পরিচ্ছেদঃ ২৭/১. ‘উমরাহ আদায়কারী ব্যক্তি যদি পথে আটকে পড়েন।
وَقَوْلِهِ تَعَالَى (فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنْ الْهَدْيِ وَلاَ تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ)
وَقَالَ عَطَاءٌ الإِحْصَارُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يَحْبِسُهُ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ (حَصُورًا) لاَ يَأْتِي النِّسَاءَ
আর মহান আল্লাহর বাণীঃ কিন্তু যদি তোমরা বাধাপ্রাপ্ত হও, তাহলে কুরবানীর জন্য যা কিছু সহজলভ্য তা-ই কুরবানী কর। কুরবানীর পশু যথাস্থানে না পৌঁছা (যবহ করা) পর্যন্ত তোমরা মাথা মুন্ডন করবে না। (আল-বাকারাহঃ ১৯৬)
‘আত্বা (রহ.) বলেন, الإحْصَارُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يَحْبِسُهُ -যা আটকিয়ে রাখে বা বাধা সৃষ্টি করে তাকে ইহসার বলে। আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহ.) বলেন, حَصُورًا (হাসূর) মানে যিনি স্ত্রী সম্ভোগ করেন না।
১৮০৬. নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, হাঙ্গামা চলাকালে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) ‘উমরাহ’র নিয়্যাত করে মক্কায় রওয়ানা হবার পর বললেন, বাইতুল্লাহর পথে বাধাগ্রস্ত হলে, তাই করব যা করেছিলাম আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে। তাই তিনি ‘উমরাহ’র ইহরাম বাঁধলেন। কেননা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -ও হুদাইবিয়ার বছর ‘উমরাহ’র ইহরাম বেঁধেছিলেন। (১৬৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৭৭. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৮৭)
بَاب إِذَا أُحْصِرَ الْمُعْتَمِرُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ حِينَ خَرَجَ إِلَى مَكَّةَ مُعْتَمِرًا فِي الْفِتْنَةِ قَالَ إِنْ صُدِدْتُ عَنْ الْبَيْتِ صَنَعْتُ كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ فَأَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مِنْ أَجْلِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ
Narrated Nafi`:
When `Abdullah bin `Umar set out for Mecca intending to perform Umra, at the time of afflictions, he said, "If I should be prevented from reaching the Ka`ba, then I would do the same as Allah's Messenger (ﷺ) did, so I assume the lhram for Umra as Allah's Messenger (ﷺ) assumed the Ihram for Umra in the year of Hudaibiya."
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১. ‘উমরাহ আদায়কারী ব্যক্তি যদি পথে আটকে পড়েন।
১৮০৭. নাফি‘ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ও সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) উভয়ই তাঁকে সংবাদ দিয়েছেন, যে বছর হাজ্জাজ (ইবনু ইউসুফ) বাহিনী ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, সে সময়ে তাঁরা উভয়ে কয়েকদিন পর্যন্ত ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে বুঝালেন। তাঁরা বললেন, এ বছর হাজ্জ না করলে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। আমরা আশঙ্কা করছি, আপনার ও বাইতুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বললেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে রওয়ানা হয়েছিলাম। কিন্তু বাইতুল্লাহর পথে কাফির কুরাইশরা আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াল। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর পশু যবেহ করে মাথা মুড়িয়ে নিয়েছিলেন। এখন আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আমার নিজের জন্য ‘উমরাহ ওয়াজিব করে নিয়েছি। আল্লাহ চাহেন তো আমি এখন রওয়ানা হয়ে যাব। যদি আমার এবং বাইতুল্লাহর মাঝে বাধা না আসে তাহলে আমি তাওয়াফ করে নিব। কিন্তু যদি আমার ও বাইতুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে আমি তখনই সেরূপ করব যেরূপ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছিলেন আর আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম। অতঃপর তিনি যুল-হুলাইফা হতে ‘উমরাহ্’র ইহরাম বেঁধে কিছুক্ষণ চললেন, এরপরে বললেন, হাজ্জ এবং ‘উমরাহ্’র ব্যাপার তো একই। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয়ই আমি আমার ‘উমরাহ্’র সাথে হাজ্জও নিজের জন্য ওয়াজিব করে নিলাম। তাই তিনি হাজ্জ ও ‘উমরাহ কোনটি হতেই হালাল হননি। অবশেষে কুরবানীর দিন কুরবানী করলেন এবং হালাল হলেন। তিনি বলতেন, আমরা হালাল হব না যতক্ষণ পর্যন্ত না মক্কায় প্রবেশ করে একটি তাওয়াফ করে নিই। (১৬৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৭৮. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৮৮)
بَاب إِذَا أُحْصِرَ الْمُعْتَمِرُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ عَبْدِ اللهِ وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا كَلَّمَا عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَلَيَالِيَ نَزَلَ الْجَيْشُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ فَقَالاَ لاَ يَضُرُّكَ أَنْ لاَ تَحُجَّ الْعَامَ وَإِنَّا نَخَافُ أَنْ يُحَالَ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْبَيْتِ فَقَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَحَالَ كُفَّارُ قُرَيْشٍ دُونَ الْبَيْتِ فَنَحَرَ النَّبِيُّ هَدْيَهُ وَحَلَقَ رَأْسَهُ وَأُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ الْعُمْرَةَ إِنْ شَاءَ اللهُ أَنْطَلِقُ فَإِنْ خُلِّيَ بَيْنِي وَبَيْنَ الْبَيْتِ طُفْتُ وَإِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَعَلْتُ كَمَا فَعَلَ النَّبِيُّ وَأَنَا مَعَهُ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ إِنَّمَا شَأْنُهُمَا وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجَّةً مَعَ عُمْرَتِي فَلَمْ يَحِلَّ مِنْهُمَا حَتَّى حَلَّ يَوْمَ النَّحْرِ وَأَهْدَى وَكَانَ يَقُولُ لاَ يَحِلُّ حَتَّى يَطُوفَ طَوَافًا وَاحِدًا يَوْمَ يَدْخُلُ مَكَّةَ
Narrated Nafi`:
That Ubaidullah bin `Abdullah and Salim bin `Abdullah informed him that they told Ibn `Umar when Ibn Az-Zubair was attacked by the army, saying "There is no harm for you if you did not perform Hajj this year. We are afraid that you may be prevented from reaching the Ka`ba." Ibn `Umar said "We set out with Allah's Messenger (ﷺ) and the non-believers of Quraish prevented us from reaching the Ka`ba, and so the Prophet (ﷺ) slaughtered his Hadi and got his head shaved." Ibn `Umar added, "I make you witnesses that I have made `Umra obligatory for me. And, Allah willing, I will go and then if the way to Ka`ba is clear, I will perform the Tawaf, but if I am prevented from going to the Ka`ba then I will do the same as the Prophet (ﷺ) did while I was in his company." Ibn `Umar then assumed Ihram for Umra from Dhul-Hulaifa and proceeded for a while and said, "The conditions of `Umra and Hajj are similar and I make you witnesses that I have made `Umra and Hajj obligatory for myself." So, he did not finish the Ihram till the day of Nahr (slaughtering) came, and he slaughtered his Hadi. He used to say, "I will not finish the Ihram till I perform the Tawaf, one Tawaf on the day of entering Mecca (i.e. of Safa and Marwa for both `Umra and Hajj).
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১. ‘উমরাহ আদায়কারী ব্যক্তি যদি পথে আটকে পড়েন।
১৮০৮. নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর কোন এক ছেলে তাঁর পিতাকে বললেন, যদি আপনি এ বছর বাড়িতে অবস্থান করতেন (তাহলে আপনার জন্য কতই না কল্যাণকর হত)! (১৬৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৭৯. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৮৯ )
بَاب إِذَا أُحْصِرَ الْمُعْتَمِرُ
حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ بَعْضَ بَنِي عَبْدِ اللهِ قَالَ لَهُ لَوْ أَقَمْتَ بِهَذَا
Narrated Nafi`:
Some of the sons of `Abdullah told him (i.e. `Abdullah) if he had stayed (and not performed Hajj that year).
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১. ‘উমরাহ আদায়কারী ব্যক্তি যদি পথে আটকে পড়েন।
১৮০৯. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (হুদাইবিয়াতে) বাধাপ্রাপ্ত হন। তাই তিনি মাথা কামিয়ে নেন। স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হন এবং প্রেরিত জানোয়ার কুরবানী করেন। অবশেষে পরবর্তী বছর ‘উমরাহ আদায় করেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮০. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯০ )
بَاب إِذَا أُحْصِرَ الْمُعْتَمِرُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلاَّمٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍقَدْ أُحْصِرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَحَلَقَ رَأْسَهُ وَجَامَعَ نِسَاءَهُ وَنَحَرَ هَدْيَهُ حَتَّى اعْتَمَرَ عَامًا قَابِلاً
Narrated Ibn `Abbas:
Allah's Messenger (ﷺ) was prevented from performing (`Umra) Therefore, he shaved his head and had sexual relations with his wives and slaughtered his Hadi and performed Umra in the following year.
পরিচ্ছেদঃ ২৭/২. হজ্জে বাধাগ্রস্ত হওয়া।
১৮১০. সালিম (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ) বলতেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সুন্নাতই কি তোমাদের পক্ষে যথেষ্ট নয়? তোমাদের কেউ যদি হাজ্জ আদা করতে বাধাগ্রস্ত হয় সে যেন (‘উমরাহ্’র জন্য) বাইতুল্লাহর ও সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ করে সমস্ত কিছু হতে হালাল হয়ে যায়। অবশেষে পরবর্তী বৎসর হাজ্জ আদায় করে নেয়। তখন সে কুরবানী করবে আর কুরবানী দিতে যদি না পারে তবে সিয়াম পালন করবে। ‘আবদুল্লাহ (রহ.)....ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (১৬৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮১. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯১ )
بَاب الإِحْصَارِ فِي الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمٌ قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ أَلَيْسَ حَسْبُكُمْ سُنَّةَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ حُبِسَ أَحَدُكُمْ عَنْ الْحَجِّ طَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حَلَّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى يَحُجَّ عَامًا قَابِلاً فَيُهْدِي أَوْ يَصُومُ إِنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا وَعَنْ عَبْدِ اللهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي سَالِمٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ نَحْوَهُ
Narrated Salim:
(Abdullah) bin `Umar used to say, "Is not (the following of) the tradition of Allah's Messenger (ﷺ) sufficient for you? If anyone of you is prevented from performing Hajj, he should perform the Tawaf of the Ka`ba and between As-Safa and Al-Marwa and then finish the Ihram and everything will become legal for him which was illegal for him (during the state of Ihram) and he can perform Hajj in a following year and he should slaughter a Hadi or fast in case he cannot afford the Hadi."
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৩. বাধাপ্রাপ্ত হলে মাথা মুন্ডনের পূর্বে কুরবানী করা।
১৮১১. মিসওয়ার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা কামানোর আগেই কুরবানী করেন এবং সাহাবাদের অনুরূপ করার নির্দেশ দেন। (১৬৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮২. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯২ )
بَاب النَّحْرِ قَبْلَ الْحَلْقِ فِي الْحَصْرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ الْمِسْوَرِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَحَرَ قَبْلَ أَنْ يَحْلِقَ وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ بِذَلِكَ
Narrated Al-Miswar:
Allah's Messenger (ﷺ) slaughtered (the Hadi) before he had his head shaved and then he ordered his Companions to do the same.
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৩. বাধাপ্রাপ্ত হলে মাথা মুন্ডনের পূর্বে কুরবানী করা।
১৮১২. নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আবদুল্লাহ এবং সালিম (রহ.) উভয়ই ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে ‘উমরাহ্’র নিয়ত করে আমরা রওয়ানা হলে যখন কুরায়শের কাফিররা বাইতুল্লাহর অনতিদূরে বাধা হয়ে দাঁড়ায়,তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উট কুরবানী করেন এবং মাথা কামিয়ে ফেলেন। (১৬৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯৩)
بَاب النَّحْرِ قَبْلَ الْحَلْقِ فِي الْحَصْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ أَخْبَرَنَا أَبُو بَدْرٍ شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْعُمَرِيِّ قَالَ وَحَدَّثَ نَافِعٌ أَنَّ عَبْدَ اللهِ وَسَالِمًا كَلَّمَا عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ فَقَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُعْتَمِرِينَ فَحَالَ كُفَّارُ قُرَيْشٍ دُونَ الْبَيْتِ فَنَحَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بُدْنَهُ وَحَلَقَ رَأْسَهُ
Narrated Nafi`:
That `Abdullah and Salim said to `Abdullah bin `Umar, "(You should not go for Hajj this year)." `Abdullah bin `Umar replied, "We set out with the Prophet (to Mecca for performing `Umra) and the infidels of Quraish prevented us from reaching the Ka`ba. Allah's Messenger (ﷺ) slaughtered his Budn (camels for sacrifice) and got his head shaved."
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৪. যারা বলেন, বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপর কাযা আবশ্যক নয়।
وَقَالَ رَوْحٌ عَنْ شِبْلٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ إِنَّمَا الْبَدَلُ عَلَى مَنْ نَقَضَ حَجَّهُ بِالتَّلَذُّذِ، فَأَمَّا مَنْ حَبَسَهُ عُذْرٌ، أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ فَإِنَّهُ يَحِلُّ وَلاَ يَرْجِعُ، وَإِنْ كَانَ مَعَهُ هَدْىٌ وَهُوَ مُحْصَرٌ نَحَرَهُ، إِنْ كَانَ لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَبْعَثَ بِهِ، وَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَبْعَثَ بِهِ لَمْ يَحِلَّ، حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْىُ مَحِلَّهُ. وَقَالَ مَالِكٌ وَغَيْرُهُ يَنْحَرُ هَدْيَهُ، وَيَحْلِقُ فِي أَىِّ مَوْضِعٍ كَانَ، وَلاَ قَضَاءَ عَلَيْهِ، لأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابَهُ بِالْحُدَيْبِيَةِ نَحَرُوا وَحَلَقُوا وَحَلُّوا مِنْ كُلِّ شَىْءٍ، قَبْلَ الطَّوَافِ، وَقَبْلَ أَنْ يَصِلَ الْهَدْىُ إِلَى الْبَيْتِ، ثُمَّ لَمْ يُذْكَرْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ أَحَدًا أَنْ يَقْضُوا شَيْئًا، وَلاَ يَعُودُوا لَهُ، وَالْحُدَيْبِيَةُ خَارِجٌ مِنَ الْحَرَمِ
রাওহ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, কাযা ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব, যে তার হাজ্জ স্ত্রী সম্ভোগ করে নষ্ট করে দিয়েছে। তবে প্রকৃত ওযর কিংবা অন্য কোন বাধা থাকলে সে হালাল হয়ে যাবে এবং তাকে (কাযার জন্য) ফিরে আসতে হবে না। বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট কুরবানীর পশু থাকলে সেখানেই কুরবানী দিয়ে (হালাল হয়ে যাবে) যদি পশু কুরবানীর স্থানে পাঠাতে অক্ষম হয়। আর যদি সে তা পাঠাতে পারে তা হলে কুরবানীর জানোয়ারটি তার স্থানে না পৌঁছা পর্যন্ত হালাল হবে না। ইমাম মালিক (রহ.) ও অন্যান্য উলামায়ে কিরাম বলেন, সে যে কোন স্থানে কুরবানীর পশুটি যবেহ করে মাথা কামিয়ে নিতে পারবে। তার উপর কোন কাযা নেই। কেননা, হুদাইবিয়াতে তাওয়াফের আগে এবং কুরবানীর জানোয়ার বাইতুল্লাহ পৌঁছার পূর্বে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীগণ যবেহ করেছেন, মাথা কামিয়েছেন এবং হালাল হয়ে গিয়েছেন। এর কোন উল্লেখও নেই যে, এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে কাযা করার বা (পুনরায় হাজ্জ আদায় করার জন্য) ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন, অথচ হুদাইবিয়া হারাম শরীফের বাইরে অবস্থিত।
১৮১৩. নাফি‘ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, (মক্কা মুকার্রামায়) গোলযোগ চলাকালে ‘উমরাহ্’র নিয়ত করে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) যখন মক্কার দিকে রওয়ানা হলেন, তখন বললেন, বাইতুল্লাহ হতে যদি আমি বাধাপ্রাপ্ত হই তাহলে তাই করব যা করেছিলাম আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে। তাই তিনি ‘উমরাহ্’র ইহরাম বাঁধলেন। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -ও হুদাইবিয়ার বছর ‘উমরাহ্’র ইহরাম বেঁধেছিলেন। অতঃপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) নিজের ব্যাপারে ভেবে চিন্তে বললেন, উভয়টিই (হাজ্জ ও ‘উমরা) এক রকম। এরপর তিনি তাঁর সাথীদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, উভয়টি তো একই রকম। আমি তোমাদের সাক্ষী করে বলছি, আমি আমার উপর ‘উমরাহ্’র সাথে হাজ্জকে ওয়াজিব করে নিলাম। তিনি উভয়টির জন্য একই তাওয়াফ করলেন এবং এটাই তাঁর পক্ষ হতে যথেষ্ট মনে করেন, আর তিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে নিয়েছিলেন। (১৬৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮৪. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯৪ )
بَاب مَنْ قَالَ لَيْسَ عَلَى الْمُحْصَرِ بَدَلٌ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ حِينَ خَرَجَ إِلَى مَكَّةَ مُعْتَمِرًا فِي الْفِتْنَةِ إِنْ صُدِدْتُ عَنْ الْبَيْتِ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مِنْ أَجْلِ أَنَّ النَّبِيَّ كَانَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ نَظَرَ فِي أَمْرِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلاَّ وَاحِدٌ فَالْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلاَّ وَاحِدٌ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ الْحَجَّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ طَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا وَرَأَى أَنَّ ذَلِكَ مُجْزِيًا عَنْهُ وَأَهْدَى
Narrated Nafi`:
When `Abdullah bin `Umar set out for Mecca with the intentions performing `Umra in the period of afflictions, he said, "If I should be prevented from reaching the Ka`ba, then I would do the same as we did while in the company of Allah's Messenger (ﷺ) ." So, he assumed the Ihram for `Umra since the Prophet (ﷺ) had assumed the Ihram for `Umra in the year of Al-Hudaibiya. Then `Abdullah bin `Umar thought about it and said, "The conditions for both Hajj and `Umra are similar." He then turned towards his companions and said, "The conditions of both Hajj and `Umra are similar and I make you witnesses that I have made the performance of Hajj obligatory for myself along with `Umra." He then performed one Tawaf (between As-Safa and Al-Marwa) for both of them (i.e. Hajj and (`Umra) and considered that to be sufficient for him and offered a Hadi.
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ
(فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِنْ رَأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ) وَهُوَ مُخَيَّرٌ فَأَمَّا الصَّوْمُ فَثَلاَثَةُ أَيَّامٍ
‘‘তোমাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয় কিংবা মাথায় কষ্টকর কিছু হয়ে থাকে তবে সিয়াম কিংবা সাদাকা অথবা কুরবানীর দ্বারা তার ফিদইয়া দিবে।’’ (আল-বাকারাহ (২) : ১৯৬) এ ব্যাপারে তাকে যে কোন একটি গ্রহণের অবকাশ দেয়া হয়েছে। তবে সিয়াম পালন করলে তিন দিন করবে।
১৮১৪. কা‘ব ইবনু ‘উজরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বোধ হয় তোমার এই পোকাগুলো (উকুন) তোমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে? তিনি বললেন, হাঁ, ইয়া আল্লাহর রাসূল! এরপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি মাথা মুন্ডন করে ফেল এবং তিন দিন সিয়াম পালন কর অথবা ছয়জন মিসকীনকে আহার করাও কিংবা একটা বকরী কুরবানী কর। (১৮১৫, ১৮৭১৬, ১৮১৭, ১৮১৮, ৪১৫৯, ৪১৯০, ৪১৯১, ৪৫১৭, ৫৬৬৫, ৫৭০৩, ৬৭০৮, মুসলিম ১৫/১০, হাঃ ১২০১, আহমাদ ১৮১২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮৫. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯৫)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى :
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ لَعَلَّكَ آذَاكَ هَوَامُّكَ قَالَ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم احْلِقْ رَأْسَكَ وَصُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ أَوْ أَطْعِمْ سِتَّةَ مَسَاكِينَ أَوْ انْسُكْ بِشَاةٍ
Narrated `Abdur-Rahman bin Abu Layla:
Ka`b bin 'Ujra said that Allah's Messenger (ﷺ) said to him (Ka`b), "Perhaps your lice have troubled you?" Ka`b replied, "Yes! O Allah's Messenger (ﷺ)." Allah's Messenger (ﷺ) said, "Have your head shaved and then either fast three days or feed six poor persons or slaughter one sheep as a sacrifice."
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘অথবা সদাকাহ’’ (আল-বাকারাহঃ ১৯৬)
وَهِيَ إِطْعَامُ سِتَّةِ مَسَاكِينَ
অর্থাৎ ছয়জন মিসকীনকে খাওয়ানো।
১৮১৫. কা‘ব ইবনু ‘উজরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট দন্ডায়মান হলেন। এ সময় আমার মাথা হতে উকুন ঝরে পড়ছিল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার এই পোকাগুলো (উকুন) কি তোমাকে যন্ত্রণা দিচ্ছে? আমি বললাম, হাঁ, তিনি বললেনঃ মাথা মুন্ডন করে ফেল অথবা বললেন, মুন্ডন করে ফেল। কা‘ব ইবনু ‘উজরা (রাঃ) বলেন, আমার সম্পর্কেই নাযিল হয়েছে এই আয়াতটিঃ ‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোগাক্রান্ত হয় কিংবা মাথায় কষ্টকর কিছু হয়ে থাকে...’’- (আল-বাকারাহঃ ১৯৬)। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তিনদিন সওম পালন কর কিংবা এক ফারাক (তিন সা‘ পরিমাণ) ছয়জন মিসকীনের মধ্যে সাদাকা কর অথবা কুরবানী কর যা তোমার জন্য সহজসাধ্য। (১৮১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮৬. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯৬ )
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {أَوْ صَدَقَةٍ}
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سَيْفٌ قَالَ حَدَّثَنِي مُجَاهِدٌ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى أَنَّ كَعْبَ بْنَ عُجْرَةَ حَدَّثَهُ قَالَ وَقَفَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِالْحُدَيْبِيَةِ وَرَأْسِي يَتَهَافَتُ قَمْلاً فَقَالَ يُؤْذِيكَ هَوَامُّكَ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَاحْلِقْ رَأْسَكَ أَوْ قَالَ احْلِقْ قَالَ فِيَّ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ (فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِنْ رَأْسِهِ) إِلَى آخِرِهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ أَوْ تَصَدَّقْ بِفَرَقٍ بَيْنَ سِتَّةٍ أَوْ انْسُكْ بِمَا تَيَسَّرَ
Narrated Ka`b bin `Umra:
Allah's Messenger (ﷺ) stood beside me at Al-Hudaibiya and the lice were falling from my head in great number. He asked me, "Have your lice troubled you?" I replied in the affirmative. He ordered me to get my head shaved. Ka`b added, "This Holy Verse:--'And if any of you is ill, or has ailment in his scalp (2.196), etc. was revealed regarding me. "The Prophet (ﷺ) then ordered me either to fast three days, or to feed six poor persons with one Faraq (three Sas) (of dates), or to slaughter a sheep, etc. (sacrifice) whatever was available.
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৭. ফিদয়ার দেয় খাদ্যের পরিমাণ অর্ধ সা‘।
১৮১৬. ‘আবদুল্লাহ ইবনু মা‘কিল (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি কা‘ব ইবনু ‘উজরা (রাঃ)-এর পাশে বসে তাঁকে ফিদ্য়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এ আয়াত বিশেষভাবে আমার সম্পর্কেই নাযিল হয়েছে। তবে এ হুকুম সাধারণভাবে তোমাদের সকলের জন্যই। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে আমাকে নিয়ে যাওয়া হল। তখন আমার চেহারায় উকুন বেয়ে পড়ছে। তিনি বললেনঃ তোমার কষ্ট বা পীড়া যে পর্যায়ে পৌঁছেছে দেখতে পাচ্ছি, আমার তো আগে এ ধারণা ছিল না। তুমি কি একটি বকরীর ব্যবস্থা করতে পারবে? আমি বললাম, না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি তিন দিন সিয়াম পালন কর অথবা ছয়জন মিসকীনকে অর্ধ সা‘ করে খাওয়াও। (১৮১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮৭. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯৭ )
بَاب الإِطْعَامُ فِي الْفِدْيَةِ نِصْفُ صَاعٍ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الأَصْبَهَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْقِلٍ قَالَ جَلَسْتُ إِلَى كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ فَسَأَلْتُهُ عَنْ الْفِدْيَةِ فَقَالَ نَزَلَتْ فِيَّ خَاصَّةً وَهِيَ لَكُمْ عَامَّةً حُمِلْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالْقَمْلُ يَتَنَاثَرُ عَلَى وَجْهِي فَقَالَ مَا كُنْتُ أُرَى الْوَجَعَ بَلَغَ بِكَ مَا أَرَى أَوْ مَا كُنْتُ أُرَى الْجَهْدَ بَلَغَ بِكَ مَا أَرَى تَجِدُ شَاةً فَقُلْتُ لاَ فَقَالَ فَصُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ أَوْ أَطْعِمْ سِتَّةَ مَسَاكِينَ لِكُلِّ مِسْكِينٍ نِصْفَ صَاعٍ
Narrated `Abdullah bin Ma'qal:
I sat with Ka`b bin 'Ujra and asked him about the Fidya. He replied, "This revelation was revealed concerning my case especially, but it is also for you in general. I was carried to Allah's Messenger (ﷺ) and the lice were falling in great number on my face. The Prophet (ﷺ) said, "I have never thought that your ailment (or struggle) has reached to such an extent as I see. Can you afford a sheep?" I replied in the negative. He then said, "Fast for three days, or feed six poor persons each with half a Sa of food." (1 Sa = 3 Kilograms approx.)
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৮. নুসূক হলো একটি বকরী কুরবানী করা।
১৮১৭. কা‘ব ইবনু ‘উজরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চেহারায় উকুন ঝরে পড়তে দেখে তাঁকে বললেনঃ এই কীটগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? তিনি বললেন, হাঁ। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে মাথা কামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিলেন। এ সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়ায় ছিলেন। এখানেই তাঁদের হালাল হয়ে যেতে হবে এ বিষয়টি তখনও তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয়নি। তাঁরা মক্কায় প্রবেশের আশা করছিলেন।তখন আল্লাহ তা‘আলা ফিদয়ার হুকুম নাযিল করলেন এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে এক ফারাক খাদ্যশস্য ছয়জন মিসকীনের মধ্যে দিতে কিংবা একটি বকরী কুরবানী করতে অথবা তিন দিন সিয়াম পালনের নির্দেশ দিলেন। (১৮১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮৮. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯৮)
بَاب النُّسْكُ شَاةٌ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا شِبْلٌ عَنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَآهُ وَأَنَّهُ يَسْقُطُ عَلَى وَجْهِهِ فَقَالَ أَيُؤْذِيكَ هَوَامُّكَ قَالَ نَعَمْ فَأَمَرَهُ أَنْ يَحْلِقَ وَهُوَ بِالْحُدَيْبِيَةِ وَلَمْ يَتَبَيَّنْ لَهُمْ أَنَّهُمْ يَحِلُّونَ بِهَا وَهُمْ عَلَى طَمَعٍ أَنْ يَدْخُلُوا مَكَّةَ فَأَنْزَلَ اللهُ الْفِدْيَةَ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُطْعِمَ فَرَقًا بَيْنَ سِتَّةٍ أَوْ يُهْدِيَ شَاةً أَوْ يَصُومَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ
Narrated `Abdur-Rahman bin Abu Layla:
(Reporting the speech of Ka`b bin Umra) Allah's Messenger (ﷺ) saw him (i.e. Ka`b) while the lice were falling on his face. He asked (him), "Have your lice troubled you?" He replied in the affirmative. So, he ordered him to get his head shaved while he was at Al-Hudaibiya. At that time they were not permitted to finish their Ihram, and were still hoping to enter Mecca. So, Allah revealed the verses of Al-Fidya. Allah's Messenger (ﷺ) ordered him to feed six poor persons with one Faraq of food or to slaughter one sheep (as a sacrifice) or to fast for three days.
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৮. নুসূক হলো একটি বকরী কুরবানী করা।
১৮১৮. কা‘ব ইবনু ‘উজরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে এমতাবস্থায় দেখলেন যে, তাঁর চেহারার উপর উকুন পড়ছে। এর বাকি অংশ উপরের হাদীসের মত। (১৮১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮৮. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯৮)
بَاب النُّسْكُ شَاةٌ
وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ عَنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَآهُ وَقَمْلُهُ يَسْقُطُ عَلَى وَجْهِهِ مِثْلَهُ
Narrated Ka'b bin 'Ujra (ra):
Allah's Messenger (ﷺ) saw him (i.e. Ka'b) while the lice were falling on his face.
পরিচ্ছেদঃ ২৭/৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘( হজ্জের সময়) স্ত্রী সহবাস নেই’।
১৮১৯. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এ ঘরের হাজ্জ আদায় করল এবং স্ত্রী সহবাস করল না এবং অন্যায় আচরণ করল না, সে প্রত্যাবর্তন করবে মাতৃগর্ভ হতে সদ্য প্রসূত শিশুর মত হয়ে। (১৫২১, মুসলিম অধ্যায় :৭৯, হাঃ ১৩৫০, আহমাদ ১০২৭৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৮৯. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৯৯ )
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {فَلاَ رَفَثَ}
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مَنْصُورٍ سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ حَجَّ هَذَا الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّهُ
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever performs Hajj to this House (Ka`ba) and does not approach his wife for sexual relations nor commits sins (while performing Hajj), he will come out as sinless as a newlyborn child. (Just delivered by his mother).
পরিচ্ছেদঃ ২৭/১০. মহান আল্লাহর বাণীঃ হজ্জের সময়ে অশ্লীল আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ নেই।
১৮২০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এ ঘরের (বাইতুল্লাহর) হাজ্জ আদায় করল, অশ্লীলতায় জড়িত হল না এবং আল্লাহর অবাধ্যতা করল না, সে মায়ের পেট হতে সদ্য প্রসূত শিশুর ন্যায় (হাজ্জ হতে) প্রত্যাবর্তন করল। (১৫২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯০. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭০০ )
بَاب قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ {وَلاَ فُسُوقَ وَلاَ جِدَالَ فِي الْحَجِّ}
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ حَجَّ هَذَا الْبَيْتَ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever performs Hajj to this Ka`ba and does not approach his wife for sexual relations nor commit sins (while performing Hajj), he will come out as sinless as a newborn child, (just delivered by his mother).