পরিচ্ছেদঃ
৯৫। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাবকে বলতে শুনেছিঃ যখন আবদুল্লাহ ইবনে উবাই (মদীনার চিহ্নিত মুনাফিক নেতা) মারা গেল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে চলে গেলেন। তারপর যখন তার জানাযা পড়ার উদ্দেশ্যে তার লাশের দিকে মুখ করে দাঁড়ালেন, অমনি আমি ঘুরে গিয়ে তার বুক সোজা আড় হয়ে দাঁড়ালাম। বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল, আল্লাহর দুশমন আবদুল্লাহ ইবনে উবাই অমুক দিন, তার আয়ুষ্কালের হাতে গণা কয়েকদিন বাকী থাকতেও এই এই কথা বলেছিল। সেই ব্যক্তিরও কি আপনি জানাযা পড়ছেন? (আমি এ কথা বারবার বলছিলাম)। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি মুচকি হাসছিলেন।
আমি যখন অনেক বেশি বার কথাটা বললাম, তখন তিনি বললেন, হে উমার, তোমার প্রশ্নটা পরে করো। আমাকে যে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে, সেটাই আমি প্রয়োগ করছি। আমাকে বলা হয়েছেঃ “তুমি তাদের জন্য ক্ষমা চাও বা না চাও। (কিছুই এসে যায় না), তুমি যদি তাদের জন্য ৭০ বার ক্ষমা চাও তবুও আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না।” আমি যদি জানতাম যে, ৭০ বারের চেয়েও বেশিবার ক্ষমা চাইলে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে, তাহলে আরো বেশি বার ক্ষমা চাইতাম।
এরপর তিনি আবদুল্লাহ বিন উবাই এর জানাযা পড়ালেন এবং তার শবযাত্রায় সঙ্গী হলেন। তারপর তিনি তার কবরে তার শেষ কৃত্য সমাপন পর্যন্ত অবস্থান করলেন। প্রকৃত ব্যাপার তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এসব কাজে আমার দুঃসাহসিক আপত্তি জান্নাতে দেখে বিস্ময়বোধের সৃষ্টি হচ্ছিল। আল্লাহর কসম, এর পর বেশি সময় অতিবাহিত হয়নি। সহসা আয়াত নাযিল হলোঃ ..“আপনি তাদের কারো জানাযা পড়বেন না এবং কবরে দাঁড়াবেন না। তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করেছিল এবং অবাধ্য থাকা অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেছিল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় ইন্তিকাল পর্যন্ত আর কখনো কোন মুনাফিকের জানাযা পড়েননি এবং তার কবরেও দাঁড়াননি।[১]
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللهِ بْنُ أُبَيٍّ، دُعِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلصَّلاةِ عَلَيْهِ، فَقَامَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا وَقَفَ عَلَيْهِ يُرِيدُ الصَّلاةَ تَحَوَّلْتُ حَتَّى قُمْتُ فِي صَدْرِهِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أَعَلَى عَدُوِّ اللهِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أُبَيٍّ الْقَائِلِ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا - يُعَدِّدُ أَيَّامَهُ - قَالَ: وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَبَسَّمُ، حَتَّى إِذَا أَكْثَرْتُ عَلَيْهِ، قَالَ: " أَخِّرْ عَنِّي يَا عُمَرُ، إِنِّي خُيِّرْتُ فَاخْتَرْتُ، قَدْ قِيلَ (اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لَا تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ) [التوبة: ٨٠] ، لَوْ أَعْلَمُ أَنِّي إِنْ زِدْتُ عَلَى السَّبْعِينَ غُفِرَ لَهُ لَزِدْتُ. قَالَ: ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهِ، وَمَشَى مَعَهُ، فَقَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى فُرِغَ مِنْه قَالَ: فَعَجَبٌ لِي وَجَرَاءَتِي عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: فَوَاللهِ مَا كَانَ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى نَزَلَتْ هَاتَانِ الْآيَتَانِ: (وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ إِنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَاتُوا وَهُمْ فَاسِقُونَ) ، فَمَا صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَهُ عَلَى مُنَافِقٍ، وَلا قَامَ عَلَى قَبْرِهِ حَتَّى قَبَضَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إسناده حسن، رجاله ثقات رجال الشيخين غير ابن إسحاق، وهو حسن الحديث، وقد صرح هنا بالتحديث وأخرجه عبد بن حميد (19) ، وعنه الترمذي (3097) عن يعقوب بن إبراهيم، بهذا الإسناد وأخرجه البزار (193) ، والطبري 10 / 205، وابن حبان (3176) من طرق عن ابن إسحاق، به وأخرجه البخاري (1366) و (4671) ، والنسائي في " المجتبى " 4 / 67، وفي " الكبرى " (11225) من طريق عقيل بن خالد، عن الزهري، به