পরিচ্ছেদঃ ৫৮/১. জিম্মীদের নিকট থেকে জিযইয়াহ গ্রহণ এবং হারবীদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি।
وقول الله تعالى) قَاتِلُوا الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْأٰخِرِ وَلَا يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُوْلُه وَلَا يُدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِيْنَ أُوْتُوا الْكِتَابَ حَتّٰى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَّدٍ وَهُمْ صَاغِرُوْنَ(
يَعْنِيْ أَذِلَّاءُ وَالْمَسْكَنَةُ مَصْدَرُ الْمِسْكِيْنِ فُلَانٌ أَسْكَنُ مِنْ فُلَانٍ أَحْوَجُ مِنْهُ وَلَمْ يَذْهَبْ إِلَى السُّكُوْنِ وَمَا جَاءَ فِيْ أَخْذِ الْجِزْيَةِ مِنْ الْيَهُوْدِ وَالنَّصَارَى وَالْمَجُوسِ وَالْعَجَمِ
وَقَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ ابْنِ اَبِيْ نَجِيْحٍ : قُلْتُ لِمُجَاهِدٍ : مَا شَأْنُ أَهْلُ الشَّامِ عَلَيْهِمْ أَرْبَعَةُ دَنَانِيْرَ وَأَهْلُ الْيَمَنِ عَلَيْهِمْ دِيْنَاراً؟ قَالَ : جَعَلَ ذَلِكَ مِنْ قِبَلِ الْيَسَارِ.
আর আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ তোমরা যুদ্ধ করতে থাক আহলে কিতাবের ঐ লোকদের বিরুদ্ধে, যারা ঈমান আনে না আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম কওেছেন তা হারাম বলে মনে কওে না, এবং যাদেরকে কিতাব দান করা হয়েছে তাদের মধ্যে যারা অনুসরণ করে না প্রকৃত সত্য দ্বীন, যে পর্যন্ত না তারা বশ্যতা স্বীকার করে স্বহস্তে জিযইয়াহ প্রদান করে। (আত্-তওবা ২৯)
আয়াতে উল্লেখিত الْمِسْكِيْنِ শব্দের মূল হচ্ছে الْمَسْكَنَةُ অর্থ হলো অভাবগ্রস্ত أَسْكَنُ مِنْ فُلَانٍ এর অর্থ সে অমুক হতে অধিক অভাবগ্রস্ত। এ শব্দটি السُّكُوْنِ ধাতু হতে নিষ্পন্ন নয়। ইয়াহূদী, খ্রিস্টান, অগ্নিপূজক ও আজমীদের নিকট হতে জিযইয়াহ গ্রহণ।
ইবনু ‘উইয়াইনাহ (রহ.) (‘আবদুল্লাহ) ইবনু আবূ নাজীহ্ (রহ.) হতে বলেন যে, আমি মুজাহিদ (রহ.)-এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, এর কারণ কি যে, সিরিয়াবাসীদের উপর চার দ্বীনার এবং ইয়ামান বাসীদের উপর এক দ্বীনার করে জিযইয়াহ গ্রহণ করা হয়। তিনি বললেন, তা স্বচ্ছলতার প্রেক্ষিতে ধার্য করা হয়েছে।*
৩১৫৬. ‘আমর (ইবনু দ্বীনার) (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু যায়দ ও ‘আমর ইবনু আউস (রহ.) সহ যমযমের সিঁড়ির নিকট উপবিষ্ট ছিলাম, হিজরী সত্তর সনে যে বছর মুসআব ইবনু যুবায়র (রাঃ) বসরাবাসীদের নিয়ে হাজ্জ আদায় করেছিলেন। তখন বাজালাহ্ তাদের উভয়কে এ হাদীস বর্ণনা করেন, আমি আহনাফের চাচা জাযই ইবনু মু‘আবিয়াহ (রাঃ)-এর লেখক ছিলাম। আমাদের নিকট ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর পক্ষ হতে তাঁর মৃত্যুর এক বছর আগে একখানি পত্র আসে যে, যে সব অগ্নিপূজক মাহরামদের* সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ তাদের আলাদা করে দাও। আর ‘উমার (রাঃ) অগ্নিপূজকদের নিকট হতে জিযইয়াহ গ্রহণ করতেন না। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯২১ প্রথমাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩২ প্রথমাংশ)
بَابُ الْجِزْيَةِ وَالْمُوَادَعَةِ مَعَ أَهْلِ الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْتُ عَمْرًا قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ وَعَمْرِو بْنِ أَوْسٍ فَحَدَّثَهُمَا بَجَالَةُ سَنَةَ سَبْعِيْنَ عَامَ حَجَّ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ بِأَهْلِ الْبَصْرَةِ عِنْدَ دَرَجِ زَمْزَمَ قَالَ كُنْتُ كَاتِبًا لِّجَزْءِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَمِّ الأَحْنَفِ فَأَتَانَا كِتَابُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَبْلَ مَوْتِهِ بِسَنَةٍ فَرِّقُوْا بَيْنَ كُلِّ ذِيْ مَحْرَمٍ مِنْ الْمَجُوسِ وَلَمْ يَكُنْ عُمَرُ أَخَذَ الْجِزْيَةَ مِنْ الْمَجُوسِ
Narrated `Amr bin Dinar:
I was sitting with Jabir bin Zaid and `Amr bin Aus, and Bjalla was narrating to them in 70 A.H. the year when Mus`ab bin Az-Zubair was the leader of the pilgrims of Basra. We were sitting at the steps of Zamzam well and Bajala said, "I was the clerk of Juz bin Muawiya, Al-Ahnaf's paternal uncle. A letter came from `Umar bin Al-Khattab one year before his death; and it was read:-- "Cancel every marriage contracted among the Magians between relatives of close kinship (marriages that are regarded illegal in Islam: a relative of this sort being called Dhu-Mahram.)" `Umar did not take the Jizya from the Magian infidels
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/১. জিম্মীদের নিকট থেকে জিযইয়াহ গ্রহণ এবং হারবীদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি।
৩১৫৭. যে পর্যন্ত না ‘আবদুর রহমান ইবনু আউফ (রাঃ) এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিলেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজার এলাকার অগ্নিপূজকদের নিকট হতে তা গ্রহণ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯২১ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩২ শেষাংশ)
بَابُ الْجِزْيَةِ وَالْمُوَادَعَةِ مَعَ أَهْلِ الْحَرْبِ
. حَتَّى شَهِدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا مِنْ مَجُوسِ هَجَرَ
till `Abdur-Rahman bin `Auf testified that Allah's Messenger (ﷺ) had taken the Jizya from the Magians of Hajar.
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/১. জিম্মীদের নিকট থেকে জিযইয়াহ গ্রহণ এবং হারবীদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি।
৩১৫৮. মিস্ওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘আমর ইবনু আউফ আনসারী (রাঃ) যিনি বনী আমির ইবনু লুয়াইয়ের মিত্র ছিলেন এবং বদর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তিনি তাঁকে বলেছেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ ‘উবাইদাহ ইবনু জাররাহ (রাঃ)-কে বাহরাইনের জিযইয়াহ আদায় করার জন্য পাঠালেন। আর রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনবাসীদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন এবং আলা ইবনু হাযরামী (রাঃ)-কে তাদের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। আবূ ‘উবাইদাহ (রাঃ) বাহরাইন হতে অর্থ সম্পদ নিয়ে এলেন। আনসারগণ আবূ ‘উবাইদাহর আগমন বার্তা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ফজরের সালাতে সবাই হাযির হলেন। যখন আল্লাহর রাসূল তাঁদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করে ফিরলেন, তখন তারা তাঁর সামনে হাযির হলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দেখে মুচকি হাসলেন এবং বললেন, আমার মনে হয় তোমরা শুনেছ, আবূ ‘উবাইদাহ (রাঃ) কিছু নিয়ে এসেছেন। তারা বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং যা তোমাদের খুশী করে তার আকাঙ্ক্ষা রাখ। আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের ব্যাপারে দারিদ্রের ভয় করি না। কিন্তু তোমাদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা করি যে, তোমাদের উপর দুনিয়া এরূপ প্রসারিত হয়ে পড়বে যেমন তোমাদের অগ্রবর্তীদের উপর প্রসারিত হয়েছিল। আর তোমরাও দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে, যেমন তারা আকৃষ্ট হয়েছিল। আর তা তোমাদের বিনাশ করবে, যেমন তাদের বিনাশ করেছে।’ (মুসলিম ৫৩ হাঃ ২৯৬১, আহমাদ ১৭২৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩৩)
بَابُ الْجِزْيَةِ وَالْمُوَادَعَةِ مَعَ أَهْلِ الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ الأَنْصَارِيَّ وَهُوَ حَلِيْفٌ لِبَنِيْ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِيْ بِجِزْيَتِهَا وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ فَقَدِمَ أَبُوْ عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنْ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتْ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِيْ عُبَيْدَةَ فَوَافَتْ صَلَاةَ الصُّبْحِ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا صَلَّى بِهِمْ الْفَجْرَ انْصَرَفَ فَتَعَرَّضُوْا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ رَآهُمْ وَقَالَ أَظُنُّكُمْ قَدْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدْ جَاءَ بِشَيْءٍ قَالُوْا أَجَلْ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ فَأَبْشِرُوْا وَأَمِّلُوْا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَاللهِ لَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ وَلَكِنْ أَخَشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمْ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوْهَا كَمَا تَنَافَسُوْهَا وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ
Narrated `Amr bin `Auf Al-Ansari:
(who was an ally of Bam `Amr bin Lu'ai and one of those who had taken part in (the Ghazwa of) Badr): Allah's Messenger (ﷺ) sent Abu 'Ubaida bin Al-Jarreh to Bahrain to collect the Jizya. Allah's Messenger (ﷺ) had established peace with the people of Bahrain and appointed Al-`Ala' bin Al-Hadrami as their governor. When Abu 'Ubaida came from Bahrain with the money, the Ansar heard of Abu 'Ubaida's arrival which coincided with the time of the morning prayer with the Prophet. When Allah's Messenger (ﷺ) led them in the morning prayer and finished, the Ansar approached him, and he looked at them and smiled on seeing them and said, "I feel that you have heard that Abu. 'Ubaida has brought something?" They said, "Yes, O Allah's Messenger (ﷺ)' He said, "Rejoice and hope for what will please you! By Allah, I am not afraid of your poverty but I am afraid that you will lead a life of luxury as past nations did, whereupon you will compete with each other for it, as they competed for it, and it will destroy you as it destroyed them."
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/১. জিম্মীদের নিকট থেকে জিযইয়াহ গ্রহণ এবং হারবীদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি।
৩১৫৯. জুবাইর ইবনু হাইয়াহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন বড় বড় শহরের দিকে সৈন্য দল প্রেরণ করলেন। সে সময় হুরমযান ইসলাম গ্রহণ করে। ‘উমার (রাঃ) তাঁকে বললেন, আমি এসব যুদ্ধের ব্যাপারে তোমার পরামর্শ গ্রহণ করতে চাই। তিনি বললেন, ঠিক আছে। এ সকল দেশ এবং দেশে মুসলিমদের দুশমন যে সব লোক বাস করছে, তাদের দৃষ্টান্ত একটি পাখির মত, যার একটি মাথা, দু’টি ডানা ও দু’টি পা রয়েছে। যদি একটি ডানা ভেঙ্গে দেয়া হয়, তবে সে পাখিটি উভয় পা, একটি ডানা ও মাথার ভরে উঠে দাঁড়াবে। যদি অপর ডানা ভেঙ্গে দেয়া হয়, তবে সে দু’টি পা ও মাথার ভরে উঠে দাঁড়াবে। আর যদি মাথা ভেঙ্গে দেয়া হয়, তবে উভয় পা, উভয় ডানা ও মাথা সবই অকেজো হয়ে যাবে। কিসরা শত্রুদের মাথা, কায়সার হল একটি ডানা, আর পারস্য অপর একটি ডানা। কাজেই মুসলিমগণকে এ আদেশ করুন, তারা যেন কিসরার উপর হামলা করে।
বাকর ও যিয়াদ (রহ.) উভয়ে যুবাইর ইবনু হাইয়াহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, অতঃপর ‘উমার (রাঃ) আমাদের ডাকলেন আর আমাদের উপর নু‘মান ইবনু মুকাররিনকে আমীর নিযুক্ত করেন। আমরা যখন শত্রু দেশে পৌঁছলাম, কিসরার এক সেনাপতি চল্লিশ হাজার সৈন্য নিয়ে আমাদের মুকাবিলায় আসল। তখন তার পক্ষ হতে একজন দোভাষী দাঁড়িয়ে বলল, তোমাদের মধ্য থেকে একজন আমার সঙ্গে আলোচনা করুক। তখন মুগীরাহ (ইবনু শু‘বাহ) (রাঃ) বললেন, যা ইচ্ছা প্রশ্ন করতে পার। সে বলল, তোমরা কারা? তিনি বললেন, আমরা আরবের লোক। দীর্ঘ দিন আমরা অতিশয় দুর্ভাগ্য এবং কঠিন বিপদে ছিলাম। ক্ষুধার জ্বালায় আমরা চামড়া ও খেজুর গুটি চুষতাম। চুল ও পশম পরিধান করতাম। বৃক্ষ ও পাথর পূজা করতাম। আমরা যখন এ অবস্থায় পতিত তখন আসমান ও যমীনের প্রতিপালক আমাদের মধ্য হতে আমাদের নিকট একজন নবী পাঠালেন। তাঁর পিতা-মাতাকে আমরা চিনি। আমাদের নবী ও আমাদের রবের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন, যে পর্যন্ত না তোমরা এক আল্লাহ্ তা‘আলার ‘ইবাদাত কর কিংবা জিযইয়াহ দাও। আর আমাদের নবী আমাদের রবের পক্ষ হতে আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, আমাদের মধ্য হতে যে নিহত হবে, সে জান্নাতে এমন নি‘মাত লাভ করবে, যা কখনো দেখা যায়নি। আর আমাদের মধ্য হতে যারা জীবিত থাকবে তোমাদের গর্দানের মালিক হবে। (৭৫৩০) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩৪)
بَابُ الْجِزْيَةِ وَالْمُوَادَعَةِ مَعَ أَهْلِ الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ يَعْقُوْبَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْمُزَنِيُّ وَزِيَادُ بْنُ جُبَيْرٍ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ حَيَّةَ قَالَ بَعَثَ عُمَرُ النَّاسَ فِيْ أَفْنَاءِ الأَمْصَارِ يُقَاتِلُوْنَ الْمُشْرِكِيْنَ فَأَسْلَمَ الْهُرْمُزَانُ فَقَالَ إِنِّيْ مُسْتَشِيْرُكَ فِيْ مَغَازِيَّ هَذِهِ قَالَ نَعَمْ مَثَلُهَا وَمَثَلُ مَنْ فِيْهَا مِنْ النَّاسِ مِنْ عَدُوِّ الْمُسْلِمِيْنَ مَثَلُ طَائِرٍ لَهُ رَأْسٌ وَلَهُ جَنَاحَانِ وَلَهُ رِجْلَانِ فَإِنْ كُسِرَ أَحَدُ الْجَنَاحَيْنِ نَهَضَتْ الرِّجْلَانِ بِجَنَاحٍ وَالرَّأْسُ فَإِنْ كُسِرَ الْجَنَاحُ الْآخَرُ نَهَضَتْ الرِّجْلَانِ وَالرَّأْسُ وَإِنْ شُدِخَ الرَّأْسُ ذَهَبَتْ الرِّجْلَانِ وَالْجَنَاحَانِ وَالرَّأْسُ فَالرَّأْسُ كِسْرَى وَالْجَنَاحُ قَيْصَرُ وَالْجَنَاحُ الْآخَرُ فَارِسُ فَمُرْ الْمُسْلِمِيْنَ فَلْيَنْفِرُوْا إِلَى كِسْرَى
وَقَالَ بَكْرٌ وَزِيَادٌ جَمِيْعًا عَنْ جُبَيْرِ بْنِ حَيَّةَ قَالَ فَنَدَبَنَا عُمَرُ وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْنَا النُّعْمَانَ بْنَ مُقَرِّنٍ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِأَرْضِ الْعَدُوِّ وَخَرَجَ عَلَيْنَا عَامِلُ كِسْرَى فِيْ أَرْبَعِيْنَ أَلْفًا فَقَامَ تَرْجُمَانٌ فَقَالَ لِيُكَلِّمْنِيْ رَجُلٌ مِنْكُمْ فَقَالَ الْمُغِيْرَةُ سَلْ عَمَّا شِئْتَ قَالَ مَا أَنْتُمْ قَالَ نَحْنُ أُنَاسٌ مِنْ الْعَرَبِ كُنَّا فِيْ شَقَاءٍ شَدِيْدٍ وَبَلَاءٍ شَدِيْدٍ نَمَصُّ الْجِلْدَ وَالنَّوَى مِنْ الْجُوعِ وَنَلْبَسُ الْوَبَرَ وَالشَّعَرَ وَنَعْبُدُ الشَّجَرَ وَالْحَجَرَ فَبَيْنَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الأَرَضِيْنَ تَعَالَى ذِكْرُهُ وَجَلَّتْ عَظَمَتُهُ إِلَيْنَا نَبِيًّا مِنْ أَنْفُسِنَا نَعْرِفُ أَبَاهُ وَأُمَّهُ فَأَمَرَنَا نَبِيُّنَا رَسُوْلُ رَبِّنَا صلى الله عليه وسلم أَنْ نُقَاتِلَكُمْ حَتَّى تَعْبُدُوْا اللهَ وَحْدَهُ أَوْ تُؤَدُّوْا الْجِزْيَةَ وَأَخْبَرَنَا نَبِيُّنَا صلى الله عليه وسلم عَنْ رِسَالَةِ رَبِّنَا أَنَّهُ مَنْ قُتِلَ مِنَّا صَارَ إِلَى الْجَنَّةِ فِيْ نَعِيْمٍ لَمْ يَرَ مِثْلَهَا قَطُّ وَمَنْ بَقِيَ مِنَّا مَلَكَ رِقَابَكُمْ
Narrated Jubair bin Haiya:
`Umar sent the Muslims to the great countries to fight the pagans. When Al-Hurmuzan embraced Islam, `Umar said to him. "I would like to consult you regarding these countries which I intend to invade." Al-Hurmuzan said, "Yes, the example of these countries and their inhabitants who are the enemies. of the Muslims, is like a bird with a head, two wings and two legs; If one of its wings got broken, it would get up over its two legs, with one wing and the head; and if the other wing got broken, it would get up with two legs and a head, but if its head got destroyed, then the two legs, two wings and the head would become useless. The head stands for Khosrau, and one wing stands for Caesar and the other wing stands for Faris. So, order the Muslims to go towards Khosrau." So, `Umar sent us (to Khosrau) appointing An-Nu`man bin Muqrin as our commander. When we reached the land of the enemy, the representative of Khosrau came out with forty-thousand warriors, and an interpreter got up saying, "Let one of you talk to me!" Al-Mughira replied, "Ask whatever you wish." The other asked, "Who are you?" Al-Mughira replied, "We are some people from the Arabs; we led a hard, miserable, disastrous life: we used to suck the hides and the date stones from hunger; we used to wear clothes made up of fur of camels and hair of goats, and to worship trees and stones. While we were in this state, the Lord of the Heavens and the Earths, Elevated is His Remembrance and Majestic is His Highness, sent to us from among ourselves a Prophet whose father and mother are known to us. Our Prophet, the Messenger of our Lord, has ordered us to fight you till you worship Allah Alone or give Jizya (i.e. tribute); and our Prophet has informed us that our Lord says:-- "Whoever amongst us is killed (i.e. martyred), shall go to Paradise to lead such a luxurious life as he has never seen, and whoever amongst us remain alive, shall become your master." (Al-Mughira, then blamed An-Nu`man for delaying the attack and)।
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/১. জিম্মীদের নিকট থেকে জিযইয়াহ গ্রহণ এবং হারবীদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি।
৩১৬০. নু‘মান (রহ.) (মুগীরাহকে) বললেন, আপনাকে আল্লাহ তা‘আলা এমন যুদ্ধে রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথী করেছেন আর তিনি আপনাকে লজ্জিত ও অসম্মানিত করেনি আর আমিও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে অনেক যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। তাঁর নিয়ম এ ছিল যে, যদি দিনের পূর্বাহ্নে যুদ্ধ শুরু না করতেন, তবে তিনি বাতাস প্রবাহিত হওয়া এবং সালাতের সময় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩৪ শেষাংশ)
بَابُ الْجِزْيَةِ وَالْمُوَادَعَةِ مَعَ أَهْلِ الْحَرْبِ
فَقَالَ النُّعْمَانُ رُبَّمَا أَشْهَدَكَ اللهُ مِثْلَهَا مَعَ النَّبِيِّ فَلَمْ يُنَدِّمْكَ وَلَمْ يُخْزِكَ وَلَكِنِّيْ شَهِدْتُ الْقِتَالَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا لَمْ يُقَاتِلْ فِيْ أَوَّلِ النَّهَارِ انْتَظَرَ حَتَّى تَهُبَّ الأَرْوَاحُ وَتَحْضُرَ الصَّلَوَاتُ
An-Nu' man said to Al-Mughira, "If you had participated in a similar battle, in the company of Allah's Messenger (ﷺ) he would not have blamed you for waiting, nor would he have disgraced you. But I accompanied Allah's Apostle in many battles and it was his custom that if he did not fight early by daytime, he would wait till the wind had started blowing and the time for the prayer was due (i.e. after midday).
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/২. মুসলিম রাষ্ট্রের ইমাম কোন জনপদের প্রধানের সঙ্গে সন্ধি করলে, তা কি অবশিষ্ট লোকেদের উপরও কার্যকর হবে?
৩১৬১. আবূ হুমাইদ সা‘ঈদী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে তাবুক যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। তখন আয়লাহর অধিপতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য একটি সাদা রং এর খচ্চর হাদিয়া দিল আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চাদর দান করলেন এবং এলাকা তারই জন্য লিখে দিলেন। (১৪৮১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩৫)
بَابُ إِذَا وَادَعَ الْإِمَامُ مَلِكَ الْقَرْيَةِ هَلْ يَكُوْنُ ذَلِكَ لِبَقِيَّتِهِم
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى عَنْ عَبَّاسٍ السَّاعِدِيِّ عَنْ أَبِيْ حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ غَزَوْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَبُوكَ وَأَهْدَى مَلِكُ أَيْلَةَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَغْلَةً بَيْضَاءَ وَكَسَاهُ بُرْدًا وَكَتَبَ لَهُ بِبَحْرِهِمْ
Narrated Abu Humaid As-Saidi:
We accompanied the Prophet (ﷺ) in the Ghazwa of Tabuk and the king of 'Aila presented a white mule and a cloak as a gift to the Prophet. And the Prophet (ﷺ) wrote to him a peace treaty allowing him to keep authority over his country.
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/৩. আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যাদের অঙ্গীকার আছে তাদের ব্যাপারে ওয়াসিয়্যাত।
وَالذِّمَّةُ الْعَهْدُ وَالإِلُّ الْقَرَابَةُ
الذِّمَّةُ শব্দের অর্থ অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি, আর وَالإِلُّ শব্দের অর্থ আত্মীয়তার সম্পর্ক।
৩১৬২. জুয়াইরিয়াহ ইবনু কুদামাহ তামীমী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-কে বললাম, ’হে আমীরুল মুমিনীন! আমাদের কিছু অসীয়্যাত করুন।’ তিনি বললেন, ’আমি তোমাদেরকে আল্লাহর ওয়াদা রক্ষার অসিয়্যত করছি। কারণ তা হল তোমাদের নবীর ওয়াদা এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনের জীবিকা।’ (১৩৯২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯, ২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩৬)
بَابُ الْوَصَاةِ بِأَهْلِ ذِمَّةِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِيْ إِيَاسٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُوْ جَمْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ جُوَيْرِيَةَ بْنَ قُدَامَةَ التَّمِيْمِيَّ قَالَ : سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قُلْنَا أَوْصِنَا يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ قَالَ أُوصِيكُمْ بِذِمَّةِ اللهِ فَإِنَّهُ ذِمَّةُ نَبِيِّكُمْ وَرِزْقُ عِيَالِكُمْ
Narrated Juwairiya bin Qudama at-Tamimi:
We said to `Umar bin Al-Khattab, Jo Chief of the believers! Advise us." He said, "I advise you to fulfill Allah's Convention (made with the Dhimmis) as it is the convention of your Prophet and the source of the livelihood of your dependents (i.e. the taxes from the Dhimmis.) "
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনের জমি হতে যা বন্দোবস্ত দেন এবং বাহরাইনের সম্পদ ও জিযইয়াহ হতে যা দেয়ার ওয়াদা করেন। ফায় ও জিযইয়াহ কাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে?
৩১৬৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনের ভূমি লিখে দেয়ার জন্য আনসারদের ডাকলেন। তখন তাঁরা বললেন, না, আল্লাহর কসম! আমরা সে পর্যন্ত গ্রহণ করব না, যে পর্যন্ত আপনি আমাদের ভাই কুরাইশদের জন্যও একইভাবে লিখে না দেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ সম্পদ তো তাদের জন্য যতক্ষণ আল্লাহ তা‘আলা চাইবেন। কিন্তু তারা সে কথাই বলতে থাকলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার পরে দেখতে পাবে যে, অন্যদেরকে তোমাদের উপর প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তখন তোমরা আমার সঙ্গে হাওযে মিলিত হওয়া পর্যন্ত সবর করবে। (২৩৭৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩৭)
بَابُ مَا أَقْطَعَ النَّبِيُّ مِنْ الْبَحْرَيْنِ وَمَا وَعَدَ مِنْ مَالِ الْبَحْرَيْنِ وَالْجِزْيَةِ وَلِمَنْ يُقْسَمُ الْفَيْءُ وَالْجِزْيَةُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا قَالَ دَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الأَنْصَارَ لِيَكْتُبَ لَهُمْ بِالْبَحْرَيْنِ فَقَالُوْا لَا وَاللهِ حَتَّى تَكْتُبَ لِإِخْوَانِنَا مِنْ قُرَيْشٍ بِمِثْلِهَا فَقَالَ ذَاكَ لَهُمْ مَا شَاءَ اللهُ عَلَى ذَلِكَ يَقُوْلُوْنَ لَهُ قَالَ فَإِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ بَعْدِيْ أَثَرَةً فَاصْبِرُوْا حَتَّى تَلْقَوْنِيْ عَلَى الْحَوْضِ
Narrated Yahya bin Sa`id:
Once the Prophet (ﷺ) called the Ansar in order to grant them part of the land of Bahrain. On that they said, "No! By Allah, we will not accept it unless you grant a similar thing to our Quarries brothers as well." He said, "That will be their's if Allah wishes." But when the Ansar persisted in their request, he said, "After me you will see others given preference over you in this respect (in which case) you should be patient till you meet me at the Tank (of Al-Kauthar).
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনের জমি হতে যা বন্দোবস্ত দেন এবং বাহরাইনের সম্পদ ও জিযইয়াহ হতে যা দেয়ার ওয়াদা করেন। ফায় ও জিযইয়াহ কাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে?
৩১৬৪. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছিলেন, যদি আমার নিকট বাহরাইনের মাল আসে তবে আমি তোমাকে এ পরিমাণ, এ পরিমাণ, এ পরিমাণ দিব। পরে যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন আর বাহরাইনের সম্পদ এসে যায় তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যে ব্যক্তির কোন ওয়াদা থাকে, সে যেন আমার নিকট আসে। তখন আমি তাঁর নিকট গেলাম এবং বললাম, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছিলেন, যদি আমার নিকট বাহরাইনের সম্পদ আসে, তবে আমি তোমাকে এ পরিমাণ, এ পরিমাণ ও এ পরিমাণ দিব। আবূ বকর (রাঃ) আমাকে বললেন, তুমি অঞ্জলি ভরে নাও। আমি এক অঞ্জলি উঠালাম। তিনি আমাকে বললেন, এগুলো গুণে দেখ। আমি গুণে দেখলাম যে, তাতে পাঁচশ রয়েছে। তখন তিনি আমাকে এক হাজার পাঁচশ দিলেন। (২২৯৬) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩৮ প্রথমাংশ)
بَابُ مَا أَقْطَعَ النَّبِيُّ مِنْ الْبَحْرَيْنِ وَمَا وَعَدَ مِنْ مَالِ الْبَحْرَيْنِ وَالْجِزْيَةِ وَلِمَنْ يُقْسَمُ الْفَيْءُ وَالْجِزْيَةُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ قَالَ أَخْبَرَنِيْ رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِيْ لَوْ قَدْ جَاءَنَا مَالُ الْبَحْرَيْنِ قَدْ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا فَلَمَّا قُبِضَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَجَاءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ قَالَ أَبُوْ بَكْرٍ مَنْ كَانَتْ لَهُ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم عِدَةٌ فَلْيَأْتِنِيْ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ كَانَ قَالَ لِيْ لَوْ قَدْ جَاءَنَا مَالُ الْبَحْرَيْنِ لَاعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا فَقَالَ لِيْ احْثُهُ فَحَثَوْتُ حَثْيَةً فَقَالَ لِيْ عُدَّهَا فَعَدَدْتُهَا فَإِذَا هِيَ خَمْسُ مِائَةٍ فَأَعْطَانِيْ أَلْفًا وَخَمْسَ مِائَةٍ
Narrated Jabir bin `Abdullah:
Allah's Messenger (ﷺ) once said to me, "If the revenue of Bahrain came, I would give you this much and this much." When Allah's Messenger (ﷺ) had died, the revenue of Bahrain came, and Abu Bakr announced, " Let whoever was promised something by Allah's Messenger (ﷺ) come to me." So, I went to Abu Bakr and said, "Allah's Messenger (ﷺ) said to me, 'If the revenue of Bahrain came, I would give you this much and this. much." On that Abu Bakr said to me, "Scoop (money) with both your hands." I scooped money with both my hands and Abu Bakr asked me to count it. I counted it and it was five-hundred (gold pieces). The total amount he gave me was one thousand and five hundred (gold pieces.)
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনের জমি হতে যা বন্দোবস্ত দেন এবং বাহরাইনের সম্পদ ও জিযইয়াহ হতে যা দেয়ার ওয়াদা করেন। ফায় ও জিযইয়াহ কাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে?
৩১৬৫. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বাহরাইনের মাল এলো। তখন তিনি বললেন, তোমরা এগুলো মসজিদে ঢেলে দাও আর এ মাল এর আগে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসা মালের থেকে অনেক অধিক ছিল। এ সময় ‘আব্বাস (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে দান করুন। আমি আমার এবং আকীলের মুক্তিপণ দিয়েছি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আচ্ছা নাও। তিনি তার কাপড়ে অঞ্জলি ভরে নিতে লাগলেন। অতঃপর তা উঠাতে চাইলেন কিন্তু উঠাতে পারলেন না। তখন তিনি বললেন, কাউকে আমার উপর এ বোঝা উঠিয়ে দিতে বলুন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। তখন তিনি বললেন, আচ্ছা আপনিই আমার উপর উঠিয়ে দিন। রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। তিনি তা হতে কিছু কম করলেন এবং উঠাতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু উঠাতে পারলের না। অতঃপর বললেন, কাউকে আমার উপর বোঝাটি উঠিয়ে দিতে বলুন। তিনি বললেন, না। তখন ‘আব্বাস (রাঃ) বললেন, আপনিই একটু আমার উপর উঠিয়ে দিন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। অতঃপর তিনি আবার তা হতে কমালেন, অতঃপর কাঁধে উঠিয়ে রওনা হলেন। তাঁর এ আসক্তি দেখে বিস্ময়ের সাথে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকিয়ে থাকলেন, যতক্ষণ না তিনি আমাদের দৃষ্টির আড়াল হলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে স্থানে একটি দিরহাম থাকা পর্যন্ত সেখান হতে উঠে দাঁড়াননি। (৪২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩৮ শেষাংশ)
بَابُ مَا أَقْطَعَ النَّبِيُّ مِنْ الْبَحْرَيْنِ وَمَا وَعَدَ مِنْ مَالِ الْبَحْرَيْنِ وَالْجِزْيَةِ وَلِمَنْ يُقْسَمُ الْفَيْءُ وَالْجِزْيَةُ
وَقَالَ إِبْرَاهِيْمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيْزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ أُتِيَ النَّبِيُّ بِمَالٍ مِنْ الْبَحْرَيْنِ فَقَالَ انْثُرُوْهُ فِي الْمَسْجِدِ فَكَانَ أَكْثَرَ مَالٍ أُتِيَ بِهِ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ الْعَبَّاسُ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَعْطِنِيْ إِنِّيْ فَادَيْتُ نَفْسِيْ وَفَادَيْتُ عَقِيْلًا قَالَ خُذْ فَحَثَا فِيْ ثَوْبِهِ ثُمَّ ذَهَبَ يُقِلُّهُ فَلَمْ يَسْتَطِعْ فَقَالَ أْمُرْ بَعْضَهُمْ يَرْفَعْهُ إِلَيَّ قَالَ لَا قَالَ فَارْفَعْهُ أَنْتَ عَلَيَّ قَالَ لَا فَنَثَرَ مِنْهُ ثُمَّ ذَهَبَ يُقِلُّهُ فَلَمْ يَرْفَعْهُ فَقَالَ فَمُرْ بَعْضَهُمْ يَرْفَعْهُ عَلَيَّ قَالَ لَا قَالَ فَارْفَعْهُ أَنْتَ عَلَيَّ قَالَ لَا فَنَثَرَ مِنْهُ ثُمَّ احْتَمَلَهُ عَلَى كَاهِلِهِ ثُمَّ انْطَلَقَ فَمَا زَالَ يُتْبِعُهُ بَصَرَهُ حَتَّى خَفِيَ عَلَيْنَا عَجَبًا مِنْ حِرْصِهِ فَمَا قَامَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَثَمَّ مِنْهَا دِرْهَمٌ
Narrated Anas: Money from Bahrain was brought to the Prophet (ﷺ) . He said, "Spread it in the Mosque." It was the biggest amount that had ever been brought to Allah's Messenger (ﷺ) . In the meantime Al-`Abbas came to him and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Give me, for I gave the ransom of myself and `Aqil." The Prophet said (to him), "Take." He scooped money with both hands and poured it in his garment and tried to lift it, but he could not and appealed to the Prophet, "Will you order someone to help me in lifting it?" The Prophet (ﷺ) said, "No." Then Al-`Abbas said, "Then will you yourself help me carry it?" The Prophet (ﷺ) said, "No." Then Al `Abbas threw away some of the money, but even then he was not able to lift it, and so he gain requested the Prophet (ﷺ) "Will you order someone to help me carry it?" The Prophet said, "No." Then Al-`Abbas said, "Then will you yourself yelp me carry it?" The Prophet (ﷺ) said, 'No." So, Al-`Abbas threw away some more money and lifted it on his shoulder and went away. The Prophet (ﷺ) kept on looking at him with astonishment at his greediness till he went out of our sight. Allah's Messenger (ﷺ) did not get up from there till not a single Dirham remained from that money.
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/৫. নিরপরাধ জিম্মী হত্যার পাপ।
৩১৬৬. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন জিম্মীকে কতল করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না। যদিও জান্নাতের ঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দূরত্ব হতে পাওয়া যাবে।’ (৬৯১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৩৯)
بَابُ إِثْمِ مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا بِغَيْرِ جُرْمٍ
حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا مُجَاهِدٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا لَمْ يَرِحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ وَإِنَّ رِيْحَهَا تُوْجَدُ مِنْ مَسِيْرَةِ أَرْبَعِيْنَ عَامًا
Narrated `Abdullah bin `Amr:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever killed a person having a treaty with the Muslims, shall not smell the smell of Paradise though its smell is perceived from a distance of forty years."
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/৬. আরব উপদ্বীপ হতে ইয়াহুদীদের বহিষ্করণ।
وَقَالَ عُمَرُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُقِرُّكُمْ مَا أَقَرَّكُمْ اللهُ بِهِ
‘উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, যতদিন আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের এখানে রাখেন, ততদিন আমি তোমাদের এখানে রাখব।
৩১৬৭. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা মসজিদে নববীতে উপবিষ্ট ছিলাম। এ সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন এবং বললেন, তোমরা ইয়াহূদীদের কাছে চল। আমরা চললাম এবং তাদের পাঠকেন্দ্রে পৌঁছলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উদ্দেশে বললেন, তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর, তাহলে নিরাপত্তা পাবে আর জেনে রাখ, পৃথিবী আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের। আমি ইচ্ছা করেছি, আমি তোমাদের এ দেশ হতে নির্বাসিত করব। যদি তোমাদের কেউ তাদের মালের বিনিময়ে কিছু পায়, তবে সে যেন তা বিক্রি করে ফেলে। আর জেনে রাখ, পৃথিবী আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের। (৬৯৪৪, ৭৩৪৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৪০)
بَابُ إِخْرَاجِ الْيَهُوْدِ مِنْ جَزِيْرَةِ الْعَرَبِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ سَعِيْدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ فِي الْمَسْجِدِ خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ انْطَلِقُوْا إِلَى يَهُوْدَ فَخَرَجْنَا حَتَّى جِئْنَا بَيْتَ الْمِدْرَاسِ فَقَالَ أَسْلِمُوْا تَسْلَمُوْا وَاعْلَمُوْا أَنَّ الأَرْضَ لِلهِ وَرَسُوْلِهِ وَإِنِّيْ أُرِيْدُ أَنْ أُجْلِيَكُمْ مِنْ هَذِهِ الأَرْضِ فَمَنْ يَجِدْ مِنْكُمْ بِمَالِهِ شَيْئًا فَلْيَبِعْهُ وَإِلَّا فَاعْلَمُوْا أَنَّ الأَرْضَ لِلهِ وَرَسُوْلِهِ
Narrated Abu Huraira:
While we were in the Mosque, the Prophet (ﷺ) came out and said, "Let us go to the Jews" We went out till we reached Bait-ul-Midras. He said to them, "If you embrace Islam, you will be safe. You should know that the earth belongs to Allah and His Apostle, and I want to expel you from this land. So, if anyone amongst you owns some property, he is permitted to sell it, otherwise you should know that the Earth belongs to Allah and His Apostle."
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/৬. আরব উপদ্বীপ হতে ইয়াহুদীদের বহিষ্করণ।
৩১৬৮. সা‘ঈদ ইবনু জুবাইর (রহ.) হতে বর্ণিত যে, তিনি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ বৃহস্পতিবার! তুমি জান কি বৃহস্পতিবার কেমন দিন? এ বলে তিনি এমনভাবে কাঁদলেন যে, তাঁর অশ্রুতে কঙ্কর ভিজে গেল। আমি বললাম, হে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)! বৃহস্পতিবার দিন কী হয়েছিল? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগকষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, আমার নিকট গর্দানের হাড় নিয়ে এস, আমি তোমাদের জন্য এমন একটি লিপি লিখে দিব অতঃপর তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তখন উপস্থিত সাহাবীগণের বাদানুবাদ হল। অথচ নবীর সামনে বাদানুবাদ করা শোভনীয় নয়। সাহাবীগণ বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কী হয়েছে? তিনি কি বলতে ভুলে গেলেন? তোমরা আবার জিজ্ঞেস করে দেখ। তখন তিনি বললেন, আমাকে ছেড়ে দাও। আমি যে অবস্থায় আছি, তা তোমরা আমাকে যেদিকে ডাকছ তার চেয়ে উত্তম। অতঃপর তিনি তাঁদের তিনটি বিষয়ে আদেশ দিলেন। (১) মুশরিকদের আরব উপদ্বীপ হতে বের করে দিবে, (২) বহিরাগত প্রতিনিধিদের সেভাবে উপঢৌকন দিবে যেভাবে আমি তাদের দিতাম। তৃতীয়টি উত্তম ছিল হয়ত তিনি সে ব্যাপারে নীরব থেকেছেন, নতুবা তিনি বলেছিলেন, আমি ভুলে গিয়েছি। সুফ্ইয়ান (রহ.) বলেন, এই উক্তিটি বর্ণনাকারী সুলাইমান (রহ.)-এর। (১১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৪১)
بَابُ إِخْرَاجِ الْيَهُوْدِ مِنْ جَزِيْرَةِ الْعَرَبِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِيْ مُسْلِمٍ الأَحْوَلِ سَمِعَ سَعِيْدَ بْنَ جُبَيْرٍ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَقُوْلُ يَوْمُ الْخَمِيْسِ وَمَا يَوْمُ الْخَمِيْسِ ثُمَّ بَكَى حَتَّى بَلَّ دَمْعُهُ الْحَصَى قُلْتُ يَا أَبَا عَبَّاسٍ مَا يَوْمُ الْخَمِيْسِ قَالَ اشْتَدَّ بِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَجَعُهُ فَقَالَ ائْتُوْنِيْ بِكَتِفٍ أَكْتُبْ لَكُمْ كِتَابًا لَا تَضِلُّوْا بَعْدَهُ أَبَدًا فَتَنَازَعُوْا وَلَا يَنْبَغِيْ عِنْدَ نَبِيٍّ تَنَازُعٌ فَقَالُوْا مَا لَهُ أَهَجَرَ اسْتَفْهِمُوْهُ فَقَالَ ذَرُونِيْ فَالَّذِيْ أَنَا فِيْهِ خَيْرٌ مِمَّا تَدْعُوْنَنِيْ إِلَيْهِ فَأَمَرَهُمْ بِثَلَاثٍ قَالَ أَخْرِجُوْا الْمُشْرِكِيْنَ مِنْ جَزِيْرَةِ الْعَرَبِ وَأَجِيْزُوْا الْوَفْدَ بِنَحْوِ مَا كُنْتُ أُجِيْزُهُمْ وَالثَّالِثَةُ خَيْرٌ إِمَّا أَنْ سَكَتَ عَنْهَا وَإِمَّا أَنْ قَالَهَا فَنَسِيْتُهَا قَالَ سُفْيَانُ هَذَا مِنْ قَوْلِ سُلَيْمَانَ
Narrated Sa`id bin Jubair:
that he heard Ibn `Abbas saying, "Thursday! And you know not what Thursday is? After that Ibn `Abbas wept till the stones on the ground were soaked with his tears. On that I asked Ibn `Abbas, "What is (about) Thursday?" He said, "When the condition (i.e. health) of Allah's Messenger (ﷺ) deteriorated, he said, 'Bring me a bone of scapula, so that I may write something for you after which you will never go astray.'The people differed in their opinions although it was improper to differ in front of a prophet, They said, 'What is wrong with him? Do you think he is delirious? Ask him (to understand). The Prophet (ﷺ) replied, 'Leave me as I am in a better state than what you are asking me to do.' Then the Prophet (ﷺ) ordered them to do three things saying, 'Turn out all the pagans from the Arabian Peninsula, show respect to all foreign delegates by giving them gifts as I used to do.' " The sub-narrator added, "The third order was something beneficial which either Ibn `Abbas did not mention or he mentioned but I forgot.'
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/৭. মুশরিকরা মুসলিমদের সাথে গাদ্দারী করলে তাদের কি ক্ষমা করা হবে?
৩১৬৯. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন খায়বার বিজিত হয়, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একটি (ভুনা) বকরী হাদিয়া দেয়া হয়; যাতে বিষ ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ দিলেন যে, এখানে যত ইয়াহূদী আছে, সকলকে একত্র কর। তাদের সকলকে তাঁর সামনে একত্র করা হল। তখন তিনি বললেন, আমি তোমাদের একটি প্রশ্ন করব। তোমরা কি আমাকে তার সত্য উত্তর দিবে?’ তারা বলল, ‘হ্যাঁ, সত্য উত্তর দিব।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের পিতা কে?’ তারা বলল, ‘অমুক।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তোমরা মিথ্যা বলেছ, বরং তোমাদের পিতা অমুক।’ তারা বলল, ‘আপনিই ঠিক বলেছেন।’ তখন তিনি বললেন, ‘আমি যদি তোমাদের একটি প্রশ্ন করি, তোমরা কি তার সঠিক উত্তর দিবে?’ তারা বলল, ‘হ্যাঁ, দিব, হে আবুল কাসিম! আর যদি আমরা মিথ্যা বলি, তবে আপনি আমাদের মিথ্যা ধরে ফেলবেন, যেমন আমাদের পিতা সম্পর্কে আমাদের মিথ্যা ধরে ফেলেছেন।’ তখন তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘কারা জাহান্নামবাসী?’ তারা বলল, ‘আমরা তথায় অল্প কিছু দিন অবস্থান করব, অতঃপর আপনারা আমাদের পেছনে সেখানে থেকে যাবেন।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘দূর হও, তোমরাই সেখানে থাকবে। আল্লাহর কসম! আমরা কখনো তাতে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত হব না।’ অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমি যদি তোমাদের একটি প্রশ্ন করি, তোমরা কি তার সঠিক উত্তর দিবে?’ তারা বলল, ‘হ্যাঁ, হে আবুল কাসিম!’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কি এ বকরীটিতে বিষ মিশিয়েছ? তারা বলল, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘কিসে তোমাদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করল?’ তারা বলল, ‘আমরা চেয়েছি আপনি যদি মিথ্যাচারী হন, তবে আমরা আপনার নিকট হতে স্বস্তি লাভ করব। আর আপনি যদি নবী হন তবে তা আপনার কোন ক্ষতি করবে না।’ (৪২৪৯, ৫৭৭৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৪২)
بَابُ إِذَا غَدَرَ الْمُشْرِكُوْنَ بِالْمُسْلِمِيْنَ هَلْ يُعْفَى عَنْهُمْ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ سَعِيْدُ بْنُ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ لَمَّا فُتِحَتْ خَيْبَرُ أُهْدِيَتْ لِلنَّبِيِّ شَاةٌ فِيْهَا سُمٌّ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اجْمَعُوْا إِلَيَّ مَنْ كَانَ هَا هُنَا مِنْ يَهُوْدَ فَجُمِعُوْا لَهُ فَقَالَ إِنِّيْ سَائِلُكُمْ عَنْ شَيْءٍ فَهَلْ أَنْتُمْ صَادِقِيَّ عَنْهُ فَقَالُوْا نَعَمْ قَالَ لَهُمْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَبُوكُمْ قَالُوْا فُلَانٌ فَقَالَ كَذَبْتُمْ بَلْ أَبُوكُمْ فُلَانٌ قَالُوْا صَدَقْتَ قَالَ فَهَلْ أَنْتُمْ صَادِقِيَّ عَنْ شَيْءٍ إِنْ سَأَلْتُ عَنْهُ فَقَالُوْا نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ وَإِنْ كَذَبْنَا عَرَفْتَ كَذِبَنَا كَمَا عَرَفْتَهُ فِيْ أَبِيْنَا فَقَالَ لَهُمْ مَنْ أَهْلُ النَّارِ قَالُوْا نَكُوْنُ فِيْهَا يَسِيْرًا ثُمَّ تَخْلُفُوْنَا فِيْهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اخْسَئُوْا فِيْهَا وَاللهِ لَا نَخْلُفُكُمْ فِيْهَا أَبَدًا ثُمَّ قَالَ هَلْ أَنْتُمْ صَادِقِيَّ عَنْ شَيْءٍ إِنْ سَأَلْتُكُمْ عَنْهُ فَقَالُوْا نَعَمْ يَا أَبَا الْقَاسِمِ قَالَ هَلْ جَعَلْتُمْ فِيْ هَذِهِ الشَّاةِ سُمًّا قَالُوْا نَعَمْ قَالَ مَا حَمَلَكُمْ عَلَى ذَلِكَ قَالُوْا أَرَدْنَا إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا نَسْتَرِيْحُ وَإِنْ كُنْتَ نَبِيًّا لَمْ يَضُرَّكَ
Narrated Abu Huraira:
When Khaibar was conquered, a roasted poisoned sheep was presented to the Prophet (ﷺ) as a gift (by the Jews). The Prophet (ﷺ) ordered, "Let all the Jews who have been here, be assembled before me." The Jews were collected and the Prophet (ﷺ) said (to them), "I am going to ask you a question. Will you tell the truth?" They said, "Yes." The Prophet (ﷺ) asked, "Who is your father?" They replied, "So-and-so." He said, "You have told a lie; your father is so-and-so." They said, "You are right." He said, "Will you now tell me the truth, if I ask you about something?" They replied, "Yes, O Abu Al-Qasim; and if we should tell a lie, you can realize our lie as you have done regarding our father." On that he asked, "Who are the people of the (Hell) Fire?" They said, "We shall remain in the (Hell) Fire for a short period, and after that you will replace us." The Prophet (ﷺ) said, "You may be cursed and humiliated in it! By Allah, we shall never replace you in it." Then he asked, "Will you now tell me the truth if I ask you a question?" They said, "Yes, O Abu Al-Qasim." He asked, "Have you poisoned this sheep?" They said, "Yes." He asked, "What made you do so?" They said, "We wanted to know if you were a liar in which case we would get rid of you, and if you are a prophet then the poison would not harm you."
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/৮. অঙ্গীকার ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ইমামের দু‘আ।
৩১৭০. আসিম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, রুকুর আগে। আমি বললাম, অমুক তো বলে যে, আপনি রুকুর পরে বলেছেন। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে। অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মাস পর্যন্ত রুকুর পরে কুনূত পড়েন। তিনি বানূ সুলাইম গোত্রসমূহের বিরুদ্ধে দু‘আ করেছিলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চল্লিশজন কিংবা সত্তর জন ক্বারী কয়েকজন মুশরিকের কাছে পাঠালেন। তখন বানূ সুলাইমের লোকেরা তাঁদের হামলা করে তাঁদের হত্যা করে। অথচ তাদের এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মধ্যে সন্ধি ছিল। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ ক্বারীদের জন্য যতটা ব্যথিত দেখেছি আর কারো জন্য এতখানি ব্যথিত দেখিনি। (১০০১) (মুসলিম ৫/৫৩ হাঃ ৬৭৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৪৩)
بَابُ دُعَاءِ الْإِمَامِ عَلَى مَنْ نَكَثَ عَهْدًا
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيْدَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسًا عَنْ الْقُنُوْتِ قَالَ قَبْلَ الرُّكُوعِ فَقُلْتُ إِنَّ فُلَانًا يَزْعُمُ أَنَّكَ قُلْتَ بَعْدَ الرُّكُوعِ فَقَالَ كَذَبَ ثُمَّ حَدَّثَنَا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَنَتَ شَهْرًا بَعْدَ الرُّكُوعِ يَدْعُوْ عَلَى أَحْيَاءٍ مِنْ بَنِيْ سُلَيْمٍ قَالَ بَعَثَ أَرْبَعِيْنَ أَوْ سَبْعِيْنَ يَشُكُّ فِيْهِ مِنْ الْقُرَّاءِ إِلَى أُنَاسٍ مِنْ الْمُشْرِكِيْنَ فَعَرَضَ لَهُمْ هَؤُلَاءِ فَقَتَلُوْهُمْ وَكَانَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَهْدٌ فَمَا رَأَيْتُهُ وَجَدَ عَلَى أَحَدٍ مَا وَجَدَ عَلَيْهِمْ
Narrated `Asim:
I asked Anas about the Qunut (i.e. invocation in the prayer). Anas said, "It should be recited before bowing." I said, "So-and-so claims that you say that it should be recited after bowing." He replied, "He is mistaken." Then Anas narrated to us that the Prophet (ﷺ) invoked evil on the tribe of Bani-Sulaim for one month after bowing. ' Anas Further said, "The Prophet (ﷺ) had sent 40 or 70 Qaris (i.e. men well versed in the knowledge of the Qur'an) to some pagans, but the latter struggled with them and martyred them, although there was a peace pact between them and the Prophet (ﷺ) I had never seen the Prophet so sorry and worried about anybody as he was about them (i.e. the Qaris).
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/৯. নারীগণ কর্তৃক নিরাপত্তা ও আশ্রয় প্রদান।
৩১৭১. উম্মু হানী বিনতে আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। তখন তাঁকে এমন অবস্থায় পেলাম যে, তিনি গোসল করছিলেন এবং তাঁর মেয়ে ফাতিমাহ (রাঃ) তাঁকে পর্দা করছিলেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ইনি কে? আমি বললাম, আমি উম্মু হানী বিনতে আবূ তালিব। তখন তিনি বললেন, মারহাবা হে উম্মু হানী! যখন তিনি গোসল হতে ফারেগ হলেন, একখানি কাপড়ে শরীর ঢেকে দাঁড়িয়ে আট রাক‘আত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার সহোদর ভাই ‘আলী (রাঃ) হুবাইরার অমুক পুত্রকে হত্যা করার সংকল্প করেছে, আর আমি তাকে আশ্রয় দিয়েছি। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে উম্মু হানী! তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছো, আমিও তাকে আশ্রয় দিয়েছি। উম্মু হানী (রাঃ) বলেন, এটা চাশ্তের সময় ছিল। (২৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৪৪)
بَابُ أَمَانِ النِّسَاءِ وَجِوَارِهِنّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِيْ طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِيْ طَالِبٍ تَقُوْلُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ هَذِهِ فَقُلْتُ أَنَا أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِيْ طَالِبٍ فَقَا لَ مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِيْ ثَوْبٍ وَاحِدٍ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّيْ عَلِيٌّ أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا قَدْ أَجَرْتُهُ فُلَانُ بْنُ هُبَيْرَةَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ وَذَلِكَ ضُحًى
Narrated Um Hani:
the daughter of Abu Talib: I went to Allah's Messenger (ﷺ) on the day of the conquest of Mecca and found him taking a bath, and his daughter Fatima was screening him. I greeted him and he asked, "Who is that?" I said, "I, Um Hani bint Abi Talib." He said, "Welcome, O Um Hani." When he had finished his bath, he stood up and offered eight rak`at while dressed in one garment. I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! My brother `Ali has declared that he will kill a man to whom I have granted asylum. The man is so and-so bin Hubaira." Allah's Messenger (ﷺ) said, "O Um Hani! We will grant asylum to the one whom you have granted asylum." (Um Hani said, "That (visit) took place in the Duha (i.e. forenoon)).
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/১০. মুসলিমদের পক্ষ হতে নিরাপত্তা ও আশ্রয় প্রদান একই ব্যাপার। তা সাধারণ মুসলিমের জন্যও পালনীয়।
৩১৭২. ইব্রাহীম তাইমী (রহ.)-এর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন এবং বললেন, আমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব ও এই সহীফায় যা আছে, এছাড়া অন্য কোন কিতাব নেই, যা আমরা পাঠ করে থাকি। তিনি বলেন, এ সাহীফায় রয়েছে, যখমের দন্ড বিধান, উটের বয়সের বিবরণ এবং আইর পর্বত থেকে সওর পর্যন্ত মদিনা্ হারাম হবার বিধান। যে ব্যক্তি এর মধ্যে বিদ্‘আত উদ্ভাবণ করে কিংবা বিদ্আতীকে আশ্রয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। আল্লাহ তার কোন নফল ও ফরজ ‘ইবাদাত কবূল করেন না। আর যে নিজ মাওলা ব্যতীত অন্যকে মাওলা হিসেবে গ্রহণ করে, তার উপর একই রকম লা‘নত। আর নিরাপত্তা দানের ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মুসলিমগণ একইভাবে দায়িত্বশীল এবং যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের চুক্তি ভঙ্গ করে তার উপরও তেমনি অভিসম্পাত। (১১১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৪৫)
بَابُ ذِمَّةُ الْمُسْلِمِيْنَ وَجِوَارُهُمْ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُم
حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا وَكِيْعٌ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ خَطَبَنَا عَلِيٌّ فَقَالَ مَا عِنْدَنَا كِتَابٌ نَقْرَؤُهُ إِلَّا كِتَابَ اللهِ تَعَالَى وَمَا فِيْ هَذِهِ الصَّحِيْفَةِ فَقَالَ فِيْهَا الْجِرَاحَاتُ وَأَسْنَانُ الْإِبِلِ وَالْمَدِيْنَةُ حَرَمٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ إِلَى كَذَا فَمَنْ أَحْدَثَ فِيْهَا حَدَثًا أَوْ آوَى فِيْهَا مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ لَا يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلَا عَدْلٌ وَمَنْ تَوَلَّى غَيْرَ مَوَالِيْهِ فَعَلَيْهِ مِثْلُ ذَلِكَ وَذِمَّةُ الْمُسْلِمِيْنَ وَاحِدَةٌ فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ مِثْلُ ذَلِكَ
Narrated Ibrahim at-Tamimi's father:
`Ali delivered a sermon saying, "We have no book to read except the Book of Allah and what is written in this paper which contains verdicts regarding (retaliation for) wounds, the ages of the camels (given as Zakat or as blood money) and the fact that Medina is a sanctuary in between Air mountain to so-and-so (mountain). So, whoever innovates in it an heresy or commits a sin or gives shelter in it, to such an innovator will incur the Curse of Allah, the angels and all the people, and none of his compulsory or optional good deeds of worship will be accepted. And whoever (freed slave) takes as his master (i.e. befriends) other than his real masters will incur the same (Curse). And the asylum granted by any Muslim is to be secured by all the other Muslims, and whoever betrays a Muslim in this respect will incur the same (Curse).
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/১২. মুশরিকদের সঙ্গে দ্রব্য-সামগ্রী প্রভৃতির বদলে সন্ধি সম্পাদন এবং যে ওয়াদা পূরণ করে না তার পাপ।
58/11. بَابُ إِذَا قَالُوْا صَبَأْنَا وَلَمْ يُحْسِنُوْا أَسْلَمْنَا
৫৮/১১. অধ্যায় : যদি কাফিররা সুন্দরভাবে ’’আমরা ইসলাম কবুল করেছি’’ বলতে না পারায় এবং ’’আমরা দ্বীন বদল করেছি’’ বলে।
وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ فَجَعَلَ خَالِدٌ يَقْتُلُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ خَالِدٌ وَقَالَ عُمَرُ إِذَا قَالَ مَتْرَسْ فَقَدْ آمَنَهُ إِنَّ اللهَ يَعْلَمُ الأَلْسِنَةَ كُلَّهَا وَقَالَ تَكَلَّمْ لَا بَأْسَ
’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) বলেন, খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) সে সব লোকদের কতল করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আয় আল্লাহ্! খালিদের একাজে আমি সম্পর্কহীনতা প্রকাশ করছি। ’উমার (রাঃ) বলেন, কেউ যদি বলে, مَتْرَسْ (মাতরাস) ’ভয় করো না, তবে সে তাকে নিরাপত্তা দান করল। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা সকল ভাষা জানেন। ’উমার (রাঃ) (হারামুযান পারসীকে) বললেন, কথা বল, কোন অসুবিধা নেই।
وَقَوْلِهِ )وَإِنْ جَنَحُوْا لِلسَّلْمِ فَاجْنَحْ لَهَا وَتَوَكَّلْ عَلَى اللهِ إِنَّه” هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ( الْآيَةَ
(আল্লাহ্ তা’আলা বাণী)- ’’আর তারা যদি সন্ধির দিকে আকৃষ্ট হয়, তাহলে আপনিও সেদিকে আগ্রহী হবেন এবং আল্লাহর উপর ভরসা করবেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’’ (আনফাল ৬১)
৩১৭৩. সাহল ইবনু আবূ হাসমাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু সাহল ও মুহায়্যিসাহ ইবনু মাস’ঊদ ইবনু যায়দ (রাঃ) খায়বারের দিকে গেলেন। তখন খায়বারের ইয়াহূদীদের সঙ্গে সন্ধি ছিল। পরে তাঁরা উভয়ে আলাদা হয়ে গেলেন। অতঃপর মুহায়্যিসাহ ’আবদুল্লাহ ইবনু সাহলের নিকট আসেন এবং বলেন যে, তিনি মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তখন মুহাইয়িসাহ তাঁকে দাফন করলেন। অতঃপর মদিনা্য় এলেন। ’আবদুর রহমান ইবনু সাহল ও মাস’উদের দুই পুত্র মুহায়্যিসাহ ও হুওয়ায়্যিসাহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলেন। ’আবদুর রহমান (রাঃ) কথা বলার জন্য এগিয়ে এলেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বড়কে আগে বলতে দাও, বড়কে আগে বলতে দাও। আর ’আবদুর রহমান ইবনু সাহল (রাঃ) ছিলেন বয়সে সবচেয়ে ছোট। এতে তিনি চুপ রইলেন এবং মুহায়্যিসাহ ও হুওয়ায়্যিসাহ উভয়ে কথা বললেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি শপথ করে বলবে এবং তোমাদের হত্যাকারীর অথবা বলেছেন, তোমাদের সঙ্গীর রক্ত পণের অধিকারী হবে? তারা বললেন, আমরা কিভাবে শপথ করব? আমরা তো উপস্থিত ছিলাম না এবং স্বচক্ষে দেখিনি। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে ইয়াহূদীরা পঞ্চাশটি শপথের মাধ্যমে তোমাদের নিকট হতে অব্যাহতি লাভ করবে। তাঁরা বললেন, তারা তো কাফির সম্প্রদায়। আমরা কিরূপে তাদের শপথ গ্রহণ করতে পারি? তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পক্ষ হতে ’আবদুর রাহমানকে তাঁর ভাইয়ের দীয়াত পরিশোধ করলেন। (২৭০২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৪৬)
بَابُ الْمُوَادَعَةِ وَالْمُصَالَحَةِ مَعَ الْمُشْرِكِيْنَ بِالْمَالِ وَغَيْرِهِ وَإِثْمِ مَنْ لَمْ يَفِ بِالْعَهْدِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا بِشْرٌ هُوَ ابْنُ الْمُفَضَّلِ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِيْ حَثْمَةَ قَالَ انْطَلَقَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُوْدِ بْنِ زَيْدٍ إِلَى خَيْبَرَ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ صُلْحٌ فَتَفَرَّقَا فَأَتَى مُحَيِّصَةُ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ سَهْلٍ وَهُوَ يَتَشَمَّطُ فِيْ دَمِهِ قَتِيْلًا فَدَفَنَهُ ثُمَّ قَدِمَ الْمَدِيْنَةَ فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةُ وَحُوَيِّصَةُ ابْنَا مَسْعُوْدٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمصلى الله عليه وسلم فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَتَكَلَّمُ فَقَالَ كَبِّرْ كَبِّرْ وَهُوَ أَحْدَثُ الْقَوْمِ فَسَكَتَ فَتَكَلَّمَا فَقَالَ تَحْلِفُوْنَ وَتَسْتَحِقُّوْنَ قَاتِلَكُمْ أَوْ صَاحِبَكُمْ قَالُوْا وَكَيْفَ نَحْلِفُ وَلَمْ نَشْهَدْ وَلَمْ نَرَ قَالَ فَتُبْرِيكُمْ يَهُوْدُ بِخَمْسِيْنَ فَقَالُوْا كَيْفَ نَأْخُذُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ فَعَقَلَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ عِنْدِهِ
Narrated Sahl bin Abi Hathma:
`Abdullah bin Sahl and Muhaiyisa bin Mas`ud bin Zaid set out to Khaibar, the inhabitants of which had a peace treaty with the Muslims at that time. They parted and later on Muhaiyisa came upon `Abdullah bin Sah! and found him murdered agitating in his blood. He buried him and returned to Medina. `Abdur Rahman bin Sahl, Muhaiyisa and Huwaiuisa, the sons of Mas`ud came to the Prophet (ﷺ) and `Abdur Rahman intended to talk, but the Prophet (ﷺ) said (to him), "Let the eldest of you speak." as `Abdur-Rahman was the youngest:. `Abdur-Rahman kept silent and the other two spoke. The Prophet (ﷺ) said, "If you swear as to who has committed the murder, you will have the right to take your right from the murderer." They said, "How should we swear if we did not witness the murder or see the murderer?" The Prophet (ﷺ) said, "Then the Jews can clear themselves from the charge by taking Alaska (an oath taken by men that it was not they who committed the murder)." The!y said, "How should we believe in the oaths of infidels?" So, the Prophet (ﷺ) himself paid the blood money (of `Abdullah).
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/১৩. ওয়াদা পূরণ করার ফযীলত।
৩১৭৪. আবূ সুফ্ইয়ান ইবনু হারব ইবনু উমায়্যাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, হিরাকল তাঁকে ডেকে পাঠালেন, কুরাইশদের সেই কাফেলাসহ যারা সিরিয়ায় বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। এটা কুরাইশ কাফিরদের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চুক্তি থাকাকালীন ঘটনা। (৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৪৭)
بَابُ فَضْلِ الْوَفَاءِ بِالْعَهْد
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ هِرَقْلَ أَرْسَلَ إِلَيْهِ فِيْ رَكْبٍ مِنْ قُرَيْشٍ كَانُوْا تِجَارًا بِالشَّأْمِ فِي الْمُدَّةِ الَّتِيْ مَادَّ فِيْهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَبَا سُفْيَانَ فِيْ كُفَّارِ قُرَيْشٍ
Narrated ' `Abdullah bin `Abbas:
That Abu Sufyan bin Harb Informed him that Heraclius called him and the members of a caravan from Quraish who had gone to Sham as traders, during the truce which Allah's Messenger (ﷺ) had concluded with Abu Sufyan and the Quraish infidels.
পরিচ্ছেদঃ ৫৮/১৪. কোন জিম্মী যাদু করলে তাকে কি ক্ষমা করা হবে?
وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِيْ يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ سُئِلَ أَعَلَى مَنْ سَحَرَ مِنْ أَهْلِ الْعَهْدِ قَتْلٌ قَالَ بَلَغَنَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ صُنِعَ لَهُ ذَلِكَ فَلَمْ يَقْتُلْ مَنْ صَنَعَهُ وَكَانَ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ
ইবনু ওহাব (রহ.) ... ইবনু শিহাব (রহ.) হতে বর্ণনা করেন যে, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোন জিম্মী যদি যাদু করে, তবে কি তাকে হত্যা করা হবে? তিনি বলেন, আমার নিকট এ হাদীস পৌঁছেছে যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যাদু করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাদুকরকে হত্যা করেন নি। সে ছিল আহলে কিতাব।
৩১৭৫. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যাদু করা হয়েছিল। ফলে তিনি ধারণা করতেন যে, তিনি এ কাজ করেছেন অথচ তিনি তা করেননি। (৩২৬৮, ৫৭৬৩, ৫৭৬৫, ৫৭৬৬, ৬০৬৩, ৬৩৯১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯৪৮)
بَابُ هَلْ يُعْفَى عَنْ الذِّمِّيِّ إِذَا سَحَرَ
حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى حَدَّثَنَا هِشَامٌ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سُحِرَ حَتَّى كَانَ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ صَنَعَ شَيْئًا وَلَمْ يَصْنَعْهُ
Narrated Aisha:
Once the Prophet (ﷺ) was bewitched so that he began to imagine that he had done a thing which in fact he had not done.