب من إصابة البول الثوب وغيره وعدم الاستبراء منه

(صحيح لغيره) وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ « تَنَزَّهُوا مِنَ الْبَوْلِ فَإِنَّ عَامَّةَ عَذَابِ الْقَبْرِ مِنَ الْبَوْلِ. رواه الدارقطني

(صحيح لغيره) وعن انس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم « تنزهوا من البول فان عامة عذاب القبر من البول. رواه الدارقطني

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৬০

পরিচ্ছেদঃ ৪) কাপড় ইত্যাদিতে পেশাব লেগে যাওয়া এবং তা থেকে মুক্ত না হওয়ার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

১৬০. (হাসান লি গাইরিহী) আবু বাকরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা জনৈক ব্যাক্তি ও আমার মাঝখান দিয়ে হাঁটছিলেন। এমন সময় তিনি আসলেন দু’টি কবরের নিকট। অতঃপর বললেন, এ দু’কবরের অধিবাসীকে আযাব দেয়া হচ্ছে। তোমরা আমাকে একটি খেজুরের ডাল এনে দাও।

আবু বাকরা (রাঃ) বলেন, ডাল আনার জন্য আমি এবং আমার সাথী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলাম। শেষে আমিই একটি ডাল নিয়ে এলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ডালটিকে দু’ভাগে ভাগ করলেন। অতঃপর একভাগ রাখলেন এই কবরে আর এক ভাগ রাখলেন ঐ কবরে। আর বললেনঃ

’’ডাল দু’টি যতক্ষণ তাজা থাকবে ততক্ষণ আশা করা যায় তাদের কবর আযাব হালকা করা হবে। খুব বড় কারণে তাদের আযাব হচ্ছে না। কারণ হল, একজন গীবত করত ও অপরজনের পেশাব (থেকে সতর্ক থাকত না)।’’

(আহমাদ ৫/৩৫, ত্বাবরানী [আওসাত[ গ্রন্থে ও ইবনে মাজাহ্ সংক্ষিপ্তভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৩৪৯, এ হাদীছের বাক্য ত্বাবরানীর)

الترهيب من إصابة البول الثوب وغيره وعدم الاستبراء منه

(حسن لغيره) وَعَنْ أبي بكرة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: بينما النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يمشي بيني وبين رجل آخر إذ أتى على قبرين فقال إن صاحبي هذين القبرين يعذبان فائتياني بجريدة. قال أبو بكرة فاستبقت أنا وصاحبي فأتيته بجريدة فَشَقَّهَا نِصْفَيْنِ فوضع في هذا القبر واحدة وفي ذا القبر واحدة وقال لعله يخفف عنهما ما دامتا رطبتين إنهما يعذبان بغير كبير الغيبة والبول.
رواه أحمد والطبراني في الأوسط واللفظ له وابن ماجه مختصرا

(حسن لغيره) وعن ابي بكرة رضي الله عنه قال: بينما النبي صلى الله عليه وسلم يمشي بيني وبين رجل اخر اذ اتى على قبرين فقال ان صاحبي هذين القبرين يعذبان فاىتياني بجريدة. قال ابو بكرة فاستبقت انا وصاحبي فاتيته بجريدة فشقها نصفين فوضع في هذا القبر واحدة وفي ذا القبر واحدة وقال لعله يخفف عنهما ما دامتا رطبتين انهما يعذبان بغير كبير الغيبة والبول. رواه احمد والطبراني في الاوسط واللفظ له وابن ماجه مختصرا

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৬১

পরিচ্ছেদঃ ৪) কাপড় ইত্যাদিতে পেশাব লেগে যাওয়া এবং তা থেকে মুক্ত না হওয়ার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

১৬১. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’বেশীরভাগ কবরের আযাব পেশাবের কারণে হয়ে থাকে।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ২/৩২৬, ইবনে মাজাহ্ ৩৪৮ ও হাকেম ১/১৮৩। হাদীছের বাক্য ইবনে মাজাহর এবং হাকেম বলেন, শায়খায়নের শর্তানুযায়ী হাদীছটি সহীহ্)

الترهيب من إصابة البول الثوب وغيره وعدم الاستبراء منه

(صحيح) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْثَرُ عَذَابِ الْقَبْرِ مِنْ الْبَوْلِ. رواه أحمد وابن ماجه واللفظ له والحاكم

(صحيح) و عن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اكثر عذاب القبر من البول. رواه احمد وابن ماجه واللفظ له والحاكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৬২

পরিচ্ছেদঃ ৪) কাপড় ইত্যাদিতে পেশাব লেগে যাওয়া এবং তা থেকে মুক্ত না হওয়ার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

১৬২. (সহীহ) আবদুর রহমান বিন হাসানাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা আমাদের নিকট বের হয়ে এলেন। তাঁর হাতে ছিল চামড়া নির্মিত একটি ঢাল। তিনি মানুষ থেকে পর্দা করার জন্য উহা তার সামনে রাখলেন এবং তার আড়ালে পেশাব করলেন। কোন এক লোক বললঃ তাকে দেখে মহিলা যেভাবে পেশাব করে সেভাবে পেশাব করছে। একথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ

’’আফসোস তোমার জন্য!, তুমি কি জাননা বনী ঈসরাঈলের সেই লোকটির কথা? (নিয়ম ছিল) তাদের শরীরে যখন পেশাব লাগত, তখন পবিত্র হওয়ার জন্য শরীরের ঐ অংশটুকু তারা কেঁচি দিয়ে কেটে ফেলত। তাদেরকে ঐ লোকটি একাজ করতে নিষেধ করল। একারণে কবরে তাকে আযাব দেয়া হয়েছে।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনে মাজাহ্ ৩৪৬ ও ইবনে হিব্বান ৩১২৭)[1]

الترهيب من إصابة البول الثوب وغيره وعدم الاستبراء منه

(صحيح) وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنِ حَسَنَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي يَدِهِ الدَّرَقَةُ فَوَضَعَهَا ثُمَّ جَلَسَ فَبَالَ إِلَيْهَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ انْظُرُوا إِلَيْهِ يَبُولُ كَمَا تَبُولُ الْمَرْأَةُ فَسَمِعَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ وَيْحَكَ أَمَا عَلِمْتَ مَا أَصَابَ صَاحِبَ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانُوا إِذَا أَصَابَهُمْ الْبَوْلُ قَرَضُوهُ بِالْمَقَارِيضِ فَنَهَاهُمْ عَنْ ذَلِكَ فَعُذِّبَ فِي قَبْرِهِ. رواه ابن ماجه وابن حبان

(صحيح) وعن عبد الرحمن ابن حسنة رضي الله عنه قال خرج علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم وفي يده الدرقة فوضعها ثم جلس فبال اليها فقال بعضهم انظروا اليه يبول كما تبول المراة فسمعه النبي صلى الله عليه وسلم فقال ويحك اما علمت ما اصاب صاحب بني اسراىيل كانوا اذا اصابهم البول قرضوه بالمقاريض فنهاهم عن ذلك فعذب في قبره. رواه ابن ماجه وابن حبان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৪) কাপড় ইত্যাদিতে পেশাব লেগে যাওয়া এবং তা থেকে মুক্ত না হওয়ার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

১৬৩. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে চলছিলাম। এসময় আমরা দু’টি কবরের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে গেলেন। আমরাও তাঁর সাথে দাঁড়ালাম। তাঁর চেহারার রং পাল্টে যেতে লাগল এমনকি তাঁর জামার আস্তিন কেঁপে উঠল। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল কি হয়েছে আপনার?

তিনি বললেন, ’’আমি যা শুনতে পাচ্ছি তোমরা কি তা শুনতে পাচ্ছ না?’’
আমরা বললাম, কি তা হে আল্লাহর নবী?
তিনি বললেন, এখানে দু’জন ব্যাক্তিকে তাদের কবরে খুব কঠিন আযাব দেয়া হচ্ছে (তাদের ধারণানুযায়ী) পাপ দু’টি খুবই সাধারণ।’’
আমরা আরয করলাম, কি সে পাপ?

