রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন) ৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) - The Book of Dress
৭৮৩

পরিচ্ছেদঃ ১১৭: সাদা কাপড় পরা উত্তম। লাল, সবুজ, হলুদ এবং কালো রঙের কাপড় পরাও বৈধ। আর রেশম ব্যতিত সুতি, উল, পশমি ইত্যাদি সবরকমের কাপড় পরা জায়েজ।

সাদা রঙের কাপড় উত্তম। আর লাল, সবুজ ও কালো রঙের কাপড় বৈধ। আর রেশমী বস্ত্র ছাড়া সুতি, উল, পশম ও লোম ইত্যাদির কাপড় পরিধান করা জায়েয।

আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,

﴿يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنْزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآتِكُمْ وَرِيشًا ۖ وَلِبَاسُ التَّقْوَىٰ ذَٰلِكَ خَيْرٌ ﴾ [الاعراف: ٢٦]

অর্থাৎ “হে বনী আদম! (হে মানবজাতি) তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও বেশভূষার জন্য আমি তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ অবতীর্ণ করেছি। আর সংযমশীলতার পরিচ্ছদই সর্বোৎকৃষ্ট।” সূরা আ’রাফ ২৬ আয়াত)

আল্লাহ তা’আলা আরো বলেছেন,

﴿ وَجَعَلَ لَكُمۡ سَرَٰبِيلَ تَقِيكُمُ ٱلۡحَرَّ وَسَرَٰبِيلَ تَقِيكُم بَأۡسَكُمۡۚ ﴾ [النحل: ٨١]

অর্থাৎ তোমাদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন পরিধেয় বস্ত্রের; যা তোমাদেরকে তাপ হতে রক্ষা করে এবং তিনি ব্যবস্থা করেছেন তোমাদের জন্য বর্মের, ওটা তোমাদের যুদ্ধে রক্ষা করে। (সূরা নাহল ৮১ আয়াত)


১/৭৮৩। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমরা তোমাদের সাদা রঙের কাপড় পরিধান কর। কেননা, তা তোমাদের সর্বোত্তম কাপড়। আর ওতেই তোমাদের মৃত ব্যক্তিদেরকে কাফন দাও।’’ আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান সহীহ)[1]

(117) - باب استحباب الثوب الأبيض وجواز الأحمر والأخضر والأصفر والأسود وجوازه من قطن وكتان وشعر وصوف وغيرها إلا الحرير

وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: اِلْبَسُوا مِنْ ثِيَابِكُمْ البَيَاضَ ؛ فَإنَّهَا مِنْ خَيْرِ ثِيَابِكُمْ، وَكَفِّنُوا فِيهَا مَوْتَاكُمْ . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

وعن ابن عباس رضي الله عنهما: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: البسوا من ثيابكم البياض ؛ فانها من خير ثيابكم، وكفنوا فيها موتاكم . رواه ابو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

(117) Chapter: The Excellence of Wearing White Clothes and the Permissibility of Wearing Red, Green, Yellow and Black Clothes Made from Cotton and Linen but not Silk


Allah, the Exalted, says:
"O Children of ¢dam! We have bestowed raiment upon you to cover yourselves (screen your private parts) and as an adornment, and the raiment of righteousness, that is better.'' (7:26)
"And (Allah) has made for you garments to protect you from the heat (and cold), and coats of mail to protect you from your (mutual) violence.'' (16:81)

Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) reported:
I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying, "Put on white clothes because they are the best; and use them for shrouding your dead."

[At- Tirmidhi and Abu Dawud].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৮৪

পরিচ্ছেদঃ ১১৭: সাদা কাপড় পরা উত্তম। লাল, সবুজ, হলুদ এবং কালো রঙের কাপড় পরাও বৈধ। আর রেশম ব্যতিত সুতি, উল, পশমি ইত্যাদি সবরকমের কাপড় পরা জায়েজ।

২/৭৮৪। সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমরা সাদা রঙের কাপড় পরিধান কর। কেননা, তা সবচেয়ে পবিত্র ও উৎকৃষ্ট। আর ওতেই তোমাদের মৃতদেরকে কাফন দাও।’’ (নাসাঈ, হাকেম, তিনি বলেন হাদীসটি সহীহ)[1]

(117) - باب استحباب الثوب الأبيض وجواز الأحمر والأخضر والأصفر والأسود وجوازه من قطن وكتان وشعر وصوف وغيرها إلا الحرير

وَعَن سَمُرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: اِلْبَسُوا البَيَاضَ ؛ فَإنَّهَا أَطْهَرُ وَأطْيَبُ، وَكَفِّنُوا فِيهَا مَوْتَاكُمْ ». رواه النسائي والحاكم، وقال: حديث صحيح »

وعن سمرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: البسوا البياض ؛ فانها اطهر واطيب، وكفنوا فيها موتاكم ». رواه النساىي والحاكم، وقال: حديث صحيح »

(117) Chapter: The Excellence of Wearing White Clothes and the Permissibility of Wearing Red, Green, Yellow and Black Clothes Made from Cotton and Linen but not Silk


Samurah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, 'Wear white clothes because they are the purest and they are closest to modesty; and shroud the dead in it."

[An- Nasa'i and Al-Hakim].

Commentary: Both these Ahadith tell us that white clothes are fine and likeable and are especially recommended on Fridays and on all other occasions except on `Eid days where new clothes, if any, are recommended. The purity and beauty of this colour befits the dignity and honour of man.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৮৫

পরিচ্ছেদঃ ১১৭: সাদা কাপড় পরা উত্তম। লাল, সবুজ, হলুদ এবং কালো রঙের কাপড় পরাও বৈধ। আর রেশম ব্যতিত সুতি, উল, পশমি ইত্যাদি সবরকমের কাপড় পরা জায়েজ।

৩/৭৮৫। বারা’ ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যম আকৃতির লম্বা ছিলেন। আমি তাঁকে লাল পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখেছি। আমি তাঁর চাইতে অধিক সুন্দর আর কাউকে দেখিনি।’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(117) - باب استحباب الثوب الأبيض وجواز الأحمر والأخضر والأصفر والأسود وجوازه من قطن وكتان وشعر وصوف وغيرها إلا الحرير

وَعَنِ البَرَاءِ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَرْبُوعاً، وَلَقَدْ رَأيْتُهُ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مَا رَأيْتُ شَيْئاً قَطُّ أحْسَنَ مِنْهُ . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن البراء رضي الله عنه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مربوعا، ولقد رايته في حلة حمراء ما رايت شيىا قط احسن منه . متفق عليه

(117) Chapter: The Excellence of Wearing White Clothes and the Permissibility of Wearing Red, Green, Yellow and Black Clothes Made from Cotton and Linen but not Silk


Bara' (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) was of medium stature. I saw him wearing a red mantle. I have never seen anything more graceful than that.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: On the basis of this Hadith, some argue that red dress is also allowed to men. Imam An-Nawawi seems to hold the same view. However, many `Ulama' believe that the dress of Messenger of Allah (PBUH) was not all red but had red stripes. They, therefore, maintain that the red clothes which women wear are not permissible to men. Some `Ulama' think that a ruling on this issue will be on condition of space and time. If at some place disbelievers or women are fond of this colour, it will be banned for Muslim men because of its relevance to disbelief and womanishness. Yet, it will be allowed to Muslim men in a contrary situation. Opinions also exist that the indoor wear of red clothes is permissible to men but forbidden in public. To sum up, the red- coloured dress is not itself a taboo with regard to men. A ruling on it will be conditional in accordance with the situation. For example, in the Eastern society the red-coloured dress is usually worn by women and is peculiar to brides on the occasion of wedding. Men are, therefore, banned to wear it. Allah Alone has the true knowledge.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৮৬

পরিচ্ছেদঃ ১১৭: সাদা কাপড় পরা উত্তম। লাল, সবুজ, হলুদ এবং কালো রঙের কাপড় পরাও বৈধ। আর রেশম ব্যতিত সুতি, উল, পশমি ইত্যাদি সবরকমের কাপড় পরা জায়েজ।

৪/৭৮৬। আবূ জুহাইফাহ অহাব ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মক্কায় দেখলাম, যখন তিনি আবত্বাহ নামক স্থানে চর্মনির্মিত লাল রঙের শিবিরে অবস্থান করছিলেন। বিলাল তাঁর ওযূর পানি নিয়ে বাইরে বের হলেন। কিছু লোক (বরকত হাসিল করার জন্য) উক্ত পানির ছিটা পেল আর কিছু সংখ্যক লোক পানি পেল। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাল রঙের জোড়া বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় বাইরে এলেন। যেন আমি তাঁর দুই পায়ের গোছার শুভ্রতা প্রত্যক্ষ করছি। অতঃপর তিনি ওযূ করলেন এবং বিলাল আযান দিলেন।

আমি তাঁর এদিক ওদিক মুখ ফিরানো লক্ষ্য করছিলাম। তিনি ডানে ও বামে মুখ ফিরিয়ে ’হাইয়্যা আলাস স্বালাহ’, ’হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলছিলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য একটি বর্শা (সুতরাহ স্বরূপ) পুঁতে দেওয়া হল। তারপর তিনি সামনে এগিয়ে গেলেন এবং নামায পড়ালেন। তাঁর (সুতরার) সামনে দিয়ে কুকুর ও গাধা অতিক্রম করছিল। সেগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছিল না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(117) - باب استحباب الثوب الأبيض وجواز الأحمر والأخضر والأصفر والأسود وجوازه من قطن وكتان وشعر وصوف وغيرها إلا الحرير

وَعَن أَبي جُحَيفَةَ وَهْبِ بنِ عَبدِ اللهِ رضي الله عنه، قَالَ: رَأيتُ النبيَّ صلى الله عليه وسلم بِمكّةَ وَهُوَ بِالأَبْطَحِ في قُبَّةٍ لَهُ حَمْرَاءَ مِنْ أَدَمٍ، فَخَرَجَ بِلاَلٌ بِوَضُوئِهِ، فَمِنْ نَاضِحٍ وَنَائِلٍ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ، كَأنِّي أنْظُرُ إِلَى بَيَاضِ سَاقَيْهِ، فَتَوَضّأ وَأذَّنَ بِلاَلٌ، فَجَعَلْتُ أتَتَبَّعُ فَاهُ هَاهُنَا وَهَاهُنَا، يَقُولُ يَمِيناً وَشِمَالاً: حَيَّ عَلَى الصَّلاَةِ، حَيَّ عَلَى الفَلاَحِ، ثُمَّ رُكِزَتْ لَهُ عَنَزَةٌ، فَتَقَدَّمَ فَصَلَّى يَمُرُّ بَيْنَ يَدَيْهِ الْكَلْبُ وَالْحِمَارُ لاَ يُمْنَعُ . متفقٌ عَلَيْهِ .

وعن ابي جحيفة وهب بن عبد الله رضي الله عنه، قال: رايت النبي صلى الله عليه وسلم بمكة وهو بالابطح في قبة له حمراء من ادم، فخرج بلال بوضوىه، فمن ناضح وناىل، فخرج النبي صلى الله عليه وسلم وعليه حلة حمراء، كاني انظر الى بياض ساقيه، فتوضا واذن بلال، فجعلت اتتبع فاه هاهنا وهاهنا، يقول يمينا وشمالا: حي على الصلاة، حي على الفلاح، ثم ركزت له عنزة، فتقدم فصلى يمر بين يديه الكلب والحمار لا يمنع . متفق عليه .

(117) Chapter: The Excellence of Wearing White Clothes and the Permissibility of Wearing Red, Green, Yellow and Black Clothes Made from Cotton and Linen but not Silk


Abu Juhaifah Wahb bin 'Abdullah (May Allah be pleased with him) reported:
I saw the Prophet (ﷺ) by Al-Abtah valley in Makkah, in a red tent made from tanned skin. Bilal brought him ablution water. Then Messenger of Allah (ﷺ) came out wearing a red mantle; and I can still remember looking at whiteness of his shanks. So he made his ablution, and Bilal (ﷺ) pronounced the call for prayer (Adhan). I kept following the movement of his (Bilal's) face to the right and to the left when he recited: 'Come to the prayer; come to the success.' Then a spear was fixed (as a Sutrah) in front of Messenger of Allah (ﷺ) who then stepped forward and led the prayer. Dogs and donkeys passed in front of him (beyond the spear) and no one prevented them from doing so.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: On the basis of this Hadith, some argue that red dress is also allowed to men. Imam An-Nawawi seems to hold the same view. However, many `Ulama' believe that the dress of Messenger of Allah (PBUH) was not all red but had red stripes. They, therefore, maintain that the red clothes which women wear are not permissible to men. Some `Ulama' think that a ruling on this issue will be on condition of space and time. If at some place
disbelievers or women are fond of this colour, it will be banned for Muslim men because of its relevance to disbelief and womanishness. Yet, it will be allowed to Muslim men in a contrary situation. Opinions also exist that the indoor wear of red clothes is permissible to men but forbidden in public. To sum up, the red-coloured dress is not itself a taboo with regard to men. A ruling on it will be conditional in accordance with the situation. For example, in the Eastern society the red-coloured dress is usually worn by women and is peculiar to brides on the occasion of wedding. Men are, therefore, banned to wear it. Allah Alone has the true knowledge.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ জুহাইফাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৮৭

পরিচ্ছেদঃ ১১৭: সাদা কাপড় পরা উত্তম। লাল, সবুজ, হলুদ এবং কালো রঙের কাপড় পরাও বৈধ। আর রেশম ব্যতিত সুতি, উল, পশমি ইত্যাদি সবরকমের কাপড় পরা জায়েজ।

৫/৭৮৭। আবূ রিমসা রিফাআহ তাইমী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরনে দুটো সবুজ রঙের কাপড় দেখেছি।’ (আবূ দাঊদ বিশুদ্ধ সূত্রে) [1]

(117) - باب استحباب الثوب الأبيض وجواز الأحمر والأخضر والأصفر والأسود وجوازه من قطن وكتان وشعر وصوف وغيرها إلا الحرير

وَعَن أَبي رِمْثَة رِفَاعَةَ التَّيْمِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: رَأَيتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَعَلَيهِ ثَوبَانِ أَخْضَرَانِ . رواه أَبُو داود والترمذي بإسناد صحيح

وعن ابي رمثة رفاعة التيمي رضي الله عنه، قال: رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وعليه ثوبان اخضران . رواه ابو داود والترمذي باسناد صحيح

(117) Chapter: The Excellence of Wearing White Clothes and the Permissibility of Wearing Red, Green, Yellow and Black Clothes Made from Cotton and Linen but not Silk


Abu Rimthah Rifa'ah At-Taimi (May Allah be pleased with him) reported:
I saw Messenger of Allah (ﷺ) wearing two green garments.

[Abu Dawud and At- Tirmidhi].

Commentary: Here we see a provision for wearing green-coloured clothes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১১৭: সাদা কাপড় পরা উত্তম। লাল, সবুজ, হলুদ এবং কালো রঙের কাপড় পরাও বৈধ। আর রেশম ব্যতিত সুতি, উল, পশমি ইত্যাদি সবরকমের কাপড় পরা জায়েজ।

৬/৭৮৮। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন (সেখানে) কালো রঙের পাগড়ী পরে প্রবেশ করেছিলেন। (মুসলিম)[1]

(117) - باب استحباب الثوب الأبيض وجواز الأحمر والأخضر والأصفر والأسود وجوازه من قطن وكتان وشعر وصوف وغيرها إلا الحرير

وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم دَخَلَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاء . رواه مسلم

وعن جابر رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم دخل يوم فتح مكة وعليه عمامة سوداء . رواه مسلم

(117) Chapter: The Excellence of Wearing White Clothes and the Permissibility of Wearing Red, Green, Yellow and Black Clothes Made from Cotton and Linen but not Silk


Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) entered Makkah on the day of its conquest and he was wearing a black turban.

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৮৯

পরিচ্ছেদঃ ১১৭: সাদা কাপড় পরা উত্তম। লাল, সবুজ, হলুদ এবং কালো রঙের কাপড় পরাও বৈধ। আর রেশম ব্যতিত সুতি, উল, পশমি ইত্যাদি সবরকমের কাপড় পরা জায়েজ।

৭/৭৮৯। আবূ সা’ঈদ ’আমর ইবনে হুরাইস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কালো রঙের পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় দেখছি, তিনি তাঁর পাগড়ীর দুই প্রান্ত দুই কাঁধের মাঝখানে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন।’ (মুসলিম)[1]

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কালো রঙের পাগড়ী মাথায় বেঁধে লোকদের মাঝে খুতবা দিচ্ছিলেন।’

(117) - باب استحباب الثوب الأبيض وجواز الأحمر والأخضر والأصفر والأسود وجوازه من قطن وكتان وشعر وصوف وغيرها إلا الحرير

وَعَن أَبي سَعِيدٍ عَمرِو بنِ حُرَيْثٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَأنِّي أنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ، قَدْ أرْخَى طَرَفَيْهَا بَيْنَ كَتِفَيْهِ . رواه مسلم
وفي روايةٍ لَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ النَّاسَ، وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ

وعن ابي سعيد عمرو بن حريث رضي الله عنه، قال: كاني انظر الى رسول الله صلى الله عليه وسلم وعليه عمامة سوداء، قد ارخى طرفيها بين كتفيه . رواه مسلم وفي رواية له: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خطب الناس، وعليه عمامة سوداء

(117) Chapter: The Excellence of Wearing White Clothes and the Permissibility of Wearing Red, Green, Yellow and Black Clothes Made from Cotton and Linen but not Silk


Abu Sa'id 'Amr bin Huraith (May Allah be pleased with him) reported:
As if I am seeing Messenger of Allah (ﷺ) wearing a black turban and both ends of it are falling over his shoulders.

[Muslim].

Another narration is: Messenger of Allah (ﷺ) was delivering a Khutbah wearing a black turban.

Commentary: We conclude from this Hadith that one can also put on black-coloured dress, turban and covering. Muslim scholars have said that it is a desirable act Mustahab to wear a black turban after defeating the enemy.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৯০

পরিচ্ছেদঃ ১১৭: সাদা কাপড় পরা উত্তম। লাল, সবুজ, হলুদ এবং কালো রঙের কাপড় পরাও বৈধ। আর রেশম ব্যতিত সুতি, উল, পশমি ইত্যাদি সবরকমের কাপড় পরা জায়েজ।

৮/৭৯০। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি সাদা সুতি বস্ত্রে কাফন দেওয়া হয়েছে যেগুলি ইয়ামানের ’সাহুল’ নামক স্থানে প্রস্তুত করা হয়েছিল। ওগুলির মধ্যে কামীস (জামা) ছিল না। আর পাগড়ীও ছিল না।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

(117) - باب استحباب الثوب الأبيض وجواز الأحمر والأخضر والأصفر والأسود وجوازه من قطن وكتان وشعر وصوف وغيرها إلا الحرير

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كُفِّنَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فِي ثَلاَثَةِ أثْوَابٍ بِيضٍ سَحُولِيَّةٍ مِنْ كُرْسُفٍ، لَيْسَ فِيهَا قَمِيصٌ وَلاَ عِمَامَةٌ .متفقٌ عَلَيْهِ

وعن عاىشة رضي الله عنها، قالت: كفن رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم في ثلاثة اثواب بيض سحولية من كرسف، ليس فيها قميص ولا عمامة .متفق عليه

(117) Chapter: The Excellence of Wearing White Clothes and the Permissibility of Wearing Red, Green, Yellow and Black Clothes Made from Cotton and Linen but not Silk


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The body of Messenger of Allah (ﷺ) was shrouded in three white Yemeni cotton garments, among which was neither a gown nor a turban.

[Al- Bukhari and Muslim].

Commentary: The shroud of a dead body consists of three simple pieces of cloth to the exclusion of a turban, shirt and Izar. It is better for the shroud to be white.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৯১

পরিচ্ছেদঃ ১১৭: সাদা কাপড় পরা উত্তম। লাল, সবুজ, হলুদ এবং কালো রঙের কাপড় পরাও বৈধ। আর রেশম ব্যতিত সুতি, উল, পশমি ইত্যাদি সবরকমের কাপড় পরা জায়েজ।

৯/৭৯১। উক্ত রাবী (আয়েশা রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সকালে বের হলেন, তখন তাঁর দেহে পালানের ছবি ছাপা কাল লোমের চাদর ছিল।’ (মুসলিম)[1]

’মুরাহহাল’ বলা হয় সেই কাপড়কে, যাতে ’রাহল’ (উটের পিঠে স্থিত জিন্ বা পালান) এর ছবি ছাপা থাকে। আরবীতে পালানকে ’আকওয়ার’ও বলে।

(117) - باب استحباب الثوب الأبيض وجواز الأحمر والأخضر والأصفر والأسود وجوازه من قطن وكتان وشعر وصوف وغيرها إلا الحرير

وَعَنهَا، قَالَتْ: خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ، وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مُرَحَّلٌ مِنْ شَعرٍ أسْوَدَ. رواه مسلم

وعنها، قالت: خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ذات غداة، وعليه مرط مرحل من شعر اسود. رواه مسلم

(117) Chapter: The Excellence of Wearing White Clothes and the Permissibility of Wearing Red, Green, Yellow and Black Clothes Made from Cotton and Linen but not Silk


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
One morning Messenger of Allah (ﷺ) went out wearing a black blanket made of camel's or sheep's black hair with patterns of camels' bags upon it.

[Muslim].

Commentary: This Hadith tells us that one can wear a black woollen cloth with the woven image of an inanimate object.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৯২

পরিচ্ছেদঃ ১১৭: সাদা কাপড় পরা উত্তম। লাল, সবুজ, হলুদ এবং কালো রঙের কাপড় পরাও বৈধ। আর রেশম ব্যতিত সুতি, উল, পশমি ইত্যাদি সবরকমের কাপড় পরা জায়েজ।

১০/৭৯২। মুগীরাহ ইবনে শু’বা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে আমি রাতের বেলায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, ’’তোমার কাছে পানি আছে কি?’’ আমি বললাম, ’জী হ্যাঁ।’ সুতরাং তিনি স্বীয় বাহন থেকে নামলেন এবং চলতে লাগলেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। তারপর যখন ফিরে এলেন, তখন আমি পাত্র থেকে (পানি) ঢেলে দিলাম।

তিনি তাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন। তাঁর পরনে ছিল পশমী জুব্বা। তিনি তা হতে তাঁর হাত দু’টিকে বের করতে সক্ষম হলেন না। পরিশেষে তিনি জুব্বার নিচের দিক দিয়ে হাত বের করলেন। অতঃপর তিনি তাঁর হাত দু’টি ধুলেন ও মাথা মাসাহ করলেন। তারপর আমি তাঁর মোজা খুলে নেওয়ার জন্য হাত বাড়ালাম। তিনি বললেন, ছেড়ে দাও। কেননা, আমি ওগুলো পবিত্র (ওযূ) অবস্থায় পায়ে দিয়েছি। অতঃপর তিনি তার উপর মাসাহ করলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

অপর বর্ণনায় আছে, তাঁর দেহে ছিল শামী জুববা; যার হাতা দু’টি টাইট ছিল।

অন্য বর্ণনায় আছে, এ ঘটনাটি ছিল তাবূক যুদ্ধের সফরে।

(117) - باب استحباب الثوب الأبيض وجواز الأحمر والأخضر والأصفر والأسود وجوازه من قطن وكتان وشعر وصوف وغيرها إلا الحرير

وَعَنِ المُغِيرَةِ بنِ شُعْبَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي مَسِيرٍ، فَقَالَ لِي: «أمَعَكَ مَاءٌ ؟» قُلتُ: نَعَمْ، فَنَزَلَ عَنْ رَاحِلَتِهِ فَمَشَى حَتَّى تَوَارَى فِي سَوَادِ اللَّيْلِ، ثُمَّ جَاءَ فَأفْرَغْتُ عَلَيْهِ مِنَ الإدَاوَةِ، فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ مِنْ صُوفٍ، فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُخْرِجَ ذِرَاعَيْهِ مِنْهَا حَتَّى أخْرَجَهُمَا مِنْ أسْفَلِ الْجُبَّةِ، فَغَسَلَ ذِرَاعَيْهِ وَمَسَحَ بِرَأسِهِ، ثُمَّ أهْوَيْتُ لأَنْزِعَ خُفَّيْهِ، فَقَالَ: « دَعْهُمَا فَإنِّي أَدْخَلْتُهُمَا طَاهِرَتَيْنِ » وَمَسحَ عَلَيْهِمَا . متفقٌ عَلَيْهِ .
وفي رواية: وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ شَامِيَّةٌ ضَيِّقَةُ الكُمَّيْنِ .
وفي رواية: أنَّ هذِهِ القَضِيَّةَ كَانَتْ في غَزْوَةِ تَبُوكَ .

وعن المغيرة بن شعبة رضي الله عنه، قال: كنت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات ليلة في مسير، فقال لي: «امعك ماء ؟» قلت: نعم، فنزل عن راحلته فمشى حتى توارى في سواد الليل، ثم جاء فافرغت عليه من الاداوة، فغسل وجهه وعليه جبة من صوف، فلم يستطع ان يخرج ذراعيه منها حتى اخرجهما من اسفل الجبة، فغسل ذراعيه ومسح براسه، ثم اهويت لانزع خفيه، فقال: « دعهما فاني ادخلتهما طاهرتين » ومسح عليهما . متفق عليه . وفي رواية: وعليه جبة شامية ضيقة الكمين . وفي رواية: ان هذه القضية كانت في غزوة تبوك .

(117) Chapter: The Excellence of Wearing White Clothes and the Permissibility of Wearing Red, Green, Yellow and Black Clothes Made from Cotton and Linen but not Silk


Al-Mughirah bin Shu'bah (May Allah be pleased with him) reported:
I was with Messenger of Allah (ﷺ) in a journey one night, and he asked me, "Do you have any water with you?" I said, "Yes." So he dismounted from his riding camel and walked away (to answer the call of nature) until he disappeared in the darkness. When he returned, I poured out some water from a vessel and he washed his face. He was wearing a long woollen cloak and could not take out his forearms from his sleeves, so he brought them out from below the cloak and then washed them, and then passed his (wet) hands over his head. I stretched out my hand to take off his Khuff (leather socks), but he said, "Leave them. I put them on after performing Wudu'," and he passed his (wet) hands over them.

[Al-Bukhari and Muslim].

Another narration is: Messenger of Allah (ﷺ) was wearing a Syrian cloak with tight sleeves.

Another narration is: This incident took place during the battle of Tabuk.

Commentary: Here, too, we have justification for wearing woollen dress. In order to answer the call of nature, one is supposed to get out of people's sight. Instead of washing the feet while performing Wudu', one may simply pass wet hands over the socks or stockings if these have been worn after the performance of ablution. A non-travelling person is allowed this facility for twenty-four hours while in the case of a traveller, this period is extended to three days. However, in case of sexual impurity one must take full bath.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৯৩

পরিচ্ছেদঃ ১১৮: জামা পরিধান করা উত্তম

১/৭৯৩। উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয় পোশাক ছিল কামীস (জামা)।’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাসান) [1]

(118) بَابُ اِسْتِحْبَابِ الْقَمِيْصِ

عَن أُمِّ سَلَمَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ أحَبُّ الثِّيَابِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْقَمِيصَ . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن

عن ام سلمة رضي الله عنها، قالت: كان احب الثياب الى رسول الله صلى الله عليه وسلم القميص . رواه ابو داود والترمذي، وقال: حديث حسن

(118) Chapter: The Excellence of the Qamees


Umm Salamah (May Allah be pleased with her) reported: Out of all garments Messenger of Allah (ﷺ) liked Qamees the best.


[At-Tirmidhi and Abu Dawud].

Commentary: Qamees is a piece of clothing with two sleeves, generally made of sewn cotton and worn under the rest of the clothes. In the lifetime of the Prophet (PBUH) the Arabs would commonly use two simple sheets of cloth as dress, one covering the lower part of body and one wrapping its upper part. Qamees was also in vogue but very few people used it. No doubt it covers the body adequately and is also comparatively convenient. So, the Prophet (PBUH) liked it most.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৯৪

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

১/৭৯৪। আসমা বিনতে য়্যাযীদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু‘ ’আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামার হাতা কব্জি পর্যন্ত লম্বা ছিল।’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান)[1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

عَن أَسمَاءَ بِنتِ يَزِيدَ الأَنصَارِيَّةِ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ كُمُّ قَمِيصِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الرُّسْغِ . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن

عن اسماء بنت يزيد الانصارية رضي الله عنها، قالت: كان كم قميص رسول الله صلى الله عليه وسلم الى الرسغ . رواه ابو داود والترمذي، وقال: حديث حسن

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Asma' bint Yazid (May Allah be pleased with her) reported:
The Qamees sleeves of Messenger of Allah (ﷺ) reached down to his wrists.


[Abu Dawud and At-Tirmidhi].

Commentary: This Hadith simply tells us that Messenger of Allah (PBUH) used to wear a Qamees with long sleeves (up to the wrist); but in the case of all the other clothes, apart from the Qamees, the sleeves should not go beyond the finger tips.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

২/৭৯৫। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে নিজের পোশাক মাটিতে ছেঁচড়ে চলবে, আল্লাহ তার প্রতি কিয়ামতের দিন (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না।’’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! খেয়াল না করলে আমার লুঙ্গি ঢিলে হয়ে নেমে যায়।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি তাদের শ্রেণীভুক্ত নও, যারা তা অহংকারবশতঃ করে থাকে।’’ (বুখারী, মুসলিম এর আংশিক বর্ণনা করেছেন।) [1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاءَ لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ . فَقَالَ أَبُو بَكرٍ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إِنَّ إِزَارِي يَسْتَرْخِي إِلاَّ أنْ أَتَعَاهَدَهُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: إنَّكَ لَسْتَ مِمَّنْ يَفْعَلُهُ خُيَلاءَ . رواه البخاري وروى مسلم بعضه .

وعن ابن عمر رضي الله عنهما: ان النبي صلى الله عليه وسلم، قال: من جر ثوبه خيلاء لم ينظر الله اليه يوم القيامة . فقال ابو بكر: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، ان ازاري يسترخي الا ان اتعاهده، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: انك لست ممن يفعله خيلاء . رواه البخاري وروى مسلم بعضه .

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever allows his lower garment to drag out of vanity will find that Allah will not look at him on the Day of Resurrection." On this Abu Bakr (May Allah be pleased with him) submitted: "O Messenger of Allah! My lower garment keeps sliding down though I take care to pull it and wrap it." Messenger of Allah (ﷺ) said, "You are not of those who do it out of vanity."

[Al- Bukhari].

Commentary: Messenger of Allah (PBUH) has given a severe warning to those who intentionally wear a dress which is dragging along the ground because this is a sign of arrogance. Yet, if a person's garment unintentionally slips downward he will not be put to accountability.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৩/৭৯৬। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে অহংকারের সাথে নিজের লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার প্রতি (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: لاَ يَنْظُرُ اللهُ يَوْمَ القِيَامَةِ إِلَى مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ بَطَراً . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: لا ينظر الله يوم القيامة الى من جر ازاره بطرا . متفق عليه

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection, Allah will not look at him who trails his lower garment out of pride."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: A disregard of Allah's Favours and gifts means ungratefulness which is essentially manifested in a haughty attitude. It is also a sign of arrogance that one wears a dress with the hem trailing on the ground.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৪/৭৯৭। উক্ত রাবী (আবূ হুরায়রাহ রা.) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’লুঙ্গির যে পরিমাণটুকু পায়ের গাঁটের নীচে যাবে, সে পরিমাণ জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারী) [1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنهُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَا أسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ . رواه البخاري

وعنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ما اسفل من الكعبين من الازار ففي النار . رواه البخاري

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "What is below the ankles of a lower garment is condemned to the Fire (Hell)."

[Al-Bukhari].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৫/৭৯৮। আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তিন ব্যক্তির সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না, তাদের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য থাকবে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।’’ বর্ণনাকারী বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত বাক্যগুলি তিনবার বললেন।’ আবূ যার্র বললেন, ’তারা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হোক! তারা কারা? হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ’’(লুঙ্গি-কাপড়) পায়ের গাঁটের নীচে যে ঝুলিয়ে পরে, দান করে যে লোকের কাছে দানের কথা বলে বেড়ায় এবং মিথ্যা কসম খেয়ে যে পণ্য বিক্রি করে।’’ (মুসলিম)[1]

তাঁর অন্য বর্ণনায় আছে, ’’যে লুঙ্গি ঝুলিয়ে পরে।’’

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَن أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ القِيَامَةِ، وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ، وَلاَ يُزَكِّيهِمْ، وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ . قَالَ: فَقَرَأَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ مِرَارٍ، قَالَ أَبُو ذرٍّ: خَابُوا وَخَسِرُوا ! مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ: المُسْبِلُ، وَالمنَّانُ، وَالمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالحَلِفِ الكاذِبِ . رواه مسلم . وفي رواية لَهُ: المُسْبِلُ إزَارَهُ

وعن ابي ذر رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ثلاثة لا يكلمهم الله يوم القيامة، ولا ينظر اليهم، ولا يزكيهم، ولهم عذاب اليم . قال: فقراها رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ثلاث مرار، قال ابو ذر: خابوا وخسروا ! من هم يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ؟ قال: المسبل، والمنان، والمنفق سلعته بالحلف الكاذب . رواه مسلم . وفي رواية له: المسبل ازاره

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Dharr (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "There are three to whom Allah will neither speak on the Day of Resurrection nor will look at them nor purify them (i.e., of their sins), and they will be severely tormented." When he repeated this (statement) thrice, Abu Dharr (May Allah be pleased with him) said: "They are doomed and destroyed! (But) who are they, O Messenger of Allah (ﷺ)?" He said, "One whose lower garment trails, one who boasts of kindness shown to another; and one who promotes sale of his business by taking false oaths."

[Muslim].

Commentary: This Hadith sheds light on three major sins which, unfortunately, prevail in Muslim societies. May Allah amend the lapses of Muslims' behaviour!


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৭৯৯

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৬/৭৯৯। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’লুঙ্গি, জামা ও পাগড়ীতে ঝুলানোর কাজ হয়ে থাকে। (অর্থাৎ এগুলি ঝুলিয়ে পরলে গুনাহ হয়।) যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ কিছু মাটিতে ছেঁচড়ে চলবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকিয়ে দেখবেন না।’’ (আবূ দাঊদ, নাসায়ী বিশুদ্ধ সূত্রে) [1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: الإِسْبَالُ فِي الإِزَارِ، وَالقَمِيصِ، وَالعِمَامَةِ، مَنْ جَرَّ شَيْئاً خُيَلاءَ لَمْ ينْظُرِ الله إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ . رواه أَبُو داود والنسائي بإسناد صحيح

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: الاسبال في الازار، والقميص، والعمامة، من جر شيىا خيلاء لم ينظر الله اليه يوم القيامة . رواه ابو داود والنساىي باسناد صحيح

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection, Allah will not look at one who trails his lower garment, Qamees or turban arrogantly."

[Abu Dawud and An- Nasa'i].

Commentary: This Hadith tells us if trousers and pajamas, out of pride etc., hang loose below the ankles, the wearer will be committing a grave blunder. The excessive hang of shirt or turban out of pride is also a sign of arrogance and involves the wearer in a major sin. Wearing long garments without the intention of pride is disliked.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৮০০

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৭/৮০০। আবূ জুরাই জাবের ইবনে সুলাইম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম, যাঁর মতানুযায়ী লোকে কাজ করছে, তাঁর কথা তারা মেনে নিচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ’এ লোকটি কে?’ লোকেরা বলল, ’ইনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম।’ আমি তাঁকে ’আলাইকাস সালাম ইয়া রাসূলাল্লাহ’ দু’বার বললাম। তিনি বললেন, ’’আলাইকাস সালাম’ বলো না। ’আলাইকাস সালাম’ তো মৃতদের জন্য অভিবাদন বাণী। তুমি বলো ’আসসালামু আলাইকা।’’

জাবের বলেন, আমি বললাম, ’আপনি আল্লাহর রাসূল?’ তিনি বললেন, ’’আমি সেই আল্লাহর রাসূল, যে আল্লাহকে কোনো বিপদের সময় যদি ডাকো, তাহলে তিনি তোমার বিপদ দূর করে দেবেন। যদি দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়ে তাঁর কাছে প্রার্থনা কর, তাহলে তিনি তোমার জন্য যমীন থেকে ফসল উৎপাদন করবেন। কোন গাছপালা বিহীন জনশূন্য মরুভূমিতে তোমার বাহন হারিয়ে গেলে তুমি যদি তাঁর নিকট দো’আ কর, তাহলে তিনি তোমার বাহন তোমার কাছে ফিরিয়ে দেবেন।’’

জাবের বলেন, আমি বললাম, ’আপনি আমাকে বিশেষ উপদেশ দান করুন।’ তিনি বললেন, ’’তুমি কাউকে কখনো গালি-গালাজ করো না।’’ সুতরাং তারপর থেকে আমি না কোন স্বাধীন-পরাধীন ব্যক্তিকে, না কোন উট আর না কোন ছাগলকে গালি দিয়েছি।

(দ্বিতীয় উপদেশ হচ্ছে এই যে,) ’’কোন পুণ্যকর্মকে তুচ্ছ জ্ঞান করো না। নিঃসন্দেহে সহাস্য বদনে কোন মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে তোমার বাক্যালাপ করা নেকীর কাজ। নিজ লুঙ্গি পায়ের অর্ধ রলা পর্যন্ত উঁচু রেখো। তা যদি মানতে না চাও, তাহলে গাঁট পর্যন্ত ঝুলাতে পার। লুঙ্গি ঝুলিয়ে পরা থেকে দূরে থেকো। কেননা, এতে অহংকার জন্মায়। আর নিশ্চয় আল্লাহ অহংকারকে পছন্দ করেন না। যদি কেউ তোমাকে গালি দেয় অথবা এমন দোষ ধরে তোমাকে লজ্জা দেয়, যা তোমার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলে জানে, তাহলে তুমি তার এমন দোষ ধরে তাকে লজ্জা দিয়ো না, যা তার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলে জানো। যেহেতু তার কুফল তার উপরই বর্তাবে (তোমার উপর নয়)।’’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান সহীহ)[1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَن أَبي جُرَيٍّ جَابِرِ بنِ سُلَيْمٍ رضي الله عنه، قَالَ: رَأَيْتُ رَجُلاً يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيهِ، لا يَقُولُ شَيْئاً إِلاَّ صَدَرُوا عَنْهُ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا ؟ قَالُوا: رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . قُلْتُ: عَلَيْكَ السَّلامُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم – مَرَّتَينِ - قَالَ: لاَ تَقُلْ: عَلَيْكَ السَّلامُ، عَلَيْكَ السَّلامُ تَحِيَّةُ المَوْتَى، قُلْ: السَّلامُ عَلَيْكَ . قَالَ: قُلْتُ: أنْتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ: أنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي إِذَا أَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهُ كَشَفَهُ عَنْكَ، وَإِذَا أَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهُ أَنْبَتَهَا لَكَ، وَإِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرٍ أَوْ فَلاَةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ، فَدَعَوْتَهُ رَدَّهَا عَلَيْكَ . قَالَ: قُلْتُ: اِعْهَدْ إِلَيَّ. قَالَ: لاَ تَسُبَّنَ أحَداً . قَالَ: فَمَا سَبَبْتُ بَعْدَهُ حُرّاً، وَلاَ عَبْداً، وَلاَ بَعِيراً، وَلاَ شَاةً، « وَلاَ تَحْقِرَنَّ مِنَ المَعْرُوفِ شَيْئاً، وَأَنْ تُكَلِّمَ أخَاكَ وَأنْتَ مُنْبَسِطٌ إِلَيْهِ وَجْهُكَ، إنَّ ذَلِكَ مِنَ المَعْرُوفِ، وَارْفَعْ إزَارَكَ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ، فَإنْ أبَيْتَ فَإلَى الكَعْبَينِ، وَإيَّاكَ وَإسْبَالَ الإِزَارِ فَإنَّهَا مِنَ المَخِيلَةِ. وَإنَّ اللهَ لاَ يُحِبُّ المَخِيلَةَ ؛ وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وَعَيَّرَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيكَ فَلاَ تُعَيِّرْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ، فَإنَّمَا وَبَالُ ذَلِكَ عَلَيْهِ . رواه أَبُو داود والترمذي بإسناد صحيح، وقال الترمذي: حديث حسن صحيح

وعن ابي جري جابر بن سليم رضي الله عنه، قال: رايت رجلا يصدر الناس عن رايه، لا يقول شيىا الا صدروا عنه، قلت: من هذا ؟ قالوا: رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . قلت: عليك السلام يا رسول الله صلى الله عليه وسلم – مرتين - قال: لا تقل: عليك السلام، عليك السلام تحية الموتى، قل: السلام عليك . قال: قلت: انت رسول الله صلى الله عليه وسلم ؟ قال: انا رسول الله صلى الله عليه وسلم الذي اذا اصابك ضر فدعوته كشفه عنك، واذا اصابك عام سنة فدعوته انبتها لك، واذا كنت بارض قفر او فلاة فضلت راحلتك، فدعوته ردها عليك . قال: قلت: اعهد الي. قال: لا تسبن احدا . قال: فما سببت بعده حرا، ولا عبدا، ولا بعيرا، ولا شاة، « ولا تحقرن من المعروف شيىا، وان تكلم اخاك وانت منبسط اليه وجهك، ان ذلك من المعروف، وارفع ازارك الى نصف الساق، فان ابيت فالى الكعبين، واياك واسبال الازار فانها من المخيلة. وان الله لا يحب المخيلة ؛ وان امرو شتمك وعيرك بما يعلم فيك فلا تعيره بما تعلم فيه، فانما وبال ذلك عليه . رواه ابو داود والترمذي باسناد صحيح، وقال الترمذي: حديث حسن صحيح

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Juraiy Jabir bin Sulaim (May Allah be pleased with him) reported:
I noticed a man whose opinion was followed by every body, and no one acted contrary to what he said. I asked who he was, and I was informed that he was Messenger of Allah (ﷺ). I said to him twice: "Alaikas- salam ya Rasul-Allah (may Allah render you safe)." He said, "Do not say: 'Alaikas-salamu.' This is the salutation to the dead (in Jahiliyyah times). Say, instead: 'As-salamu 'alaika (may Allah render you safe)."' I asked: "Are you Messenger of Allah?" He replied, "(Yes) I am the Messenger of Allah, Who will remove your affliction when you are in trouble and call to Him, Who will cause food to grow for you when you are famine-stricken and call to Him, and Who will restore to you your lost riding beast in the desert when you call upon Him." I said to him: "Give me instructions (to act upon)." He ((ﷺ) said, "Do not abuse anyone." (Since then I have never abused anyone, neither a freeman, nor a slave, nor a camel, nor a sheep). He (ﷺ) continued, "Do not hold in contempt even an insignificant act of goodness, because even talking to your brother with a cheerful countenance is an act of goodness. Hold up your lower garment half way to the leg, and at least above the ankles; for trailing it is arrogance, and Allah dislikes pride. And if a man imputes to you of bad things he knows you possess, do not impute to him bad things that you know he has for he will assume the evil consequences of his abuse."

[Abu Dawud and At-Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৮০১

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৮/৮০১। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি (টাখনুর নীচে) লুঙ্গি ঝুলিয়ে সালাত পড়ছিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, যাও, পুনরায় ওযূ কর। সে আবার ওযূ করে করে এলো। তিনি আবার বললেনঃ যাও, পুনরায় ওযূ কর। একজন বললো, হে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কেন আপনি তাকে ওযূ করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তারপর নীরবতা পালন করছেন? তিনি বললেনঃ এ লোক তার লুঙ্গি (টাখনুর নীচে) ঝুলিয়ে দিয়ে সালাত পড়ছিলো। অথচ আল্লাহ এমন ব্যক্তির সালাত কবূল করেন না, যে তার পায়জামা এরকম ঝুলিয়ে দিয়ে সালাত আদায় করে। [1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: بَيْنَمَا رَجُلٌ يُصَلِّى مُسْبِلٌ إِزَارَهُ، قَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: اِذْهَبْ فَتَوَضَّأْ » فَذَهَبَ فَتَوضَّأَ، ثُمَّ جَاءَ، فَقَالَ: اِذْهَبْ فَتَوَضَّأْ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللهِ . مَالَكَ أَمَرْتَهُ أَن يَّتَوَضَّأَ ثُمَّ سَكَتَّ عَنْهُ ؟ قَالَ: إِنَّهُ كَانَ يُصَلِّى وَهُوَ مُسْبِلٌ إِزَارَهُ، إِنَّ اللهَ لَا يَقْبَلُ صَلَاةَ رَجُلٍ مُسْبِلٍ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: بينما رجل يصلى مسبل ازاره، قال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: اذهب فتوضا » فذهب فتوضا، ثم جاء، فقال: اذهب فتوضا فقال له رجل: يا رسول الله . مالك امرته ان يتوضا ثم سكت عنه ؟ قال: انه كان يصلى وهو مسبل ازاره، ان الله لا يقبل صلاة رجل مسبل

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said to a man who was performing Salat while his lower garment was trailing, "Go and perform your Wudu' again." That man went and came back having performed it. The Messenger of Allah (ﷺ) said (again), "Go and perform your Wudu'." Someone present said to Messenger of Allah (ﷺ): "O Messenger of Allah! You ask him to perform his Wudu' and then you kept silent (without saying the reason for it)." He (ﷺ) said, "He performed Salat while his lower garment was below his ankels. Allah does not accept the Salat of a man who trails his lower garment."

[Abu Dawud].


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
৮০২

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৯/৮০২। কাইস ইবনু বিশর আত-তাগলিবী (রাহঃ)-এর সঙ্গী ছিলেন। তিনি (বিশর) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী দামিশকে ছিলেন। তাকে বলা হতো সাহল ইবনু হানযালিয়্যা। তিনি একাকিত্বকে বেশি পছন্দ করতেন, লোকদের সাথে খুব কমই উঠাবসা করতেন, অধিকাংশ সময় সালাতেই কাটিয়ে দিতেন, সালাত থেকে অবসর হয়ে তার পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত তাসবীহ্ ও তাকবীরে মগ্ন থাকতেন।

(একদিন) তিনি আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তখন আমরা আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর কাছে ছিলাম। আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু তাকে বললেন, আমাদেরকে এমন কোন কথা বলে দিন, যা আমাদের উপকার দিবে আর আপনারও কোন ক্ষতি হবে না। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ছোট্ট বাহিনী প্রেরণ করলেন। বাহিনী ফিরে আসার পর তাদের একজন ঐ মাজলিশে এসে বসে পড়লো যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও বসা ছিলেন।

তার পাশে বসা লোকটিকে আগন্তুক লোকটি বললো, তুমি যদি আমাদেরকে তখন দেখতে জিহাদের ময়দানে আমরা যখন শত্রুর মুখোমুখি হয়েছিলাম, বর্শা উঁচিয়ে অমুক (কাফির) আক্রমণ করলো এবং আঘাত হানলো। উত্তরে (আক্রান্ত মুসলিমটি) বললো, এই নে আমার পক্ষ থেকে, আর আমি হচ্ছি গিফার গোত্রের যুবক। তার এই বক্তব্য বিষয়ে আপনি কী বলেন? লোকটি বললো, আমার মতে (অহংকারের কারণে) তার সাওয়াব বিনষ্ট হয়ে গেছে। এই কথা আরেকজন শুনে বললো, এতে তো আমি কোন দোষ দেখি না।

তারা বিতর্কে লিপ্ত হলো, এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তা শুনে ফেলেন। তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! এতে কোন দোষ নেই, সে (আখেরাতে) পুরষ্কৃত হবে এবং (ইহকালে) প্রশংসিত হবে। কাইস ইবনু বিশর বলেন, আবুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কে আমি দেখলাম যে, এতে তিনি খুশি হয়েছেন এবং তাঁর দিকে নিজের মাথা উঠিয়ে বললেন, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একথা শুনেছেন কি? ইবনু হানযালিয়্যা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, হ্যাঁ শুনেছি। আবুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু এই কথাটি বারবার ইবনু হানযালিয়্যার সামনে বলতে লাগলেন। অবশেষে আমি বলেই ফেললাম, আপনি কি ইবনু হানযালিয়্যার হাঁটুর উপর চড়ে বসতে চান?[1]

বর্ণনাকারী বলেন, আবুদ দারদা আরেকদিন আমাদের কাছে গেলেন, তখন আবুদ দারদা বললেন, একটি বাক্য যা আমাদের উপকার দেবে, তোমার কোনো ক্ষতি করবে না। তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, ঘোড়ার জন্য ব্যয় করা সেই সদকা সমতুল্য যে সদকা করে হাত সংকুচিত করা হয় নি।

তারপর তিনি অপরদিন আমাদের পাশ দিয়ে গেলেন, তখন আবুদ দারদা বললেন, একটি বাক্য, যা আমাদের উপকৃত করবে, তোমার কোনো ক্ষতি করবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খুরাইম আল-আসাদী কতইনা ভালো লোক, যদি না তার মাথার চুল খুব লম্বা হতো, আর যদি না তার লুঙ্গি টাখনুর নিচে না যেত”। কথাটি খুরাইমের কাছে পৌঁছলে তিনি তাড়াতাড়ি ছুরি নিয়ে তার মাথার লম্বা চুল কানের মাঝ বরাবর কেটে ফেললেন, আর তাঁর লুঙ্গিকে নলার মাঝখান পর্যন্ত উঠিয়ে নিলেন।

তারপর আরেকদিন আমাদের পাশ দিয়ে গেলেন, তখন আবুদ দারদা রা. তাকে বললেন, একটি বাক্য যা আমাদেরকে উপকৃত করবে, তোমার কোনো ক্ষতি করবে না, তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা তোমাদের ভাইদের কাছে যাচ্ছ, সুতরাং তোমরা তোমাদের বাহনগুলোকে ঠিক করে নাও, তোমাদের পরিধেয় বস্ত্রগুলো এমনভাবে ঠিক করে নাও যাতে করে তোমাদেরকে মানুষের মাঝে মনে হবে তেমন যেমন তিলের দাগ। কেননা, আল্লাহ তা’আলা অশ্লীলতা করা ও বলা কোনোটাই পছন্দ করেন না।’ আবূ দাউদ হাদীসটিকে হাসান সনদে বর্ণনা করেন, তবে কাইস ইবন বিশর ব্যতীত; কারণ তার গ্রহণযোগ্যতা কিংবা দুর্বলতা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। যদিও ইমাম মুসলিম তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وعن قَيسِ بن بشرٍ التَّغْلبيِّ قال: أَخْبَرنى أبي وكان جليساً لأبي الدَّرداءِ قال: كان بِدِمشقَ رَجُلٌ من أَصحاب النبى صلى الله عليه وسلم يقال له سهلُ ابنُ الحنظَليَّةِ، وكان رجُلاً مُتَوحِّداً قَلَّمَا يُجالسُ النَّاسَ، إِنَّمَا هو صلاةٌ، فَإِذا فرغَ فَإِنَّمَا هو تسبيح وتكبيرٌ حتى يأْتيَ أهْلَهُ، فَمَرَّ بِنَا ونَحنُ عِند أبي الدَّردَاءِ، فقال له أَبو الدَّردَاءِ: كَلِمةً تَنْفَعُنَا ولا تضُرُّكَ، . قال: بَعثَ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم سريَّةً فَقَدِمَتْ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنهم فَجَلسَ في المَجْلِس الذي يَجلِسُ فِيهِ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم، فقال لرجُلٍ إِلى جَنْبهِ: لَوْ رَأَيتنَا حِينَ التقَيْنَا نَحنُ والعدُو، فَحمَل فلانٌ فَطَعَنَ، فقال: خُذْهَا مِنِّى . وأَنَا الغُلامُ الغِفَارِيُّ، كَيْفَ تَرى في قوْلِهِ ؟ قال: مَا أَرَاهُ إِلا قَدْ بَطَلَ أَجرُهُ . فسَمِعَ بِذلكَ آخَرُ فقال: مَا أَرَى بِذَلَكَ بأْساً، فَتَنَازعا حَتى سَمِعَ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم فقال: سُبْحان اللهِ ؟ لا بَأْس أَن يُؤْجَرَ ويُحْمَد فَرَأَيْتُ أَبا الدَّرْدَاءِ سُرَّ بِذلكَ، وجعلَ يَرْفَعُ رأْسَه إِلَيهِ وَيَقُولُ: أأَنْتَ سمِعْتَ ذَلكَ مِنْ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم،؟ فيقول: نعَمْ، فما زال يعِيدُ عَلَيْهِ حتى إِنّى لأَقولُ لَيَبرُكَنَّ على ركْبَتَيْهِ .
قال: فَمَرَّ بِنَا يَوماً آخَرَ، فقال له أَبُو الدَّرْدَاءِ: كَلِمَةً تَنفَعُنَا ولا تَضُرُّكَ، قال: قال لَنَا رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم: المُنْفِقُ عَلى الخَيْلِ كالبَاسِطِ يَدَهُ بالصَّدَقة لا يَقْبِضُهَا . ثم مرَّ بِنَا يوماً آخر، فقال له أَبو الدَّرْدَاءِ: كَلِمَةً تَنْفَعُنَا وَلا تَضرُّكَ، قال: قال رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم: نعْمَ الرَّجُلُ خُرَيْمٌ الأَسَديُّ، لولا طُولُ جُمته وَإِسْبَالُ إِزَارِه فبَلغَ ذلك خُرَيماً، فَعجَّلَ فَأَخَذَ شَفرَةً فَقَطَعَ بها جُمتَهُ إِلى أُذنيْه، ورفعَ إِزَارَهُ إِلى أَنْصَاف سَاقَيْه . ثَمَّ مَرَّ بنَا يَوْماً آخَرَ فَقَالَ لَهُ أَبُو الدَّرْدَاءِ: كَلِمةً تَنْفَعُنَا ولاَ تَضُرُّكَ قَالَ: سَمعْتُ رسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يقُولُ: إِنَّكُمْ قَادمُونَ عَلى إِخْوانِكُمْ . فَأَصْلِحُوا رِحَالَكمْ، وأَصْلحوا لبَاسَكُمْ حتى تَكُونُوا كَأَنَّكُمْ شَامَة في النَّاسِ، فَإِنَّ اللهَ لاَ يُحبُّ الفُحْشَ وَلاَ التَّفَحُش . رواهُ أَبو داود بإِسنادٍ حسنٍ، إِلاَّ قَيْسَ بن بشر، فاخْتَلَفُوا في توثيقِهِ وتَضْعفيه، وقد روى له مسلم .

وعن قيس بن بشر التغلبي قال: اخبرنى ابي وكان جليسا لابي الدرداء قال: كان بدمشق رجل من اصحاب النبى صلى الله عليه وسلم يقال له سهل ابن الحنظلية، وكان رجلا متوحدا قلما يجالس الناس، انما هو صلاة، فاذا فرغ فانما هو تسبيح وتكبير حتى ياتي اهله، فمر بنا ونحن عند ابي الدرداء، فقال له ابو الدرداء: كلمة تنفعنا ولا تضرك، . قال: بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم سرية فقدمت، فجاء رجل منهم فجلس في المجلس الذي يجلس فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال لرجل الى جنبه: لو رايتنا حين التقينا نحن والعدو، فحمل فلان فطعن، فقال: خذها منى . وانا الغلام الغفاري، كيف ترى في قوله ؟ قال: ما اراه الا قد بطل اجره . فسمع بذلك اخر فقال: ما ارى بذلك باسا، فتنازعا حتى سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: سبحان الله ؟ لا باس ان يوجر ويحمد فرايت ابا الدرداء سر بذلك، وجعل يرفع راسه اليه ويقول: اانت سمعت ذلك من رسول الله صلى الله عليه وسلم،؟ فيقول: نعم، فما زال يعيد عليه حتى انى لاقول ليبركن على ركبتيه . قال: فمر بنا يوما اخر، فقال له ابو الدرداء: كلمة تنفعنا ولا تضرك، قال: قال لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم: المنفق على الخيل كالباسط يده بالصدقة لا يقبضها . ثم مر بنا يوما اخر، فقال له ابو الدرداء: كلمة تنفعنا ولا تضرك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: نعم الرجل خريم الاسدي، لولا طول جمته واسبال ازاره فبلغ ذلك خريما، فعجل فاخذ شفرة فقطع بها جمته الى اذنيه، ورفع ازاره الى انصاف ساقيه . ثم مر بنا يوما اخر فقال له ابو الدرداء: كلمة تنفعنا ولا تضرك قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: انكم قادمون على اخوانكم . فاصلحوا رحالكم، واصلحوا لباسكم حتى تكونوا كانكم شامة في الناس، فان الله لا يحب الفحش ولا التفحش . رواه ابو داود باسناد حسن، الا قيس بن بشر، فاختلفوا في توثيقه وتضعفيه، وقد روى له مسلم .

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Qais bin Bishr At-Taghlibi reported that his father, who attended the company of 'Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) told him:
There was a man in Damascus who was a Companion of the Messenger of Allah (ﷺ). He was called Ibn Al-Hanzaliyyah. He was a lonesome person and would rarely spend some time in the company of people. He would spend most of his time in performing Salat and when he finished, he would engage himself in Tasbih (Subhan-Allah) and Takbir (Allahu Akbar), till he would go home. He passed by us one day when we were sitting with Abud-Darda' (May Allah be pleased with him). The latter said to him: "Tell us something which will benefit for us and will not harm you." He said: "Messenger of Allah (ﷺ) sent a detachment. When they returned, one of them came to the assemblage in which Messenger of Allah (ﷺ) was present and said to his neighbour during the conversation: 'I wish you had seen us when we encountered the enemy. So-and-so (a believer) took up his spear, struck and said: Take this from me and I am the Ghifari boy. Now what do you think of this?' The neighbour said: 'I think that he lost his reward because of boasting.' He said: 'I see no harm in it.' They began to exchange arguments till Messenger of Allah (ﷺ) heard them and said, 'Subhan-Allah (Allah is free from every imperfection). He would be rewarded (in the Hereafter) and praised (in this world)'. I noticed that Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) felt a great pleasure at this remark and, raising his head began to repeat: "Have you heard Messenger of Allah (ﷺ) say this!" Ibn Al-Hanzaliyyah (May Allah be pleased with him) continued responding till I asked Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) not to annoy him.

Ibn Al-Hanzaliyyah (May Allah be pleased with him) happened to pass by us another day and Abud-Darda' said to him: "Tell us something which will benefit us and will not harm you." He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) told us, 'He who spends to purchase a horse (for Jihad) is like one who extends his hand for spending out of charity without withholding it."'

He passed by us another day and Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) said to him: "Tell us something which might benefit us, and will not harm you." He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) once said, 'Khuraim Al-Usaidi is an excellent man were it not of his long hair and his lower garment which is hanging down.' When Khuraim heard about what the Prophet had said about him, he trimmed his long hair up to his ears with a knife and raised his lower garment half way on his shanks."

On another occasion he passed by us and Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) said to him: "Tell us something that will benefit us and will not harm you." He said that he heard Messenger of Allah (ﷺ) say, while coming back from an expedition: "You are returning to your brothers, so set your saddles and clothes in order so that you look tidy and graceful. Allah hates untidiness."

[Abu Dawud].


Commentary: This Hadith talks about six points. First, a war cry expressive of one's chivalrous deeds and designed to intimidate the enemy is permissible. Second, it is not an impeachable act and will be rewarded by Allah if it is done with a good intention. Third, hair should be grown either up to the earlobes or up to the neck-end as was the Prophet's practice. The Prophet (PBUH) disapproved the long hair upon the shoulders. Fourth, on return from a journey, a man is advised to clean up his appearance and dust-covered clothes; due to the fatigue and dust of journey, he may appear untidy and out of shape. With his ruffled hair and run-down face, whether intentional or unintentional, he will perhaps give a depressive impression to his wife and children and other family members to the displeasure of Allah. Fifth, we may sympathetically allude to the minor shortcomings of a person in his absence for the sake of his moral uplifting. This will not be considered as backbiting. Messenger of Allah (PBUH) talked about Khuraim Al-Usaidi (May Allah be pleased with him) in the same spirit. Sixth, indecency which means something ugly and disgraceful is taken here in an untidy and dishevelled sense which is against aesthetic principles.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »