পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
১/৯৯৮। আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশ-কারী হিসাবে আগমন করবে।” (মুসলিম) [1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
عَنْ أَبي أُمَامَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «اقْرَؤُوا القُرْآنَ ؛ فَإِنَّهُ يَأتِي يَوْمَ القِيَامَةِ شَفِيعاً لأَصْحَابِهِ». رواه مسلم
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
Abu Umamah (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "Read the Qur'an, for it will come as an intercessor for its reciters on the Day of Resurrection."
[Muslim].
Commentary: This Hadith tells the excellence of reciting the Qur'an and acting upon its injunctions. Intercession (in this Hadath) means that the Qur'an will be endowed with the power of speech by Allah and it will request Allah to forgive the sins of its reciters who acted upon its teachings. Allah will accept the request of the Qur'an, as signified in other Ahadith.
পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
২/৯৯৯। নাওয়াস ইবনে সাম’আন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “কুরআন ও ইহজগতে তার উপর আমলকারীদেরকে (বিচারের দিন মহান আল্লাহর সামনে) পেশ করা হবে। সূরা বাকারাহ ও সূরা আলে ইমরান তার আগে আগে থাকবে এবং তাদের পাঠকারীদের স্বপক্ষে (প্রভুর সঙ্গে) বাদানুবাদে লিপ্ত হবে। (মুসলিম) [1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
وَعَنِ النَّوَّاسِ بنِ سَمْعَانَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: يُؤْتَى يَوْمَ القِيَامَةِ بِالقُرْآنِ وَأَهْلِهِ الَّذِينَ كَانُوا يَعْمَلُونَ بِهِ فِي الدُّنْيَا تَقْدُمُهُ سُورَةُ البَقَرَةِ وَآلِ عِمْرَانَ، تُحَاجَّانِ عَنْ صَاحِبِهِمَا. رواه مسلم
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
An-Nawwas bin Sam'an (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "The Qur'an and its people who applied it, will be brought on the Day of Resurrection preceded with Surat Al-Baqarah and Surat Al-'Imran arguing on behalf of those who applied them."
[Muslim].
Commentary: This Hadith means that on the Day of Requital, the Qur'an, with Surat Al-Baqarah and Al-`Imran in the forefront, will intercede before Allah for those who used to recite and act upon them in the life of the world.
পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
৩/১০০০। ’উসমান ইবনে ’আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।” (বুখারী)[1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
وَعَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ». رواه البخاري
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
'Uthman bin 'Affan (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The best amongst you is the one who learns the Qur'an and teaches it."
[Al-Bukhari].
পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
৪/১০০১। ’আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কুরআনের (শুদ্ধ ভাবে পাঠকারী ও পানির মত হিফযকারী পাকা) হাফেয মহা সম্মানিত পুণ্যবান লিপিকার (ফেরেশতাবর্গের) সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি (পাকা হিফয না থাকার কারণে) কুরআন পাঠে ’ওঁ-ওঁ’ করে এবং পড়তে কষ্টবোধ করে, তার জন্য রয়েছে দু’টি সওয়াব।” (একটি তেলাওয়াত ও দ্বিতীয়টি কষ্টের দরুন।) (বুখারী, মুসলিম ৭৯৮নং) [1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «اَلَّذِيْ يَقْرَأُ القُرْآنَ وَهُوَ مَاهِرٌ بِهِ مَعَ السَّفَرَةِ الكِرَامِ البَرَرَةِ، وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أجْرَانِ». متفقٌ عَلَيْهِ
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The one who is proficient in the recitation of the Qur'an will be with the honourable and obedient scribes (angels) and he who recites the Qur'an and finds it difficult to recite, doing his best to recite it in the best way possible, will have a double reward."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Proficient here means one who reads the Qur'an in accordance with the rules of "Ilm At-Tajwid'' (the science of the recitation of the Qur'an) as is evidenced from the words of Imam Bukhari's narration and the title given to the chapter.
This Hadith also highlights the merit of the reader of the Qur'an who does not know `Ilm At-Tajwid, and for that reason cannot read it fluently. But in spite of this, he reads it with great effort. He will be given double reward, one for the difficulty encountered in reciting it, and another for reading it. Safratun translated in the Hadith as scribes (angels) mean the angels that convey the Wahy (Revelation) to the Messenger of Allah. Imam Bukhari has taken it to mean "one who makes reconciliation''. The angels who bring Wahy and chastisement from Allah.
পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
৫/১০০২। আবূ মুসা আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কুরআন পাঠকারী মুমিনের উদাহরণ হচ্ছে ঠিক উতরুজ্জা (কমলা লেবুর মত এক ধরণের ফল); যার ঘ্রাণ উত্তম এবং স্বাদও উত্তম। আর যে মুমিন কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক খেজুরের মত; যার (উত্তম) ঘ্রাণ তো নেই, তবে স্বাদ মিষ্ট। (অন্যদিকে) কুরআন পাঠকারী মুনাফিকের দৃষ্টান্ত হচ্ছে সুগন্ধিময় (তুলসী) গাছের মত; যার ঘ্রাণ উত্তম, কিন্তু স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক মাকাল ফলের মত; যার (উত্তম) ঘ্রাণ নেই, স্বাদও তিক্ত।” (বুখারী, মুসলিম)[1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
وَعَنْ أَبي مُوسَى الأَشعَرِيِّ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِيْ يَقْرَأُ القُرْآنَ مَثَلُ الأُتْرُجَّةِ: رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا طَيِّبٌ، وَمَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِيْ لاَ يَقْرَأُ القُرْآنَ كَمَثَلِ التَّمْرَةِ: لارِيحَ لَهَا وَطَعْمُهَا حُلْوٌ، وَمَثلُ المُنَافِقِ الَّذِيْ يَقرَأُ القُرآنَ كَمَثلِ الرَّيحَانَةِ: ريحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ، وَمَثَلُ المُنَافِقِ الَّذِيْ لاَ يَقْرَأُ القُرْآنَ كَمَثلِ الحَنْظَلَةِ: لَيْسَ لَهَا رِيحٌ وَطَعْمُهَا مُرٌّ». متفقٌ عَلَيْهِ
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
Abu Musa Al-Ash'ari (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The believer who recites the Qur'an is like a citron whose fragrance is sweet and whose taste is delicious. A believer who does not recite the Qur'an is like a date-fruit which has no fragrance but has a sweet taste. The hypocrite who recites the Qur'an is like basil whose fragrance is so sweet, but its taste is bitter. The hypocrite who does not recite the Qur'an is like a colocynth which has no fragrance and its taste is bitter."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith tells us that a believer who recites the Qur'an and acts upon it, Allah will grant him a high rank. He is loved by Allah and also enjoys public esteem. The believer who does not recite it but acts upon its teachings is also loved by Allah and people. The hypocrite who recites the Qur'an to have a good show has an evil and dark mind. Last of all comes that hypocrite who does not recite the Qur'an and has a dark mind and appearance.
পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
৬/১০০৩। উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মহান আল্লাহ এই গ্রন্থ (কুরআন মাজীদ) দ্বারা (তার উপর আমলকারী) জনগোষ্ঠীর উত্থান ঘটান এবং এরই দ্বারা (এর অবাধ্য) অন্য গোষ্ঠীর পতন সাধন করেন।” (মুসলিম) [1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
وَعَنْ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهَذَا الكِتَابِ أَقْوَاماً وَيَضَعُ بِهِ آخرِينَ». رواه مسلم
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
'Umar bin Al-Khattab (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Verily, Allah elevates some people with this Qur'an and abases others."
[Muslim].
Commentary: Only such people will be elevated who act upon the teachings of the Qur'an and abstain from what is forbidden by Allah. The Muslims of the early centuries of Islam were blessed with great honour by Allah because they loved and applied the Qur'an. Because of this meaningful attachment with the Qur'an, they made great achievements in religious and worldly spheres. Those who neglected the teachings of Islam will be disgraced and humiliated. May Allah guide and enable us to re-establish our contact with the Qur'an so that we can regain our past glory. Exaltation and humiliation mentioned in the Hadith is bound to happen in both this life and the Hereafter.
পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
৭/১০০৪। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দু’জনের ক্ষেত্রে ঈর্ষা করা সিদ্ধ। (১) যাকে আল্লাহ কুরআন (মুখস্থ করার শক্তি) দান করেছেন, সুতরাং সে ওর (আলোকে) দিবা-রাত্রি পড়ে ও আমল করে। (২) যাকে আল্লাহ তা’আলা ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং সে (আল্লাহর পথে) দিন-রাত ব্যয় করে।” (বুখারী, মুসলিম) [1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «لاَ حَسَدَ إِلاَّ فِي اثْنَتَيْنِ: رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ القُرْآنَ، فَهُوَ يَقُومُ بِهِ آنَاء اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ، وَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالاً، فَهُوَ يُنْفِقُهُ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ». متفقٌ عَلَيْهِ
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said: "Envy is justified in regard to two types of persons only: a man whom Allah has given knowledge of the Qur'an, and so he recites it during the night and during the day; and a man whom Allah has given wealth and so he spends from it during the night and during the day."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith has been quoted before at two places (see Hadith No. 572). It has been repeated here to bring into prominence the merit of reciting the Qur'an. Refer to the Commentary on Hadith No. 544.
পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
৮/১০০৫। বারা’ ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা একটি লোক সূরা কাহাফ পাঠ করছিল। তার পাশেই দুটো রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। ইতোমধ্যে লোকটিকে একটি মেঘে ঢেকে নিলো। মেঘটি লোকটির নিকটবর্তী হতে থাকলে ঘোড়াটি তা দেখে চমকাতে আরম্ভ করল। অতঃপর যখন সকাল হলো তখন লোকটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে হাজির হয়ে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করল। তা (শুনে) তিনি বললেন, “ওটি প্রশান্তি ছিল, যা তোমার কুরআন পড়ার দরুন অবতীর্ণ হয়েছে।” (বুখারী, মুসলিম) [1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
وَعَنِ البَرَاءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كَانَ رَجُلٌ يَقْرَأُ سُورَةَ الْكَهْفِ، وَعِنْدَهُ فَرَسٌ مَرْبُوطٌ بِشَطَنَيْنِ، فَتَغَشَّتْهُ سَحَابَةٌ فَجَعَلَتْ تَدْنُوْ، وَجَعَلَ فَرَسُه يَنْفِرُ مِنْهَا، فَلَمَّا أصْبَحَ أتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: «تِلْكَ السَّكِينَةُ تَنَزَّلَتْ لِلقُرْآنِ». متفقٌ عَلَيْهِ
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
Al-Bara' bin 'Azib (May Allah be pleased with them) reported:
A man was reciting Surat Al-Kahf, and a horse was tied with two ropes beside him. As he was reciting, a cloud overshadowed him, and as it began to come nearer and nearer, the horse began to trample voilently. The man came to the Messenger of Allah (ﷺ) in the morning and mentioned the incident to him. He (ﷺ) said, "That was tranquillity which descended as a result of the recitation of the Qur'an."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith brings out two points. Firstly, the excellence of Surat Al-Kahf (The Cave, No. 18). Secondly, the descending of tranquillity from Allah on the pious persons. The appearance of a cloud for the tranquillity of heart on the recitation of the Qur'an is a supernatural event (miracle) to which a pious man does not make any contribution. It entirely depends on the Will of Allah.
পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
৯/১০০৬। আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’ঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব (কুরআন মাজীদ)এর একটি বর্ণ পাঠ করবে, তার একটি নেকী হবে। আর একটি নেকী দশটি নেকীর সমান হয়। আমি বলছি না যে, ’আলিফ-লাম-মীম’ একটি বর্ণ; বরং আলিফ একটি বর্ণ, লাম একটি বর্ণ এবং মীম একটি বর্ণ।” (অর্থাৎ তিনটি বর্ণ দ্বারা গঠিত ’আলিফ-লাম-মীম, যার নেকীর সংখ্যা হবে ত্রিশ।) (তিরমিযী, হাসান)[1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ قَرَأ حَرْفاً مِنْ كِتَابِ اللهِ فَلَهُ حَسَنَةٌ، وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أمْثَالِهَا، لاَ أَقُولُ: الـم حَرفٌ، وَلَكِنْ: ألِفٌ حَرْفٌ، وَلاَمٌ حَرْفٌ، وَمِيمٌ حَرْفٌ». رواه الترمذي، وقال: ( حديث حسن صحيح ))
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whoever recites a letter from the Book of Allah, he will be credited with a good deed, and a good deed gets a ten-fold reward. I do not say that Alif-Lam-Mim is one letter, but Alif is a letter, Lam is a letter and Mim is a letter."
[At- Tirmidhi].
Commentary: This Hadith urges us to recite the Qur'an and also mentions the great reward for reciting it.
পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
১০/১০০৭। আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কুরআনের কোনো অংশই যে ব্যক্তির পেটে নেই সে (সেই পেট বা উদর) বিরান ঘরের সমতুল্য। (তিরমিযি) দুর্বল।[1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَّضِيَ الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم :«إنَّ الَّذِيْ لَيْسَ فِيْ جَوْفِهِ شَيْءٌ مِنَ القُرآنِ كَالْبَيْتِِ الْخَرِبِ» رواه الترمذي وقال: حديث حسن صحيح .
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
Ibn `Abbas (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who does not memorize any part from the Qur'an he is like the ruined house.''
[At-Tirmidhi].
Commentary: This Hadith means that the heart of that Muslim is devoid of grace of spiritualism and Grace of Allah who does not remember by heart any portion of the Qur'an, in the same way as a deserted house is deprived of inhabitants and Blessings of Allah. What we learn from this is that every Muslim must remember some portion of the Qur'an so that he is safe from the admonition mentioned in this Hadith.
পরিচ্ছেদঃ ১৮০: পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলত
১১/১০০৮। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পবিত্র কুরআনের পাঠক, হাফেয ও তার উপর আমলকারীকে (কিয়ামতের দিন) বলা হবে, ’তুমি কুরআন করীম পড়তে থাক ও চড়তে থাক। আর ঠিক সেইভাবে স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে পড়তে থাক, যেভাবে দুনিয়াতে পড়তে। কেননা, (জান্নাতের ভিতর) তোমার স্থান ঠিক সেখানে হবে, যেখানে তোমার শেষ আয়াতটি খতম হবে।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী হাসান) [1]
(180) بَابُ فَضْلِ قِرَاءَةِ الْقُرْآن
وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ: اِقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَتَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: ( حديث حسن صحيح ))
(180) Chapter: The Excellence of Reciting the Qur'an
'Abdullah bin 'Amr bin Al-'As (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "The one who was devoted to the the Qur'an will be told on the Day of Resurrection: 'Recite and ascend (in ranks) as you used to recite when you were in the world. Your rank will be at the last Ayah you recite."'
[Abu Dawud and At- Tirmidhi].
Commentary: This Hadith mentions the merit of those who commit the Qur'an (whole or part thereof) to memory (Huffaz). The word `ascend' here means to rise in ranks in the Jannah. The more one remembers the Qur'an, the more clear and distinct is his recitation of it, the higher would be the status that he will go on attaining through its blessings. Thus, this Hadith provides inducement for the remembrance of the Qur'an and tells us that its frequent recitation is a means to attain higher ranks in Jannah.
পরিচ্ছেদঃ ১৮১: কুরআন মাজীদ সযত্নে নিয়মিত পড়া ও তা ভুলে যাওয়া থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
১/১০০৯। আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এই কুরআনের প্রতি যত্ন নাও। (অর্থাৎ নিয়মিত পড়তে থাক ও তার চর্চা রাখ।) সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে, উট যেমন তার রশি থেকে অতর্কিতে বের হয়ে যায়, তার চেয়ে অধিক অতর্কিতে কুরআন (স্মৃতি থেকে) বের হয়ে (বিস্মৃত হয়ে) যায়।” (অর্থাৎ অতিশীঘ্র ভুলে যাবার সম্ভাবনা থাকে।) (বুখারী-মুসলিম) [1]
(181) عَن أَبِي مُوسَى رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «تَعَاهَدُوا هَذَا القُرْآنَ، فَوَالَّذِيْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتاً مِنَ الإِبِلِ فِي عُقُلِهَا». متفقٌ عَلَيْهِ
عَن أَبِي مُوسَى رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «تَعَاهَدُوا هَذَا القُرْآنَ، فَوَالَّذِيْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتاً مِنَ الإِبِلِ فِي عُقُلِهَا». متفقٌ عَلَيْهِ
(181) Chapter: Warning against forgetting the Qur'an
Abu Musa Al-Ash'ari (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Read the Qur'an regularly. By the One in Whose Hand Muhammad's soul is, it escapes from memory faster than a camel does from its tying ropes."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: To safeguard the Qur'an means to recite it regularly, because if one fails to do so, he tends to forget it quickly. In the absence of regular recitation, one is bound to forget it more quickly than a camel breaks loose bound with. The breaking loose by the camel to liberate itself is a simile for the quick process of forgetting.
পরিচ্ছেদঃ ১৮১: কুরআন মাজীদ সযত্নে নিয়মিত পড়া ও তা ভুলে যাওয়া থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
২/১০১০। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কুরআন-ওয়ালা হল বাঁধা উট-ওয়ালার মত। সে যদি তা বাঁধার পর তার যথারীতি দেখাশোনা করে, তাহলে বাঁধাই থাকবে। নচেৎ ঢিল দিলেই উট পালিয়ে যাবে।” (বুখারী, মুসলিম) [1]
(181) عَن أَبِي مُوسَى رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «تَعَاهَدُوا هَذَا القُرْآنَ، فَوَالَّذِيْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتاً مِنَ الإِبِلِ فِي عُقُلِهَا». متفقٌ عَلَيْهِ
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إنَّمَا مَثَلُ صَاحِبِ الْقُرْآنِ كَمَثَلِ الإِبِلِ المُعَقَّلَةِ، إِنْ عَاهَدَ عَلَيْهَا أَمْسَكَهَا، وَإِنْ أَطْلَقَهَا ذَهَبَتْ». متفقٌ عَلَيْهِ
(181) Chapter: Warning against forgetting the Qur'an
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: "The parable of one who knows the Qur'an by heart is as the parable of an owner of hobbled camel. If he remains vigilant, he will retain it; and if he neglects it, it will go away."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith repeats the subject mentioned above. The person who memorizes the entire Qur'an or a portion of it, if he recites it regularly, he will retain it; otherwise, it will start slipping from his memory.
পরিচ্ছেদঃ ১৮২: সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠ কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে
১/১০১১। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “মহান আল্লাহ এভাবে উৎকর্ণ হয়ে কোন কথা শোনেন না, যেভাবে সেই মধুরকণ্ঠী পয়গম্বরের প্রতি উৎকর্ণ হয়ে শোনেন, যিনি মধুর কণ্ঠে উচ্চ স্বরে কুরআন মাজীদ পড়তেন।” (বুখারী, মুসলিম) [1]
আল্লাহর উৎকর্ণ হয়ে শোনার মধ্যে এ কথার ইঙ্গিত রয়েছে যে, তিনি সেই তেলাওয়াতে সন্তুষ্ট হন এবং তা কবুল করেন।
(182) بَابُ اِسْتِحْبَابِ تَحْسِيْنِ الصَّوْتِ بِالْقُرْآنِوَطَلَبِ الْقِرَاءَةِ مَنْ حَسُنَ الصَّوْتَ وَالْاِسْتِمَاعَ لَهَا
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: سَمِعْتُ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ: «مَا أَذِنَ اللهُ لِشَيءٍ مَا أَذِنَ لِنَبِيٍّ حَسَنِ الصَّوْتِ يَتَغَنَّى بِالقُرْآنِ يَجْهَرُ بِهِ». متفقٌ عَلَيْهِ
(182) Chapter: The Merit of Recitation of the Noble Qur'an in a Pleasant Voice
Abu Hurairah (may Allah be pleased with him) reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "Allah does not listen so attentively to anything as He listens to the recitation of the Qur'an by a Prophet who recites well with a melodious and audible voice."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: "Allah does not listen so attentively'' has two- fold meanings. First, Allah's acceptance and pleasure. Second, His attribute of Hearing. One must have to believe in it although we can neither describe it nor compare it with anything else. The word "Ghina'' is ordinarily used for singing but here it means the recitation which is done in accordance with the principles of Tajwid and in a beautiful voice. Thus, this Hadith induces us to recite the Qur'an properly with nice feeling and voice.
পরিচ্ছেদঃ ১৮২: সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠ কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে
২/১০১২। আবূ মুসা আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, “তোমাকে দাউদের সুললিত কণ্ঠের মত মধুর কণ্ঠ দান করা হয়েছে।” (বুখারী, মুসলিম)[1]
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, “যদি তুমি আমাকে গত রাতে তোমার তেলাওয়াত শোনা অবস্থায় দেখতে (তাহলে তুমি কতই না খুশি হতে)!”
(182) بَابُ اِسْتِحْبَابِ تَحْسِيْنِ الصَّوْتِ بِالْقُرْآنِوَطَلَبِ الْقِرَاءَةِ مَنْ حَسُنَ الصَّوْتَ وَالْاِسْتِمَاعَ لَهَا
وَعَنْ أَبي مُوسَى الأَشعَرِي رضي الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ: «لَقدْ أُوتِيتَ مِزْمَاراً مِنْ مَزَامِيرِ آلِ دَاوُدَ». متفقٌ عَلَيْهِ.
وفي رواية لمسلمٍ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ: «لَوْ رَأَيْتَنِي وَأنَا أسْتَمِعُ لِقِراءتِكَ الْبَارِحَةَ» ..
(182) Chapter: The Merit of Recitation of the Noble Qur'an in a Pleasant Voice
Abu Musa Al-Ash'ari (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said to him, "You have been given a Mizmar (sweet melodious voice) out of the Mazamir of Prophet Dawud (David)."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Mizmar means flute but here it stands for tune and sweet voice. In the phrase Al-Dawud (PBUH), translated here `the family of Dawud,' the word Al is superfluous and what is in fact meant is Prophet Dawud. In any case, sweet voice is a gift of Allah Who grants it to whom He likes. Lucky indeed are those who are granted this gift and they go about using it to invite people to the religion of Allah.
পরিচ্ছেদঃ ১৮২: সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠ কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে
৩/১০১৩। বারা’ ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এশার নামাযে সূরা ’ওয়াত্তীন অয্যাইতূন’ পড়তে শুনেছি। বস্তুতঃ আমি তাঁর চেয়ে মধুর কণ্ঠ আর কারো শুনিনি।” (বুখারী, মুসলিম) [1]
(182) بَابُ اِسْتِحْبَابِ تَحْسِيْنِ الصَّوْتِ بِالْقُرْآنِوَطَلَبِ الْقِرَاءَةِ مَنْ حَسُنَ الصَّوْتَ وَالْاِسْتِمَاعَ لَهَا
وَعَنِ البَراءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ فِي الْعِشَاءِ بالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ، فَمَا سَمِعْتُ أَحَداً أَحْسَنَ صَوْتاً مِنْهُ . متفقٌ عَلَيْهِ
(182) Chapter: The Merit of Recitation of the Noble Qur'an in a Pleasant Voice
Al-Bara' bin 'Azib (May Allah be pleased with them) reported:
I heard the Prophet (ﷺ) reciting Surat Wat-Teen Waz-Zaitun (Chapter 95) during the 'Isha' prayer. I have never heard anyone reciting it in a more beautiful voice than his.
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith tells us that, like other virtues and qualities, the Prophet (PBUH) was also granted a sweet voice by Allah.
পরিচ্ছেদঃ ১৮২: সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠ কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে
৪/১০১৪। আবূ লুবাবাহ বাশীর ইবনে আব্দুল মুনযির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি মিষ্ট স্বরে কুরআন পড়ে না, সে আমাদের মধ্যে নয়।” (অর্থাৎ আমাদের ত্বরীকা ও নীতি-আদর্শ বহির্ভূত।) (আবূ দাউদ, উত্তম সূত্রে) [1]
(182) بَابُ اِسْتِحْبَابِ تَحْسِيْنِ الصَّوْتِ بِالْقُرْآنِوَطَلَبِ الْقِرَاءَةِ مَنْ حَسُنَ الصَّوْتَ وَالْاِسْتِمَاعَ لَهَا
وَعَنْ أَبي لُبَابَةَ بَشِيرِ بنِ عَبدِ المُنذِرِ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ لَمْ يَتَغَنَّ بِالقُرْآنِ فَلَيْسَ مِنَّا» رواه أَبُو داود بإسنادٍ جيدٍ.
(182) Chapter: The Merit of Recitation of the Noble Qur'an in a Pleasant Voice
Abu Lubabah Bashir bin 'Abdul-Mundhir (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "He who does not recite the Qur'an in a pleasant tone is not of us."
[Abu Dawud].
Commentary: The words "is not of us'' mean that he is not following the way of the Prophet (PBUH) with regard to the recitation of the Qur'an. This Hadith also induces us to recite the Qur'an with a sweet and touching voice because the recitation of the Qur'an in this manner enhances its effect.
পরিচ্ছেদঃ ১৮২: সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠ কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে
৫/১০১৫। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “(হে ইবনে মাসঊদ!) আমাকে কুরআন পড়ে শুনাও।” আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে পড়ে শোনাব, অথচ আপনার উপরে তা অবতীর্ণ করা হয়েছে?’ তিনি বললেন, “অপরের মুখ থেকে (কুরআন পড়া) শুনতে আমি ভালবাসি।” সুতরাং তাঁর সামনে আমি সূরা নিসা পড়তে লাগলাম, পড়তে পড়তে যখন এই (৪১নং) আয়াতে পৌঁছলাম---যার অর্থ, “তখন তাদের কি অবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাদের সাক্ষী-রূপে উপস্থিত করব?” তখন তিনি বললেন, “যথেষ্ট, এখন থাম।” অতঃপর আমি তাঁর দিকে ফিরে দেখি, তাঁর নয়ন যুগল অশ্রু ঝরাচ্ছে। (বুখারী, মুসলিম) [1]
(182) بَابُ اِسْتِحْبَابِ تَحْسِيْنِ الصَّوْتِ بِالْقُرْآنِوَطَلَبِ الْقِرَاءَةِ مَنْ حَسُنَ الصَّوْتَ وَالْاِسْتِمَاعَ لَهَا
وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: «اِقْرَأْ عَلَيَّ القُرْآنَ»، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أَقْرَأُ عَلَيْكَ، وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ ؟! قَالَ: «إنِّي أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِي». فَقَرَأْتُ عَلَيْهِ سُورَةَ النِّسَاءِ، حَتَّى جِئْتُ إِلَى هَذِهِ الآيَةِ: فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيداً قَالَ: «حَسْبُكَ الآنَ» فَالْتَفَتُّ إِلَيْهِ، فَإذَا عَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ . متفقٌ عَلَيْهِ
(182) Chapter: The Merit of Recitation of the Noble Qur'an in a Pleasant Voice
Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said to me, "Recite the Qur'an to me." I said: "O Messenger of Allah! Shall I recite it to you when it was revealed to you?" He (ﷺ) said, "I like to hear it from others." Then I began to recite Surat An-Nisa'. When I reached the Ayah: 'How will it be when We shall bring a witness from every people and bring you as a witness against them?' (Having heard it) he said, "Enough! Enough!" When I looked at him, I found his eyes were overflowing with tears.
[Al- Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith has been mentioned earlier. It is repeated here for the reason that it has an aspect of honour for the people who are blessed with knowledge and grace. Moreover, it stresses the need to hear the recitation of the Qur'an from those who recite it beautifully in order to contemplate over it, as was done by the Prophet (PBUH) himself.
পরিচ্ছেদঃ ১৮৩: বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান
১/১০১৬। আবূ সাঈদ রাফে’ ইবনে মুআল্লা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “মসজিদ থেকে বের হবার পূর্বেই তোমাকে কি কুরআনের সবচেয়ে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সূরা শিখিয়ে দেব না?” এই সাথে তিনি আমার হাত ধরলেন। অতঃপর যখন আমরা বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা করলাম, তখন আমি নিবেদন করলাম, ’ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি যে আমাকে বললেন, তোমাকে অবশ্যই কুরআনের সবচেয়ে বড় (মাহাত্ম্যপূর্ণ) সূরা শিখিয়ে দেব?’ সুতরাং তিনি বললেন, “(তা হচ্ছে) ’আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ (সূরা ফাতেহা)। এটি হচ্ছে ’সাবউ মাসানী’ (অর্থাৎ নামাযে বারংবার পঠিতব্য সপ্ত আয়াত) এবং মহা কুরআন; যা আমাকে দান করা হয়েছে।” (বুখারী) [1]
(183) بَابُ فِي الْحَثِّ عَلٰى سُوَرٍ وآيَاتٍ مَخْصُوْصَةٍ
عَن أَبي سَعِيدٍ رَافِعِ بن الْمُعَلَّى رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «أَلاَ أُعَلِّمُكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي القُرْآن قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ؟» فَأخَذَ بِيَدِي، فَلَمَّا أَرَدْنَا أَنْ نَخْرُجَ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنَّكَ قُلْتَ: لأُعَلِّمَنَّكَ أَعْظَمَ سُورَةٍ فِي القُرْآنِ ؟ قَالَ: «اَلْحَمْدُ للهِ رَبِّ العَالَمِينَ، هِيَ السَّبْعُ المَثَانِي وَالقُرْآنُ العَظِيمُ الَّذِيْ أُوتِيتُهُ». رواه البخاري
(183) Chapter: Inducement towards the Recitation of some Special verses and Surah of the Noble Qur'an
Abu Sa'id Ar-Rafi' bin Al-Mu'alla (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Shall I teach you the greatest Surah in the Qur'an before you leave the mosque?" Then he (ﷺ), took me by the hand, and when we were about to step out, I reminded him of his promise to teach me the greatest Surah in the Qur'an. He (ﷺ) said, "It is 'Alhamdu lillahi Rabbil 'Alamin (i.e., Surat Al-Fatihah) which is As-Sab' Al-Mathani (i.e., the seven oft- repeated Ayat) and the Great Qur'an which is given to me."
[Al-Bukhari].
Commentary: Allah the Almighty says:
"And indeed, We have bestowed upon you seven of Al-Mathani (the seven repeatedly recited Ayat), (i.e., Surat Al-Fatihah) and the Grand Qur'an.'' (15:87).
This Hadith is an elaboration of the Quranic Ayah quoted above. The Prophet (PBUH) held that As-Sab` Al-Mathani is Surat Al-Fatihah (the Opening Chapter) because these seven Ayat are recited not only in every Salat but in every Rak`ah of every Salat for the reason that no Salat is valid without the recitation of this Surah, as is evident from the saying of the Prophet (PBUH): "The Salat of that person who has not recited Surat Al-Fatihah is void.'' It has also been regarded as the greatest Surah of the Qur'an as it covers all the objects of the Qur'an and is a condensation of all the subjects which have been discussed in detail in its other Surah. It includes the belief in the Tauhid (the belief in the Oneness of Allah)), the worship of Allah, the Day of Resurrection, promise (of Jannah) and warning (against Hell-fire), instances of the pious and impious people of the past communities, and the lessons their conduct has for others. Abu Dawud and At-Tirmidhi have reported a Hadith in which the Messenger of Allah (PBUH) said: "Al-hamdu lillahi Rabbil `Alamin (i.e., Surat Al-Fatihah) is Umm-ul-Qur'an that is its origin, basis and essence".
পরিচ্ছেদঃ ১৮৩: বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান
২/১০১৭। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সূরা) ’ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ সম্পর্কে বলেছেন, “সেই মহান সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ আছে, নিঃসন্দেহে এটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল।”
অপর এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে বললেন, ’তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অপারগ?’ প্রস্তাবটি তাঁদের পক্ষে ভারী মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! এ কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে?’ (অর্থাৎ কেউ পারবে না।) তিনি বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ’ (সূরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল।” (অর্থাৎ এই সূরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ার সমান নেকী অর্জিত হয়) (বুখারী) [1]
(183) بَابُ فِي الْحَثِّ عَلٰى سُوَرٍ وآيَاتٍ مَخْصُوْصَةٍ
وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِِيِّ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ فِي: - قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ -: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ القُرْآنِ» .
وفي روايةٍ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ ِلأَصْحَابِهِ: «أَيَعْجِزُ أحَدُكُمْ أنْ يَقْرَأَ بِثُلُثِ القُرْآنِ فِي لَيْلَةٍ؟»، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ، وَقَالُوا: أَيُّنَا يُطِيقُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ فَقَالَ: «قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ اللهُ الصَّمَد: ثُلُثُ الْقُرْآنِ». رواه البخاري
(183) Chapter: Inducement towards the Recitation of some Special verses and Surah of the Noble Qur'an
Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported about Surat Al-Ikhlas (Chapter 112):
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand my soul is, it is equivalent to one-third of the Qur'an."
According to another version, he (ﷺ) said to his Companions, "Is anyone of you incapable of reciting one-third of the Qur'an in one night?" They considered it burdensome and said: "O Messenger of Allah, which of us can afford to do that?" He (ﷺ) said, "Surat Al-Ikhlas [Say: He is Allah (the) One] is equivalent to one-third of the Qur'an."
[Al- Bukhari].
Commentary: One reading of Surat Al-Ikhlas has return and reward equal to the recitation of one-third of the Qur'an. This Surah mentions the Oneness of Allah. This is enough to make one realize how much Allah (SWT) likes the recitation and remembrance of His Oneness. This is the reason, He has declared Shirk (polytheism) an absolutely unpardonable sin.