তিনি বললেন, তাদের একজন পেশাব থেকে সতর্ক হত না, অপরজন যবান দ্বারা মানুষকে কষ্ট দিত, মানুষের মাঝে চুগোলখোরি করত। তিনি খেজুরের দু’টি ডাল নিয়ে আসতে বললেন, অতঃপর প্রত্যেক কবরে একটি করে ডাল রেখে দিলেন। আমরা বললাম, এটা কি তাদের কোন উপকারে আসবে?

তিনি বললেন, ’’হাঁ, যতক্ষণ ডাল দু’টি তাজা থাকবে, তাদের থেকে আযাব হালকা করা হবে।’’

(ইবনে হিব্বান ৪/৯৯ পৃষ্ঠা স্বীয় সহীহ গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৮২১)

الترهيب من إصابة البول الثوب وغيره وعدم الاستبراء منه

(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: كنا نمشي مع رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فمررنا على قبرين فقام فقمنا معه فجعل لونه يتغير حتى رعدكم قميصه فقلنا ما لك يا رسول الله فقال أما تسمعون ما أسمع فقلنا وما ذاك يا نبي الله قال هذأنَّ رَجُلاًن يعذبان في قبورهما عذابا شديدا في ذنب هين قلنا فيم ذلك قال كان أحدهما لا يستنزه من البول وكان الآخر يؤذي الناس بلسانه ويمشي بينهم بالنميمة فدعا بجريدتين من جرائد النخل فجعل في كل قبر واحدة قلنا وهل ينفعهم ذلك قال نعم يخفف عنهما ما دامتا رطبتين. رواه ابن حبان في صحيحه

(صحيح) وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: كنا نمشي مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فمررنا على قبرين فقام فقمنا معه فجعل لونه يتغير حتى رعدكم قميصه فقلنا ما لك يا رسول الله فقال اما تسمعون ما اسمع فقلنا وما ذاك يا نبي الله قال هذان رجلان يعذبان في قبورهما عذابا شديدا في ذنب هين قلنا فيم ذلك قال كان احدهما لا يستنزه من البول وكان الاخر يوذي الناس بلسانه ويمشي بينهم بالنميمة فدعا بجريدتين من جراىد النخل فجعل في كل قبر واحدة قلنا وهل ينفعهم ذلك قال نعم يخفف عنهما ما دامتا رطبتين. رواه ابن حبان في صحيحه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
১৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৫) লুঙ্গি ছাড়া পুরুষদের এবং নেফাসযুক্ত বা রুগ্ন মহিলা ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের লুঙ্গিসহ গণগোসলখানায় প্রবেশের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তার বর্ণনা

১৬৪. (সহীহ্ লি গাইরিহী) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন লুঙ্গি ছাড়া গণগোসলখানায় প্রবেশ না করে। আর যে ব্যাক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার স্ত্রীকে গণগোসলখানায় প্রবেশ না করায়।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন নাসাঈ ১/১৯৮, তিরমিযী ২৮০১ ও হাকেম ৪/২৮৮। হাকেম বলেন, মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীছটি সহীহ)

الترهيب من دخول الرجال الحمام بغير أزر ومن دخول النساء بأزر وغيرها إلا نفساء أو مريضة وما جاء في النهي عن ذلك

(صحيح لغيره) عن جاَبِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قاَلَ: قَالَ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يَدْخُلْ الْحَمَّامَ إلا بمئزر وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يُدْخِلْ حَلِيلَتَهُ الْحَمَّامَ. رواه النسائي والترمذي وحسنه والحاكم وقال صحيح على شرط مسلم

(صحيح لغيره) عن جابر رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: قال من كان يومن بالله واليوم الاخر فلا يدخل الحمام الا بمىزر ومن كان يومن بالله واليوم الاخر فلا يدخل حليلته الحمام. رواه النساىي والترمذي وحسنه والحاكم وقال صحيح على شرط مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪. পবিত্রতা (كتاب الطهارة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »