৫৪৪

পরিচ্ছেদঃ সফরকালে কসর করা।

৫৪৪. আবদুল ওয়াহ্হাব ইবনু আবদিল হাকাম আল-ওয়াররাক আল-বাগদাদী (রহঃ) .... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর, উমর ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুম এর সঙ্গে সফর করেছি। তাঁরা যোহর ও আসরের সালাত (নামায/নামাজ) দু’রাকআত করে আদায় করতেন। এর পূর্বে বা পরে কোন সালাত আদায় করতেন না। আবদুল্লাহ (ইবনু উমর) বলেনঃ যদি এর পূর্বে বা পরে কোন সালাতই আদায় করতাম তবে তা তো এই সালাতই পূরা আদায় করতাম। - ইবনু মাজাহ ১০৭১, বুখারি ও মুসলিম সংক্ষিপ্ত, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে উমর, আলী, ইবনু আব্বাস, আনাস, ইমরান, ইবনু হুসায়ন ও আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইবনু উমর (রহঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব। ইয়াহইয়া ইবনু সুলায়ম ছাড়া অন্য কোন সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে বলে আমরা জানি না। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আল-বুখারী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি উবায়দুল্লাহ ইবনু উমর আল-সুরাকার জনৈক ব্যক্তি ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রেও বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আতিয়্যা আল-আওফী ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর অবস্থায়ও সালাতের পূর্বে ও পরে নফল আদায় করতেন। সহীহ সনদে প্রমাণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে কসর করতেন। আবূ বকর, উমর এবং উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুম-ও তাঁদের খিলাফতের শুরুতে কসর আদায় করেছেন। অধিকাংশ সাহাবী ও অপরাপর আলিম এই হাদীস অনুসারে আমল করার অভিমত দিয়েছেন। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি সফর অবস্থায় ও পূর্ণ সালাত আদায় করতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সাহাবীগণ থেকে যা বর্ণিত আছে সে অনুসারেই তো আমল করা হবে। এ হ’ল ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত। তবে ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেনঃ সফরে কসর আদায় করা হ’ল আল্লাহ প্রদত্ত একটি সুযোগ কিন্তু পুরো সালাত আদায় করলেও জায়েয হবে।

باب مَا جَاءَ فِي التَّقْصِيرِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ الْوَرَّاقُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَافَرْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ فَكَانُوا يُصَلُّونَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ لاَ يُصَلُّونَ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا ‏.‏ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ كُنْتُ مُصَلِّيًا قَبْلَهَا أَوْ بَعْدَهَا لأَتْمَمْتُهَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَنَسٍ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سُلَيْمٍ مِثْلَ هَذَا ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ آلِ سُرَاقَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَطَوَّعُ فِي السَّفَرِ قَبْلَ الصَّلاَةِ وَبَعْدَهَا ‏.‏ وَقَدْ صَحَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقْصُرُ فِي السَّفَرِ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ صَدْرًا مِنْ خِلاَفَتِهِ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا كَانَتْ تُتِمُّ الصَّلاَةَ فِي السَّفَرِ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ إِلاَّ أَنَّ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ التَّقْصِيرُ رُخْصَةٌ لَهُ فِي السَّفَرِ فَإِنْ أَتَمَّ الصَّلاَةَ أَجْزَأَ عَنْهُ ‏.‏

حدثنا عبد الوهاب بن عبد الحكم الوراق البغدادي، حدثنا يحيى بن سليم، عن عبيد الله، عن نافع، عن ابن عمر، قال سافرت مع النبي صلى الله عليه وسلم وابي بكر وعمر وعثمان فكانوا يصلون الظهر والعصر ركعتين ركعتين لا يصلون قبلها ولا بعدها ‏.‏ وقال عبد الله لو كنت مصليا قبلها او بعدها لاتممتها ‏.‏ قال وفي الباب عن عمر وعلي وابن عباس وانس وعمران بن حصين وعاىشة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عمر حديث حسن غريب لا نعرفه الا من حديث يحيى بن سليم مثل هذا ‏.‏ قال محمد بن اسماعيل وقد روي هذا الحديث عن عبيد الله بن عمر عن رجل من ال سراقة عن عبد الله بن عمر ‏.‏ قال ابو عيسى وقد روي عن عطية العوفي عن ابن عمر ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يتطوع في السفر قبل الصلاة وبعدها ‏.‏ وقد صح عن النبي صلى الله عليه وسلم انه كان يقصر في السفر وابو بكر وعمر وعثمان صدرا من خلافته ‏.‏ والعمل على هذا عند اكثر اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم ‏.‏ وقد روي عن عاىشة انها كانت تتم الصلاة في السفر ‏.‏ والعمل على ما روي عن النبي صلى الله عليه وسلم واصحابه وهو قول الشافعي واحمد واسحاق الا ان الشافعي يقول التقصير رخصة له في السفر فان اتم الصلاة اجزا عنه ‏.‏


Ibn Umar narrated:
"I traveled with the Prophet, Abu Bakr, Umar, and Uthman; they would pray Zuhr and Asr as two Rak'ah and two Rak'ah, not praying before them nor after them." And Ibn Umar said: "If I was going to pray before it or after it then I would pray it complete."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৪৫

পরিচ্ছেদঃ সফরকালে কসর করা।

৫৪৫. আহমদ ইবনু মানী (রহঃ) ..... আবূ নাযরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার ইমরান ইবনু হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহু কে মূসাফিরের সালাত (নামায/নামাজ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি তখন বললেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হজ্জ করেছি, তিনি দু’রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহ-এর সঙ্গেও হজ্জ করেছি, তিনিও দ’রাকআত করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহ-এর সঙ্গেও হজ্জ করেছি তিনিও দু’রাকআত করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহ-এর সঙ্গে ও তাঁর খিলাফতের ছয় বছর (বর্ণনান্তরে আট বছর) হজ্জ করেছি, তিনিও দু’রাকআত করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي التَّقْصِيرِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ سُئِلَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ عَنْ صَلاَةِ الْمُسَافِرِ، فَقَالَ حَجَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَحَجَجْتُ مَعَ أَبِي بَكْرٍ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَمَعَ عُمَرَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَمَعَ عُثْمَانَ سِتَّ سِنِينَ مِنْ خِلاَفَتِهِ أَوْ ثَمَانِيَ سِنِينَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا هشيم، اخبرنا علي بن زيد بن جدعان القرشي، عن ابي نضرة، قال سىل عمران بن حصين عن صلاة المسافر، فقال حججت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى ركعتين وحججت مع ابي بكر فصلى ركعتين ومع عمر فصلى ركعتين ومع عثمان ست سنين من خلافته او ثماني سنين فصلى ركعتين ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Abu An-Nadrah said:
"Imran bin Husain was asked about the traveler's prayer. He said: 'I performed Hajj with the Messenger of Allah, and he prayed two Rak'ah. I performed Hajj with Abu Bakr, and he prayed two Rak'ah and with Umar, and he prayed two Rak;ah; and with Uthman for six years of his Khilafah, or eight years, and he prayed two Rak'ah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ নাদরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৪৬

পরিচ্ছেদঃ সফরকালে কসর করা।

৫৪৬. কুতায়বা (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ আমরা মদীনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যোহরের সালাত (নামায/নামাজ) চার রাকআত আদায় করেছি আর যুলহুলায়ফায় আসরের সালাত দু’রাকআত আদায় করেছি। - সহিহ আবু দাউদ ১০৮৫, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান।

باب مَا جَاءَ فِي التَّقْصِيرِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، سَمِعَا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ صَلَّيْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَبِذِي الْحُلَيْفَةِ الْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا سفيان بن عيينة، عن محمد بن المنكدر، وابراهيم بن ميسرة، سمعا انس بن مالك، قال صلينا مع النبي صلى الله عليه وسلم الظهر بالمدينة اربعا وبذي الحليفة العصر ركعتين ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث صحيح ‏.‏


Anas bin Malik narrated:
"We prayed Zuhr as four with the Prophet in Al-Madinah, and Asr as two Rak'ah in Dhil-Hulaifah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৪৭

পরিচ্ছেদঃ সফরকালে কসর করা।

৫৪৭. কুতায়বা (রহঃ) ...... ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা থেকে মক্কার দিকে যাত্রা করলেন। সেই সময় আল্লাহ রাববুল আলামীন ব্যতিরেকে আর কারো ভীতি তাঁর ছিল না, এতদসত্ত্বেও তিনি দু’রাকআত কসর সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। - ইরওয়া ৩/৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي التَّقْصِيرِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ لاَ يَخَافُ إِلاَّ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا هشيم، عن منصور بن زاذان، عن ابن سيرين، عن ابن عباس، ان النبي صلى الله عليه وسلم خرج من المدينة الى مكة لا يخاف الا الله رب العالمين فصلى ركعتين ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Ibn Abbas narrated:
"The Prophet went from Al-Madinah to Makkah, not fearing anyone except Allah the Lord of the worlds, and he prayed two Rak'ah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৪৮

পরিচ্ছেদঃ কত দিন কসর সালাত আদায় করা হবে।

৫৪৮. আহমদ ইবনু মানী (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মদীনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হই। তখন তিনি দু’রাকআত করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ-কে বললামঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতদিন মক্কায় অবস্থান করেছিলেন? তিনি বললেনঃ দশ দিন। - ইবনু মাজাহ ১০৭৭, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ইবনু আব্বাস ও জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন এক সফরে ঊনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান করেন এবং দু’রাকআত হিসেবে সালাত আদায় করেন। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আমরা যদি কোথাও দিনের ভেতর অবস্থান করি তবে দু’রাকআত করে সালাত আদায় করি। আর এর বেশি অবস্থান করলে পুরো সালাত আদায় করি।

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ কেউ যদি দশ দিন অবস্থান করে, তবে তাকে পুরো সালাত আদায় করতে হবে। ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ কেউ যদি কোন স্থানে পনের দিন অবস্থান করে, তবে তাকে পুরা সালাত আদায় করতে হবে। তার বরাতে বার দিনের কথাও বর্ণিত আছে। সাঈদ ইবনুল মূসায়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ যদি কেউ কোন স্থানে চার দিন অবস্থান করে তবে তাকে চার রাকআত আদায় করতে হবে। কাতাদা এবং আতা আল-খুরাসানী (রহঃ) তার বরাতে উক্ত কথা বর্ণনা করেছেন। কিন্তু দাউদ ইবনু আবী হিনদ (রহঃ) তার বরাতে ভিন্নরূপে বক্তব্যও বর্ণনা করেছেন।

এই বিষয়ে ফকীহ আলিমগণেরও মতবিরোধ রয়েছে। সুফইয়ান সাওরী এবং কূফাবাসী আলিমগণ পনের দিন সময়ে অবস্থানের অভিমতটি গ্রহণ করেছেন। তারা বলেনঃ কেউ যদি কোন স্থানে পনের দিন অবস্থানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তবে তাকে পুরা সালাত আদায় করতে হবে। ইমাম আওয়াঈ (রহঃ) বলেনঃ যদি কেউ কোন স্থানে বার দিন অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলে পুরা সালাত আদায় করতে হবে। ইমাম মালিক, শাফিঈ ও আহমদ (রহঃ) বলেনঃ চার দিন অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলে পুরা সালাত আদায় করতে হবে।

ইমাম ইসহাক (রহঃ) এই বিষয়ে ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীসটিকে সবচেয়ে শক্তিশালী অভিমত বলে মনে করেন। কারণ, একে তো তিনি এতদ্বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে একটি রিওয়ায়াতও উল্লেখ করেছেন, দ্বিতীয়ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তেকালের পর এতদনুসারে তিনি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বলেছেনঃ ঊনিশ দিন অবস্থানের সিদ্ধান্ত করলে সালাত পুরা আদায় করতে হবে। আলিমগণ এই বিষয়ে একমত যে, যতদিন পর্যন্ত ইকামতের সিদ্ধান্ত না নিবে, ততদিন একজন মূসাফির কসর আদায় করবে। যদিও এভাবে বহু বছর কেটে যায়।

باب مَا جَاءَ فِي كَمْ تُقْصَرُ الصَّلاَةُ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ كَمْ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ قَالَ عَشْرًا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَقَامَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ تِسْعَ عَشْرَةَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَنَحْنُ إِذَا أَقَمْنَا مَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ تِسْعَ عَشْرَةَ صَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ وَإِنْ زِدْنَا عَلَى ذَلِكَ أَتْمَمْنَا الصَّلاَةَ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ مَنْ أَقَامَ عَشَرَةَ أَيَّامٍ أَتَمَّ الصَّلاَةَ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ مَنْ أَقَامَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا أَتَمَّ الصَّلاَةَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ إِذَا أَقَامَ أَرْبَعًا صَلَّى أَرْبَعًا ‏.‏ وَرَوَى عَنْهُ ذَلِكَ قَتَادَةُ وَعَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ ‏.‏ وَرَوَى عَنْهُ دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ خِلاَفَ هَذَا ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ بَعْدُ فِي ذَلِكَ فَأَمَّا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ فَذَهَبُوا إِلَى تَوْقِيتِ خَمْسَ عَشْرَةَ وَقَالُوا إِذَا أَجْمَعَ عَلَى إِقَامَةِ خَمْسَ عَشْرَةَ أَتَمَّ الصَّلاَةَ ‏.‏ وَقَالَ الأَوْزَاعِيُّ إِذَا أَجْمَعَ عَلَى إِقَامَةِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ أَتَمَّ الصَّلاَةَ ‏.‏ وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ إِذَا أَجْمَعَ عَلَى إِقَامَةِ أَرْبَعَةٍ أَتَمَّ الصَّلاَةَ ‏.‏ وَأَمَّا إِسْحَاقُ فَرَأَى أَقْوَى الْمَذَاهِبِ فِيهِ حَدِيثَ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لأَنَّهُ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ تَأَوَّلَهُ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَجْمَعَ عَلَى إِقَامَةِ تِسْعَ عَشْرَةَ أَتَمَّ الصَّلاَةَ ‏.‏ ثُمَّ أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّ الْمُسَافِرَ يَقْصُرُ مَا لَمْ يُجْمِعْ إِقَامَةً وَإِنْ أَتَى عَلَيْهِ سِنُونَ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا هشيم، اخبرنا يحيى بن ابي اسحاق الحضرمي، حدثنا انس بن مالك، قال خرجنا مع النبي صلى الله عليه وسلم من المدينة الى مكة فصلى ركعتين ‏.‏ قال قلت لانس كم اقام رسول الله صلى الله عليه وسلم بمكة قال عشرا ‏.‏ قال وفي الباب عن ابن عباس وجابر ‏.‏ قال ابو عيسى حديث انس حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روي عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم انه اقام في بعض اسفاره تسع عشرة يصلي ركعتين ‏.‏ قال ابن عباس فنحن اذا اقمنا ما بيننا وبين تسع عشرة صلينا ركعتين وان زدنا على ذلك اتممنا الصلاة ‏.‏ وروي عن علي انه قال من اقام عشرة ايام اتم الصلاة ‏.‏ وروي عن ابن عمر انه قال من اقام خمسة عشر يوما اتم الصلاة ‏.‏ وقد روي عنه ثنتى عشرة ‏.‏ وروي عن سعيد بن المسيب انه قال اذا اقام اربعا صلى اربعا ‏.‏ وروى عنه ذلك قتادة وعطاء الخراساني ‏.‏ وروى عنه داود بن ابي هند خلاف هذا ‏.‏ واختلف اهل العلم بعد في ذلك فاما سفيان الثوري واهل الكوفة فذهبوا الى توقيت خمس عشرة وقالوا اذا اجمع على اقامة خمس عشرة اتم الصلاة ‏.‏ وقال الاوزاعي اذا اجمع على اقامة ثنتى عشرة اتم الصلاة ‏.‏ وقال مالك بن انس والشافعي واحمد اذا اجمع على اقامة اربعة اتم الصلاة ‏.‏ واما اسحاق فراى اقوى المذاهب فيه حديث ابن عباس قال لانه روى عن النبي صلى الله عليه وسلم ثم تاوله بعد النبي صلى الله عليه وسلم اذا اجمع على اقامة تسع عشرة اتم الصلاة ‏.‏ ثم اجمع اهل العلم على ان المسافر يقصر ما لم يجمع اقامة وان اتى عليه سنون ‏.‏


Yahya bin Abi Ishaq Al-Hadrami narrated :
that Anas bin Malik said: "We went with the Messenger of Allah from Al-Madinah to Makkah, and he prayed two Rak'ah." He said: "I said to Anas: 'How long did Messenger of Allah stay in Makkah?' He said: 'Ten (days).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৪৯

পরিচ্ছেদঃ কত দিন কসর সালাত আদায় করা হবে।

৫৪৯. হান্নাদ (রহঃ) .... ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফরে বের হলেন এবং ঊনিশ দিন পর্যন্ত দু’রাকআত করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেন, আমরাও ঊনিশদিন পর্যন্ত দু’রাকআত করে সালাত আদায় করতাম। এর বেশি যদি আমরা অবস্থান করতাম তবে চার রাকআত সালাত আদায় করতাম। - ইবনু মাজাহ ১০৭৫, বুখারি, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি গারীব-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي كَمْ تُقْصَرُ الصَّلاَةُ

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَافَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَفَرًا فَصَلَّى تِسْعَةَ عَشَرَ يَوْمًا رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنٍ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَنَحْنُ نُصَلِّي فِيمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ تِسْعَ عَشْرَةَ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فَإِذَا أَقَمْنَا أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ صَلَّيْنَا أَرْبَعًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا هناد بن السري، حدثنا ابو معاوية، عن عاصم الاحول، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال سافر رسول الله صلى الله عليه وسلم سفرا فصلى تسعة عشر يوما ركعتين ركعتين ‏.‏ قال ابن عباس فنحن نصلي فيما بيننا وبين تسع عشرة ركعتين ركعتين فاذا اقمنا اكثر من ذلك صلينا اربعا ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Ibn Abbas narrated:
"The Messenger of Allah traveled on a journey and he prayed two Rak'ah for nineteen days." Ibn Abbas said: "So when we would stay somewhere for nineteen (days) we would pray two Rak'ah , and if we stayed longer than that we would complete the Salat."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৫০

পরিচ্ছেদঃ সফরে নফল সালাত আদায় করা।

৫৫০. কুতায়বা (রহঃ) ...... বারা ইবনু আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি আঠারবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরে ছিলাম। সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ার পর যোহরের পূর্বে দু’রাকআত (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করতে আমি কখনও তাঁকে দেখিনি। - যইফ আবু দাউদ ২২২২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি গারীব। এই বিষয়ে মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রহঃ)-কে জিজ্ঞাস করেছিলাম। তিনি লায়স ইবনু সা’দ -এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে কিছু জানেন না। এমনিভাবে আবূ বুসরা আল-গিফারীর নামও তিনি জানেন না। তবে তিনি তাকে ভাল মনে করেন। ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর অবস্থায় সালাতের পূর্বে বা পরে নফল আদায় করতেন না। আবার তাঁর বরাতে একথাও বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর অবস্থায়ও নফল সালাত আদায় করতেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর বিষয়টি সম্পর্কে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। কতক সাহাবী সফর অবস্থায়ও নফল সালাত আদায়ের সপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। এ হ’ল ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এরও অভিমত। আর একদল আলিম সফর অবস্থায় সালাতের পূর্বে বা পরে কোন নফল আদায় করতে হবে বলে মনে করেন না। তবে সফরে নফল আদায় না করা অর্থ হ’ল না পড়ার এই সুযোগকে গ্রহণ করা। কিন্তু কেউ যদি এই অবস্থায়ও নফল আদায় করে তবে তার জন্য প্রভূত ফযীলত রয়েছে। অধিকাংশ আলিমের অভিমত এ-ই যে, তারা সফর অবস্থায় নফল আদায় করা পছন্দনীয় বলে মনে করেন।

باب مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِي بُسْرَةَ الْغِفَارِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَفَرًا فَمَا رَأَيْتُهُ تَرَكَ الرَّكْعَتَيْنِ إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ الظُّهْرِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْبَرَاءِ حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْهُ فَلَمْ يَعْرِفْهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَلَمْ يَعْرِفِ اسْمَ أَبِي بُسْرَةَ الْغِفَارِيِّ وَرَآهُ حَسَنًا ‏.‏ وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَتَطَوَّعُ فِي السَّفَرِ قَبْلَ الصَّلاَةِ وَلاَ بَعْدَهَا ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَتَطَوَّعُ فِي السَّفَرِ ‏.‏ ثُمَّ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَأَى بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَتَطَوَّعَ الرَّجُلُ فِي السَّفَرِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَلَمْ تَرَ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُصَلَّى قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا ‏.‏ وَمَعْنَى مَنْ لَمْ يَتَطَوَّعْ فِي السَّفَرِ قَبُولُ الرُّخْصَةِ وَمَنْ تَطَوَّعَ فَلَهُ فِي ذَلِكَ فَضْلٌ كَثِيرٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَخْتَارُونَ التَّطَوُّعَ فِي السَّفَرِ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا الليث بن سعد، عن صفوان بن سليم، عن ابي بسرة الغفاري، عن البراء بن عازب، قال صحبت رسول الله صلى الله عليه وسلم ثمانية عشر سفرا فما رايته ترك الركعتين اذا زاغت الشمس قبل الظهر ‏.‏ وفي الباب عن ابن عمر ‏.‏ قال ابو عيسى حديث البراء حديث غريب ‏.‏ قال وسالت محمدا عنه فلم يعرفه الا من حديث الليث بن سعد ولم يعرف اسم ابي بسرة الغفاري وراه حسنا ‏.‏ وروي عن ابن عمر ان النبي صلى الله عليه وسلم كان لا يتطوع في السفر قبل الصلاة ولا بعدها ‏.‏ وروي عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم انه كان يتطوع في السفر ‏.‏ ثم اختلف اهل العلم بعد النبي صلى الله عليه وسلم فراى بعض اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ان يتطوع الرجل في السفر وبه يقول احمد واسحاق ‏.‏ ولم تر طاىفة من اهل العلم ان يصلى قبلها ولا بعدها ‏.‏ ومعنى من لم يتطوع في السفر قبول الرخصة ومن تطوع فله في ذلك فضل كثير ‏.‏ وهو قول اكثر اهل العلم يختارون التطوع في السفر ‏.‏


Al-Bara bin Azib said:
"I accompanied the Messenger of Allah on eighteen journeys, and I did not see him leave the two Rak'ah when the sun waned before Zuhr."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৫১

পরিচ্ছেদঃ সফরে নফল সালাত আদায় করা।

৫৫১. আলী ইবনু হুজর (রহঃ) .... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে যোহর দু’রাকআত আদায় করেছি এবং এরপর আরো দু’রাকআত (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি। - [মতন মুনকার], তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান। ইবনু আবী লায়লা (রহঃ)-ও এটিকে আতিয়্যা ও নাফি ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ فِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَطِيَّةَ وَنَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، حدثنا حفص بن غياث، عن الحجاج، عن عطية، عن ابن عمر، قال صليت مع النبي صلى الله عليه وسلم الظهر في السفر ركعتين وبعدها ركعتين ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وقد رواه ابن ابي ليلى عن عطية ونافع عن ابن عمر ‏.‏


Ibn Umar narrated:
"I prayed Zuhr with the Prophet on a journey as two Rak'ah, and two Rak'ah after it."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৫২

পরিচ্ছেদঃ সফরে নফল সালাত আদায় করা।

৫৫২. মুহাম্মাদ ইবনু উবায়দা আল-মুহারিবী (রহঃ) ..... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সফর ও মুকীম সর্বাবস্থায় সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি। মুকীম অবস্থায় যোহরের সালাত চার রাকআত এবং এরপর (সুন্নাত) দু’রাকআত আদায় করেছি; কিন্তু সফর অবস্থায় যোহর দু’রাকআত এবং এরপর (সুন্নাত) দু’রাকআত আদায় করেছি। এমনিভাবে আসরও দু’রাকআত আদায় করেছি, তবে এরপর আর কোন (সুন্নাত বা নফল) সালাত আদায় করিনি। মাগরিবের সালাত সফর ও মুকীম সর্বাবস্থায়ই এক বরাবর, সব সময় তা তিন রাকআতই, সফর বা মুকীম কোন অবস্থায় এতে হ্রাস-বৃদ্ধি হয় না। এ হ’ল দিনের বিতর। এরপর রয়েছে দু’রাকআত (সুন্নত)। - [মতন মুনকার], তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, ইবনু আবী লায়লা (রহঃ) এর চেয়েও অধিক পছন্দনীয় কোন রিওয়ায়াত আমাকে শুনাননি।

باب مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، - يَعْنِي الْكُوفِيَّ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ هَاشِمٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطِيَّةَ، وَنَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ فِي الْحَضَرِ الظُّهْرَ أَرْبَعًا وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ وَصَلَّيْتُ مَعَهُ فِي السَّفَرِ الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ وَلَمْ يُصَلِّ بَعْدَهَا شَيْئًا وَالْمَغْرِبَ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ سَوَاءً ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ لاَ تَنْقُصُ فِي الْحَضَرِ وَلاَ فِي السَّفَرِ وَهِيَ وِتْرُ النَّهَارِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ مَا رَوَى ابْنُ أَبِي لَيْلَى حَدِيثًا أَعْجَبَ إِلَىَّ مِنْ هَذَا وَلاَ أَرْوِي عَنْهُ شَيْئًا ‏.‏

حدثنا محمد بن عبيد المحاربي، - يعني الكوفي حدثنا علي بن هاشم، عن ابن ابي ليلى، عن عطية، ونافع، عن ابن عمر، قال صليت مع النبي صلى الله عليه وسلم في الحضر والسفر فصليت معه في الحضر الظهر اربعا وبعدها ركعتين وصليت معه في السفر الظهر ركعتين وبعدها ركعتين والعصر ركعتين ولم يصل بعدها شيىا والمغرب في الحضر والسفر سواء ثلاث ركعات لا تنقص في الحضر ولا في السفر وهي وتر النهار وبعدها ركعتين ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ سمعت محمدا يقول ما روى ابن ابي ليلى حديثا اعجب الى من هذا ولا اروي عنه شيىا ‏.‏


Ibn Umar narrated:
"I prayed with the Prophet both, while a resident and while traveling. So I prayed four for Zuhr with him as a resident, and two Rak'ah after it. I prayed two Rak'ah for Zuhr with him while traveling and two Rak'ah after it, and two Rak'ah for Asr, and he did not pray anything after it. Maghrib while a resident and traveling is the same; three Rak'ah, it is not decreased as a resident nor while traveling. It is Witr of the day, and after it are two Rak'ah."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৫৩

পরিচ্ছেদঃ দুই ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করা।

৫৫৩. কুতায়বা (রহঃ) ...... মু’আয ইবনু জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তাবুক যুদ্ধের সফরকালে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ার আগে যাত্রা করতেন তবে যোহরের সালাত (নামায/নামাজ) বিলম্ব করে আসরের সঙ্গে মিলিয়ে দিতেন এবং উভয় সালাত একত্রে আদায় করতেন। আর সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ার পর যাত্রা করলে আসরের সালাত যোহরের ওয়াক্তে এগিয়ে নিয়ে আসতেন এবং যোহর ও আসর একসঙ্গে আদায় করতেন। এরপর গন্তব্য স্থানের দিকে চলতেন। এমনিভাবে তিনি যদি মাগরিবের পূর্বে যাত্রা করতেন তবে মাগরিবের সালাত বিলম্ব করতেন এবং তা এশার সঙ্গে একসাথে আদায় করতেন। আর যদি মাগরিবের পর যাত্রা করতেন তবে এশার সালাত ত্বরাম্বিত করতেন এবং তা মাগরিবের সঙ্গে আদায় করতেন। - সহিহ আবু দাউদ ১১০৬, ইরওয়া ৫৭৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আলী, ইবনু উমর, আনাস, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, আয়িশা, ইবনু আব্বাস, উসামা ইবনু যায়দ এবং জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বরেনঃ উসামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি সহীহ। আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ)-ও এই হাদীসটি আহমদ ইবনু হাম্বল কুতায়বা সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، هُوَ عَامِرُ بْنُ وَاثِلَةَ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ إِذَا ارْتَحَلَ قَبْلَ زَيْغِ الشَّمْسِ أَخَّرَ الظُّهْرَ إِلَى أَنْ يَجْمَعَهَا إِلَى الْعَصْرِ فَيُصَلِّيهِمَا جَمِيعًا وَإِذَا ارْتَحَلَ بَعْدَ زَيْغِ الشَّمْسِ عَجَّلَ الْعَصْرَ إِلَى الظُّهْرِ وَصَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ سَارَ وَكَانَ إِذَا ارْتَحَلَ قَبْلَ الْمَغْرِبِ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الْعِشَاءِ وَإِذَا ارْتَحَلَ بَعْدَ الْمَغْرِبِ عَجَّلَ الْعِشَاءَ فَصَلاَّهَا مَعَ الْمَغْرِبِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَالصَّحِيحُ عَنْ أُسَامَةَ ‏.‏ وَرَوَى عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ عَنْ قُتَيْبَةَ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا الليث بن سعد، عن يزيد بن ابي حبيب، عن ابي الطفيل، هو عامر بن واثلة عن معاذ بن جبل، ان النبي صلى الله عليه وسلم كان في غزوة تبوك اذا ارتحل قبل زيغ الشمس اخر الظهر الى ان يجمعها الى العصر فيصليهما جميعا واذا ارتحل بعد زيغ الشمس عجل العصر الى الظهر وصلى الظهر والعصر جميعا ثم سار وكان اذا ارتحل قبل المغرب اخر المغرب حتى يصليها مع العشاء واذا ارتحل بعد المغرب عجل العشاء فصلاها مع المغرب ‏.‏ قال وفي الباب عن علي وابن عمر وانس وعبد الله بن عمرو وعاىشة وابن عباس واسامة بن زيد وجابر بن عبد الله ‏.‏ قال ابو عيسى والصحيح عن اسامة ‏.‏ وروى علي بن المديني عن احمد بن حنبل عن قتيبة هذا الحديث ‏.‏


Mu'adh bin Jabal narrated:
"While the Prophet as at the Battle of Tabuk, if he wanted to depart before the sun's decline he would delay Zuhr so that he could pray it together with Asr. If he wanted to depart after the sun's decline, he would hasten Asr to Zuhr, and pray Zuhr and Asr together, and then move it. If he wanted to depart before Maghrib he would delay Maghrib until he prayed it with Isha, and if he wanted to depart after Maghrib he would hasten Isha so that he would pray it along with Maghrib."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৫৪

পরিচ্ছেদঃ দুই ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করা।

৫৫৪. আবদুস সামাদ ইবনু সুলায়মান (রহঃ) ..... মু’আয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই হাদীসটি বর্ণিত। মু’য়ায রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত রিওয়ায়াতটি হাসান-গারীব। এটির বর্ণনা কুতায়বা এককভাবে লায়স সূত্রে। তিনি ব্যতীত আর রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। ইয়াযীদ ইবনু আবী হাবীব আবূত্ তুফায়ল মু’আয রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে হাদীসটি গারীব। হাদীস বিশারদের নিকট প্রসিদ্ধ রিওয়ায়াত হ’ল এই যে, আবূয যুবায়র আবূত্ তুফায়ল মু’আয রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুক যুদ্ধে সফরে যোহর ও আসর এবং মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করেছেন। কুররা ইবনু খালিদ, সুফইয়ান সাওরী, মালিক এবং আরো অনেকে আবূয্ যুবায়র মক্কী (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) প্রমুখ এই হাদীস অনুযায়ী অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেন, সফরে দুই ওয়াক্তের সালাত (নামায/নামাজ) একত্রে একই ওয়াক্তে আদায় করায় কোন দোষ নেই। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ فِي الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا اللُّؤْلُؤِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الأَعْيَنُ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، بِهَذَا الْحَدِيثِ يَعْنِي حَدِيثَ مُعَاذٍ ‏.‏ وَحَدِيثُ مُعَاذٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ تَفَرَّدَ بِهِ قُتَيْبَةُ لاَ نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنِ اللَّيْثِ غَيْرَهُ ‏.‏ وَحَدِيثُ اللَّيْثِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ مُعَاذٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالْمَعْرُوفُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ حَدِيثُ مُعَاذٍ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ مُعَاذٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَمَعَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَبَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ ‏.‏ رَوَاهُ قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ ‏.‏ وَبِهَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ ‏.‏ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَقُولاَنِ لاَ بَأْسَ أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ فِي السَّفَرِ فِي وَقْتِ إِحْدَاهُمَا ‏.‏

حدثنا عبد الصمد بن سليمان، حدثنا زكريا اللولوي، حدثنا ابو بكر الاعين، حدثنا علي بن المديني، حدثنا احمد بن حنبل، حدثنا قتيبة، بهذا الحديث يعني حديث معاذ ‏.‏ وحديث معاذ حديث حسن غريب تفرد به قتيبة لا نعرف احدا رواه عن الليث غيره ‏.‏ وحديث الليث عن يزيد بن ابي حبيب عن ابي الطفيل عن معاذ حديث غريب ‏.‏ والمعروف عند اهل العلم حديث معاذ من حديث ابي الزبير عن ابي الطفيل عن معاذ ان النبي صلى الله عليه وسلم جمع في غزوة تبوك بين الظهر والعصر وبين المغرب والعشاء ‏.‏ رواه قرة بن خالد وسفيان الثوري ومالك وغير واحد عن ابي الزبير المكي ‏.‏ وبهذا الحديث يقول الشافعي ‏.‏ واحمد واسحاق يقولان لا باس ان يجمع بين الصلاتين في السفر في وقت احداهما ‏.‏


[(Another chain) Qutaibah narrated :
this Hadith to us, meaning the Hadith of Mu'adh]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৫৫

পরিচ্ছেদঃ দুই ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করা।

৫৫৫. হান্নাদ (রহঃ) ..... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একবার তাঁর পরিবারের জনৈক সদস্যের বিপদে সাড়া দিতে গিয়ে তাঁকে দ্রুত সফরে যেতে হয়েছিল। তখন তিনি মাগরিবের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে এত বিলম্ব করলেন যে, শাফক (সূর্যাস্তের পরবর্তী লালিমা) অস্তমিত হয়ে গেল। পরে তিনি সওয়ারী থেকে নেমে এশা ও মাগীরব একত্রে মিলিয়ে আদায় করলেন এবং বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যখন সফরে তাড়াহুড়া থাকত, তখন এইরূপ করতেন। - সহিহ আবু দাউদ ১০৯০, বুখারি ও মুসলিম মারফুরূপে, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইয়াযীদ সূত্রে লায়স (রহঃ) বর্ণিত হাদীসটিও হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي الْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ اسْتُغِيثَ عَلَى بَعْضِ أَهْلِهِ فَجَدَّ بِهِ السَّيْرُ فَأَخَّرَ الْمَغْرِبَ حَتَّى غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ نَزَلَ فَجَمَعَ بَيْنَهُمَا ثُمَّ أَخْبَرَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ إِذَا جَدَّ بِهِ السَّيْرُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَحَدِيثُ اللَّيْثِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا هناد بن السري، حدثنا عبدة بن سليمان، عن عبيد الله بن عمر، عن نافع، عن ابن عمر، انه استغيث على بعض اهله فجد به السير فاخر المغرب حتى غاب الشفق ثم نزل فجمع بينهما ثم اخبرهم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يفعل ذلك اذا جد به السير ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وحديث الليث عن يزيد بن ابي حبيب حديث حسن صحيح ‏.‏


Nafi narrated:
"Ibn Umar had been requested to urgently attend to one of his wives, so he hurried en route and delayed Maghrib until the twilight disappeared, then he dismounted to combine them (the prayers). Then he informed them that the Messenger of Allah would do that when he was in a hurry on a trip."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৫৬

পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ইস্তিসকা।

৫৫৬. ইয়াহইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) ..... আব্বাদ ইবনু তামীম তার চাচা আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ ইবনু আসিম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকজন সহ ইস্তিসকার উদ্দেশ্যে বের হলেন এবং তদের নিয়ে দু’রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। এতে তিনি সশব্দে কিরাআত পাঠ করেছিলেন। পরে তিনি তার চাঁদর উল্টিয়ে পরলেন ও দুই হাত তুলে কিবলামূখী হয়ে ইস্তিস্কার (বৃষ্টির জন্য) দু’আ করলেন। - ইবনু মাজাহ ১২৬৭, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ইবনু আব্বাস, আবূ হুরায়রা, আনাস এবং আবিল লাহম রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলিমগণ এই হাদীস অনুসারে আমল করার অভিমত গ্রহণ করেছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাকেরও এই অভিমত। আব্বাস ইবনু তামীমের চাচার নাম হ’ল আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ ইবনু আসিম আল-মাযিনী।

باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الاِسْتِسْقَاءِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ بِالنَّاسِ يَسْتَسْقِي فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ جَهَرَ بِالْقِرَاءَةِ فِيهِمَا وَحَوَّلَ رِدَاءَهُ وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَاسْتَسْقَى وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَآبِي اللَّحْمِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَعَلَى هَذَا الْعَمَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَعَمُّ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ الْمَازِنِيُّ ‏.‏

حدثنا يحيى بن موسى، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، عن عباد بن تميم، عن عمه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج بالناس يستسقي فصلى بهم ركعتين جهر بالقراءة فيهما وحول رداءه ورفع يديه واستسقى واستقبل القبلة ‏.‏ قال وفي الباب عن ابن عباس وابي هريرة وانس وابي اللحم ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عبد الله بن زيد حديث حسن صحيح ‏.‏ وعلى هذا العمل عند اهل العلم وبه يقول الشافعي واحمد واسحاق ‏.‏ وعم عباد بن تميم هو عبد الله بن زيد بن عاصم المازني ‏.‏


Abbad bin Tamim narrated from his uncle:
"The Messenger of Allah went out with the people to seek rain. So he led them in prayer for two Rak'ah, reciting aloud in them, turning his upper wrap around, raising his hands, requesting rain, and facing the Qiblah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৫৭

পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ইস্তিসকা।

৫৫৭. কুতায়বা (রহঃ) .... আবিল লাহম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি (মদীনার) আহজারুয্ যায়ত নামক স্থানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ইস্তিসকা আদায় করতে দেখেছেন। তিনি তখন তাঁর দু’হাত তুলে দু’আ করছিলেন। - সহিহ আবু দাউদ ১০৬৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ কুতায়বা (রহঃ) এই হাদীসটিকে আবীল্ লাহম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত বলে উল্লেখ করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তাঁর এই একটি রিওয়ায়াত ছাড়া অন্য কোন রিওয়ায়াত আছে বলে আমরা জানি না। এই আবূল লাহম রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মাওলা বা আযাদকৃত দাস উমায়র রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বরাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু হাদীস বর্ণিত আছে। তিনিও সাহাবী ছিলেন।

باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الاِسْتِسْقَاءِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ عَنْ آبِي اللَّحْمِ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ يَسْتَسْقِي وَهُوَ مُقْنِعٌ بِكَفَّيْهِ يَدْعُو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى كَذَا قَالَ قُتَيْبَةُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ آبِي اللَّحْمِ وَلاَ نَعْرِفُ لَهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ الْوَاحِدَ وَعُمَيْرٌ مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ قَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ وَلَهُ صُحْبَةٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث بن سعد، عن خالد بن يزيد، عن سعيد بن ابي هلال، عن يزيد بن عبد الله، عن عمير، مولى ابي اللحم عن ابي اللحم، انه راى رسول الله صلى الله عليه وسلم عند احجار الزيت يستسقي وهو مقنع بكفيه يدعو ‏.‏ قال ابو عيسى كذا قال قتيبة في هذا الحديث عن ابي اللحم ولا نعرف له عن النبي صلى الله عليه وسلم الا هذا الحديث الواحد وعمير مولى ابي اللحم قد روى عن النبي صلى الله عليه وسلم احاديث وله صحبة ‏.‏


Umair, the freed slave of Abi Al-Lahm narrated from Abi Al-Lahm that :
he saw the Messenger of Allah at Ahjar Az-Zait, supplicating for rain, and he was raising his hands in supplication.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৫৮

পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ইস্তিসকা।

৫৫৮. কুতায়বা (রহঃ) .... ইসহাক ইবনু আবদিল্লাহ ইবনু কিনানা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ মদীনার আমীর ওয়ালীদ ইবনু উকবা আমাকে ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এর কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইস্তিসকা সম্পর্কে জানতে পাঠিয়েছিলেন। আমি তার নিকট এসে তা জানতে চাইলে তিনি বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই উদ্দেশ্যে অতি সাধারণ বেশে, বিনীত ভঙ্গীতে, রোনাযারীর সাথে ঘর থেকে বের হতেন, সালাত (নামায/নামাজ) গাহে আসতেন। তোমাদের মত এই ধরনের খুতবা দিতেন না; বরং দু’আ, রোনাযারী ও তাকবীর-এ ব্যস্ত থাকতেন। ঈদের সালাতের মত দুই রাকআত (ইস্তিসকার)-সালাত আদায় করতেন। - ইবনু মাজাহ ১২৬৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সাহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الاِسْتِسْقَاءِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كِنَانَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَرْسَلَنِي الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَسْأَلُهُ عَنِ اسْتِسْقَاءِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مُتَبَذِّلاً مُتَوَاضِعًا مُتَضَرِّعًا حَتَّى أَتَى الْمُصَلَّى فَلَمْ يَخْطُبْ خُطْبَتَكُمْ هَذِهِ وَلَكِنْ لَمْ يَزَلْ فِي الدُّعَاءِ وَالتَّضَرُّعِ وَالتَّكْبِيرِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَمَا كَانَ يُصَلِّي فِي الْعِيدِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا حاتم بن اسماعيل، عن هشام بن اسحاق، وهو ابن عبد الله بن كنانة عن ابيه، قال ارسلني الوليد بن عقبة وهو امير المدينة الى ابن عباس اساله عن استسقاء، رسول الله صلى الله عليه وسلم فاتيته فقال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج متبذلا متواضعا متضرعا حتى اتى المصلى فلم يخطب خطبتكم هذه ولكن لم يزل في الدعاء والتضرع والتكبير وصلى ركعتين كما كان يصلي في العيد ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


It is narrated from Hisham bin Ishaq - and he was from Ibn Abdullah bin Kinanah - from his father who said:
"Al-Walid bin Uqbah, the governor of Al-Madinah, sent me to ask Ibn Abbas about how the Messenger of Allah would perform Salat Al-Istisqa. I came to him and he said: 'The Messenger of Allah would go out in modest dress, humbly, imploring, until he reached the Musalla. He would not give this Khutbah of yours, rather, he would continue supplication and imploring saying the Takbir, and pray two Rak'ah, just as he would pray for the Eid.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৫৯

পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ইস্তিসকা।

৫৫৯. মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু কিনানাহ্ (রহঃ) অনূরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি এতে مُتَخَشِّعًا (খুশূ-খুযূ সহকারে)-শব্দটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইমাম শাফিঈ (রহঃ)-এর অভিমতও এইরূপ। তিনি বলেন, সালাতুল ঈদায়নের মত ইস্তিস্কা-এর সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা হবে। এতে প্রথম রাকআতে সাতবার এবং দ্বিতীয় রাকআতে পাঁচবার তাকবীর বলা হবে। তিনি ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদীসটি প্রমাণ হিসাবে পেশ করেন। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইমাম মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, সালাতুল ঈদায়নের তাকবীরের মত সালাতুল ইসতিসকায় কোন তাকবীর নেই। আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ তিনি সুন্নাতের বিপরীত করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الاِسْتِسْقَاءِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كِنَانَةَ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَزَادَ فِيهِ مُتَخَشِّعًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ قَالَ يُصَلِّي صَلاَةَ الاِسْتِسْقَاءِ نَحْوَ صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ يُكَبِّرُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى سَبْعًا وَفِي الثَّانِيَةِ خَمْسًا وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَرُوِيَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ أَنَّهُ قَالَ لاَ يُكَبِّرُ فِي صَلاَةِ الاِسْتِسْقَاءِ كَمَا يُكَبِّرُ فِي صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ ‏.‏ وَقَالَ النُّعْمَانُ أَبُو حَنِيفَةَ لاَ تُصَلَّى صَلاَةُ الاِسْتِسْقَاءِ وَلاَ آمُرُهُمْ بِتَحْوِيلِ الرِّدَاءِ وَلَكِنْ يَدْعُونَ وَيَرْجِعُونَ بِجُمْلَتِهِمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى خَالَفَ السُّنَّةَ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا وكيع، عن سفيان، عن هشام بن اسحاق بن عبد الله بن كنانة، عن ابيه، فذكر نحوه وزاد فيه متخشعا ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وهو قول الشافعي قال يصلي صلاة الاستسقاء نحو صلاة العيدين يكبر في الركعة الاولى سبعا وفي الثانية خمسا واحتج بحديث ابن عباس ‏.‏ قال ابو عيسى وروي عن مالك بن انس انه قال لا يكبر في صلاة الاستسقاء كما يكبر في صلاة العيدين ‏.‏ وقال النعمان ابو حنيفة لا تصلى صلاة الاستسقاء ولا امرهم بتحويل الرداء ولكن يدعون ويرجعون بجملتهم ‏.‏ قال ابو عيسى خالف السنة ‏.‏


(Another chain) from Hisham bin Ishaq bin Abdullah bin Kinanah, from his father, :
and he mentioned a similar narration and added: "with humility" to it.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৬০

পরিচ্ছেদঃ কুসূফ বা সূর্য গ্রহণের সালাত।

৫৬০. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ...... ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুসূফের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। এতে তিনি কিরাআত পাঠ এবং রুকূ করলেন। এরপর দুই সিজদা দিলেন। পরবর্তী রাকআতও তদ্রূপভাবে আদায় করলেন। - সহিহ আবু দাউদ ১০৭২, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৬০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আলী, আয়িশা, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, নু’মান ইবনু বাশীর, মুগীরা ইবনু শু’বা, আবূ মাসঊদ, আবূ বকরা, সামুরা ইবনু জুনদুব, ইবনু মাসঊদ, আসমা বিনতে আবী বাকর, ইবনু উমর, কাবীসা আল-হিলালী, জাবির ইবনু আবদিল্লাহ, আব্দুর রহমান ইবনু সামুরা এবং উবাই ইবনু কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার সিজদায় চার রাকআত কুসূফ সালাত আদায় করেছেন। এ হ’ল ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর বক্তব্য।

সালাতুল কুসূফের কিরাআত সম্পর্কে আলিমদের মতবিরোধ রয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন, দিনে সালাতের রীতি অনুসারে এতে অনুচ্চ স্বরে কিরাআত পাঠ করা হবে। আর কতক আলিম বলেন, সালাতুল ঈদায়ন ও জুমুআর মত এতে কিরাআত পাঠ করতে হবে। এ’হল ইমাম মালিক, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এর বক্তব্য। তারা এতে সশব্দে কিরাআত পাঠ করতে হবে বলে মনে করেন। ইমাম শাফিঈ বলেন, এতে সশব্দে কিরাআত হবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উভয় ধরনের রিওয়ায়াত সহীহ সনদে প্রমাণিত আছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি চার সিজদায় চার রাক’আত কুসূফ সালাত আদায় করেছেন।

আরো বর্ণিত আছে যে, তিনি চার সিজদায় ছয় রাকআত সালাতুল কুসূফ আদায় করেছেন। কুফূফ বা সূর্য গ্রহণের সময়ের পরিমাণ অনুসারে আলিমদের নিকট তদ্রূপ সালাত জায়েয আছে। আর যদি কুসূফ চার সিজদায় চার রাক’আত আদায় করে এবং কিরা’আত দীর্ঘ করে তবে তা-ও জায়েজ আছে। আমাদের ইমামগণ সূর্য গ্রহণ হোক বা চন্দ্র গ্রহণ, উভয় সালাতই জামাআতে আদায় করতে হবে বলে মনে করেন।

باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفٍ فَقَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَالأُخْرَى مِثْلُهَا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَالْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَبِي مَسْعُودٍ وَأَبِي بَكْرَةَ وَسَمُرَةَ وَأَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَابْنِ عُمَرَ وَقَبِيصَةَ الْهِلاَلِيِّ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفٍ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ قَالَ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقِرَاءَةِ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُسِرَّ بِالْقِرَاءَةِ فِيهَا بِالنَّهَارِ ‏.‏ وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَجْهَرَ بِالْقِرَاءَةِ فِيهَا كَنَحْوِ صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ وَالْجُمُعَةِ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ الْجَهْرَ فِيهَا ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ يَجْهَرُ فِيهَا ‏.‏ وَقَدْ صَحَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كِلْتَا الرِّوَايَتَيْنِ صَحَّ عَنْهُ أَنَّهُ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ ‏.‏ وَصَحَّ عَنْهُ أَيْضًا أَنَّهُ صَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ ‏.‏ وَهَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ جَائِزٌ عَلَى قَدْرِ الْكُسُوفِ إِنْ تَطَاوَلَ الْكُسُوفُ فَصَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ فَهُوَ جَائِزٌ وَإِنْ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ وَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ فَهُوَ جَائِزٌ ‏.‏ وَيَرَوْنَ أَصْحَابُنَا أَنْ تُصَلَّى صَلاَةُ الْكُسُوفَ فِي جَمَاعَةٍ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، عن سفيان، عن حبيب بن ابي ثابت، عن طاوس، عن ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم انه صلى في كسوف فقرا ثم ركع ثم قرا ثم ركع ثم قرا ثم ركع ثلاث مرات ثم سجد سجدتين والاخرى مثلها ‏.‏ قال وفي الباب عن علي وعاىشة وعبد الله بن عمرو والنعمان بن بشير والمغيرة بن شعبة وابي مسعود وابي بكرة وسمرة وابي موسى الاشعري وابن مسعود واسماء بنت ابي بكر الصديق وابن عمر وقبيصة الهلالي وجابر بن عبد الله وعبد الرحمن بن سمرة وابى بن كعب ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عباس حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روي عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم انه صلى في كسوف اربع ركعات في اربع سجدات ‏.‏ وبه يقول الشافعي واحمد واسحاق ‏.‏ قال واختلف اهل العلم في القراءة في صلاة الكسوف فراى بعض اهل العلم ان يسر بالقراءة فيها بالنهار ‏.‏ وراى بعضهم ان يجهر بالقراءة فيها كنحو صلاة العيدين والجمعة وبه يقول مالك واحمد واسحاق يرون الجهر فيها ‏.‏ وقال الشافعي لا يجهر فيها ‏.‏ وقد صح عن النبي صلى الله عليه وسلم كلتا الروايتين صح عنه انه صلى اربع ركعات في اربع سجدات ‏.‏ وصح عنه ايضا انه صلى ست ركعات في اربع سجدات ‏.‏ وهذا عند اهل العلم جاىز على قدر الكسوف ان تطاول الكسوف فصلى ست ركعات في اربع سجدات فهو جاىز وان صلى اربع ركعات في اربع سجدات واطال القراءة فهو جاىز ‏.‏ ويرون اصحابنا ان تصلى صلاة الكسوف في جماعة في كسوف الشمس والقمر ‏.‏


Ibn Abbas narrated:
"The Prophet prayed during the eclipse. He recited, then bowed, then recited, then bowed, then recited, then bowed. (three times), then he performed two prostrations, and the next one (Rak'ah) was the same."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৬১

পরিচ্ছেদঃ কুসূফ বা সূর্য গ্রহণের সালাত।

৫৬১. মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল মালিক ইবনু আবিশ্ শাওয়ারিব (রহঃ) .... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে সূর্য গ্রহণ দেখা দেয়। তখন তিনি লোকদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছিলেন। এতে তিনি দীর্ঘ কিরাআত তিলাওয়াত করেন, এর পর দীর্ঘ রুকূ করেন। পরে মাথা উঠালেন, পরে দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করেন তবে প্রথমবারের তুলনায় কিছু কম দীর্ঘ পরে মাথা তুললেন এবং সিজদা করলেন। এরপর দ্বিতীয় রাক’আতেও অনুরূপ করলেন। - সহিহ আবু দাউদ ১০৭১, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৬১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীস অনুসারেই শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা সালাতুল কুসূফ (সুর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ) চার সিজদায় চার রাক’আতে উম্মুল কুরআন সূরা ফাতিহা এবং দিনের বেলায় (সূর্য গ্রহণের সময়) হলে অনুচ্চ শব্দে সূরাতুল বাকারা পরিমাণ কিরাআত করবে এবং কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। পরে তাকবীর দিয়ে মাথা তুলবে এবং সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং উম্মুল কুরআন সূরাতুল ফাতিহা পাঠ করে আলে-ইমরানের পরিমাণ কিরাআত তিলাওয়াত করবে। পরে কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে, পরে মাথা তুলবে বলবে, ’’সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ’’ এর পর পূর্ণ দুই সিজদা দিবে এবং রুকূতে যতক্ষণ অবস্থান করেছিল, সিজদায়ও ততক্ষণ অবস্থান করবে। পরে সিজদা থেকে দাঁড়াবে। উম্মুল কুরআন ও সূরাতুন নিসা পরিমাণ কিরাআত করবে। এর পর কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। পরে তাকবীর বলে মাথা তুলবে সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং সূরাতুল মায়িদা পরিমাণ কিরআত পাঠ করবে, এরপর কিরাআত পরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। অতঃপর মাথা তুলবে। বলবে সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ পরে দুই সিজদা দিবে। এরপর তাশাহ্হুদ পাঠ করবে ও সালাম ফিরাবে।

باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ وَهِيَ دُونَ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَسَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَبِهَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ صَلاَةَ الْكُسُوفِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ سِرًّا إِنْ كَانَ بِالنَّهَارِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا كَمَا هُوَ وَقَرَأَ أَيْضًا بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ تَامَّتَيْنِ وَيُقِيمُ فِي كُلِّ سَجْدَةٍ نَحْوًا مِمَّا أَقَامَ فِي رُكُوعِهِ ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا ثُمَّ قَرَأَ نَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَشَهَّدَ وَسَلَّمَ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الملك بن ابي الشوارب، حدثنا يزيد بن زريع، حدثنا معمر، عن الزهري، عن عروة، عن عاىشة، انها قالت خسفت الشمس على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم بالناس فاطال القراءة ثم ركع فاطال الركوع ثم رفع راسه فاطال القراءة وهي دون الاولى ثم ركع فاطال الركوع وهو دون الاول ثم رفع راسه فسجد ثم فعل مثل ذلك في الركعة الثانية ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وبهذا الحديث يقول الشافعي واحمد واسحاق يرون صلاة الكسوف اربع ركعات في اربع سجدات ‏.‏ قال الشافعي يقرا في الركعة الاولى بام القران ونحوا من سورة البقرة سرا ان كان بالنهار ثم ركع ركوعا طويلا نحوا من قراءته ثم رفع راسه بتكبير وثبت قاىما كما هو وقرا ايضا بام القران ونحوا من ال عمران ثم ركع ركوعا طويلا نحوا من قراءته ثم رفع راسه ثم قال ‏"‏ سمع الله لمن حمده ‏"‏ ‏.‏ ثم سجد سجدتين تامتين ويقيم في كل سجدة نحوا مما اقام في ركوعه ثم قام فقرا بام القران ونحوا من سورة النساء ثم ركع ركوعا طويلا نحوا من قراءته ثم رفع راسه بتكبير وثبت قاىما ثم قرا نحوا من سورة الماىدة ثم ركع ركوعا طويلا نحوا من قراءته ثم رفع فقال ‏"‏ سمع الله لمن حمده ‏"‏ ‏.‏ ثم سجد سجدتين ثم تشهد وسلم ‏.‏


Aishah narrated:
"The sun was eclipsed during the time of the Messenger of Allah, so the Messenger of Allah led the people in prayer. He recited a lengthy recitation, then he bowed a lengthy bowing, then he raised his head and recited a lengthy recitation that was less than the first. Then he bowed a lengthy bowing that was less than the first. Then he raised his head and prostrated. Then he did (similar to) that in the second Rak'ah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৬২

পরিচ্ছেদঃ সালাতুল কুসূফের কিরআত।

৫৬২. মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ..... সামূরা ইবনু জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে সালাতুল কুসূফ আদায় করেছেন। আমরা তাঁর কিরাআতের আওয়ায শুনতে পাইনি। - ইবনু মাজাহ ১২৬৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৬২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ সামুরা ইবনু জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলিমগণের কতক এতদনুসারে অভিমত গ্রহণ করেছেন। এ হ’ল ইমাম শাফিঈ (রহঃ)-এরও বক্তব্য।

باب مَا جَاءَ فِي صِفَةِ الْقِرَاءَةِ فِي الْكُسُوفِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ عِبَادٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي كُسُوفٍ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَمُرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا وكيع، حدثنا سفيان، عن الاسود بن قيس، عن ثعلبة بن عباد، عن سمرة بن جندب، قال صلى بنا النبي صلى الله عليه وسلم في كسوف لا نسمع له صوتا ‏.‏ قال وفي الباب عن عاىشة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث سمرة حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد ذهب بعض اهل العلم الى هذا وهو قول الشافعي ‏.‏


Samurah bin Jundah narrated:
"The Prophet led us in prayer during an eclipse; we did not hear his voice."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
৫৬৩

পরিচ্ছেদঃ সালাতুল কুসূফের কিরআত।

৫৬৩. আবূ বকর মুহাম্মদ ইবনু আবান (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতুল কুসূফ আদায় করেছেন। এতে তিনি সশব্দে কিরাআত পাঠ করেছেন। - সহিহ আবু দাউদ ১০৭৪, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৬৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ ইসহাক আল-ফাযারী (রহঃ)-ও সুফইয়ান ইবনু হুসায়ন (রহঃ)-এর বরাতে উক্তরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম মালিক, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর বক্তব্য এ-ই।

باب مَا جَاءَ فِي صِفَةِ الْقِرَاءَةِ فِي الْكُسُوفِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ صَدَقَةَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى صَلاَةَ الْكُسُوفِ وَجَهَرَ بِالْقِرَاءَةِ فِيهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَاهُ أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ نَحْوَهُ ‏.‏ وَبِهَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

حدثنا ابو بكر، محمد بن ابان حدثنا ابراهيم بن صدقة، عن سفيان بن حسين، عن الزهري، عن عروة، عن عاىشة، ان النبي صلى الله عليه وسلم صلى صلاة الكسوف وجهر بالقراءة فيها ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ ورواه ابو اسحاق الفزاري عن سفيان بن حسين نحوه ‏.‏ وبهذا الحديث يقول مالك بن انس واحمد واسحاق ‏.‏


Aishah narrated:
"The Prophet prayed the eclipse payer, and he recited aloud in it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ সফর (أَبْوَابُ السَّفَرِ) 6/ The Book on Traveling
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »