৪৫২৫

পরিচ্ছেদঃ ১. সুন্নাতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে।

৪৫২৫. ওয়াহাব ইবন বাকীয়া (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়য়াহূদীরা একাত্তর বা বাহাত্তর ফিরকায় (দলে) বিভক্ত হয়েছে; নাসারারাও একাত্তর বা বাহাত্তর দলে বিভক্ত, আর আমার উম্মাত তিয়াত্তর ফিরকায় বিভক্ত হবে।

باب شَرْحِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ افْتَرَقَتِ الْيَهُودُ عَلَى إِحْدَى أَوْ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً وَتَفَرَّقَتِ النَّصَارَى عَلَى إِحْدَى أَوْ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً ‏"‏ ‏.‏

حدثنا وهب بن بقية، عن خالد، عن محمد بن عمرو، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ افترقت اليهود على احدى او ثنتين وسبعين فرقة وتفرقت النصارى على احدى او ثنتين وسبعين فرقة وتفترق امتي على ثلاث وسبعين فرقة ‏"‏ ‏.‏


Narrated AbuHurayrah:

The Prophet (ﷺ) said: The Jews were split up into seventy-one or seventy-two sects; and the Christians were split up into seventy one or seventy-two sects; and my community will be split up into seventy-three sects.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫২৬

পরিচ্ছেদঃ ১. সুন্নাতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে।

৪৫২৬. আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ..... মুআবিয়া ইবন আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বলেনঃ জেনে রাখ! তোমাদের আগের আহলে-কিতাব (ইয়াহূদ ও নাসারা)গণ বাহাত্তর ফিরকায় বিভক্ত হয়েছে, আর এ মিল্লাতের লোকগণ অদূর ভবিষ্যতে তিয়াত্তর ফিরকায় বিভক্ত হবে। এক ফিরকা হবে জান্নাতী; আর তারা ঐ জামাআতভূক্ত, যারা আল্লাহ্‌র কিতাব এবং তাঁর রাসূলের সুন্নাতের অনুসারী হবে।

রাবী ইবন ইয়াহ্‌ইয়া এবং আমর (রহঃ) তাদের হাদীছে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, আমার উম্মতের মধ্যে অদূর ভবিষ্যতে এমন একদল লোক সৃষ্টি হবে, যাদের মাঝে গুমরাহী এভাবে বিস্তার লাভ করবে, যেমন ক্ষিপ্ত কুকুরের কাঁমড়ানোর ফলে সৃষ্ট রোগ (যা রোগীকে পাগল বানিয়ে দেয়)। রাবী আমার (রহঃ) বলেনঃ ক্ষিপ্ত কুকুরের দংশন জনিত রোগ এমন একটা মারাত্মক ব্যাধি যার বিষাক্ত প্রভাব থেকে রোগীর দেহের রগ ও জোড় কিছুই রক্ষা পায় না।

باب شَرْحِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، قَالَ حَدَّثَنِي صَفْوَانُ، نَحْوَهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَزْهَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَرَازِيُّ، عَنْ أَبِي عَامِرٍ الْهَوْزَنِيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، أَنَّهُ قَامَ فِينَا فَقَالَ أَلاَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ فِينَا فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ إِنَّ مَنْ قَبْلَكُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ افْتَرَقُوا عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَإِنَّ هَذِهِ الْمِلَّةَ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ ثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّارِ وَوَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ وَهِيَ الْجَمَاعَةُ ‏"‏ ‏.‏ زَادَ ابْنُ يَحْيَى وَعَمْرٌو فِي حَدِيثَيْهِمَا ‏"‏ وَإِنَّهُ سَيَخْرُجُ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ تَجَارَى بِهِمْ تِلْكَ الأَهْوَاءُ كَمَا يَتَجَارَى الْكَلْبُ لِصَاحِبِهِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ عَمْرٌو ‏"‏ الْكَلْبُ بِصَاحِبِهِ لاَ يَبْقَى مِنْهُ عِرْقٌ وَلاَ مَفْصِلٌ إِلاَّ دَخَلَهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا احمد بن حنبل، ومحمد بن يحيى، قالا حدثنا ابو المغيرة، حدثنا صفوان، ح وحدثنا عمرو بن عثمان، حدثنا بقية، قال حدثني صفوان، نحوه قال حدثني ازهر بن عبد الله الحرازي، عن ابي عامر الهوزني، عن معاوية بن ابي سفيان، انه قام فينا فقال الا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قام فينا فقال ‏"‏ الا ان من قبلكم من اهل الكتاب افترقوا على ثنتين وسبعين ملة وان هذه الملة ستفترق على ثلاث وسبعين ثنتان وسبعون في النار وواحدة في الجنة وهي الجماعة ‏"‏ ‏.‏ زاد ابن يحيى وعمرو في حديثيهما ‏"‏ وانه سيخرج من امتي اقوام تجارى بهم تلك الاهواء كما يتجارى الكلب لصاحبه ‏"‏ ‏.‏ وقال عمرو ‏"‏ الكلب بصاحبه لا يبقى منه عرق ولا مفصل الا دخله ‏"‏ ‏.‏


Abu `Amir al-Hawdhani said:
Mu`awiyah b. Abi Sufiyan stood among us and said: Beware! The Apostle of Allah (ﷺ) stood among us and said: Beware! The people of the Book before were split up into seventy two sects, and this community will be split into seventy three: seventy two of them will go to Hell and one of them will go to Paradise, and it is the majority group.

Ibn Yahya and `Amr added in their version : “ There will appear among my community people who will be dominated by desires like rabies which penetrates its patient”, `Amr’s version has: “penetrates its patient. There remains no vein and no joint but it penetrates it.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫২৭

পরিচ্ছেদঃ ২. নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করা ও মুতাশাবিহাতের বর্ণনা প্রসংগে।

৪৫২৭. কা’নবী (রহঃ) .... আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত পাঠ করেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা আপনার উপর এমন কিতাব নাযিল করেছেন, যার কিছু আয়াত ’মুহকাম’ বা স্পষ্ট, যা কিতাবের মূল এবং কিছু আয়াত ’মুতাশাবিহ’ বা দ্ব্যর্থবোধক ... আর জ্ঞানী ব্যক্তিরাই নসীহত কবূল করে থাকে। আইশা (রাঃ) বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন তোমরা লোকদের ’মুতাশাবিহ’, আয়াতের অনুসরণ করতে দেখবে; তখন জানবে যে, এরা তারা যাদের নাম আল্লাহ্‌ বর্ণনা করেছেন। কাজেই তোমরা এদের থেকে দূরে থাকবে।

باب النَّهْىِ عَنِ الْجِدَالِ، وَاتِّبَاعِ، مُتَشَابِهِ الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَذِهِ الآيَةَ ‏(‏ هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ ‏)‏ إِلَى ‏(‏ أُولُو الأَلْبَابِ ‏)‏ قَالَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَإِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ فَأُولَئِكَ الَّذِينَ سَمَّى اللَّهُ فَاحْذَرُوهُمْ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا القعنبي، حدثنا يزيد بن ابراهيم التستري، عن عبد الله بن ابي مليكة، عن القاسم بن محمد، عن عاىشة، رضى الله عنها قالت قرا رسول الله صلى الله عليه وسلم هذه الاية ‏(‏ هو الذي انزل عليك الكتاب منه ايات محكمات ‏)‏ الى ‏(‏ اولو الالباب ‏)‏ قالت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فاذا رايتم الذين يتبعون ما تشابه منه فاولىك الذين سمى الله فاحذروهم ‏"‏ ‏.‏


‘A’ishah said:
The Messenger of Allah (ﷺ) recited this verse: “He it is who has sent down to thee the Book: in it are verses basic or fundamental . . . .” Up to “men of understanding”. She said: The Messenger of Allah (ﷺ) then said: When you see those people who follow that which is allegorical in the Quran, those are the people whom Allah has named (in the Quran). So avoid them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫২৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. বিদ'আতী স্বেচ্ছাচারীদের প্রভাব থেকে দূরে থাকা সম্পর্কে।

৪৫২৮. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উত্তম আমল হলো আল্লাহ্‌র জন্য ভালবাসা এবং আল্লাহ্‌র জন্য শত্রুতা পোষণ করা।

باب مُجَانَبَةِ أَهْلِ الأَهْوَاءِ وَبُغْضِهِمْ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَفْضَلُ الأَعْمَالِ الْحُبُّ فِي اللَّهِ وَالْبُغْضُ فِي اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا خالد بن عبد الله، حدثنا يزيد بن ابي زياد، عن مجاهد، عن رجل، عن ابي ذر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ افضل الاعمال الحب في الله والبغض في الله ‏"‏ ‏.‏


Narrated AbuDharr:

The Prophet (ﷺ) said: The best of the actions is to love for the sake of Allah and to hate for the sake of Allah.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫২৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. বিদ'আতী স্বেচ্ছাচারীদের প্রভাব থেকে দূরে থাকা সম্পর্কে।

৪৫২৯. ইবন সারহ (রহঃ) .... আবদুল্লাহ্‌ ইবন কাআব ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি কাআব (রাঃ)-কে চলাফেরা করাতেন, যখন তিনি অন্ধ হয়ে যান। তিনি বলেনঃ আমি কাআব ইবন মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাবী ইবন সারহ (রহঃ)ও তাবূকের যুদ্ধের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কাআবের পেছনে থেকে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেছেন, তিনি (কাআব) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের তিন জনের সাথে সমস্ত মুসলিমদের কথা বলতে মানা করে দেন। এভাবে অনেক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর, আমি আমার চাচাতো ভাই ইবন কাতাদা (রাঃ)-এর বাগানের প্রাচীর টপকিয়ে প্রবেশ করে, তাকে সালাম দেই। কিন্তু আল্লাহ্‌র শপথ! তিনি আমার সালামের জবাব দেননি। এরপর তিনি তার তাওবা কবূল হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন।

باب مُجَانَبَةِ أَهْلِ الأَهْوَاءِ وَبُغْضِهِمْ

حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ فَأَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ، - وَكَانَ قَائِدَ كَعْبٍ مِنْ بَنِيهِ حِينَ عَمِيَ - قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ، - وَذَكَرَ ابْنُ السَّرْحِ قِصَّةَ تَخَلُّفِهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ - قَالَ وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُسْلِمِينَ عَنْ كَلاَمِنَا أَيُّهَا الثَّلاَثَةُ حَتَّى إِذَا طَالَ عَلَىَّ تَسَوَّرْتُ جِدَارَ حَائِطِ أَبِي قَتَادَةَ وَهُوَ ابْنُ عَمِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَوَاللَّهِ مَا رَدَّ عَلَىَّ السَّلاَمَ ‏.‏ ثُمَّ سَاقَ خَبَرَ تَنْزِيلِ تَوْبَتِهِ ‏.‏

حدثنا ابن السرح، اخبرنا ابن وهب، قال اخبرنا يونس، عن ابن شهاب، قال فاخبرني عبد الرحمن بن عبد الله بن كعب بن مالك، ان عبد الله بن كعب، - وكان قاىد كعب من بنيه حين عمي - قال سمعت كعب بن مالك، - وذكر ابن السرح قصة تخلفه عن النبي صلى الله عليه وسلم في غزوة تبوك - قال ونهى رسول الله صلى الله عليه وسلم المسلمين عن كلامنا ايها الثلاثة حتى اذا طال على تسورت جدار حاىط ابي قتادة وهو ابن عمي فسلمت عليه فوالله ما رد على السلام ‏.‏ ثم ساق خبر تنزيل توبته ‏.‏


‘Abd Allah b. Ka`b b. Malik who used to lead his father from among his sons when he became blind, said:
I heard Ka`b b. Malik - the transmitter Ibn al-Sarh then narrated the story of his remaining behind from the Prophet (ﷺ) during the campaign of Tabuk - say: The Messenger of Allah (ﷺ) forbade the Muslims to speak to any of us three. When (in this state) abundant time passed on me, I ascended the wall of the garden of Abu Qatadah who was my cousin. I saluted him, but, I swear by Allah, he did not return salute to me. He then narrated the story of the revelation of the Qur’anic verses relating to his repentance.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৩০

পরিচ্ছেদঃ ৪. বিদ'আতীদের সালামের জবাব না দেয়া প্রসংগে।

৪৫৩০. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ..... আম্মার ইবন ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা দু’হাত ফাঁটা অবস্থায় আমি আমার পরিবার-পরিজনের কাছে আসলে, তারা আমার দু’হাত জাফরান রং লাগিয়ে দেয়। পরদিন সকালে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উপস্থিত হয়ে সালাম করলে, তিনি তার জবাব না দিয়ে বলেনঃ তুমি চলে যাও এবং তোমার হাত থেকে এ রং ধুয়ে ফেল।

باب تَرْكِ السَّلاَمِ عَلَى أَهْلِ الأَهْوَاءِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا عَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، قَالَ قَدِمْتُ عَلَى أَهْلِي وَقَدْ تَشَقَّقَتْ يَدَاىَ فَخَلَّقُونِي بِزَعْفَرَانٍ فَغَدَوْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ وَقَالَ ‏ "‏ اذْهَبْ فَاغْسِلْ هَذَا عَنْكَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا حماد، اخبرنا عطاء الخراساني، عن يحيى بن يعمر، عن عمار بن ياسر، قال قدمت على اهلي وقد تشققت يداى فخلقوني بزعفران فغدوت على النبي صلى الله عليه وسلم فسلمت عليه فلم يرد على وقال ‏ "‏ اذهب فاغسل هذا عنك ‏"‏ ‏.‏


‘Ammar b. Yasir said:
I came to my family when my hands had cracks. They dyed me with saffron. I then went to Prophet (ﷺ) and saluted him, but he did not return me salutation. He said: Go and wash it away from you.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৩১

পরিচ্ছেদঃ ৪. বিদ'আতীদের সালামের জবাব না দেয়া প্রসংগে।

৪৫৩১. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) .... আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার সুফিয়া বিনত হুয়াই (রাঃ)-এর উট অসুস্থ হয় এবং সে সময় যয়নব (রাঃ)-এর কাছে একটা অতিরিক্ত উট ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যয়নব (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি উটটি ওকে দিয়ে দাও। তিনি বলেনঃ ঐ ইয়াহূদীকে দেব! একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হন এবং তিনি যিলহাজ্জ, মুহাররম ও সফর মাসের কয়েক দিন তাঁর সাথে কথাবার্তা বন্ধ রাখেন।

باب تَرْكِ السَّلاَمِ عَلَى أَهْلِ الأَهْوَاءِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ سُمَيَّةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّهُ اعْتَلَّ بَعِيرٌ لِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَىٍّ وَعِنْدَ زَيْنَبَ فَضْلُ ظَهْرٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِزَيْنَبَ ‏ "‏ أَعْطِيهَا بَعِيرًا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتْ أَنَا أُعْطِي تِلْكَ الْيَهُودِيَّةَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَهَجَرَهَا ذَا الْحِجَّةَ وَالْمُحَرَّمَ وَبَعْضَ صَفَرٍ ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا حماد، عن ثابت البناني، عن سمية، عن عاىشة، رضى الله عنها انه اعتل بعير لصفية بنت حيى وعند زينب فضل ظهر فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لزينب ‏ "‏ اعطيها بعيرا ‏"‏ ‏.‏ فقالت انا اعطي تلك اليهودية فغضب رسول الله صلى الله عليه وسلم فهجرها ذا الحجة والمحرم وبعض صفر ‏.‏


‘A’ishah said:
The camel of Safiyyah daughter of Huyayy was fatigued, and Zainab had a surplus mount. The Messenger of Allah (ﷺ) said to Zainab : Give her the camel. She said: Should I give to that Jewess? Thereupon the Messenger of Allah (ﷺ) became angry and kept away from her during Dhu al-Hijjah, Muharram, and a part of Safar.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৩২

পরিচ্ছেদঃ ৫. অনুচ্ছেদঃকুরআনের মধ্যে ঝগড়া করা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে।

৪৫৩২. আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআনের মধ্যে নিজের মত ব্যক্ত করে ঝগড়ার সৃষ্টি করা কুফর।

باب النَّهْىِ عَنِ الْجِدَالِ، فِي الْقُرْآنِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ هَارُونَ - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْمِرَاءُ فِي الْقُرْآنِ كُفْرٌ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا احمد بن حنبل، حدثنا يزيد، - يعني ابن هارون - اخبرنا محمد بن عمرو، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ المراء في القران كفر ‏"‏ ‏.‏


Narrated AbuHurayrah:

The Prophet (ﷺ) said: Controverting about the Qur'an is disbelief.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৩৩. আবদুল ওয়াহাব (রহঃ) .... মিকদাম ইবন মা’দীকরাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জেনে রাখ! আমাকে কুরআন প্রদান করা হয়েছে এবং এর সাথে অনুরূপ (হাদীছ) দেয়া হয়েছ। অদূর ভবিষ্যতে একজন অভাবহীন তৃপ্ত ব্যক্তি তার খাটের উপর অবস্থান করে বলবেঃ তোমরা এ কুরআনকে গ্রহণ কর এবং এতে যা হালাল বলা হয়েছে, তা হালাল হিসাবে গ্রহণ কর; আর যা হারাম বলা হয়েছে তা হারাম হিসাবে গ্রহণ কর।

জেনে রাখ! গৃহ-পালিত গাধার মাংস তোমাদের জন্য হালাল নয়, কোন হিংস্র জন্তুর মাংসও হালাল নয়, কোন যিম্মীর পরিত্যক্ত মাল হালাল নয়, তবে যদি তার মালিক তা থেকে বে-পরওয়া হয়, সে আলাদা ব্যাপার। আর যদি কেউ মেহমান হিসারে কোন কাওমের কাছে যায়, তবে তাদের উচিত তার মেহমানদারী করা। তারা যদি সে ব্যক্তি মেহমানদারী না করে, তবে তাদের নিকট থেকে মেহমানের হক গ্রহণ করার অধিকার তার থাকবে।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ حَرِيزِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَوْفٍ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ أَلاَ إِنِّي أُوتِيتُ الْكِتَابَ وَمِثْلَهُ مَعَهُ أَلاَ يُوشِكُ رَجُلٌ شَبْعَانُ عَلَى أَرِيكَتِهِ يَقُولُ عَلَيْكُمْ بِهَذَا الْقُرْآنِ فَمَا وَجَدْتُمْ فِيهِ مِنْ حَلاَلٍ فَأَحِلُّوهُ وَمَا وَجَدْتُمْ فِيهِ مِنْ حَرَامٍ فَحَرِّمُوهُ أَلاَ لاَ يَحِلُّ لَكُمْ لَحْمُ الْحِمَارِ الأَهْلِيِّ وَلاَ كُلُّ ذِي نَابٍ مِنَ السَّبُعِ وَلاَ لُقَطَةُ مُعَاهِدٍ إِلاَّ أَنْ يَسْتَغْنِيَ عَنْهَا صَاحِبُهَا وَمَنْ نَزَلَ بِقَوْمٍ فَعَلَيْهِمْ أَنْ يَقْرُوهُ فَإِنْ لَمْ يَقْرُوهُ فَلَهُ أَنْ يُعْقِبَهُمْ بِمِثْلِ قِرَاهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عبد الوهاب بن نجدة، حدثنا ابو عمرو بن كثير بن دينار، عن حريز بن عثمان، عن عبد الرحمن بن ابي عوف، عن المقدام بن معديكرب، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال ‏ "‏ الا اني اوتيت الكتاب ومثله معه الا يوشك رجل شبعان على اريكته يقول عليكم بهذا القران فما وجدتم فيه من حلال فاحلوه وما وجدتم فيه من حرام فحرموه الا لا يحل لكم لحم الحمار الاهلي ولا كل ذي ناب من السبع ولا لقطة معاهد الا ان يستغني عنها صاحبها ومن نزل بقوم فعليهم ان يقروه فان لم يقروه فله ان يعقبهم بمثل قراه ‏"‏ ‏.‏


Narrated Al-Miqdam ibn Ma'dikarib:

The Prophet (ﷺ) said: Beware! I have been given the Qur'an and something like it, yet the time is coming when a man replete on his couch will say: Keep to the Qur'an; what you find in it to be permissible treat as permissible, and what you find in it to be prohibited treat as prohibited. Beware! The domestic ass, beasts of prey with fangs, a find belonging to confederate, unless its owner does not want it, are not permissible to you If anyone comes to some people, they must entertain him, but if they do not, he has a right to mulct them to an amount equivalent to his entertainment.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিকদাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৩৪. ইয়াযীদ ইবন খালিদ (রহঃ) .... ইয়াযীদ ইবন উমায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যিনি মু’আয ইবন জাবাল (রাঃ)-এর সাথী ছিলেন, তিনি বলেনঃ মু’আয ইবন জাবাল (রাঃ) যখন কোন যিকিরের মজলিসে বসতেন, তখন এরূপ বলতেন যে, আল্লাহ্‌ তা’আলা সত্য প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং সন্দেহ পোষণকারীরা ধ্বংস হয়েছে। একদিন তিনি বলেনঃ তোমাদের পরবর্তী সময়ে ব্যাপক ফিতনার সৃষ্টি হবে। সে সময় ধন-সম্পদের প্রাচুর্য হবে এবং কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হবে। ফলে, মু’মিন, মুনাফিক, স্ত্রী-পুরুষ, ছোট-বড় গোলাম ও স্বাধীন ব্যক্তি তার জ্ঞান অর্জন করবে।

তখন এক ব্যক্তি এরূপ বলবেঃ লোকদের কি হয়েছে? তারা আমার অনুসরণ কেন করে না, অথচ আমি কুরআন পড়েছি! তারা ততক্ষণ আমার অনুসরণ করবে না, যতক্ষণ না আমি কুরআন ব্যতীত অন্য জিনিস তাদের সামনে পেশ করি। কাজেই, কেউ যদি এরূপ কিছু করে, তবে তোমরা তা অস্বীকার করবে। কেননা, এরূপ যা কিছু উদ্ভাবিত হবে, তা গুমরাহী এবং আমি আলিমদের গুমরাহী সম্পর্কে অধিক শংকিত। কেননা, শয়তান কখনো কখনো আলিমদের মুখ থেকে গুমরাহীর কথা বের করে দেয় এবং কোন কোন সময় মুনাফিকও সত্য কথা বলে।

রাবী বলেনঃ তখন আমি মু’আয (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ জ্ঞানী ব্যক্তি যে অজ্ঞানের মত কথা বলতে পারে এবং মুনাফিক ও কোন সময় সত্য কথা বলতে পারে, তা আমরা কিভাবে অবগত হতে পারি? তিনি বলেনঃ তোমরা জ্ঞানীদের সে সব কথা পরিহার করবে, যা ভুল ও মিথ্যার সাথে প্রসিদ্ধি লাভ করবে এবং লোকেরা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করবে। এ সময় ও তোমরা তাদের সাথে সস্পর্কচ্ছেদ করবে না; কেননা, হয়তো তারা তা থেকে ফিরে আসতে পারে। তোমরা তাদের থেকে সত্য কথা শ্রবণ করবে এবং তা গ্রহণ করবে। কেননা, হকের মধ্যে সত্যের নূর নিহিত থাকে।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيَّ، عَائِذَ اللَّهِ أَخْبَرَهُ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ عُمَيْرَةَ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ أَخْبَرَهُ قَالَ كَانَ لاَ يَجْلِسُ مَجْلِسًا لِلذِّكْرِ حِينَ يَجْلِسُ إِلاَّ قَالَ اللَّهُ حَكَمٌ قِسْطٌ هَلَكَ الْمُرْتَابُونَ فَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ يَوْمًا إِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ فِتَنًا يَكْثُرُ فِيهَا الْمَالُ وَيُفْتَحُ فِيهَا الْقُرْآنُ حَتَّى يَأْخُذَهُ الْمُؤْمِنُ وَالْمُنَافِقُ وَالرَّجُلُ وَالْمَرْأَةُ وَالصَّغِيرُ وَالْكَبِيرُ وَالْعَبْدُ وَالْحُرُّ فَيُوشِكُ قَائِلٌ أَنْ يَقُولَ مَا لِلنَّاسِ لاَ يَتَّبِعُونِي وَقَدْ قَرَأْتُ الْقُرْآنَ مَا هُمْ بِمُتَّبِعِيَّ حَتَّى أَبْتَدِعَ لَهُمْ غَيْرَهُ فَإِيَّاكُمْ وَمَا ابْتُدِعَ فَإِنَّ مَا ابْتُدِعَ ضَلاَلَةٌ وَأُحَذِّرُكُمْ زَيْغَةَ الْحَكِيمِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ يَقُولُ كَلِمَةَ الضَّلاَلَةِ عَلَى لِسَانِ الْحَكِيمِ وَقَدْ يَقُولُ الْمُنَافِقُ كَلِمَةَ الْحَقِّ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لِمُعَاذٍ مَا يُدْرِينِي رَحِمَكَ اللَّهُ أَنَّ الْحَكِيمَ قَدْ يَقُولُ كَلِمَةَ الضَّلاَلَةِ وَأَنَّ الْمُنَافِقَ قَدْ يَقُولُ كَلِمَةَ الْحَقِّ قَالَ بَلَى اجْتَنِبْ مِنْ كَلاَمِ الْحَكِيمِ الْمُشْتَهِرَاتِ الَّتِي يُقَالُ لَهَا مَا هَذِهِ وَلاَ يُثْنِيَنَّكَ ذَلِكَ عَنْهُ فَإِنَّهُ لَعَلَّهُ أَنْ يُرَاجِعَ وَتَلَقَّ الْحَقَّ إِذَا سَمِعْتَهُ فَإِنَّ عَلَى الْحَقِّ نُورًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي هَذَا وَلاَ يُنْئِيَنَّكَ ذَلِكَ عَنْهُ مَكَانَ يُثْنِيَنَّكَ ‏.‏ وَقَالَ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي هَذَا الْمُشَبَّهَاتِ مَكَانَ الْمُشْتَهِرَاتِ وَقَالَ لاَ يُثْنِيَنَّكَ كَمَا قَالَ عُقَيْلٌ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ بَلَى مَا تَشَابَهَ عَلَيْكَ مِنْ قَوْلِ الْحَكِيمِ حَتَّى تَقُولَ مَا أَرَادَ بِهَذِهِ الْكَلِمَةِ ‏.‏

حدثنا يزيد بن خالد بن عبد الله بن موهب الهمداني، حدثنا الليث، عن عقيل، عن ابن شهاب، ان ابا ادريس الخولاني، عاىذ الله اخبره ان يزيد بن عميرة وكان من اصحاب معاذ بن جبل اخبره قال كان لا يجلس مجلسا للذكر حين يجلس الا قال الله حكم قسط هلك المرتابون فقال معاذ بن جبل يوما ان من وراىكم فتنا يكثر فيها المال ويفتح فيها القران حتى ياخذه المومن والمنافق والرجل والمراة والصغير والكبير والعبد والحر فيوشك قاىل ان يقول ما للناس لا يتبعوني وقد قرات القران ما هم بمتبعي حتى ابتدع لهم غيره فاياكم وما ابتدع فان ما ابتدع ضلالة واحذركم زيغة الحكيم فان الشيطان قد يقول كلمة الضلالة على لسان الحكيم وقد يقول المنافق كلمة الحق ‏.‏ قال قلت لمعاذ ما يدريني رحمك الله ان الحكيم قد يقول كلمة الضلالة وان المنافق قد يقول كلمة الحق قال بلى اجتنب من كلام الحكيم المشتهرات التي يقال لها ما هذه ولا يثنينك ذلك عنه فانه لعله ان يراجع وتلق الحق اذا سمعته فان على الحق نورا ‏.‏ قال ابو داود قال معمر عن الزهري في هذا ولا ينىينك ذلك عنه مكان يثنينك ‏.‏ وقال صالح بن كيسان عن الزهري في هذا المشبهات مكان المشتهرات وقال لا يثنينك كما قال عقيل ‏.‏ وقال ابن اسحاق عن الزهري قال بلى ما تشابه عليك من قول الحكيم حتى تقول ما اراد بهذه الكلمة ‏.‏


Yazid b. ‘Umairah, who was one of the companions of Mu’adh b. Jabal said:
Whenever he (mu’adh b. jabal) sat in a meeting for preaching, he would say: Allah is a just arbiter; those who doubt would perish. One day Mu’adh b. jabal said: In the times after you there would be trails in which riches would be abundant. During these trails the Quran would be easy so much so that every believer, hypocrite, man, woman, young, grown up, slave and free man will learn it. Then a man might say: What happened with the people that they do not follow me while I read the Quran? They are not going to follow me until I introduce a novelty for them other than it. So avoid that which is innovated (in religion), for whichever is innovated is an error. I warn you of the deviation of a scholar from right guidance, for sometimes Satan utters a word of error through the tongue of a scholar; and sometimes a hypocrites may speak a word of truth. I said to Mu’adh b. jabal: I am at a loss to understand may Allah have mercy on you that a learned man sometimes may speak a word of error and a hypocrite may speak a word of truth. He replied: Yes, avoid the speech of a learned man on distract you from him (the learned), for it is possible that he may withdraw (from these well-known things), and you get the truth when you hear it, for truth has light.

Abu Dawud said: In this tradition Ma’mar on the authority of al-Zuhrl said: The words “wa la yun iyannaka” instead of “wa la yuthniyannaka,” with the same meaning: “it may not distract you” salih b. Kaisan on the authority of al-Zurhrl said in this tradition the words “al-mushtaharat” (well-know things). He also said the word “La yuthniyannaka” as ‘Uqail mentioned. Ibn ishaq, on the authority of al-Zuhri, said: Yes, if you are doubtful about the speech of a scholar until you say: WHAT did he mean by this word?


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৩৫. মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) ... সুফিয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি উমার ইবন আবদুল আযীয (রহঃ)-এর নিকট পত্রযোগে তাকদীর সম্পর্কে জানতে চান। আবূস সালত (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি তাকদীর সম্পর্কে জানার জন্য উমার ইবন আবদুল আযীয (রহঃ)-কে পত্র লেখেন। এর জবাবে তিনি লেখেনঃ আমি তোমাকে ওসীয়ত করছি আল্লাহ্‌কে ভয় করার জন্য এবং তাঁর হুকুম মেনে চলার জন্য এবং তাঁর নবীর সুন্নাতের অনুসরণ করাব জন্য। আর বিদ’আতিগণ যা উদ্ভাবন করেছে, তা পরিহার করার জন্য আমি তোমাকে ওসীয়ত করছি। বিদ’আতীরা এসব কথা তখন উদ্ভাবন করেছে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিদ’আত সৃষ্টির পর তারা বিভ্রান্ত হয়েছে। তোমার উচিত, সুন্নাতকে দুঢ়ভাবে ধারণ করা। কেননা, সুন্নাতের উপর আমল করলে তুমি আল্লাহর হুকুমে গুমরাহী থেকে বেঁচে যাবে।

জেনে রাখ! লোকেরা এমন কোন বিদ’আত সৃষ্টি করিনি, যা বাতিল হওয়ার জন্য দলীল বর্ণিত হয়নি এবং তা দেখাতে শিক্ষা হয়নি। আর সুন্নাতকে তিনি জারী করেছেন, যিনি জানতেন, এর বিরোধিতা করলে কিরূপ গুনাহ, ক্রটি-বিচ্যূতি ও আহমকী হবে। কাজেই তুমি সে তরীকার অনুসরণ কর, যে তরীকা অনুসরণ করেছিল পূর্ববর্তীগণ। কেননা, তাঁরা দীনের ইলম সম্পর্কে গভীর জ্ঞানী ছিলেন। আর যে কাজ করতে তাঁরা নিষেধ করেছেন, তা জেনে-শুনেই করেছেন। তারা দীনের অর্থ বুঝার ক্ষেত্রে আমাদের চাইতে অনেক ক্ষমতার অধিকারী ছিল। আর তাদের মাঝে যে যোগ্যতা ছিল, তা ছিল উন্নতমানের।

তোমরা যে তরীকার উপর প্রতিষ্ঠিত আছ, যদি তা-ই হিদায়াত হয়, তবে তোমরা অগ্রগামী হয়ে যাবে। আর যদি তোমরা বল, যারা দীনের মধ্যে নতুন কথা সৃষ্টি করেছে; তবে আমরা বলবোঃ আগের লোকেরাই উত্তম ছিল এবং তারা এদের চাইতে অগ্রগামী ছিল। যতটুকু বর্ণনা করার, তা তাঁরা করেছেন। আর যতটুকু বলা দরকার, তা সবই করেছেন; এর উপরেও কিছু বলার নেই এবং নীচেও কিছু বলার নেই। কিছু লোক তাদের থেকে কম বর্ণনা করেছে, তারা ক্ষতি করেছে; আর কিছু লোক তাদের চাইতে বেশী বর্ণনা করেছেন। পূর্ববর্তী আলিমগণ মধ্যপন্থী ছিলেন এবং তাঁরা সোজা-সরল রাস্তার অনুসরণকারী ছিলেন।

তুমি পত্রে তাকদীর সম্পর্কে জানতে চেয়েছ। আল্লাহ্‌র হুকুমে তুমি এ প্রশ্ন সম্পর্কে তাদের চাইতে অধিক জ্ঞানী। আমি মনে করি, যত বিদ’আতী সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা যা নতুন উদ্ভাবন করেছে, এর মধ্যে তাকদীরের বর্ণনা খুবই স্পষ্ট এবং মজবুত। জাহিলী যুগের লোকেরা তাদের কথাবার্তায় তাকদীরের কথা বলতো এবং তাদের কবিতায় তাকদীর থেকে মসীবত দূর করে দিত। অবশেষে ইসলাম এ ধারণাকে আরো শক্ত করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বা দুই হাদীছে নয়, বরং অনেক হাদীছে তাকদীরের কথা বর্ণনা করেছেন। মুসলিমেরা তাঁর থেকে এসব শুনেছেন এবং অন্যের কাছে বর্ণনাও করেছেন তাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরও; এর উপর বিশ্বাস রেখে এবং মেনে নিয়ে।

আর নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে যে এমন কিছুই নেই, যা আল্লাহ্‌ জানেন না এবং তাঁর কিতাবে লেখা নেই, অথবা এ ব্যাপারে আল্লাহ্‌র-ফায়সালা বাস্তবায়িত হয়নি। উল্লেখ্য যে, তাকদীরের বর্ণনা আল্লাহ্‌র মজবুত কিতাবে রয়েছে, তা থেকে পূর্ববর্তীগণ তাকদীরের মাসআলা-মাসায়েল শিখেছে। যদি তুমি বলঃ কেন আল্লাহ্‌ এ আয়াত নাযিল করেন, আর কেন এমন বলেন (যা বাহ্যতঃ তাকদীরের বিপরীত)? এর জবাব হলোঃ আগের যুগের লোকেরা এ আয়াত পড়েছিল এবং তারা এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিল, যা তোমরা জান না। তারা আল্লাহ্‌র কিতাব ও তাকদীর সম্পর্কে বলতোঃ তা-ই হবে, যা আল্লাহ চান ; আর তা হবে না, যা তিনি চান না। আর আমরা আমাদের উপকার ও অপকারের পূর্ণ ক্ষমতা রাখি না। এ বিশ্বাসের উপর পূর্ববর্তীগণ উত্তম কাজ করতেন এবং খারাপ কাজ করতে ভয় পেতেন।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ كَتَبَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَسْأَلُهُ عَنِ الْقَدَرِ، ح وَحَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ دُلَيْلٍ، قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ، يُحَدِّثُنَا عَنِ النَّضْرِ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ قَبِيصَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، عَنْ أَبِي الصَّلْتِ، - وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِ ابْنِ كَثِيرٍ وَمَعْنَاهُمْ - قَالَ كَتَبَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَسْأَلُهُ عَنِ الْقَدَرِ فَكَتَبَ أَمَّا بَعْدُ أُوصِيكَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالاِقْتِصَادِ فِي أَمْرِهِ وَاتِّبَاعِ سُنَّةِ نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَرْكِ مَا أَحْدَثَ الْمُحْدِثُونَ بَعْدَ مَا جَرَتْ بِهِ سُنَّتُهُ وَكُفُوا مُؤْنَتَهُ فَعَلَيْكَ بِلُزُومِ السُّنَّةِ فَإِنَّهَا لَكَ بِإِذْنِ اللَّهِ عِصْمَةٌ ثُمَّ اعْلَمْ أَنَّهُ لَمْ يَبْتَدِعِ النَّاسُ بِدْعَةً إِلاَّ قَدْ مَضَى قَبْلَهَا مَا هُوَ دَلِيلٌ عَلَيْهَا أَوْ عِبْرَةٌ فِيهَا فَإِنَّ السُّنَّةَ إِنَّمَا سَنَّهَا مَنْ قَدْ عَلِمَ مَا فِي خِلاَفِهَا وَلَمْ يَقُلِ ابْنُ كَثِيرٍ مَنْ قَدْ عَلِمَ ‏.‏ مِنَ الْخَطَإِ وَالزَّلَلِ وَالْحُمْقِ وَالتَّعَمُّقِ فَارْضَ لِنَفْسِكَ مَا رَضِيَ بِهِ الْقَوْمُ لأَنْفُسِهِمْ فَإِنَّهُمْ عَلَى عِلْمٍ وَقَفُوا وَبِبَصَرٍ نَافِذٍ كَفَوْا وَلَهُمْ عَلَى كَشْفِ الأُمُورِ كَانُوا أَقْوَى وَبِفَضْلِ مَا كَانُوا فِيهِ أَوْلَى فَإِنْ كَانَ الْهُدَى مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ لَقَدْ سَبَقْتُمُوهُمْ إِلَيْهِ وَلَئِنْ قُلْتُمْ إِنَّمَا حَدَثَ بَعْدَهُمْ ‏.‏ مَا أَحْدَثَهُ إِلاَّ مَنِ اتَّبَعَ غَيْرَ سَبِيلِهِمْ وَرَغِبَ بِنَفْسِهِ عَنْهُمْ فَإِنَّهُمْ هُمُ السَّابِقُونَ فَقَدْ تَكَلَّمُوا فِيهِ بِمَا يَكْفِي وَوَصَفُوا مِنْهُ مَا يَشْفِي فَمَا دُونَهُمْ مِنْ مَقْصَرٍ وَمَا فَوْقَهُمْ مِنْ مَحْسَرٍ وَقَدْ قَصَّرَ قَوْمٌ دُونَهُمْ فَجَفَوْا وَطَمَحَ عَنْهُمْ أَقْوَامٌ فَغَلَوْا وَإِنَّهُمْ بَيْنَ ذَلِكَ لَعَلَى هُدًى مُسْتَقِيمٍ كَتَبْتَ تَسْأَلُ عَنِ الإِقْرَارِ بِالْقَدَرِ فَعَلَى الْخَبِيرِ بِإِذْنِ اللَّهِ وَقَعْتَ مَا أَعْلَمُ مَا أَحْدَثَ النَّاسُ مِنْ مُحْدَثَةٍ وَلاَ ابْتَدَعُوا مِنْ بِدْعَةٍ هِيَ أَبْيَنُ أَثَرًا وَلاَ أَثْبَتُ أَمْرًا مِنَ الإِقْرَارِ بِالْقَدَرِ لَقَدْ كَانَ ذَكَرَهُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ الْجُهَلاَءُ يَتَكَلَّمُونَ بِهِ فِي كَلاَمِهِمْ وَفِي شِعْرِهِمْ يُعَزُّونَ بِهِ أَنْفُسَهُمْ عَلَى مَا فَاتَهُمْ ثُمَّ لَمْ يَزِدْهُ الإِسْلاَمُ بَعْدُ إِلاَّ شِدَّةً وَلَقَدْ ذَكَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَيْرِ حَدِيثٍ وَلاَ حَدِيثَيْنِ وَقَدْ سَمِعَهُ مِنْهُ الْمُسْلِمُونَ فَتَكَلَّمُوا بِهِ فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ وَفَاتِهِ يَقِينًا وَتَسْلِيمًا لِرَبِّهِمْ وَتَضْعِيفًا لأَنْفُسِهِمْ أَنْ يَكُونَ شَىْءٌ لَمْ يُحِطْ بِهِ عِلْمُهُ وَلَمْ يُحْصِهِ كِتَابُهُ وَلَمْ يَمْضِ فِيهِ قَدَرُهُ وَإِنَّهُ مَعَ ذَلِكَ لَفِي مُحْكَمِ كِتَابِهِ مِنْهُ اقْتَبَسُوهُ وَمِنْهُ تَعَلَّمُوهُ وَلَئِنْ قُلْتُمْ لِمَ أَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ كَذَا وَلِمَ قَالَ كَذَا ‏.‏ لَقَدْ قَرَءُوْا مِنْهُ مَا قَرَأْتُمْ وَعَلِمُوا مِنْ تَأْوِيلِهِ مَا جَهِلْتُمْ وَقَالُوا بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ بِكِتَابٍ وَقَدَرٍ وَكُتِبَتِ الشَّقَاوَةُ وَمَا يُقَدَّرْ يَكُنْ وَمَا شَاءَ اللَّهُ كَانَ وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ وَلاَ نَمْلِكُ لأَنْفُسِنَا ضَرًّا وَلاَ نَفْعًا ثُمَّ رَغَبُوا بَعْدَ ذَلِكَ وَرَهِبُوا ‏.‏

حدثنا محمد بن كثير، قال حدثنا سفيان، قال كتب رجل الى عمر بن عبد العزيز يساله عن القدر، ح وحدثنا الربيع بن سليمان الموذن، قال حدثنا اسد بن موسى، قال حدثنا حماد بن دليل، قال سمعت سفيان الثوري، يحدثنا عن النضر، ح وحدثنا هناد بن السري، عن قبيصة، قال حدثنا ابو رجاء، عن ابي الصلت، - وهذا لفظ حديث ابن كثير ومعناهم - قال كتب رجل الى عمر بن عبد العزيز يساله عن القدر فكتب اما بعد اوصيك بتقوى الله والاقتصاد في امره واتباع سنة نبيه صلى الله عليه وسلم وترك ما احدث المحدثون بعد ما جرت به سنته وكفوا مونته فعليك بلزوم السنة فانها لك باذن الله عصمة ثم اعلم انه لم يبتدع الناس بدعة الا قد مضى قبلها ما هو دليل عليها او عبرة فيها فان السنة انما سنها من قد علم ما في خلافها ولم يقل ابن كثير من قد علم ‏.‏ من الخطا والزلل والحمق والتعمق فارض لنفسك ما رضي به القوم لانفسهم فانهم على علم وقفوا وببصر نافذ كفوا ولهم على كشف الامور كانوا اقوى وبفضل ما كانوا فيه اولى فان كان الهدى ما انتم عليه لقد سبقتموهم اليه ولىن قلتم انما حدث بعدهم ‏.‏ ما احدثه الا من اتبع غير سبيلهم ورغب بنفسه عنهم فانهم هم السابقون فقد تكلموا فيه بما يكفي ووصفوا منه ما يشفي فما دونهم من مقصر وما فوقهم من محسر وقد قصر قوم دونهم فجفوا وطمح عنهم اقوام فغلوا وانهم بين ذلك لعلى هدى مستقيم كتبت تسال عن الاقرار بالقدر فعلى الخبير باذن الله وقعت ما اعلم ما احدث الناس من محدثة ولا ابتدعوا من بدعة هي ابين اثرا ولا اثبت امرا من الاقرار بالقدر لقد كان ذكره في الجاهلية الجهلاء يتكلمون به في كلامهم وفي شعرهم يعزون به انفسهم على ما فاتهم ثم لم يزده الاسلام بعد الا شدة ولقد ذكره رسول الله صلى الله عليه وسلم في غير حديث ولا حديثين وقد سمعه منه المسلمون فتكلموا به في حياته وبعد وفاته يقينا وتسليما لربهم وتضعيفا لانفسهم ان يكون شىء لم يحط به علمه ولم يحصه كتابه ولم يمض فيه قدره وانه مع ذلك لفي محكم كتابه منه اقتبسوه ومنه تعلموه ولىن قلتم لم انزل الله اية كذا ولم قال كذا ‏.‏ لقد قرءوا منه ما قراتم وعلموا من تاويله ما جهلتم وقالوا بعد ذلك كله بكتاب وقدر وكتبت الشقاوة وما يقدر يكن وما شاء الله كان وما لم يشا لم يكن ولا نملك لانفسنا ضرا ولا نفعا ثم رغبوا بعد ذلك ورهبوا ‏.‏


Sufyan said (according to one chain), and Abu al-Salit said (according to another chain):
A man wrote to 'Umar b. 'Abd al-Aziz asking him about Divine decree. He wrote to him: To begin with, I enjoin upon you to fear Allah, to be moderate in (obeying) His Command, to follow the sunnah (practice) of His Prophet (ﷺ) and to abandon the novelties which the innovators introduced after his Sunnah has been established and they were saved from its trouble (i.e. novelty or innovation) ; so stick to Sunnah, for it is for you, if Allah chooses, a protection ; then you should know that any innovation which the people introduced was refuted long before it on the basis of some authority or there was some lesson in it, for the Sunnah was introduced by the people who were conscious of the error, slip, foolishness, and extremism in case of (the sunnah) was opposed. So accept for yourself what the people (in the past) had accepted for themselves, for they had complete knowledge of whatever they were informed, and by penetrating insight they forbade (to do prohibited acts); they had more strength (than us) to disclose the matters (of religion), and they were far better (than us) by virtue of their merits. If right guidance is what you are following, then you outstriped them to it. And if you say whatever the novelty occurred after them was introduced by those who followed the way other then theirs and disliked them. It is they who actually outstripped, and talked about it sufficiently, and gave a satisfactory explanation for it. Below them there is no place for exhaustiveness, and above them there is no place for elaborating things. Some people shortened the matter more than they had done, and thus they turned away (from them), and some people raised the matter more than they had done, and thus they exaggerated. They were on right guidance between that. You have written (to me) asking about confession of Divine decree, you have indeed approached a person who is well informed of it, with the will of Allah. I know what whatever novelty people have brought in, and whatever innovation people have introduced are not more manifest and more established than confession of Divine decree. The ignorant people (i.e. the Arabs before Islam) in pre-Islamic times have mentioned it ; they talked about it in their speeches and in their poetry. They would console themselves for what they lost, and Islam then strengthened it (i.e. belief in Divine decree). The Messenger of Allah (ﷺ) did not mention it in one or two traditions, but the Muslims heard it from him, and they talked of it from him, and they talked of it during his lifetime and after his death. They did so out of belief and submission to their Lord and thinking themselves weak. There is nothing which is not surrounded by His knowledge, and not counted by His register and not destined by His decree. Despite that, it has been strongly mentioned in His Book: from it they have derived it, and from it they have and so ? they also read in it what you read, and they knew its interpretation of which you are ignorant. After that they said: All this is by writing and decreeing. Distress has been written down, and what has been destined will occur ; what Allah wills will surely happen, and what He does not will will not happen. We have no power to harm or benefit ourselves. Then after that they showed interest (in good works) and were afraid (of bad deeds).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুফিয়ান সাওরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৩৬. আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) .... নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইবন উমার (রাঃ) এর একজন দোস্ত ছিল শাম দেশে, যিনি তার সাথে পত্রালাপ করতেন। একবার ইবন উমার (রাঃ) তাকে লেখেনঃ আমি জানতে পেরেছি যে, তুমি তাকদীরের ব্যাপারে কথাবার্তা বলেছ! এখন থেকে তুমি আমার কাছে আর পত্র লিখবে না। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ অচিরেই আমার উম্মতের মধ্যে এমন লোক সৃষ্টি হবে যারা তাকদীরকে অস্বীকার করবে।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ - قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ كَانَ لاِبْنِ عُمَرَ صَدِيقٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ يُكَاتِبُهُ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَكَلَّمْتَ فِي شَىْءٍ مِنَ الْقَدَرِ فَإِيَّاكَ أَنْ تَكْتُبَ إِلَىَّ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّهُ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي أَقْوَامٌ يُكَذِّبُونَ بِالْقَدَرِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا احمد بن حنبل، قال حدثنا عبد الله بن يزيد، قال حدثنا سعيد، - يعني ابن ابي ايوب - قال اخبرني ابو صخر، عن نافع، قال كان لابن عمر صديق من اهل الشام يكاتبه فكتب اليه عبد الله بن عمر انه بلغني انك تكلمت في شىء من القدر فاياك ان تكتب الى فاني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ انه سيكون في امتي اقوام يكذبون بالقدر ‏"‏ ‏.‏


Nafi said:
Ibn ‘Umar had a friend from the people of Syria who used to correspond with him. ‘Abd Allah b. ‘Umar wrote to him: I have been informed that you have talked something about Divine decree. You should write it to me, for I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: Among my community there will be people who will falsify Divine decree.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৩৭. আবদুল্লাহ ইবন জাররাহ (রহঃ) ..... খালিদ হাযযা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি হাসান বসরী (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ হে আবূ সাঈদ! আমাকে বলুন, আদম (আঃ)-কে কি আসমানের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল, না যমীনের জন্য? তিনি বলেনঃ তাকে যমীনের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমি বলিঃ যদি তিনি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতেন এবং নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষণ না করতেন? তিনি বলেনঃ এ ছাড়া তার গত্যন্তর ছিল না, (কেননা, তাঁর তাকদীরে এরূপ লেখা ছিল)। আমি বলি, আপনি আমাকে এ আয়াত সম্পর্কে বলুনঃ শয়তান তোমাদের কাউকে গুমরাহ করতে পারে না, তবে তাকে, যে জাহান্নামের যাবে। তিনি বলেনঃ অবশ্যই শয়তান তার গুমরাহীতে কাউকে আবদ্ধ করতে পারে না, তবে তাকে, যার জন্য আল্লাহ জাহান্নাম অবধারিত করেছেন।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَرَّاحِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، قَالَ قُلْتُ لِلْحَسَنِ يَا أَبَا سَعِيدٍ أَخْبِرْنِي عَنْ آدَمَ، لِلسَّمَاءِ خُلِقَ أَمْ لِلأَرْضِ قَالَ لاَ بَلْ لِلأَرْضِ ‏.‏ قُلْتُ أَرَأَيْتَ لَوِ اعْتَصَمَ فَلَمْ يَأْكُلْ مِنَ الشَّجَرَةِ قَالَ لَمْ يَكُنْ لَهُ مِنْهُ بُدٌّ ‏.‏ قُلْتُ أَخْبِرْنِي عَنْ قَوْلِهِ تَعَالَى ‏(‏ مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ * إِلاَّ مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيمِ ‏)‏ قَالَ إِنَّ الشَّيَاطِينَ لاَ يَفْتِنُونَ بِضَلاَلَتِهِمْ إِلاَّ مَنْ أَوْجَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَحِيمَ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن الجراح، قال حدثنا حماد بن زيد، عن خالد الحذاء، قال قلت للحسن يا ابا سعيد اخبرني عن ادم، للسماء خلق ام للارض قال لا بل للارض ‏.‏ قلت ارايت لو اعتصم فلم ياكل من الشجرة قال لم يكن له منه بد ‏.‏ قلت اخبرني عن قوله تعالى ‏(‏ ما انتم عليه بفاتنين * الا من هو صال الجحيم ‏)‏ قال ان الشياطين لا يفتنون بضلالتهم الا من اوجب الله عليه الجحيم ‏.‏


Khalid al-Hadhdha said:
I said to al-Hasan: Abu Sa’id, tell me about Adam. Was he created for the heaven or the earth? He said: No, for the earth. I said: It was unavoidable for him. I said: Tell me about the following verse of the Quran: ”can lead (any) into temptation concerning Allah, except such as are (themselves) going to blazing fire.” He said: The devils do not lead anyone astray by their temptation except the one whom Allah destined to go to Hell.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৩৮. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ..... হাসান (রহঃ) এ আয়াত সম্পর্কে বলেনঃ (وَلِذَلِكَ خَلَقَهُمْ) অর্থাৎ আল্লাহ্‌ তাদের এজন্য সৃষ্টি করেছেন। এ ব্যাখ্যায় তিনি বলেনঃ আল্লাহ্‌ তাদের পয়দা করেছেন জান্নাতের জন্য এবং ওদের (কাফিরদের) সৃষ্টি করেছেন জাহান্নামের জন্য।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنِ الْحَسَنِ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى ‏(‏ وَلِذَلِكَ خَلَقَهُمْ ‏)‏ قَالَ خَلَقَ هَؤُلاَءِ لِهَذِهِ وَهَؤُلاَءِ لِهَذِهِ ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا حماد، حدثنا خالد الحذاء، عن الحسن، في قوله تعالى ‏(‏ ولذلك خلقهم ‏)‏ قال خلق هولاء لهذه وهولاء لهذه ‏.‏


Khalid al-Hadhdha, asked al-Hasan about the Quranic verse:
“And for this did He create them.” He said: He created these for this and those for that.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৩৯. আবূ কামিল (রহঃ) .... খালিদ হাযযা (রহঃ) বলেনঃ আমি হাসান (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি, এ আয়াতের অর্থ কি? যেখানে বলা হয়েছেঃ শয়তান তোমাদের কাউকে গুমরাহ করতে পারে না, তবে যে জাহান্নামে যাবে, (তার কথা স্বতন্ত্র)। তিনি বলেনঃ অবশ্যই শয়তান তার গুমরাহীর ফাঁদে তাকেই আবদ্ধ করবে, যার জন্য আল্লাহ্‌ জাহান্নাম ওয়াজিব করেছেন।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، قَالَ قُلْتُ لِلْحَسَنِ ‏(‏ مَا أَنْتُمْ عَلَيْهِ بِفَاتِنِينَ * إِلاَّ مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيمِ ‏)‏ قَالَ إِلاَّ مَنْ أَوْجَبَ اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ أَنَّهُ يَصْلَى الْجَحِيمَ ‏.‏

حدثنا ابو كامل، حدثنا اسماعيل، حدثنا خالد الحذاء، قال قلت للحسن ‏(‏ ما انتم عليه بفاتنين * الا من هو صال الجحيم ‏)‏ قال الا من اوجب الله تعالى عليه انه يصلى الجحيم ‏.‏


Khalid al-Hadhdha asked al-Hasan about the Quranic verse:
“Can lead (any) into temptation concerning Allah, except such as are (themselves) going to the blazing fire.” He said: Except the one whom Allah destined that he should go to Hell.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৪০

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৪০. হিলাল ইবন বিশর (রহঃ) ..... হুমায়দ (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, হাসান (রহঃ) বলতেনঃ আসমান থেকে যমীনে পতিত হওয়া এরূপ বলা থেকে উত্তম যে, সব কর্তৃত্ব আমার হাতে।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ بِشْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ أَخْبَرَنِي حُمَيْدٌ، قَالَ كَانَ الْحَسَنُ يَقُولُ لأَنْ يُسْقَطَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَقُولَ الأَمْرُ بِيَدِي ‏.‏

حدثنا هلال بن بشر، قال حدثنا حماد، قال اخبرني حميد، قال كان الحسن يقول لان يسقط من السماء الى الارض احب اليه من ان يقول الامر بيدي ‏.‏


Humaid said:
Al-Hasan used to say that his fall from the heaven on the earth is dearer to him than uttering: The matter is in my hand.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুমায়দ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৪১

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৪১. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) .... হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হাসান (রহঃ) মক্কায় আমাদের নিকট আসলে, মক্কার ফকীহগণ আমাকে বলেনঃ আপনি হাসান (রহঃ)-কে বলুন, তিনি যেন একদিন ওয়াজ করেন। তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, ঠিক আছে। এরপর লোকেরা একত্রিত হলে হাসান (রহঃ) তাদের সামনে ওয়াজ করেন। আমি তাঁর চাইতে উত্তম বক্তা আর কাউকে দেখিনি। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেঃ হে আবূ সাঈদ! শয়তানকে কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বলেনঃ সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কেউ স্রষ্টা আছে কি? আল্লাহ্‌ শয়তানকে সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি ভাল ও মন্দ সৃষ্টি করেছেন। এরপর তিনি বলেনঃ আল্লাহ্‌ তাদের ধ্বংস করুন! তারা কিরূপে এ বুযূর্গের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا الْحَسَنُ مَكَّةَ فَكَلَّمَنِي فُقَهَاءُ أَهْلِ مَكَّةَ أَنْ أُكَلِّمَهُ فِي أَنْ يَجْلِسَ لَهُمْ يَوْمًا يَعِظُهُمْ فِيهِ ‏.‏ فَقَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَاجْتَمَعُوا فَخَطَبَهُمْ فَمَا رَأَيْتُ أَخْطَبَ مِنْهُ فَقَالَ رَجُلٌ يَا أَبَا سَعِيدٍ مَنْ خَلَقَ الشَّيْطَانَ فَقَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ هَلْ مِنْ خَالِقٍ غَيْرُ اللَّهِ خَلَقَ اللَّهُ الشَّيْطَانَ وَخَلَقَ الْخَيْرَ وَخَلَقَ الشَّرَّ ‏.‏ قَالَ الرَّجُلُ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ كَيْفَ يَكْذِبُونَ عَلَى هَذَا الشَّيْخِ ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، قال حدثنا حماد، حدثنا حميد، قال قدم علينا الحسن مكة فكلمني فقهاء اهل مكة ان اكلمه في ان يجلس لهم يوما يعظهم فيه ‏.‏ فقال نعم ‏.‏ فاجتمعوا فخطبهم فما رايت اخطب منه فقال رجل يا ابا سعيد من خلق الشيطان فقال سبحان الله هل من خالق غير الله خلق الله الشيطان وخلق الخير وخلق الشر ‏.‏ قال الرجل قاتلهم الله كيف يكذبون على هذا الشيخ ‏.‏


Humaid said:
Al-Hasan came to us. The jurists of Mecca told me that I should speak to him that some day he should hold a meeting for them and preach to them. He said: Yes. So they gathered and he addressed them. I did not see anyone on orator greater than him. A man said: Abu Sa’id, who created Satan? He replied: Glory be to Allah! Is there any creator other than Allah? Allah created Satan, and he created good and created evil. The man said: May Allah ruin them! How do they lie to this old man.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুমায়দ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৪২

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৪২. ইবন কাছীর (রহঃ) .... হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, হাসান (রহঃ) বলেনঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ এভাবেই আমি একে গুনাহগারদের অন্তরে নিক্ষেপ করি, অর্থাৎ শিরিককে।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنِ الْحَسَنِ، ‏(‏ كَذَلِكَ نَسْلُكُهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ ‏)‏ قَالَ الشِّرْكُ ‏.‏

حدثنا ابن كثير، قال اخبرنا سفيان، عن حميد الطويل، عن الحسن، ‏(‏ كذلك نسلكه في قلوب المجرمين ‏)‏ قال الشرك ‏.‏


Humaid al-Tawil asked al-Hasan about the verse:
“Even so do We let it creep into the hearts of the sinners.” He said: Polytheism


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুমায়দ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৪৩. মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) ... হাসান (রহঃ) বলেনঃ মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ তাদের মধ্যে এবং তারা যা চায় তার মধ্যে প্রতিবন্ধক হয়েছে। তিনি বলেনঃ এর অর্থঃ তাদের মধ্যে এবং ঈমানের মধ্যে প্রতিবন্ধক হয়েছে।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ رَجُلٍ، قَدْ سَمَّاهُ غَيْرِ ابْنِ كَثِيرٍ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عُبَيْدٍ الصِّيدِ، عَنِ الْحَسَنِ، فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ وَحِيلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُونَ ‏)‏ قَالَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الإِيمَانِ ‏.‏

حدثنا محمد بن كثير، قال اخبرنا سفيان، عن رجل، قد سماه غير ابن كثير عن سفيان، عن عبيد الصيد، عن الحسن، في قول الله عز وجل ‏(‏ وحيل بينهم وبين ما يشتهون ‏)‏ قال بينهم وبين الايمان ‏.‏


Explaining the Quranic verse; “And between them and their desire is placed a barrier.” Al-Hasan said:
Between them and their faith.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
৪৫৪৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. সুন্নাতের অনুসরণ করা জরুরী।

৪৫৪৪. মুহাম্মদ ইবন উবায়দ (রহঃ) ..... ইবন আওন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি শামের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় পেছন থেকে আমাকে একজন ডাকে। আমি তাকিয়ে দেখি, সে হলো-রাজা ইবন হাওয়া। তিনি বলেনঃ হে আবূ আওন! লোকেরা হাসান (রহঃ) থেকে এসব কী বর্ণনা করে? আমি বলিঃ তারা অধিকাংশ সময় তার উপর মিথ্যা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থাকে।

باب فِي لُزُومِ السُّنَّةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمٌ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ كُنْتُ أَسِيرُ بِالشَّامِ فَنَادَانِي رَجُلٌ مِنْ خَلْفِي فَالْتَفَتُّ فَإِذَا رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ فَقَالَ يَا أَبَا عَوْنٍ مَا هَذَا الَّذِي يَذْكُرُونَ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ قُلْتُ إِنَّهُمْ يَكْذِبُونَ عَلَى الْحَسَنِ كَثِيرًا ‏.‏

حدثنا محمد بن عبيد، حدثنا سليم، عن ابن عون، قال كنت اسير بالشام فناداني رجل من خلفي فالتفت فاذا رجاء بن حيوة فقال يا ابا عون ما هذا الذي يذكرون عن الحسن قال قلت انهم يكذبون على الحسن كثيرا ‏.‏


Ibn ‘Awn said:
I was a prisoner in Syria. A man called me from behind. I turned towards him and suddenly found that it was Raja b. Haiwah. He said: Abu ‘Awn, what is this that the people are telling about al-Hasan? I said: They are much lying to al-Hasan.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু ‘আউন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৫/ সুন্নাহ (كتاب السنة) 35/ Model Behavior of the Prophet (Kitab Al-Sunnah)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৭৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 8 9 পরের পাতা »