পরিচ্ছেদঃ ১. হত্যার বিনিময়ে হত্যা সম্পর্কে।
৪৪৩৪. মুহাম্মদ ইবন আলা (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কুরায়যা ও নাযীর- ইয়াহূদীদের এ দু’টি গোত্রের মধ্যে- নাযীর গোত্রটি অধিক সম্মানিত ছিল। কুরায়রা গোত্রের কোন লোক, নাযীর গোত্রের কোন লোককে হত্যা করলে, এর বিনিময়ে তাকে হত্যা করা হতো। অপর পক্ষে নাযীর গোত্রের কোন লোক কুরায়যা গোত্রের কোন লোককে হত্যা করলে, এর বিনিময়ে হত্যাকারীকে একশো ওসক ফিদয়া বা রক্তপণ দিতে হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় আসেন, তখন নাযীর গোত্রের একটি লোক, কুরায়যা গোত্রের একজনকে হত্যা করে।
তখন নাযীর গোত্রের লোকেরা তাদের বলেঃ হত্যাকারীকে আমাদের হাতে সোপর্দ কর, আমরা তাকে হত্যা করবো। তখন বনূ কুরায়যা বলেঃ আমাদের ও তোমাদের মাঝে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আছেন, চল তার কাছে যাই। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলে এ আয়াত নাযিল হয়ঃ যদি আপনি তাদের মাঝে ফায়সালা করেন, তবে ইনসাফের সাথে করবেন। আর ইনসাফ হলোঃ জানের বিনিময়ে জান। এরপর এ আয়াত নাযিল হয়ঃ তারা কি যাহিলী যুগের ফায়সালা পসন্দ করে? (এরূপ করা উচিত নয়।)
باب النَّفْسِ بِالنَّفْسِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - عَنْ عَلِيِّ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ قُرَيْظَةُ وَالنَّضِيرُ - وَكَانَ النَّضِيرُ أَشْرَفَ مِنْ قُرَيْظَةَ - فَكَانَ إِذَا قَتَلَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْظَةَ رَجُلاً مِنَ النَّضِيرِ قُتِلَ بِهِ وَإِذَا قَتَلَ رَجُلٌ مِنَ النَّضِيرِ رَجُلاً مِنْ قُرَيْظَةَ فُودِيَ بِمِائَةِ وَسْقٍ مِنْ تَمْرٍ فَلَمَّا بُعِثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَتَلَ رَجُلٌ مِنَ النَّضِيرِ رَجُلاً مِنْ قُرَيْظَةَ فَقَالُوا ادْفَعُوهُ إِلَيْنَا نَقْتُلْهُ . فَقَالُوا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَوْهُ فَنَزَلَتْ ( وَإِنْ حَكَمْتَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِالْقِسْطِ ) وَالْقِسْطُ النَّفْسُ بِالنَّفْسِ ثُمَّ نَزَلَتْ ( أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ ) .
Narrated Abdullah Ibn Abbas:
Qurayzah and Nadir (were two Jewish tribes). An-Nadir were nobler than Qurayzah. When a man of Qurayzah killed a man of an-Nadir, he would be killed. But if a man of an-Nadir killed a man of Qurayzah, a hundred wasq of dates would be paid as blood-money. When Prophethood was bestowed upon the Prophet (ﷺ), a man of an-Nadir killed a man of Qurayzah.
They said: Give him to us, we shall kill him. They replied: We have the Prophet (ﷺ) between you and us. So they came to him.
Thereupon the following verse was revealed: "If thou judge, judge in equity between them." "In equity" means life for a life.
The following verse was then revealed: "Do they seek of a judgment of (the days) ignorance?"
পরিচ্ছেদঃ ২. পিতা বা ভাইয়ের অপরাধে- অন্যকে শাস্তি দেয়া যাবে না।
৪৪৩৫. আহমদ ইবন ইউনুস (রহঃ) .... আবূ রিমছা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতার সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গমন করি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ একি তোমার ছেলে? তিনি বলেনঃ কা’বার রবের শপথ! হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি কি সত্য বলছো? আমার পিতা বলেনঃ এ ব্যাপারে আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি। তিনি বলেনঃ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এজন্য মুচকি হাসেন যে, আমার চেহারার সাথে আমার পিতার চেহারার হুবহু মিল ছিল, তবুও আমার পিতা শপথ করেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জেনে রাখ! তোমার অপরাধে সে দোষী সাব্যস্ত হবে না এবং তুমিও তার অপরাধে দোষী হবে না। এরপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেনঃ একে অপরের গুনাহের বোঝা উঠাবে না।
باب لاَ يُؤْخَذُ الرَّجُلُ بِجَرِيرَةِ أَخِيهِ أَوْ أَبِيهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ إِيَادٍ - حَدَّثَنَا إِيَادٌ، عَنْ أَبِي رِمْثَةَ، قَالَ انْطَلَقْتُ مَعَ أَبِي نَحْوَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لأَبِي " ابْنُكَ هَذَا " . قَالَ إِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ قَالَ " حَقًّا " . قَالَ أَشْهَدُ بِهِ . قَالَ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَاحِكًا مِنْ ثَبْتِ شَبَهِي فِي أَبِي وَمِنْ حَلْفِ أَبِي عَلَىَّ . ثُمَّ قَالَ " أَمَا إِنَّهُ لاَ يَجْنِي عَلَيْكَ وَلاَ تَجْنِي عَلَيْهِ " . وَقَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ( وَلاَ تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى )
Narrated AbuRimthah:
I went to the Prophet (ﷺ) with my father. The Messenger of Allah (ﷺ) then asked my father: Is this your son? He replied: Yes, by the Lord of the Ka'bah. He again said: Is it true? He said: I bear witness to it. The Messenger of Allah (ﷺ) then smiled for my resemblance with my father, and for the fact that my father took an oath upon me. He then said: He will not bring evil on you, nor will you bring evil on him. The Messenger of Allah (ﷺ) recited the verse: "No bearer of burdens can bear the burden of another."
পরিচ্ছেদঃ ৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৩৬. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) .... আবূ শূরায়হ খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির উপর কোন হত্যার বা অংগচ্ছেদের বিপদ আসে, তাকে যেন তিনটির মধ্যে কোন একটি সুযোগ দেয়া হয়। হয়তো রক্তপণ নেবে, নয়তো মাফ করে দেবে, অথবা বিনিময় নেবে। এরপর যদি সে চতুর্থ কোন বিষয়ের আকাংক্ষা করে, তবে তার হাত ধরে তা থেকে বিরত রাখতে হবে। এরপরও যদি কেউ বাড়াবাড়ি করে, তবে তার জন্য ভীষণ আযাব নির্ধারিত আছে।
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ فُضَيْلٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ أَبِي الْعَوْجَاءِ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أُصِيبَ بِقَتْلٍ أَوْ خَبْلٍ فَإِنَّهُ يَخْتَارُ إِحْدَى ثَلاَثٍ إِمَّا أَنْ يَقْتَصَّ وَإِمَّا أَنْ يَعْفُوَ وَإِمَّا أَنْ يَأْخُذَ الدِّيَةَ فَإِنْ أَرَادَ الرَّابِعَةَ فَخُذُوا عَلَى يَدَيْهِ وَمَنِ اعْتَدَى بَعْدَ ذَلِكَ فَلَهُ عَذَابٌ أَلِيمٌ " .
Narrated AbuShurayh al-Khuza'i:
The Prophet (ﷺ) said: If a relative of anyone is killed, or if he suffers khabl, which means a wound, he may choose one of the three things: he may retaliate, or forgive, or receive compensation. But if he wishes a fourth (i.e. something more), hold his hands. After this whoever exceeds the limits shall be in grave penalty.
পরিচ্ছেদঃ ৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৩৭. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ..... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যখনই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কোন কিসাসের মোকদ্দমা দায়ের হতে দেখেছি, তখনই আমি তাঁকে নিহত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনদের তা মাফ করে দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে দেখেছি।
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رُفِعَ إِلَيْهِ شَىْءٌ فِيهِ قِصَاصٌ إِلاَّ أَمَرَ فِيهِ بِالْعَفْوِ .
Narrated Anas ibn Malik:
I never saw the Messenger of Allah (ﷺ) that some dispute which involved retaliation was brought to him but he commanded regarding it for remission.
পরিচ্ছেদঃ ৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৩৮. উছমান ইবন আবূ শায়বা (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এক ব্যক্তি নিহত হলে, তাঁর কাছে এ মোকদ্দমা আসে। তখন তিনি হত্যাকারীকে নিহত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনের হাতে সোপর্দ করেন। হত্যাকারী বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্র শপথ! আমি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারি নাই। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিহত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনদের বলেনঃ যদি এ ব্যক্তি সত্যবাদী হয় এবং তোমরা তাকে হত্যা কর, তবে নিশ্চয়ই তোমরা জাহান্নামী হবে। একথা শুনে তারা তাকে ছেড়ে দেয়। এ সময় তার দু’হাত চামড়ার ফিতা দিয়ে বাঁধা ছিল। সে তা টেনে ছিড়ে ফেলতে ফেলতে বেরিয়ে আসে। ফলে তার উপাধি হয়ে যায়। ফিতাধারী ব্যক্তি।
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قُتِلَ رَجُلٌ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرُفِعَ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَفَعَهُ إِلَى وَلِيِّ الْمَقْتُولِ فَقَالَ الْقَاتِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ قَتْلَهُ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلْوَلِيِّ " أَمَا إِنَّهُ إِنْ كَانَ صَادِقًا ثُمَّ قَتَلْتَهُ دَخَلْتَ النَّارَ " . قَالَ فَخَلَّى سَبِيلَهُ . قَالَ وَكَانَ مَكْتُوفًا بِنِسْعَةٍ فَخَرَجَ يَجُرُّ نِسْعَتَهُ فَسُمِّيَ ذَا النِّسْعَةِ .
Narrated AbuHurayrah:
A man was killed in the lifetime of the Prophet (ﷺ). The matter was brought to the Prophet (ﷺ). He entrusted him to the legal guardian of the slain. The slayer said: Messenger of Allah, I swear by Allah, I did not intend to kill him. The Messenger of Allah (ﷺ) said to the legal guardian: Now if he is true and you kill him, you will enter Hell-fire. So he let him go. His hands were tied with a strap. He came out pulling his strap. Hence he was called Dhu an-Nis'ah (possessor of strap).
পরিচ্ছেদঃ ৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৩৯. আবদুল্লাহ ইবন মায়সারা (রহঃ) ..... ওয়ায়েল ইবন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তখন তাঁর কাছে একজন হত্যাকারীকে আনা হয়। যার গলায় চামড়ার বেল্ট বাঁধা ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তাকে ক্ষমা করে দেবে? সে বলেঃ না। তিনি বলেনঃ তুমি কি রক্তপণ গ্রহণ করবে? সে বলেঃ না। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি তাকে হত্যা করবে? সে বলেঃ হ্যাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাকে নিয়ে যাও।
এরপর সে ব্যক্তি যখন তাকে নিতে চাইলো, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি তাকে মাফ করে দেবে? সে বলেঃ না। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি রক্তপণ গ্রহণ করবে? সে বলেঃ না। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি কি তাকে হত্যা করবে? সে বলেঃহ্যাঁ। তখন তিনি তাকে নিয়ে যাবার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি তাকে চতুর্থবারের মত বলেনঃ দেখ, যদি তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও, তবে সে ব্যক্তি তোমার ও নিহত ব্যক্তির গুনাহের ভাগী হবে। এ কথা শুনে সে ব্যক্তি তাকে ক্ষমা করে দেয়। রাবী বলেনঃ তখন আমি সে হত্যাকারী ব্যক্তিকে বেল্ট টানতে টানতে যেতে দেখি।
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ الْجُشَمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَوْفٍ، حَدَّثَنَا حَمْزَةُ أَبُو عُمَرَ الْعَائِذِيُّ، حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ، حَدَّثَنِي وَائِلُ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ جِيءَ بِرَجُلٍ قَاتِلٍ فِي عُنُقِهِ النِّسْعَةُ قَالَ فَدَعَا وَلِيَّ الْمَقْتُولِ فَقَالَ " أَتَعْفُو " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَتَأْخُذُ الدِّيَةَ " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَتَقْتُلُ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " اذْهَبْ بِهِ " . فَلَمَّا وَلَّى قَالَ " أَتَعْفُو " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَتَأْخُذُ الدِّيَةَ " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَتَقْتُلُ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " اذْهَبْ بِهِ " . فَلَمَّا كَانَ فِي الرَّابِعَةِ قَالَ " أَمَا إِنَّكَ إِنْ عَفَوْتَ عَنْهُ يَبُوءُ بِإِثْمِهِ وَإِثْمِ صَاحِبِهِ " . قَالَ فَعَفَا عَنْهُ . قَالَ فَأَنَا رَأَيْتُهُ يَجُرُّ النِّسْعَةَ .
Narrated Wa'il ibn Hujr:
I was with the Prophet (ﷺ) when a man who was a murderer and had a strap round his neck was brought to him.
He then called the legal guardian of the victim and asked him: Do you forgive him?
He said: No. He asked: Will you accept the blood-money? He said: No. He asked: Will you kill him? He said: Yes. He said: Take him. When he turned his back, he said: Do you forgive him? He said: No. He said: Will you accept the blood-money? He said: No. He said: Will you kill him? He said: Yes. He said: Take him. After repeating all this a fourth time, he said: If you forgive him, he will bear the burden of his own sin and the sin of the victim. He then forgave him. He (the narrator) said: I saw him pulling the strap.
পরিচ্ছেদঃ ৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৪০. উবাদুল্লাহু ইবন উমার (রহঃ) .... জামে ইবন মাতার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আলকামা ইবন ওয়ায়েল উপরোক্ত হাদীছের অনু্রূপ সনদ ও অর্থে হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي جَامِعُ بْنُ مَطَرٍ، حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ .
The tradition mentioned above has also been transmitted by 'Alqamah b. Wa'il through a different chain of narrators and to the same effect.
পরিচ্ছেদঃ ৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৪১. মুহাম্মদ ইবন আওফ (রহঃ) ...... আলকামা ইবন ওয়ায়েল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা এক ব্যক্তি একজন হাবশীকে নিয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসে এবং বলেঃ এ ব্যক্তি আমার ভাইয়ের ছেলেকে হত্যা করেছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি তাকে কিরূপে হত্যা করেছ? সে বলেঃ আমি তার মাথায় কুঠার দিয়ে আঘাত করেছিলাম, কিন্তু এতে আমার হত্যার ইচ্ছা ছিল না। তিনি বলেনঃ তোমার কাছে রক্তপণ দেয়ার মত মাল আছে কি? সে বলেঃ না। তিনি বলেন যদি আমি তোমাকে ছেড়ে দেই তবে কি তুমি লোকদের থেকে চেয়ে রক্তপণের টাকা যোগাড় করতে পারবে? সে বলেঃ না। তিনি আবার তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার ওয়ারিছরা তোমার পক্ষ হতে দিয়াত পরিশোধ করতে পারবে কি? সে বলেঃ না। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিহত ব্যক্তির চাচাকে বলেনঃ তুমি তাকে নিয়ে যাও। সে ব্যক্তি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিতে চাইলে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যদি এ ব্যক্তি তাকে হত্যা করে, তবে সেও অনুরূপ গুনাহের অধিকারী হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ কথা তার নিকট পৌঁছলে সে বলে, এ ব্যাপারে যা খুশী ফায়সালা করুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি তাকে ছেড়ে দাও। সে নিহত ব্যক্তির ও তার নিজের গুনাহের কারণে দোজখের অধিবাসী হবে। একথা শুনে সে তাকে ছেড়ে দেয়।
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ الْحَجَّاجِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَطَاءٍ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِحَبَشِيٍّ فَقَالَ إِنَّ هَذَا قَتَلَ ابْنَ أَخِي . قَالَ " كَيْفَ قَتَلْتَهُ " . قَالَ ضَرَبْتُ رَأْسَهُ بِالْفَأْسِ وَلَمْ أُرِدْ قَتْلَهُ . قَالَ " هَلْ لَكَ مَالٌ تُؤَدِّي دِيَتَهُ " . قَالَ لاَ . قَالَ " أَفَرَأَيْتَ إِنْ أَرْسَلْتُكَ تَسْأَلُ النَّاسَ تَجْمَعُ دِيَتَهُ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَمَوَالِيكَ يُعْطُونَكَ دِيَتَهُ " . قَالَ لاَ . قَالَ لِلرَّجُلِ " خُذْهُ " . فَخَرَجَ بِهِ لِيَقْتُلَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا إِنَّهُ إِنْ قَتَلَهُ كَانَ مِثْلَهُ " . فَبَلَغَ بِهِ الرَّجُلُ حَيْثُ يَسْمَعُ قَوْلَهُ فَقَالَ هُوَ ذَا فَمُرْ فِيهِ مَا شِئْتَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْسِلْهُ - وَقَالَ مَرَّةً دَعْهُ - يَبُوءُ بِإِثْمِ صَاحِبِهِ وَإِثْمِهِ فَيَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ " . قَالَ فَأَرْسَلَهُ .
Narrated Wa'il (b. Hujr):
A man brought an Abyssinian to the Prophet (ﷺ) and said: This man has killed my nephew. He asked: How did you kill him? He replied: I struck his head with axe but I did not intend to kill him. He asked: Have you some money so that you pay his blood-wit? He said: No. He said: What is your opinion if I send you so that you ask the people (for money) and thus collect your blood-wit? He said: No. He asked : Will your masters give you his blood-wit (to pay his relatives)? He said: No. He said to the man. Take him. So he brought him out to kill him. The Messenger of Allah (ﷺ) said: If he kill him, he will be like him. This (statement) reached the man where he was listening to his statement. He said: He is here, order regarding him as you like. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Leave him alone. And he once said: He will bear the burden of the sin of the slain and that of his own and thus he will become one of the Companions of Hell. So he let him go.
পরিচ্ছেদঃ ৩. রক্তপণ মাফের ব্যাপারে ইমামের নির্দেশ সম্পর্কে।
৪৪৪২. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) .... যিয়াদ ইবন সা’আদ ইবন যামীরা (রাঃ) তার পিতা এবং দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়ই হুনায়েনের যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলেন। রাবী ওয়াহাব (রহঃ)-এর সূত্রে বলেনঃ মুহাল্লাম ইবন জাছামা লায়ছী (রাঃ) আশজা গোত্রের এক ব্যক্তিকে ইসলামী যুগে হত্যা করেছিল। এটাই ছিল প্রথম দিয়াতের ঘটনা, যার ফায়সালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেন। এরপর উয়ায়না আশাজ গোত্রের পক্ষে কথাবার্তা বলেন, আর তিনি ছিলেন গাতফান গোত্রের লোক এবং আকরা ইবন হাবিস (রাঃ) মুহাল্লাম গোত্রের পক্ষে কথাবার্তা বলেন, আর তিনি ছিলেন খুনদুফ গোত্রের লোক। কথাবার্তা চলাকালে ঝগড়া যখন প্রচণ্ডরূপ ধারণ করে, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে উয়ায়না! তুমি কি দিয়াত গ্রহণ করবে না? তখন উয়ায়না বলেনঃ আল্লাহ্র শপথ! আমি দিয়াত গ্রহণ করবো না; যতক্ষণ না তাদের স্ত্রীলোকেরা ঐরূপ শোকাতুরা হয়, যেরূপ আমাদের মহিলারা হয়েছে।
এভাবে প্রচণ্ড বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে এবং ঝগড়া যখন প্রচণ্ডরূপ ধারণ করে; তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার জিজ্ঞাসা করেনঃ হে উয়ায়ানা! তুমি কি দিয়াত গ্রহণ করবে না? তখন উয়ায়না (রাঃ) আগের মত জবাব প্রদান করে। এ সময় লায়ছ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি, যার নাম ছিল মুকায়তিল, যিনি স্বশস্ত্র অবস্থায় ঢালসহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তিনি দাঁড়িয়ে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ ব্যক্তি ইসলামের প্রথম যুগে যা করেছে, তার উদাহারণ ঐ বকরীর পালের মত, যারা কোথাও পানি পান করাকালে, তাদের একটি কারাহত হলে বাকীরা ভয়ে পালিয়ে যায়। কাজেই, আজ এ ব্যক্তির নিকট হতে কিসাস না নিয়ে, যদি দিয়াত কবূল করা হয়, তবে ভবিষ্যতে আরো লোক নিহত হতে থাকবে, যা ইসলামী বিধানের পরিবর্তন স্বরূপ হবে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন এই নির্দেশ দেনঃ হত্যাকারী এখনই পঞ্চাশটি উট প্রদান করবে এবং বাকী পঞ্চাশটি উট মদীনায় ফিরে গিয়ে নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীকে দেবে। এ ঘটনা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক সফরে ঘটেছিল।
মুহাল্লাম (রাঃ) ছিলেন দীর্ঘদেহী এবং উজ্জ্বল বর্ণবিশিষ্ট। তিনি এতক্ষণ লোকদের একপাশে বসেছিলেন। মুক্তির নির্দেশ গ্রাপ্তির পর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে এসে বসেন। এ সময় তাঁর দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছিল। এরপর তিনি বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যে অপরাধ করেছি, তা আপনি জানেন। আমি মহান আল্লাহ্র কাছে তাওবা করছি। ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি মহান আল্লাহ্র নিকটে আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি কি ইসলামের প্রথম যুগে তোমার তরবারি দিয়ে তাকে হত্যা করনি? ইয়া আল্লাহ্! আপনি মুহাল্লামকে ক্ষমা করবেন না। তিনি উচ্চকন্ঠে এরূপ ঘোষণা দেন।
রাবী আবূ সালামা (রহঃ) এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, এ কথা শুনে মুহাল্লাম তার চাদরের কোণা দিয়ে নিজের অশ্রু মুছতে থাকেন। রাবী ইবন ইসহাক (রহঃ) বলেনঃ তার কাওমের লোকদের ধারণা ছিল, অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাল্লামের মাগফিরাতের জন্য দু’আ করেন।
باب الإِمَامِ يَأْمُرُ بِالْعَفْوِ فِي الدَّمِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ سَمِعْتُ زِيَادَ بْنَ ضُمَيْرَةَ الضَّمْرِيَّ، ح وَحَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَيَانٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ زِيَادَ بْنَ سَعْدِ بْنِ ضُمَيْرَةَ السُّلَمِيَّ، - وَهَذَا حَدِيثُ وَهْبٍ وَهُوَ أَتَمُّ - يُحَدِّثُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِيهِ - قَالَ مُوسَى - وَجَدِّهِ وَكَانَا شَهِدَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُنَيْنًا - ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى حَدِيثِ وَهْبٍ - أَنَّ مُحَلِّمَ بْنَ جَثَّامَةَ اللَّيْثِيَّ قَتَلَ رَجُلاً مِنْ أَشْجَعَ فِي الإِسْلاَمِ وَذَلِكَ أَوَّلُ غِيَرٍ قَضَى بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمَ عُيَيْنَةُ فِي قَتْلِ الأَشْجَعِيِّ لأَنَّهُ مِنْ غَطَفَانَ وَتَكَلَّمَ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ دُونَ مُحَلِّمٍ لأَنَّهُ مِنْ خِنْدِفَ فَارْتَفَعَتِ الأَصْوَاتُ وَكَثُرَتِ الْخُصُومَةُ وَاللَّغَطُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عُيَيْنَةُ أَلاَ تَقْبَلُ الْغِيَرَ " . فَقَالَ عُيَيْنَةُ لاَ وَاللَّهِ حَتَّى أُدْخِلَ عَلَى نِسَائِهِ مِنَ الْحَرْبِ وَالْحَزَنِ مَا أَدْخَلَ عَلَى نِسَائِي . قَالَ ثُمَّ ارْتَفَعَتِ الأَصْوَاتُ وَكَثُرَتِ الْخُصُومَةُ وَاللَّغَطُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عُيَيْنَةُ أَلاَ تَقْبَلُ الْغِيَرَ " . فَقَالَ عُيَيْنَةُ مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا إِلَى أَنْ قَامَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي لَيْثٍ يُقَالُ لَهُ مُكَيْتِلٌ عَلَيْهِ شِكَّةٌ وَفِي يَدِهِ دَرَقَةٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمْ أَجِدْ لِمَا فَعَلَ هَذَا فِي غُرَّةِ الإِسْلاَمِ مَثَلاً إِلاَّ غَنَمًا وَرَدَتْ فَرُمِيَ أَوَّلُهَا فَنَفَرَ آخِرُهَا اسْنُنِ الْيَوْمَ وَغَيِّرْ غَدًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَمْسُونَ فِي فَوْرِنَا هَذَا وَخَمْسُونَ إِذَا رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ " . وَذَلِكَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَمُحَلِّمٌ رَجُلٌ طَوِيلٌ آدَمُ وَهُوَ فِي طَرَفِ النَّاسِ فَلَمْ يَزَالُوا حَتَّى تَخَلَّصَ فَجَلَسَ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعَيْنَاهُ تَدْمَعَانِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ فَعَلْتُ الَّذِي بَلَغَكَ وَإِنِّي أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَقَتَلْتَهُ بِسِلاَحِكَ فِي غُرَّةِ الإِسْلاَمِ اللَّهُمَّ لاَ تَغْفِرْ لِمُحَلِّمٍ " . بِصَوْتٍ عَالٍ زَادَ أَبُو سَلَمَةَ فَقَامَ وَإِنَّهُ لَيَتَلَقَّى دُمُوعَهُ بِطَرَفِ رِدَائِهِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فَزَعَمَ قَوْمُهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَغْفَرَ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ .
Narrated Ziyad ibn Sa'd ibn Dumayrah as-Sulami:
On the authority of his father (Sa'd) and his grandfather (Dumayrah) (according to Musa's version) who were present in the battle of Hunayn with the Messenger of Allah (ﷺ): After the advent of Islam, Muhallam ibn Jaththamah al-Laythi killed a man of Ashja'.
That was the first blood-money decided by the Messenger of Allah (ﷺ) (for payment). Uyaynah spoke about the killing of al-Ashja'i, for he belonged to Ghatafan, and al-Aqra' ibn Habis spoke on behalf of Muhallam, for he belonged to Khunduf. The voices rose high, and the dispute and noise grew.
So the Messenger of Allah (ﷺ) said: Do you not accept blood-money, Uyaynah?
Uyaynah then said: No, I swear by Allah, until I cause his women to suffer the same fighting and grief as he caused my women to suffer. Again the voices rose high, and the dispute and noise grew.
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Do you not accept the blood-money Uyaynah? Uyaynah gave the same reply as before, and a man of Banu Layth called Mukaytil stood up. He had a weapon and a skin shield in his hand.
He said: I do not find in the beginning of Islam any illustration for what he has done except the one that "some sheep came on, and those in the front were shot; hence those in the rear ran away". (The other example is that) "make a law today and change it."
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Fifty (camels) here immediately and fifty when we return to Medina. This happened during some of his journeys. Muhallam was a tall man of dark complexion. He was with the people. They continued (to make effort for him) until he was released. He sat before the Messenger of Allah (ﷺ), with his eyes flowing.
He said: Messenger of Allah! I have done (the act) of which you have been informed. I repent to Allah, the Exalted, so ask Allah's forgiveness for me. Messenger of Allah!
The Messenger of Allah (ﷺ) then said: Did you kill him with your weapon at the beginning of Islam. O Allah! do not forgive Muhallam. He said these words loudly.
AbuSalamah added: He (Muhallam) then got up while he was wiping his tears with the end of his garment.
Ibn Ishaq said: His people alleged that the Messenger of Allah (ﷺ) asked forgiveness for him after that.
পরিচ্ছেদঃ ৪. নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী দিয়াত নিতে চাইলে সে সস্পর্কে।
৪৪৪৩. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... আবূ শুরায়হ কা’বী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে খুযা’আ গোত্রের লোকেরা! তোমরা শ্রবণ কর। তোমরা হুযায়ল গোত্রের এ লোককে হত্যা করেছ। আমি এর দিয়াত আদায় করে দেব। আমার এই নির্দেশের পর যদি কোন গোত্রের কেউ নিহত হয়, তবে তার উত্তরাধিকারীদের দু’টি ইখতিয়ার থাকবে, হয় তারা দিয়াত গ্রহণ করবে, নয়তো হত্যাকারীকে কতল করবে।
باب وَلِيِّ الْعَمْدِ يَأْخُذُ الدِّيَةَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا شُرَيْحٍ الْكَعْبِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ إِنَّكُمْ يَا مَعْشَرَ خُزَاعَةَ قَتَلْتُمْ هَذَا الْقَتِيلَ مِنْ هُذَيْلٍ وَإِنِّي عَاقِلُهُ فَمَنْ قُتِلَ لَهُ بَعْدَ مَقَالَتِي هَذِهِ قَتِيلٌ فَأَهْلُهُ بَيْنَ خِيرَتَيْنِ أَنْ يَأْخُذُوا الْعَقْلَ أَوْ يَقْتُلُوا " .
Narrated AbuShurayb al-Ka'bi:
The Prophet (ﷺ) said: Then you, Khuza'ah, have killed this man of Hudhayl, but I will pay his blood-wit. After these words of mine if a man of anyone is killed, his people will have a choice to accept blood-wit or to kill him.
পরিচ্ছেদঃ ৪. নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী দিয়াত নিতে চাইলে সে সস্পর্কে।
৪৪৪৪. আব্বাস ইবন ওয়ালীদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন মক্কা বিজয় হয়, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে বলেনঃ যার কোন আপন জন মারা গেছে, তার দু’টি ইখতিয়ার আছে। হয়তো সে হত্যাকারীর নিকট হতে দিয়াত গ্রহণ করবে, নয়তো কিসাস নিবে। তখন ইয়ামনের আবূ শাহ নামক এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটি আমাকে লিখে দেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা আবূ শাহকে এটা লিখে দাও।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেনঃ আবূ শাহ (রাঃ) বলেছিলেনঃ তোমরা আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভাষণটি লিখে দাও।
باب وَلِيِّ الْعَمْدِ يَأْخُذُ الدِّيَةَ
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ، أَخْبَرَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا فُتِحَتْ مَكَّةُ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِمَّا أَنْ يُودَى أَوْ يُقَادَ " . فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ يُقَالُ لَهُ أَبُو شَاهٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْتُبْ لِي - قَالَ الْعَبَّاسُ اكْتُبُوا لِي - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اكْتُبُوا لأَبِي شَاهٍ " . وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِ أَحْمَدَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ اكْتُبُوا لِي يَعْنِي خُطْبَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Abu Hurairah:
When Mecca was conquered, the Messenger of Allah (ﷺ) got up and said: If a relative of anyone is killed, he will have a choice between two : he (the slayer) will either pay the blood-wit or he will be killed. A man of the Yemen called Abu Shah stood up and said: Write for me, Messenger of Allah. The narrator al-'Abbas (b. al-Walid) said: Write to me, (you people). The Messenger of Allah (ﷺ) said: Write (you people), for Abu Shah. These are the wordings of the tradition of Ahmad.
Abu Dawud said: Write (you people), for me, that is, the address of the Prophet (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ৫. দিয়াত গ্রহণের পর হত্যা করলে - সে সম্পর্কে।
৪৪৪৫. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ..... জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হত্যাকরী থেকে দিয়াত গ্রহণের পর তাকে হত্যা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো না।
باب مَنْ قَتَلَ بَعْدَ أَخْذِ الدِّيَةِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَمَنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا دُفِعَ إِلَى أَوْلِيَاءِ الْمَقْتُولِ فَإِنْ شَاءُوا قَتَلُوهُ وَإِنْ شَاءُوا أَخَذُوا الدِّيَةَ " .
Narrated 'Amr b. Shu'aib:
On his father's authority said that his grandfather reported the Prophet (ﷺ) said: A believer will not be killed for an infidel. If anyone kills a man deliberately, he is to be handed over to the relatives of the one who has been killed. If they wish, they may kill, but if they wish, they may accept blood-wit
পরিচ্ছেদঃ ৬. যদি কেউ কাউকে বিষাক্ত খাদ্য-পানীয় পান করায় এবং সে তাতে মারা যায়, তবে তার থেকে কিসাস নেয়া যাবে কি না?
৪৪৪৬. ইয়াহইয়া ইবন হাবীব (রহঃ) .... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনাঃ একদা ইয়াহূদী এক নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বিষ-মিশ্রিত বকরীর মাংস নিয়ে আসে। যা থেকে তিনি কিছু ভক্ষণ করেন। ঐ মহিলাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির করা হলে, তিনি তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তখন সে বলেঃ আমি আপনাকে হত্যার উদ্দেশের এরূপ করেছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্ তোমাকে এ জন্য ক্ষমতা প্রদান করেন নি। তখন সাহাবীগণ বলেনঃ আমরা কি তাকে হত্যা করবো না? তিনি বলেনঃ না।
রাবী আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমি এ বিষের ক্রিয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দাঁতের মাড়িতে সব সময় প্রকাশ পেতে দেখেছি।
باب فِيمَنْ سَقَى رَجُلاً سَمًّا أَوْ أَطْعَمَهُ فَمَاتَ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ امْرَأَةً، يَهُودِيَّةً أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَاةٍ مَسْمُومَةٍ فَأَكَلَ مِنْهَا فَجِيءَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ أَرَدْتُ لأَقْتُلَكَ . فَقَالَ " مَا كَانَ اللَّهُ لِيُسَلِّطَكِ عَلَى ذَلِكَ " . أَوْ قَالَ " عَلَىَّ " . قَالَ فَقَالُوا أَلاَ نَقْتُلُهَا قَالَ " لاَ " . فَمَا زِلْتُ أَعْرِفُهَا فِي لَهَوَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Anas bin Malik:
A Jewess brought a poisoned sheep to the Messenger of Allah (ﷺ), and he ate of it. She was then brought to the Messenger of Allah (ﷺ) who asked her about it. She said: I intended to kill you. He said: Allah will not give you control over it ; or he said : over me. They (the Companions) said: Should we not kill her ? He said: No. He (Anas) said: I always found it in the uvula of the Messenger of Allah (ﷺ)
পরিচ্ছেদঃ ৬. যদি কেউ কাউকে বিষাক্ত খাদ্য-পানীয় পান করায় এবং সে তাতে মারা যায়, তবে তার থেকে কিসাস নেয়া যাবে কি না?
৪৪৪৭. দাঊদ ইবন রাশীদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার এক ইয়াহূদী রমণী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাদিয়া স্বরূপ একটি বিষ-মিশ্রিত বকরীর মাংস প্রেরণ করে। যদ্দরুণ তিনি তাকে কিছুই বলেননি। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ সে মহিলাটি ছিল মুরাহহাব নামক এক ইয়াহূদীর বোন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খাদ্যে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল।
باب فِيمَنْ سَقَى رَجُلاً سَمًّا أَوْ أَطْعَمَهُ فَمَاتَ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبَّاُدُ بْنُ الْعَوَّامِ، ح وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، وَأَبِي، سَلَمَةَ - قَالَ هَارُونُ - عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنَ الْيَهُودِ أَهْدَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَاةً مَسْمُومَةً - قَالَ - فَمَا عَرَضَ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذِهِ أُخْتُ مَرْحَبٍ الْيَهُودِيَّةُ الَّتِي سَمَّتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Abu Hurairah:
A Jewess presented a poisoned sheep to the Prophet (ﷺ), but the Prophet (ﷺ) did not interfere with he.
Abu Dawud said: The Jewess who poisoned the Prophet (ﷺ) was sister of Marhab.
পরিচ্ছেদঃ ৬. যদি কেউ কাউকে বিষাক্ত খাদ্য-পানীয় পান করায় এবং সে তাতে মারা যায়, তবে তার থেকে কিসাস নেয়া যাবে কি না?
৪৪৪৮. সুলায়মান ইবন দাউদ (রহঃ) ..... জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খায়বরের একজন ইয়াহূদী নারী ভুনা-বকরীর সাথে বিষ মিশ্রিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাদিয়া স্বরূপ প্রেরণ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রানের মাংস ভক্ষণ করেন এবং সাহাবীদের কেউ কেউ তা ভক্ষণ করে। এ সময় তিনি তাঁর সাহাবীদের বলেনঃ তোমরা তোমাদের হাত উঠিয়ে নাও, (অর্থাৎ তোমরা আর খেয়োনা)। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে ইয়াহূদী নারীকে আনিয়ে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি এ বকরীর মাংসে বিষ মিশিয়েছ? তখন সে জিজ্ঞাসা করেঃ কে আপনাকে এ খবর দিয়েছে? তিনি বলেনঃ বকরীর এই রানটি। তখন সে নারী বলেঃ হ্যাঁ।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার এরূপ করার উদ্দেশ্য কি? সে নারী বলেঃ যদি আপনি নবী হন, তবে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি আপনি নবী না হন, তবে আপনার থেকে পরিত্রাণ পাব, (এ জন্য আমি এরূপ করেছি)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে মহিলাকে ক্ষমা করে দেন এবং তাকে কোনরুপ শাস্তি প্রদান করেননি। বিষ মিশ্রিত মাংস ভক্ষণের ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের কেউ কেউ মারা যায় এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এ বকরীর বিষ-মিশ্রিত মাংস খাওয়ার কারণে তাঁর দুই কাঁধের মাঝখানে শিংগা লাগান। আবূ হিন্দ (রাঃ), যিনি বনূ বায়াযা আনসারী (রাঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম ছিলেন। তিনি গাভীর শিং ও ছুরির দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেহে শিংগা লাগান।
باب فِيمَنْ سَقَى رَجُلاً سَمًّا أَوْ أَطْعَمَهُ فَمَاتَ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ كَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ أَنَّ يَهُودِيَّةً، مِنْ أَهْلِ خَيْبَرَ سَمَّتْ شَاةً مَصْلِيَّةً ثُمَّ أَهْدَتْهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الذِّرَاعَ فَأَكَلَ مِنْهَا وَأَكَلَ رَهْطٌ مِنْ أَصْحَابِهِ مَعَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ارْفَعُوا أَيْدِيَكُمْ " . وَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْيَهُودِيَّةِ فَدَعَاهَا فَقَالَ لَهَا " أَسَمَمْتِ هَذِهِ الشَّاةَ " . قَالَتِ الْيَهُودِيَّةُ مَنْ أَخْبَرَكَ قَالَ " أَخْبَرَتْنِي هَذِهِ فِي يَدِي " . لِلذِّرَاعِ . قَالَتْ نَعَمْ . قَالَ " فَمَا أَرَدْتِ إِلَى ذَلِكَ " . قَالَتْ قُلْتُ إِنْ كَانَ نَبِيًّا فَلَنْ يَضُرَّهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنِ اسْتَرَحْنَا مِنْهُ . فَعَفَا عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُعَاقِبْهَا وَتُوُفِّيَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ أَكَلُوا مِنَ الشَّاةِ وَاحْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى كَاهِلِهِ مِنْ أَجْلِ الَّذِي أَكَلَ مِنَ الشَّاةِ حَجَمَهُ أَبُو هِنْدٍ بِالْقَرْنِ وَالشَّفْرَةِ وَهُوَ مَوْلًى لِبَنِي بَيَاضَةَ مِنَ الأَنْصَارِ .
Narrated Ibn Shihab:
Jabir ibn Abdullah used to say that a Jewess from the inhabitants of Khaybar poisoned a roasted sheep and presented it to the Messenger of Allah (ﷺ) who took its foreleg and ate from it. A group of his companions also ate with him.
The Messenger of Allah (ﷺ) then said: Take your hands away (from the food). The Messenger of Allah (ﷺ) then sent someone to the Jewess and he called her.
He said to her: Have you poisoned this sheep? The Jewess replied: Who has informed you? He said: This foreleg which I have in my hand has informed me. She said: Yes. He said: What did you intend by it? She said: I thought if you were a prophet, it would not harm you; if you were not a prophet, we should rid ourselves of him (i.e. the Prophet). The Messenger of Allah (ﷺ) then forgave her, and did not punish her. But some of his companions who ate it, died. The Messenger of Allah (ﷺ) had himself cupped on his shoulder on account of that which he had eaten from the sheep. AbuHind cupped him with the horn and knife. He was a client of Banu Bayadah from the Ansar.
পরিচ্ছেদঃ ৬. যদি কেউ কাউকে বিষাক্ত খাদ্য-পানীয় পান করায় এবং সে তাতে মারা যায়, তবে তার থেকে কিসাস নেয়া যাবে কি না?
৪৪৪৯. ওয়াহাব ইবন বাকীয়্যা (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খায়বরের এক ইয়াহূদী নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি বিষ-মিশ্রিত ভুনা-বকরী হাদিয়া স্বরূপ প্রেরণ করে। এরপর তিনি জাবির (রাঃ)-এর হাদীছের অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ এ বকরীর মাংস খাওয়ার কারণে বিশর ইবন বারা ইবন মা’রুর আনসারী (রাঃ) ইনতিকাল করেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে মহিলাকে উপস্থিত করে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কেন এরূপ করলে? এরপর তিনি জাবির (রাঃ)-এর হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করে বলেনঃ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে মহিলাকে হত্যার নির্দেশ দিলে, তাকে হত্যা করা হয়। রাবী এ বর্ণনায় শিংগা লাগানোর কথা উল্লেখ করেননি।
باب فِيمَنْ سَقَى رَجُلاً سَمًّا أَوْ أَطْعَمَهُ فَمَاتَ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهْدَتْ لَهُ يَهُودِيَّةٌ بِخَيْبَرَ شَاةً مَصْلِيَّةً نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ قَالَ فَمَاتَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ بْنِ مَعْرُورٍ الأَنْصَارِيُّ فَأَرْسَلَ إِلَى الْيَهُودِيَّةِ " مَا حَمَلَكِ عَلَى الَّذِي صَنَعْتِ " . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ جَابِرٍ فَأَمَرَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُتِلَتْ وَلَمْ يَذْكُرْ أَمْرَ الْحِجَامَةِ .
Narrated AbuSalamah:
A Jewess presented a roasted sheep to the Messenger of Allah (ﷺ) at Khaybar.
He then mentioned the rest of the tradition like that of Jabir (No. 4495). He said: Then Bashir ibn al-Bara' ibn Ma'rur al-Ansari died. He sent someone to call on the Jewess, and said to her (when she came): What motivated you to do the work you have done? He then mentioned the rest of the tradition similar to the one mentioned by Jabir (No. 4495).
The Messenger of Allah (ﷺ) then ordered regarding her and she was killed. But he (AbuSalamah) did not mention the matter of cupping.
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে ব্যক্তি তার গোলামকে হত্যা করে, অথবা তার কোন অংগছেদ করে, তার থেকে কি কিসাস নেওয়া হয়ে?
৪৪৫০. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ... সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার গোলামকে হত্যা করবে, তাকে আমরা হত্যা করবো, আর যে ব্যক্তি তার গোলামের নাক-কান কাটবে, আমরাও তার নাক-কান কেটে দেব।
باب مَنْ قَتَلَ عَبْدَهُ أَوْ مَثَّلَ بِهِ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَتَلَ عَبْدَهُ قَتَلْنَاهُ وَمَنْ جَدَعَ عَبْدَهُ جَدَعْنَاهُ " .
Narrated Samurah:
The Prophet (ﷺ) Said: If anyone kills his slave, we shall kill him, and if anyone cuts off the nose of his slave, we shall cut off his nose.
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে ব্যক্তি তার গোলামকে হত্যা করে, অথবা তার কোন অংগছেদ করে, তার থেকে কি কিসাস নেওয়া হয়ে?
৪৪৫১. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) .... আবূ কাতাদা (রাঃ) উপরোক্ত হাদীছের সনদে, অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার গোলামকে খাসী করবে, আমরাও তাকে খাসী করে ছাড়বো। এরপর রাবী শো’বা ও হাম্মাদের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেনঃ আবূ দাঊদ তায়ালিসী (রহঃ) এ হাদীছ হিশাম থেকে, মা’আযের হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب مَنْ قَتَلَ عَبْدَهُ أَوْ مَثَّلَ بِهِ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ خَصَى عَبَدَهُ خَصَيْنَاهُ " . ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَحَمَّادٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ عَنْ هِشَامٍ مِثْلَ حَدِيثِ مُعَاذٍ .
Narrated Qatadah:
Through the same chain of narrators as mentioned before, i.e. Samurah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying: If anyone castrates his slave, we shall castrate him. He then mentioned the rest of the tradition like that of Sh'ubah and Hammad.
Abu Dawud said: Abu Dawud al-Tayalisi transmitted it from Hisham like the tradition of Mu'adh.
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে ব্যক্তি তার গোলামকে হত্যা করে, অথবা তার কোন অংগছেদ করে, তার থেকে কি কিসাস নেওয়া হয়ে?
৪৪৫২. হাসান ইবন আলী (রহঃ) .... কাতাদা (রহঃ) শু’বা (রহঃ)-এর সনদে অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তবে এখানে এরূপ বর্ণিত হয়েতে যে, এরপর রাবী হাসান (রহঃ) এ হাদীছ ভুলে যান এবং বলেনঃ কোন স্বাধীন ব্যক্তিকে গোলামের বিনিময়ে হত্যা করা যাবে না।
باب مَنْ قَتَلَ عَبْدَهُ أَوْ مَثَّلَ بِهِ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِ شُعْبَةَ مِثْلَهُ زَادَ ثُمَّ إِنَّ الْحَسَنَ نَسِيَ هَذَا الْحَدِيثَ فَكَانَ يَقُولُ " لاَ يُقْتَلُ حُرٌّ بِعَبْدٍ " .
Qatadah transmitted the tradition mentioned above through a chain of narrators like that of Shu'bah. This version adds:
Then al-Hasan forgot this tradition, and he used to say: A free man is not to be killed for a slave.
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে ব্যক্তি তার গোলামকে হত্যা করে, অথবা তার কোন অংগছেদ করে, তার থেকে কি কিসাস নেওয়া হয়ে?
৪৪৫৩. মুসলিম ইবন ইবরাহীম (রহঃ) .... হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কোন আযাদ ব্যক্তিকে গোলামের পরিবর্তে হত্যা করা যাবে না।
باب مَنْ قَتَلَ عَبْدَهُ أَوْ مَثَّلَ بِهِ أَيُقَادُ مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ لاَ يُقَادُ الْحُرُّ بِالْعَبْدِ .
It was narrated from Hisham, from Qatadah, from Al-Hasan, who said:
"A free man should not be subjected to retaliation in return for a slave."