পরিচ্ছেদঃ
৮২। হারিছা থেকে বর্ণিত। সিরিয়া থেকে এক দল লোক উমারের (রাঃ) নিকট এল। তারা বললোঃ আমরা কিছু সম্পত্তি, কিছু ঘোড়া ও কিছু দাসদাসী পেয়েছি। আমরা চাই এগুলোতে যাকাত ও পবিত্রতার ব্যবস্থা করা হোক। উমার (রাঃ) বললেনঃ আমার দু’জন সাথী [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবু বাকর (রাঃ)] ইতিপূর্বে এটা করেননি যে, আমি তা করবো। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করলেন। তাদের মধ্যে আলীও (রাঃ) ছিলেন। আলী (রাঃ) বললেনঃ এগুলোতেও যাকাতের প্রচলন করা ভালো যদি তা নিয়মিত জিযিয়ায় পরিণত না হয়, যা আপনার পরবর্তীকালে তাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে।
(সম্ভবতঃ তারা সিরিয়ার খৃস্টান ছিল, তাই জিযিয়ায় পরিণত না করার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। ঘোড়া ও দাসদাসীতে যাকাত প্ৰচলিত ছিল না। উমারের এ পদক্ষেপ দ্বারা বুঝা গেল, যে সকল সম্পদে যাকাত ধার্য নেই, তাতে মালিক স্বেচ্ছায় কিছু দিতে চাইলে ইসলামী রাষ্ট্র পরামর্শত্রুমে যে কোন পরিমাণে ও যে কোন হারে যাকাত বা সাদাকা নিতে পারে। তবে তা অবশ্যই স্বেচ্ছায় দিতে ইচ্ছুক। এমন মালিকদের মধ্যেই সীমিত থাকবে। -অনুবাদক)
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ، قَالَ: جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ إِلَى عُمَرَ، فَقَالُوا: إِنَّا قَدْ أَصَبْنَا أَمْوَالًا وَخَيْلًا وَرَقِيقًا نُحِبُّ أَنْ يَكُونَ لَنَا فِيهَا زَكَاةٌ وَطَهُورٌ، قَالَ: مَا فَعَلَهُ صَاحِبَايَ قَبْلِي فَأَفْعَلَهُ. وَاسْتَشَارَ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِيهِمْ عَلِيٌّ، فَقَالَ عَلِيٌّ: هُوَ حَسَنٌ، إِنْ لَمْ يَكُنْ جِزْيَةً رَاتِبَةً يُؤْخَذُونَ بِهَا مِنْ بَعْدِكَ
إسناده صحيح، رجاله ثقات رجال الشيخين غير حارثة - وهو ابنُ مضرِّب - فقد روى له أصحاب السنن وهو ثقة
سفيان: هو ابن سعيد الثوري، وأبو إسحاق: هو عمرو بن عبد الله السبيعي، وسماع سفيان منه قديم قبل تغيره
وأخرجه ابن خزيمة (2290) ، والحاكم 1 / 400، والبيهقي 4 / 118 من طريق محمد بن المثنى، عن عبد الرحمن بن مهدي، بهذا الإسناد
وأخرجه عبد الرزاق (6887) عن معمر، عن أبي إسحاق قال: أتى أهل الشام ...لم يذكر فيه حارثة بن مضرب
وسيأتي برقم (218) عن يحيى بن سعيد، عن زهير بن معاوية، عن أبي إسحاق، عن حارثة
পরিচ্ছেদঃ
৮৩। আবু ওয়ায়েল থেকে হাকাম বৰ্ণনা করেন যে, সুবাই বিন মা’বাদ তাগলিব গোত্রীয় একজন মরুবাসী খৃষ্টান ছিলেন। তিনি ইসলাম গ্ৰহণ করলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন কাজ উত্তম? তাকে বলা হলোঃ আল্লাহর পথে জিহাদ। সে জিহাদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। অতঃপর তাকে বলা হলোঃ তুমি কি হজ্জ করেছ? তিনি বললেনঃ না। তাকে বলা হলোঃ হজ্জ কর ও উমরা কর, তারপর জিহাদ কর। তিনি হজ্জের জন্য রওনা হয়ে গেলেন। হাওয়াবেতে পৌঁছে তিনি হজ ও উমরা দুটোই (এক সাথে করা) শুরু করলেন। যায়িদ বিন সূহান ও সালমান বিন রবীয়া তা দেখে বললেন, সে (সুবাই) তার উটের চেয়েও বিপথগামী অথবা সে তার উটনীর চেয়ে সুপথগামী নয়। এরপর সুবাই উমার (রাঃ) এর নিকট গেলেন এবং তাকে যায়িদ ও সালমান যা বলেছে তা জানালেন। উমার (রাঃ) বললেনঃ তুমি তোমার নবীর সুন্নাত অনুসরণ করেছ। হাকাম বলেনঃ আমি আবু ওয়ায়েলকে বললামঃ এ ঘটনাটি আপনাকে সুবাই নিজেই বলেছেন? হাকাম বললেনঃ হ্যাঁ।
[আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, নাসায়ী, অত্র গ্রন্থের ১৬৯, ২২৭, ২৫৪, ২৫৬ ও ৩৭৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ: أَنَّ الصُّبَيَّ بْنَ مَعْبَدٍ، كَانَ نَصْرَانِيًّا تَغْلِبِيًّا أَعْرَابِيًّا فَأَسْلَمَ، فَسَأَلَ: أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ؟ فَقِيلَ لَهُ: الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ. فَأَرَادَ أَنْ يُجَاهِدَ، فَقِيلَ لَهُ: حَجَجْتَ؟ فَقَالَ: لَا. فَقِيلَ: حُجَّ وَاعْتَمِرْ، ثُمَّ جَاهِدْ. فَانْطَلَقَ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْحَوَائطِ أَهَلَّ بِهِمَا جَمِيعًا، فَرَآهُ زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ وَسَلْمَانُ بْنُ رَبِيعَةَ، فَقَالا: لَهُوَ أَضَلُّ مِنْ جَمَلِهِ، أَوْ مَا هُوَ بِأَهْدَى مِنْ نَاقَتِهِ. فَانْطَلَقَ إِلَى عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَأَخْبَرَهُ بِقَوْلِهِمَا فَقَالَ: هُدِيتَ لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
قَالَ الْحَكَمُ: فَقُلْتُ لِأَبِي وَائِلٍ: حَدَّثَكَ الصُّبَيُّ؟ فَقَالَ: نَعَمْ
إسناده صحيح، رجاله ثقات رجال الشيخين غير الصُّبي بن معبد، فقد روى له أصحاب السنن غير الترمذي، وهو ثقة
الحكم: هو ابن عتيبة، وأبو وائل: هو شقيق بن سلمة
وأخرجه الطيالسي (58) عن شعبة، بهذا الإسناد
وسيأتي برقم (169) و (227) و (254) و (256) و (379)
পরিচ্ছেদঃ
৮৪। আমর ইবনে মাইমুন বলেছেনঃ উমার (রাঃ) আমাদের সাথে একটি জামায়াতে ফজরের নামায পড়লেন, তারপর কিছুক্ষণ থামলেন, তারপর বললেনঃ মুশরিকরা সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত রওনা হতো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিপরীত করেছেন। অতঃপর [উমার (রাঃ)] সূর্যোদয়ের পূর্বেই রওনা হলেন।[১]
حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ مَيْمُونٍ، قَالَ: صَلَّى بِنَا عُمَرُ بِجَمْعٍ الصُّبْحَ، ثُمَّ وَقَفَ وَقَالَ: إِنَّ الْمُشْرِكِينَ كَانُوا لَا يُفِيضُونَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَالَفَهُمْ، ثُمَّ أَفَاضَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ
إسناده صحيح على شرط الشيخين. أبو إسحاق: هو عمروبن عبد الله السبيعي، وعمرو بن ميمون: هو الأودي
وأخرجه الطيالسي (63) ، والبخاري (1684) ، والترمذي (896) ، والنسائي 5 / 265 من طرق عن شعبة، بهذا الإسناد.
وأخرجه الدارمي (1890) ، وابن ماجه (3022) ، والطحاوي 2 / 218، من طريقين عن أبي إسحاق، به. وسيأتي برقم (200) و (275) و (295) و (358) و (385)
পরিচ্ছেদঃ
৮৫। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, উমার (রাঃ) যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রবীণ সাহাবীদেরকে ডাকতেন, তখন সেই সাথে আমাকেও ডাকতেন। আর বলতেন, ওঁরা যতক্ষণ কথা না বলেন, ততক্ষণ তুমি কথা বলো না। একদিন আমাকে ডেকে বললেনঃ লাইলাতুল কাদর সম্পর্কে (অর্থাৎ তার ফযীলতও মর্যাদা সম্পর্কে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন, তা তো তোমরা জেনেছ। অতএব, তোমরা রমযানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কাদর তালাশ কর। যে কোন বেজোড় রাতে তোমরা তার সাক্ষাত পাবে।[১]
حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ، قَالَ: قَالَ أَبِي: فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ: وَمَا أَعْجَبَكَ مِنْ ذَلِكَ؟ كَانَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إذَا دَعَا الْأَشْيَاخَ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَانِي مَعَهُمْ، فَقَالَ: لَا تَتَكَلَّمْ حَتَّى يَتَكَلَّمُوا، قَالَ: فَدَعَانَا ذَاتَ يَوْمٍ، أَوْ ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ مَا قَدْ عَلِمْتُمْ، فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ وِتْرًا، فَفِي أَيِّ الْوِتْرِ تَرَوْنَهَا؟
إسناده قوي. وأخرجه ابن أبي شيبة 2 / 513 و3 / 73، والبزار (210) ، وأبو يعلى (165) و (168) ، وابن خزيمة (2172) و (2173) من طريقين عن عاصم بن كليب، بهذا الإسناد. وسيأتي برقم (298)
পরিচ্ছেদঃ
৮৬। আসিম ইবনে আমর বাজালী (রাঃ) বলেন, কয়েক ব্যক্তি উমার (রাঃ)কে বললোঃ আমরা আপনার কাছে তিনটে বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে এসেছি। কোন ব্যক্তির বাড়িতে নফল নামায পড়া, জানাবাতের (ফরয ও ওয়াজিব) গোসল করা ও স্ত্রীর ঋতুবতী থাকাকালে তার সাথে স্বামীর কতটুকু মেলামেশা বৈধ? উমার (রাঃ) বললেন, তোমরা কি জাদুকর? তোমরা এমন বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছ, যা সম্পর্কে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করার পর আজ পর্যন্ত আর কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেনি।
এরপর উমার (রাঃ) বললেনঃ মানুষ বাড়িতে যে নামায পড়ে তা জ্যোতি। বাড়িকে যে ব্যক্তি জ্যোতির্ময় করতে চায় সে তা করুক। জানাবাতের গোসল সম্পর্কে তিনি বললেনঃ সে প্রথমে তার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে, তারপর ওযূ করবে, তারপর মাথার ওপর তিনবার পানি ঢালবে। আর ঋতুবতী স্ত্রী সম্পর্কে বললেনঃ স্বামী তার পায়জামার ওপরের অংশ স্পর্শ করতে পারে। (অর্থাৎ স্ত্রীর শরীরের ওপরের অংশ ব্যতীত স্পর্শ করা চলবেনা।[১]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: سَمِعْتُ عَاصِمَ بْنَ عَمْرٍو الْبَجَلِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ رَجُلٍ، مِنَ الْقَوْمِ الَّذِينَ سَأَلُوا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقَالُوا لَهُ: إِنَّمَا أَتَيْنَاكَ نَسْأَلُكَ عَنْ ثَلاثٍ: عَنْ صَلاةِ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ تَطَوُّعًا، وَعَنِ الْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَةِ، وَعَنِ الرَّجُلِ مَا يَصْلُحُ لَهُ مِنَ امْرَأَتِهِ إِذَا كَانَتْ حَائِضًا، فَقَالَ: أَسُحَّارٌ أَنْتُمْ؟! لَقَدْ سَأَلْتُمُونِي عَنْ شَيْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ مُنْذُ سَأَلْتُ عَنْهُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " صَلاةُ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ تَطَوُّعًا نُورٌ، فَمَنْ شَاءَ نَوَّرَ بَيْتَهُ " وَقَالَ فِي الْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَةِ: " يَغْسِلُ فَرْجَهُ، ثُمَّ يَتَوَضَّأُ، ثُمَّ يُفِيضُ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاثًا " وَقَالَ فِي الْحَائِضِ: " لَهُ مَا فَوْقَ الْإِزَارِ
إسناده ضعيف لجهالة الرجل الذي روى عنه عاصم بن عمرو، وباقي رجاله ثقات رجال الشيخين غير عاصم بن عمرو البجلي: فقد روى له ابنُ ماجه وهو صدوق
وأخرجه الطيالسي (49) و (137) عن المسعودي، والطحاوي 3 / 36 - 37 من طريق أبي إسحاق، كلاهما عن عاصم بن عمرو البجلي، عن أحد النفر الذين أتوا عمر بن الخطاب، فقالوا: يا أمير المؤمنين جئناك ... فذكره
وأخرجه عبد الرزاق (988) ، والطحاوي 3 / 37 من طريق أبي إسحاق، وسعيد بن منصور في " سننه " (2143) ، وابن أبي شيبة 2 / 256 وعنه ابن ماجه (1375) من طريق طارق بن عبد الرحمن البجلي، والطحاوي 3 / 37 من طريق المسعودي، ثلاثتهم عن عاصم بن عمرو البجلي: أن قوماً أتوا عمر ... فذكره، غير أن رواية ابن أبي شيبة مختصرة بقصة صلاة الرجل في بيته، ورواية الطحاوي بقصة الحائض فقط
وأخرجه ابن ماجه (1375) ، والطحاوي 3 / 37، والبيهقي 1 / 312 من طريق أبي إسحاق، عن عاصم بن عمرو، عن عمير مولى عمر بن الخطاب، عن عمر بن الخطاب، عن النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نحوه. وعمير مولى عمر بن الخطاب لم يرو عنه غير عاصم بن عمرو، فهو
على هذا مجهول
وقوله: " يغسل فرجه ثم يتوضأ ... " له شاهد من حديث عائشة عند البخاري (248) ، ومسلم (316)
وقوله: " له ما فوق الإزار " له شاهد من حديث عبد الله بن سعد القرشي عند أبي داود (212) ، وآخر من حديث عائشة عند البخاري (300) ومسلم (293) وأحمد 6 / 55، وثالث من حديث ميمونة عند البخاري (303) ومسلم (294)
পরিচ্ছেদঃ
৮৭। ইবনে উমার (রাঃ) বলেছেন, আমি ইরাকে সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাসকে ওযূ করার সময় মোজার ওপর মাসিহ করতে দেখে অসন্তোষ প্ৰকাশ করলাম। পরে যখন আমরা উমার ইবনুল খাত্তাবের নিকট সমবেত হলাম, তখন সা’দ আমাকে বললেনঃ তুমি আমাকে মোজার ওপর মাসিহ করতে দেখে তো অসন্তোষ প্রকাশ করেছ। এখন সে সম্পর্কে তোমার আব্বাকে জিজ্ঞেস করতো দেখি। আমি উমারের নিকট বিষয়টির উল্লেখ করলাম। তিনি বললেনঃ সা’দ যখন তোমার নিকট কোন হাদীস বর্ণনা করে, তখন তা অগ্রাহ্য করো না। বস্তৃত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজার ওপর মাসিহ করতেন।[১]
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: رَأَيْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ يَمْسَحُ عَلَى خُفَّيْهِ بِالْعِرَاقِ حِينَ يَتَوَضَّأُ، فَأَنْكَرْتُ ذَلِكَ عَلَيْهِ، قَالَ: فَلَمَّا اجْتَمَعْنَا عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ لِي: سَلْ أَبَاكَ عَمَّا أَنْكَرْتَ عَلَيَّ مِنْ مَسْحِ الْخُفَّيْنِ، قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: إِذَا حَدَّثَكَ سَعْدٌ بِشَيْءٍ فَلا تَرُدَّ عَلَيْهِ، فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ
إسناده حسن، رجاله ثقات رجال الشيخين غير ابن لهيعة - وهو عبد الله - فقد روى له أبو داود والترمذي وابن ماجه وله في مسلم بعض شيء مقرون، وقد اختلط بعد احتراق كتبه، وأحاديث قتيبة عنه صحاح، انظر " تهذيب الكمال " 15 / 494، وجوّد هذا الإسناد الحافظ ابن كثير في " مسند عمر " ص 118. أبو النضر: هو سالم بن أبي أمية، وأبو سلمة: هو ابن عبد الرحمن بن عوف
وأخرجه الطبراني في " الكبير " (86) من طريق أبي إسحاق السبيعي، عن أبي سلمة، بهذا الإسناد
وأخرجه عبد الرزاق (763) عن عبد الله بن عمر، وابن خزيمة (184) من طريق أيوب، كلاهما عن نافع، عن ابن عمر
وأخرجه مالك في " الموطأ " 1 / 36 عن نافع وعبد الله بن دينار، عن ابن عمر. ولم برفع عمر الحديث إلى النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وانظر (237)
পরিচ্ছেদঃ
৮৮। হাদীস নং ৮৭ এর অনুরূপ। দেখুন পূর্বের হাদিস। (বুখারী ও ইবনে খুযাইমা)।
পরিচ্ছেদঃ
৮৯। মা’দান ইবনে আবি তালহা আল ইয়ামানী বর্ণনা করেনঃ এক শুক্রবারে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) মিম্বারে দাঁড়ালেন, তারপর আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্মৃতিচারণ করলেন ও আবু বাকরের স্মৃতিচারণ করলেন। তারপর বললেন, আমি এমন একটা স্বপ্ন দেখেছি যা আমার মৃত্যু আসন্ন হওয়া ছাড়া আর কোন দিকে ইঙ্গিত করে বলে আমার মনে হয় না। আমি দেখলাম, একটা মোরগ যেন আমাকে দুটো ঠোকর মারলো। বর্ণনাকারী বলেনঃ তিনি আমাকে বললেন যে, সেটি ছিল লাল মোরগ। আমি এ স্বপ্ন আবু বাকরের মেয়ে আসমা (রাঃ) নিকট বর্ণনা করলাম। তিনি বললেনঃ তোমাকে (উমারকে) জনৈক অনারব ব্যক্তি হত্যা করবে। উমার বললেনঃ জনগণ আমাকে আদেশ দিচ্ছে, আমি যেন পরবর্তী খলীফা মনোনীত করি। অথচ আল্লাহ তা’আলা তার দীনকে ও তার নবীর মাধ্যমে প্রেরিত খিলাফাতকে ধ্বংস করতে চাননা।
আর কোন জিনিস যদি আমাকে তাড়া করে তবে তা হলো, এই ছয়জনের পরামর্শের ওপর ব্যাপারটা ন্যস্ত করা যাদের ওপর সন্তুষ্ট থাকা অবস্থায়ই আল্লাহর নবী ইন্তিকাল করেছেন। এই ছয়জনের মধ্য থেকে যার হাতে তোমরা বাইয়াত করবে (খালীফা মেনে নেবে) তার কথা শুনবে ও আনুগত্য করবে। আমি জানি, এমন কিছু লোক এ বিষয় নিয়ে নিন্দায় মুখর হবে, যাদের সাথে আমি ইসলামের স্বার্থে এই হাত দিয়ে যুদ্ধ করেছি। তারা আল্লাহর দুশমন, কাফির ও বিপথগামী। আল্লাহর কসম, আমার প্রতিপালক আমার নিকট যে সকল জিনিসের দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন ও খিলাফত অর্পণ করেছেন, সে সব জিনিসের মধ্য থেকে ’কালালার’ চেয়ে আমার নিকট অধিক গুরুত্বপূর্ণ কিছুই আমি রেখে যাচ্ছিনা।
আল্লাহর কসম, আল্লাহর নবীর সাহচর্যে আমি যতদিন থেকেছি, ততদিন তিনি সবচেয়ে কঠোরভাবে যে জিনিসের ব্যাপারে আমাকে তাকিদ দিয়েছেন, তা হচ্ছে ’কালালা’ (যে ব্যক্তি নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যায়) এমনকি তিনি (এর ওপর গুরুত্ব দেয়ার জন্য) তার আঙ্গুল দিয়ে আমার বুকে টোকা দিলেন এবং বললেনঃ সূরা আন নিসার শেষভাগে নাযিলকৃত গ্ৰীষ্মের আয়াত তোমার জন্য যথেষ্ট। আর আমি যদি বেঁচে থাকি, তবে কালালা সম্পর্কে এমন ফায়সালা করবো। যা স্বাক্ষর ও নিরক্ষর নির্বিশেষে সকলেই জানতে পারবে। আমি সকল শহরের আমীরদের ব্যাপারে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি তাদেরকে এ জন্যই পাঠিয়েছি যেন তাঁরা জনগণকে ইসলামী শিক্ষা দেন, তাদেরকে তাঁদের নবীর অনুসৃত সুন্নাত তথা রীতিনীতি জানিয়ে দেন এবং তাঁরা যেসব বিষয় অবগত নয়, তা যেন আমার কাছে তুলে ধরেন।
তারপর শোন, তোমরা দুটো গাছের ফল খেয়ে থাকে, যাকে আমি খারাপই মনে করি। তা হচ্ছে পিয়াজ ও রসুন। আল্লাহর কসম, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখতাম, কোন ব্যক্তির মুখ থেকে পিয়াজ রসুনের গন্ধ পেলেই তার আদেশে তাকে হাত ধরে মসজিদ থেকে বের করে দেয়া হতো এবং বাকী পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হতো। তবে যে ব্যক্তির একান্তই পিয়াজ বা রসুন খাওয়া দরকার, সে যেন রান্না করে তার গন্ধ দূর করে খায়। উমার (রাঃ) জুমআর দিনে ভাষণ দিলেন এবং বুধবার শাহাদাতবরণ করলেন।[১]
حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ الْغَطَفَانِيِّ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيِّ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ ذَكَرَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَكَرَ أَبَا بَكْرٍ، ثُمَّ قَالَ: رَأَيْتُ رُؤْيَا لَا أُرَاهَا إِلَّا لِحُضُورِ أَجَلِي، رَأَيْتُ كَأَنَّ دِيكًا نَقَرَنِي نَقْرَتَيْنِ، قَالَ: وَذَكَرَ لِي أَنَّهُ دِيكٌ أَحْمَرُ، فَقَصَصْتُهَا عَلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ امْرَأَةِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، فَقَالَتْ: يَقْتُلُكَ رَجُلٌ مِنَ الْعَجَمِ. قَالَ: وَإِنَّ النَّاسَ يَأْمُرُونَنِي أَنْ أَسْتَخْلِفَ، وَإِنَّ اللهَ لَمْ يَكُنْ لِيُضَيِّعَ دِينَهُ، وَخِلافَتَهُ الَّتِي بَعَثَ بِهَا نَبِيَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنْ يَعْجَلْ بِي أَمْرٌ فَإِنَّ الشُّورَى فِي هَؤُلاءِ السِّتَّةِ الَّذِينَ مَاتَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ، فَمَنْ بَايَعْتُمْ مِنْهُمْ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا، وَإِنِّي أَعْلَمُ أَنَّ أُنَاسًا سَيَطْعَنُونَ فِي هَذَا الْأَمْرِ، أَنَا قَاتَلْتُهُمْ بِيَدِي هَذِهِ عَلَى الْإِسْلامِ، أُولَئِكَ أَعْدَاءُ اللهِ الْكُفَّارُ الضُّلَّالُ. وَايْمُ اللهِ، مَا أَتْرُكُ فِيمَا عَهِدَ إِلَيَّ رَبِّي فَاسْتَخْلَفَنِي شَيْئًا أَهَمَّ إِلَيَّ مِنَ الْكَلالَةِ، وَايْمُ اللهِ، مَا أَغْلَظَ لِي نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَيْءٍ مُنْذُ صَحِبْتُهُ أَشَدَّ مَا أَغْلَظَ لِي فِي شَأْنِ الْكَلالَةِ، حَتَّى طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي صَدْرِي، وَقَالَ: " تَكْفِيكَ آيَةُ الصَّيْفِ، الَّتِي نَزَلَتْ فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ " وَإِنِّي إِنْ أَعِشْ فَسَأَقْضِي فِيهَا بِقَضَاءٍ يَعْلَمُهُ مَنْ يَقْرَأُ وَمَنْ لَا يَقْرَأُ وَإِنِّي أُشْهِدُ اللهَ عَلَى أُمَرَاءِ الْأَمْصَارِ إِنِّي إِنَّمَا بَعَثْتُهُمْ لِيُعَلِّمُوا النَّاسَ دِينَهُمْ، وَيُبَيِّنُوا لَهُمْ سُنَّةَ نَبِيِّهِمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَرْفَعُوا إِلَيَّ مَا عُمِّيَ عَلَيْهِمْ ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ تَأْكُلُونَ مِنْ شَجَرَتَيْنِ لَا أُرَاهُمَا إِلَّا خَبِيثَتَيْنِ: هَذَا الثُّومُ وَالْبَصَلُ، وَايْمُ اللهِ، لَقَدْ كُنْتُ أَرَى نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجِدُ رِيحَهُمَا مِنَ الرَّجُلِ فَيَأْمُرُ بِهِ فَيُؤْخَذُ بِيَدِهِ فَيُخْرَجُ بِهِ مِنَ الْمَسْجِدِ حَتَّى يُؤْتَى بِهِ الْبَقِيعَ، فَمَنْ أَكَلَهُمَا لَا بُدَّ، فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخًا. قَالَ: فَخَطَبَ النَّاسَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَأُصِيبَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ
إسناده صحيح على شرط مسلم، رجاله ثقات رجال الشيخين غير مَعدان بن أبي طلحة، فهو من رجال مسلم
وأخرجه ابن سعد 3 / 335 من طريق عمرو بن عاصم الكلابي، عن همام، بهذا الإسناد
وأخرجه ابن سعد 3 / 335، والحميدي (10) و (29) ، والبزار (315) ، أبو يعلى (256) ، وأبو عوانة 1 / 408، والطبري 6 / 43، وابن حبان (2091) ، والبيهقي 6 / 224 من طريقين عن قتادة، به. وسيأتي برقم (179) و (186) و (241)
পরিচ্ছেদঃ
৯০। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি, যুবাইর ও মিকদাদ বিন আসওয়াদ খাইবারে আমাদের জমি দেখতে গেলাম। খাইবারে পৌছে আমরা পৃথক হয়ে নিজ নিজ জমিতে অবস্থান করলাম। রাতে আমি যখন বিছানায় ঘুমিয়ে আছি, তখন আমার ওপর আক্রমণ চালানো হলো এবং কনুই থেকে আমার দুই হাত ভেঙ্গে ফেলা হলো। পরদিন ভোরে আমার সাথীদ্বয় আমার কাছে এল, আমার অবস্থা দেখে চিৎকার করে উঠলো এবং আমার কাছে জিজ্ঞেস করলো, কে আপনার এ অবস্থা করেছে? আমি বললামঃ জানি না। অতঃপর উভয়ে আমার হাত দুটো ঠিক করে দিল। তারপর আমাকে সাথে নিয়ে উমার (রাঃ) এর নিকট গেল। উমার (রাঃ) বললেনঃ হে জনতা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবারের ইহুদীদের সাথে এই মর্মে চুক্তি করেছিলেন যে, আমরা যখন চাইব তাদেরকে বহিষ্কার করবো। ইতিমধ্যে তারা আবদুল্লাহ ইবনে উমারের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে এবং তার দু’হাত ভেঙ্গে দিয়েছে, যেমন তোমরা জানতে পেরেছ। ইতিপূর্বে তো তারা আনসারদের ওপরও অত্যাচার চালিয়েছে। তারা যে এদেরই লোক তাতে কোন সন্দেহ নেই। ওরা ছাড়া খাইবারে আমাদের আর কোন শত্রুনেই। অতএব খাইবারে তোমাদের (মুসলিমদের) যার কোন সম্পত্তি আছে, সে যেন তা নিজ দখলে নিয়ে নেয়। কেননা আমি অচিরেই ইহুদীদেরকে বহিষ্কার করতে যাচ্ছি। অতঃপর তিনি তাদেরকে বহিষ্কার করেন।[১]
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ مَوْلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: خَرَجْتُ أَنَا وَالزُّبَيْرُ والْمِقْدَادُ بْنُ الْأَسْوَدِ إِلَى أَمْوَالِنَا بِخَيْبَرَ نَتَعَاهَدُهَا، فَلَمَّا قَدِمْنَاهَا تَفَرَّقْنَا فِي أَمْوَالِنَا، قَالَ: فَعُدِيَ عَلَيَّ تَحْتَ اللَّيْلِ، وَأَنَا نَائِمٌ عَلَى فِرَاشِي، فَفُدِعَتْ يَدَايَ مِنْ مِرْفَقَيَّ، فَلَمَّا أَصْبَحْتُ اسْتُصْرِخَ عَلَيَّ صَاحِبَايَ، فَأَتَيَانِي، فَسَأَلانِي عَمَّنْ صَنَعَ هَذَا بِكَ؟ قُلْتُ: لَا أَدْرِي، قَالَ: فَأَصْلَحَا مِنْ يَدَيَّ، ثُمَّ قَدِمُوا بِي عَلَى عُمَرَ فَقَالَ: هَذَا عَمَلُ يَهُودَ
ثُمَّ قَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عَامَلَ يَهُودَ خَيْبَرَ عَلَى أَنَّا نُخْرِجُهُمْ إِذَا شِئْنَا، وَقَدْ عَدَوْا عَلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ فَفَدَعُوا يَدَيْهِ كَمَا بَلَغَكُمْ، مَعَ عَدْوَتِهِمْ عَلَى الْأَنْصَارِيِّ قَبْلَهُ، لَا نَشُكُّ أَنَّهُمْ أَصْحَابُهُمْ، لَيْسَ لَنَا هُنَاكَ عَدُوٌّ غَيْرَهُمْ، فَمَنْ كَانَ لَهُ مَالٌ بِخَيْبَرَ فَلْيَلْحَقْ بِهِ فَإِنِّي مُخْرِجٌ يَهُودَ. فَأَخْرَجَهُمْ
إسناده حسن، ابن إسحاق - وهو محمد - حسن الحديث، وقد صرح هنا بالتحديث فانتفت شبهة تدليسه، وباقي رجاله ثقات رجال الشيخين. يعقوب: هو ابن إبراهيم بن سعد بن إبراهيم بن عبد الرحمن بن عوف
وأخرجه مختصراً أبو داود (3007) عن أحمد بن حنبل، بهذا الإسناد
وأخرجه كذلك البزار (154) من طريق يحيى بن سعيد الأموي، عن ابن إسحاق، به
وأخرجه البخاري (2730) من طريق مالك، عن نافع، به
وقوله: " ففدعت "، الفَدَع - بالتحريك -: زيغ بين القدم وبين عظمة الساق، وكذلك في اليد، وهو أن تزول المفاصل عن أماكنها
পরিচ্ছেদঃ
৯১। আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদিন উমার (রাঃ) জুমু’আর খুৎবা দিচ্ছিলেন। সহসা এক ব্যক্তি এল। উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমরা নামাযে আসতে বিলম্ব কর কেন? সে বললোঃ আযান শোনা মাত্ৰই আমি ওযূ করেছি। উমার (রাঃ) বললেনঃ তাই? তোমরা কি শোননি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ জুমুআর নামাযে যেতে চাইলে তার গোসল করা উচিত।[১]
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، وَحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالا: حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بَيْنَا هُوَ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ، فَقَالَ عُمَرُ: لِمَ تَحْتَبِسُونَ عَنِ الصَّلاةِ؟ فَقَالَ الرَّجُلُ: مَا هُوَ إِلَّا أَنْ سَمِعْتُ النِّدَاءَ فَتَوَضَّأْتُ. فَقَالَ: أَيْضًا! أَوَلَمْ تَسْمَعُوا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِذَا رَاحَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْجُمُعَةِ فَلْيَغْتَسِلْ "؟
إسناده صحيح على شرط الشيخين. حسين بن محمد: هو ابن بهرام المرُّوذي، وشيبان: هو ابن عبد الرحمن النحوي، ويحيى: هو ابن أبي كثير
وأخرجه ابن أبي شيبة 2 / 93، والبخاري (882) من طريقين عن شيبان بن عبد الرحمن، بهذا الإسناد
وأخرجه الدارمي (1539) ، ومسلم (845) (4) ، وأبو داود (340) ، وأبو يعلى (258) ، وابن خزيمة (1748) ، والطحاوي 1 / 115 من طريقين عن يحيى بن أبي كثير، به. وسيأتي برقم (319) و (320) ، وانظر (312)
পরিচ্ছেদঃ
৯২। আবু উসমান বলেছেন, আমরা যখন আযার বাইজানে, তখন আমাদের কাছে উমারের চিঠি এল। তিনি লিখলেনঃ হে উতবা ইবনে ফারকাদ, বিলাসিতা থেকে, মুশরিকদের বেশভূষা থেকে ও রেশম থেকে সাবধান। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে রেশম পরতে নিষেধ করেছেন, তবে এটুকু পরিমাণ। এই বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে তার (মধ্যম ও শাহাদাত) আঙ্গুলদ্বয় তুলে ধরলেন। ইমাম মুসলিমের এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই, তিন অথবা চার আঙ্গুলের অধিক পরিমাণ রেশমী কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন।[১]
حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ: جَاءَنَا كِتَابُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَنَحْنُ بِأَذْرَبِيجَانَ: يَا عُتْبَةَ بْنَ فَرْقَدٍ، وَإِيَّاكُمْ وَالتَّنَعُّمَ، وَزِيَّ أَهْلِ الشِّرْكِ، وَلَبُوسَ الْحَرِيرِ، فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَانَا عَنْ لَبُوسِ الْحَرِيرِ، وَقَالَ: " إِلَّا هَكَذَا " وَرَفَعَ لَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِصْبَعَيْهِ
إسناده صحيح على شرط الشيخين. زهير: هو ابن معاوية بن حُديج، وأبو عثمان: هو عبد الرحمن بن ملّ النهدي
وأخرجه البخاري (5829) ، ومسلم (2069) (12) عن أحمد بن عبد الله بن يونس، عن زهير بن معاوية، بهذا الإسناد
وأخرجه ابن أبي شيبة 8 / 348 و349، ومسلم (2069) (13) ، وأبو داود (4042) ، وابن ماجه (2820) و (3593) ، والبزار (307) ، وأبو يعلى (213) و (214) ، والبغوي في " الجعديات " (1031) من طرق عن عاصم الأحول، به. وسيأتي برقم (242) و (243) و (301) و (356) و (357)
পরিচ্ছেদঃ
৯৩। আবু সিনান দুয়ালী (রাঃ) বলেন, তিনি একদা উমার (রাঃ) এর নিকট গেলেন। তখন তাঁর কাছে প্রথম যুগের একদল মুহাজির ছিলেন। উমার ইরাকের একটি দুর্গ থেকে আনা একটি ব্যাগ আনলেন, যাতে একটা আংটি ছিল। উমার (রাঃ) এর এক ছেলে তা নিজের মুখে ঢুকালো। উমার (রাঃ) তৎক্ষণাত সেটি তার কাছ থেকে কেড়ে নিলেন। তারপর উমার (রাঃ) কাঁদতে লাগলেন। তখন তার কাছে উপস্থিত একজন বললো, আপনি কাঁদছেন কেন? আল্লাহ তো আপনাকে বিজয় ও প্রাচুর্য দিয়েছেন। আপনাকে আপনার শত্রুর ওপর পরাক্রান্ত করেছেন এবং আপনার চক্ষু ঠাণ্ডা করেছেন। উমার (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহ যখনই কাউকে সম্পদের প্রাচুর্য দেন, তখন তাদের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী শত্রুতা ও কলহ-কোন্দল ঢুকিয়ে দেন। আমি সেটিরই আশঙ্কা করছি।
حَدَّثَنَا حَسَنٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَسْوَدِ، أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنِ لَبِيبَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سِنَانٍ الدُّؤَلِيِّ: أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَعِنْدَهُ نَفَرٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ، فَأَرْسَلَ عُمَرُ إِلَى سَفَطٍ أُتِيَ بِهِ مِنْ قَلْعَةٍ مِنَ الْعِرَاقِ، فَكَانَ فِيهِ خَاتَمٌ، فَأَخَذَهُ بَعْضُ بَنِيهِ فَأَدْخَلَهُ فِي فِيهِ فَانْتَزَعَهُ عُمَرُ مِنْهُ ثُمَّ بَكَى عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ مَنْ عِنْدَهُ: لِمَ تَبْكِي وَقَدْ فَتَحَ اللهُ لَكَ، وَأَظْهَرَكَ عَلَى عَدُوِّكَ، وَأَقَرَّ عَيْنَكَ؟ فَقَالَ عُمَرُ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَا تُفْتَحُ الدُّنْيَا عَلَى أَحَدٍ إِلَّا أَلْقَى الله عَزَّ وَجَلَّ بَيْنَهُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ "، وَأَنَا أُشْفِقُ مِنْ ذَلِكَ
إسناده ضعيف لضعف ابن لهيعة ومحمد بن عبد الرحمن بن لبيبة. حسن: هو ابن موسى الأشيب، وأبو الأسود: هو محمد بن عبد الرحمن بن نوفل يتيم عُروة، وأبو سنان الدؤلي: هو يزيد بن أمية
وأخرجه عبد بن حميد (44) ، والبزار (311) من طريق الحسن بن موسى، بهذا الإسناد
والسَّفَط - محركة -: كالقفة
পরিচ্ছেদঃ
৯৪। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) স্বীয় পিতা উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কারো ওপর যদি গোসল ফারয বা ওয়াজিব হয় এবং সে গোসল করার আগে ঘুমাতে চায়, তা হলে সে কী করবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার উচিত নামাযের ওযূর মত ওযূ করা, তারপর ঘুমানো।[১]
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَيْفَ يَصْنَعُ أَحَدُنَا إِذَا هُوَ أَجْنَبَ، ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَنَامَ قَبْلَ أَنْ يَغْتَسِلَ؟ قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِيَتَوَضَّأْ وُضُوءَهُ لِلصَّلاةِ، ثُمَّ لِيَنَمْ
إسناده حسن، رجاله ثقات رجال الشيخين غير ابنِ إسحاق - وهو محمد - فهو حسن الحديث، وقد صرح بالتحديث فانتفت شبهةُ تدليسه. يعقوب: هو ابن إبراهيم بن سعد بن إبراهيم بن عبد الرحمن بن عوف
وأخرجه عبد الرزاق (1077) ، والنسائي في " الكبرى " (9059) و (9063) ، والبزار (131) و (164) ، وأبو عوانة 1 / 277، والطبراني (80) من طرق عن نافع، بهذا الإسناد
وأخرجه البزار (107) ، والنسائي (9067) من طريق سالم بن عبد الله، والنسائي (9066) من طريق أبي سلمة بن عبد الرحمن، كلاهما عن عبد الله بن عمر، به. وسيأتي برقم (105) و (165) و (230) و (235) و (263) و (306) و (359)
পরিচ্ছেদঃ
৯৫। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাবকে বলতে শুনেছিঃ যখন আবদুল্লাহ ইবনে উবাই (মদীনার চিহ্নিত মুনাফিক নেতা) মারা গেল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে চলে গেলেন। তারপর যখন তার জানাযা পড়ার উদ্দেশ্যে তার লাশের দিকে মুখ করে দাঁড়ালেন, অমনি আমি ঘুরে গিয়ে তার বুক সোজা আড় হয়ে দাঁড়ালাম। বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল, আল্লাহর দুশমন আবদুল্লাহ ইবনে উবাই অমুক দিন, তার আয়ুষ্কালের হাতে গণা কয়েকদিন বাকী থাকতেও এই এই কথা বলেছিল। সেই ব্যক্তিরও কি আপনি জানাযা পড়ছেন? (আমি এ কথা বারবার বলছিলাম)। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি মুচকি হাসছিলেন।
আমি যখন অনেক বেশি বার কথাটা বললাম, তখন তিনি বললেন, হে উমার, তোমার প্রশ্নটা পরে করো। আমাকে যে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে, সেটাই আমি প্রয়োগ করছি। আমাকে বলা হয়েছেঃ “তুমি তাদের জন্য ক্ষমা চাও বা না চাও। (কিছুই এসে যায় না), তুমি যদি তাদের জন্য ৭০ বার ক্ষমা চাও তবুও আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না।” আমি যদি জানতাম যে, ৭০ বারের চেয়েও বেশিবার ক্ষমা চাইলে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে, তাহলে আরো বেশি বার ক্ষমা চাইতাম।
এরপর তিনি আবদুল্লাহ বিন উবাই এর জানাযা পড়ালেন এবং তার শবযাত্রায় সঙ্গী হলেন। তারপর তিনি তার কবরে তার শেষ কৃত্য সমাপন পর্যন্ত অবস্থান করলেন। প্রকৃত ব্যাপার তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এসব কাজে আমার দুঃসাহসিক আপত্তি জান্নাতে দেখে বিস্ময়বোধের সৃষ্টি হচ্ছিল। আল্লাহর কসম, এর পর বেশি সময় অতিবাহিত হয়নি। সহসা আয়াত নাযিল হলোঃ ..“আপনি তাদের কারো জানাযা পড়বেন না এবং কবরে দাঁড়াবেন না। তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করেছিল এবং অবাধ্য থাকা অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেছিল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় ইন্তিকাল পর্যন্ত আর কখনো কোন মুনাফিকের জানাযা পড়েননি এবং তার কবরেও দাঁড়াননি।[১]
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللهِ بْنُ أُبَيٍّ، دُعِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلصَّلاةِ عَلَيْهِ، فَقَامَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا وَقَفَ عَلَيْهِ يُرِيدُ الصَّلاةَ تَحَوَّلْتُ حَتَّى قُمْتُ فِي صَدْرِهِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أَعَلَى عَدُوِّ اللهِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أُبَيٍّ الْقَائِلِ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا - يُعَدِّدُ أَيَّامَهُ - قَالَ: وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَبَسَّمُ، حَتَّى إِذَا أَكْثَرْتُ عَلَيْهِ، قَالَ: " أَخِّرْ عَنِّي يَا عُمَرُ، إِنِّي خُيِّرْتُ فَاخْتَرْتُ، قَدْ قِيلَ (اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لَا تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ) [التوبة: ٨٠] ، لَوْ أَعْلَمُ أَنِّي إِنْ زِدْتُ عَلَى السَّبْعِينَ غُفِرَ لَهُ لَزِدْتُ. قَالَ: ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهِ، وَمَشَى مَعَهُ، فَقَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى فُرِغَ مِنْه
قَالَ: فَعَجَبٌ لِي وَجَرَاءَتِي عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: فَوَاللهِ مَا كَانَ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى نَزَلَتْ هَاتَانِ الْآيَتَانِ: (وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ إِنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَاتُوا وَهُمْ فَاسِقُونَ) ، فَمَا صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَهُ عَلَى مُنَافِقٍ، وَلا قَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى قَبَضَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ
إسناده حسن، رجاله ثقات رجال الشيخين غير ابن إسحاق، وهو حسن الحديث، وقد صرح هنا بالتحديث
وأخرجه عبد بن حميد (19) ، وعنه الترمذي (3097) عن يعقوب بن إبراهيم، بهذا الإسناد
وأخرجه البزار (193) ، والطبري 10 / 205، وابن حبان (3176) من طرق عن ابن إسحاق، به
وأخرجه البخاري (1366) و (4671) ، والنسائي في " المجتبى " 4 / 67، وفي " الكبرى " (11225) من طريق عقيل بن خالد، عن الزهري، به
পরিচ্ছেদঃ
৯৬। না’ফে (রহঃ) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলতেন, যখন কোন পুরুষের নিকট মাত্র একটি কাপড় থাকে, তখন তা দিয়ে শরীরের নিম্নাংশ আচ্ছাদন করে নামায পড়া উচিত। আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ যখন একটি মাত্র কাপড় থাকে, তখন তা দিয়ে ইহুদীদের মত সমগ্র শরীর ঢেকনা। (অৰ্থাৎ নিম্নাংশ আগে পুরো আবৃত করা চাই। সমগ্র শরীর আবৃত করতে গিয়ে নিম্নাংশ যদি অনাবৃত হয়ে পড়ে তবে তা না করা উচিত) না’ফে (রহঃ) বলেনঃ আমি যদি বলতাম যে, তিনি এ উক্তি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তা হলেও আমি মিথ্যুক হতাম না বলে আমি আশা করি। [মুসনাদে ইবনে উমারে হাদীস নং ৬৩৫৬ দ্রষ্টব্য]
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، كَمَا حَدَّثَنِي عَنْهُ نَافِعٌ مَوْلاهُ، قَالَ: كَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ يَقُولُ: إِذَا لَمْ يَكُنْ لِلرَّجُلِ إِلَّا ثَوْبٌ وَاحِدٌ، فَلْيَأْتَزِرْ بِهِ ثُمَّ لِيُصَلِّ، فَإِنِّي سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ ذَلِكَ، وَيَقُولُ: لَا تَلْتَحِفُوا بِالثَّوْبِ إِذَا كَانَ وَحْدَهُ كَمَا تَفْعَلُ الْيَهُودُ. قَالَ نَافِعٌ: وَلَوْ قُلْتُ لَكُ: إِنَّهُ أَسْنَدَ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَرَجَوْتُ أَنْ لَا أَكُونَ كَذَبْتُ
إسناده حسن. وانظر الحديث رقم (6356) من مسند عبد الله بن عمر
পরিচ্ছেদঃ
৯৭। উকবা বিন আমের (রাঃ) বলেন, উমার (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী থাকা অবস্থায় মারা যায়, তাকে বলা হয়, ৮টি দরজার যেটি দিয়ে ইচ্ছা, জান্নাতে প্রবেশ কর।
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ مِخْرَاقٍ، عَنْ شَهْرٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ مَاتَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، قِيلَ لَهُ: ادْخُلِ الْجَنَّةَ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةِ شِئْت
حسن لغيره، وهذا إسناد ضعيف، مؤمل - وهو ابن إسماعيل - وإن كان سيئ الحفظ تابعه الطيالسي، لكن تبقى علَّة الحديث في شهر - وهو ابنُ حوشب - فقد وثقه جماعة والأكثر على تضعيفه
وأخرجه الطيالسي (30) عن حماد بن سلمة، بهذا الإسناد
وفي الباب عن مولى لرسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سيأتي في " المسند " 3 / 443 و4 / 237 ورجاله ثقات
وعن عثمان بن عفان وسيأتي برقم (464)
পরিচ্ছেদঃ
৯৮। মুজাহিদ (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি নিজের তরবারী দিয়ে তার ছেলেকে আঘাত করলো এবং হত্যা করলো। এরপর ঘটনাটি উমার (রাঃ) এর নিকট উত্থাপিত হলো। তিনি বললেন, আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একথা বলতে না শুনতাম যে, কোন পিতাকে আপনি সন্তান হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে না, তাহলে আমি তোমাকে স্থান ত্যাগ করার আগেই হত্যা করতাম।
حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا جَعْفَرٌ - يَعْنِي الْأَحْمَرَ - عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: حَذَفَ رَجُلٌ ابْنًا لَهُ بِسَيْفٍ فَقَتَلَهُ، فَرُفِعَ إِلَى عُمَرَ، فَقَالَ: لَوْلا أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَا يُقَادُ الْوَالِدُ مِنْ وَلَدِهِ " لَقَتَلْتُكَ قَبْلَ أَنْ تَبْرَحَ
حسن لغيره، رجاله ثقات رجال الشيخين غير جعفر الأحمر - وهو ابن زياد - فقد روى له الترمذي، وهو صدوق، لكن الحديث فيه انقطاع، مجاهد - وهو ابن جَبْر - لم يدرك عمر بن الخطاب، وسيأتي الحديثُ من طريق أخرى تقوده برقم (147) و (148) و (346) . مطرِّف: هو ابن طريف، والحكم: هو ابن عُتيبة
পরিচ্ছেদঃ
৯৯। আবেস বিন রাবীয়া (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি উমার (রাঃ) কে দেখেছি, হাজরে আসওয়াদের দিকে তাকিয়ে বলছেন, “আল্লাহর কসম, আমি যদি না দেখতাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে চুমো খাচ্ছেন, তবে তোমাকে চুমো খেতাম না। তারপর উমার (রাঃ) হাজরে আসওয়াদকে চুমো খেলেন।[১]
حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَعْمَشِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ: رَأَيْتُ عُمَرَ نَظَرَ إِلَى الْحَجَرِ، فَقَالَ: أَمَا وَاللهِ لَوْلا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ. ثُمَّ قَبَّلَهُ
إسناده صحيح على شرط الشيخين. زهير: هو ابن معاوية، وإبراهيم: هو ابن يزيد النخعي
وأخرجه البخاري (1597) ، وأبو داود (1873) ، والنسائي 5 / 227، وابن حبان (3822) ، والبيهقي 5 / 74، والبغوي في " شرح السنة " (1905) من طرق عن الأعمش، بهذا الإسناد. وسيأتي برقم (176) و (325)
পরিচ্ছেদঃ
১০০। আবদুল্লাহ ইবনুস সা’দী জানিয়েছেন যে, তিনি উমার (রাঃ) এর খিলাফতকালে তার কাছে এলে উমার (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ আমাকে কি এ কথা বলা হয়নি যে, তুমি জনগণের বিভিন্ন (সেবামূলক) কাজ কর, তারপর তোমাকে তার পারিশ্রমিক দেয়া হলে তা অপছন্দ কর? (অর্থাৎ এ কথা কি সত্য?) আমি (আবদুল্লাহ ইবনুস সাদী) বললামঃ হ্যাঁ। উমার (রাঃ) বললেনঃ তাহলে তুমি কি চাও? আমি বললামঃ আমার প্রচুর ঘোড়া ও দাসদাসী আছে। আমি সচ্ছল, আমি চাই, আমার পারিশ্রমিক মুসলিমদের জন্য সাদাকা হয়ে যাক। উমার (রাঃ) বললেনঃ এরূপ করো না। কারণ তুমি যা চেয়েছে, আমিও তা করতে চেয়েছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কিছু দান করতেন। তখন আমি বলতাম, এটি এমন কাউকে দিন, যে এর প্রতি আমার চেয়েও বেশি মুখাপেক্ষী। একবার তিনি আমাকে একটা সম্পত্তি দিলেন। আমি বললাম, এ সম্পত্তি আমার চেয়েও যার বেশি প্রয়োজন, তাকে দিন। রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা নিয়ে নাও, এ দ্বারা আরো সম্পদ উৎপন্ন কর এবং সাদাকা কর। এই সম্পদ থেকে যা অযাচিতভাবেই তোমার হাতে আসে, তা নিয়ে নাও। আর যা আসেনা, তার প্রত্যাশী হয়োনা। (অর্থাৎ কখনো যদি কাজ করেও তার পারিশ্রমিক না জোটে, তবে তার জন্য পীড়াপীড়ি করো না। -অনুবাদক)[১]
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنَا السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ ابْنُ أُخْتِ نَمِرٍ، أَنَّ حُوَيْطِبَ بْنَ عَبْدِ الْعُزَّى أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ السَّعْدِيِّ أَخْبَرَهُ: أَنَّهُ قَدِمَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي خِلافَتِهِ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: أَلَمْ أُحَدَّثْ أَنَّكَ تَلِي مِنْ أَعْمَالِ النَّاسِ أَعْمَالًا، فَإِذَا أُعْطِيتَ الْعُمَالَةَ كَرِهْتَهَا؟ قَالَ: فَقُلْتُ: بَلَى، فَقَالَ عُمَرُ: فَمَا تُرِيدُ إِلَى ذَلِكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: إِنَّ لِي أَفْرَاسًا وَأَعْبُدًا، وَأَنَا بِخَيْرٍ، وَأُرِيدُ أَنْ تَكُونَ عَمَالَتِي صَدَقَةً عَلَى الْمُسْلِمِينَ. فَقَالَ عُمَرُ: فَلا تَفْعَلْ، فَإِنِّي قَدْ كُنْتُ أَرَدْتُ الَّذِي أَرَدْتَ، فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِينِي الْعَطَاءَ، فَأَقُولُ: أَعْطِهِ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي، حَتَّى أَعْطَانِي مَرَّةً مَالًا، فَقُلْتُ: أَعْطِهِ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي، قَالَ: فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " خُذْهُ فَتَمَوَّلْهُ، وَتَصَدَّقْ بِهِ، فَمَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا الْمَالِ، وَأَنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ وَلا سَائِلٍ، فَخُذْهُ، وَمَا لَا، فَلا تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ
إسناده صحيح على شرط الشيخين. أبو اليمان: هو الحكم بن نافع، وشعيب: هو ابن أبي حمزة
وأخرجه الدارمي (1648) ، والبخاري (7163) ، والنسائي 5 / 104 عن أبي اليمان، بهذا الإسناد
وأخرجه الحميدي (21) ، ومسلم (1045) (111) ، والنسائي 5 / 103 و104، وابن خزيمة (2365) و (2366) ، والبزار (244) من طرق عن الزهري، به. إلا أن مسلماً لم يذكر في حديثه حويطب بن عبد العزَّى
وأخرجه عبد الرزاق (20045) عن معمر، عن الزهري، السائب بن يزيد قال: لقي عمر بن الخطاب عبد الله بن السعدي ... فذكره. وانظر الحديث رقم (136) و (371)
العُمالة - بالضم : أجرة العمل، وبفتح العين: العمل نفسه، فتموَّله: أي اجعله لك مالاً. غير مشرف: غير متطلع إليه، ولا طامع فيه
পরিচ্ছেদঃ
১০১। রবীয়া ইবনে দাররাজ বলেছেন যে, আলী ইবনে আবি তালেব (রাঃ) মক্কা যাওয়ার পথে আছরের পর দু’রাকআত নামায পড়লেন। উমার (রাঃ) এটা দেখে তার ওপর রাগান্বিত হলেন এবং বললেনঃ আল্লাহর কসম, আমি জানি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা নিষিদ্ধ করেছেন। (দেখুন, হাদীস নং ১০৬)
حَدَّثَنَا سَكَنُ بْنُ نَافِعٍ الْبَاهِلِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا صَالِحٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ دَرَّاجٍ: أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ سَبَّحَ بَعْدَ الْعَصْرِ رَكْعَتَيْنِ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ، فَرَآهُ عُمَرُ فَتَغَيَّظَ عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَمَا وَاللهِ لَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْهَا
إسناده ضعيف، صالح - وهو ابن أبي الأخضر - ضعيف، وربيعة بن دراج مختلف في سماع الزهري منه، وبعضهم رجح أنه من مسلمة الفتح وأنه عاش إلى عهد عمر، وقيل: قتل يوم الجمل، فهو على هذا منقطع أيضاً، وأُدخل بينهما راوٍ آخر، فكلمة " حدثني ربيعة بن دراج " في هذا الإسناد وهم، ولعله من صالح بن أبي الأخضر، كما قال الشيخ أحمد شاكر، وسيأتي الحديث برقم (106) ، من طريق معمر عن الزهري، فقال عن ربيعة. وانظر " علل الدارقطني " 2 / 149، و" تعجيل المنفعة " رقم (310) ، و" الإصابة " رقم الترجمة (2597)
وأخرجه الطحاوي في " شرح معاني الآثار " 1 / 303 من طريق عقيل بن خالد، عن الزهري، عن حرام بن دراج، عن علي. كذا سماه هنا: حراماً