পরিচ্ছেদঃ সফরে নফল সালাত আদায় করা।
৫৫০. কুতায়বা (রহঃ) ...... বারা ইবনু আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমি আঠারবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরে ছিলাম। সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ার পর যোহরের পূর্বে দু’রাকআত (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করতে আমি কখনও তাঁকে দেখিনি। - যইফ আবু দাউদ ২২২২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৫০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি গারীব। এই বিষয়ে মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রহঃ)-কে জিজ্ঞাস করেছিলাম। তিনি লায়স ইবনু সা’দ -এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে কিছু জানেন না। এমনিভাবে আবূ বুসরা আল-গিফারীর নামও তিনি জানেন না। তবে তিনি তাকে ভাল মনে করেন। ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর অবস্থায় সালাতের পূর্বে বা পরে নফল আদায় করতেন না। আবার তাঁর বরাতে একথাও বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর অবস্থায়ও নফল সালাত আদায় করতেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর বিষয়টি সম্পর্কে আলিমগণের মতবিরোধ রয়েছে। কতক সাহাবী সফর অবস্থায়ও নফল সালাত আদায়ের সপক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। এ হ’ল ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এরও অভিমত। আর একদল আলিম সফর অবস্থায় সালাতের পূর্বে বা পরে কোন নফল আদায় করতে হবে বলে মনে করেন না। তবে সফরে নফল আদায় না করা অর্থ হ’ল না পড়ার এই সুযোগকে গ্রহণ করা। কিন্তু কেউ যদি এই অবস্থায়ও নফল আদায় করে তবে তার জন্য প্রভূত ফযীলত রয়েছে। অধিকাংশ আলিমের অভিমত এ-ই যে, তারা সফর অবস্থায় নফল আদায় করা পছন্দনীয় বলে মনে করেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِي بُسْرَةَ الْغِفَارِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَفَرًا فَمَا رَأَيْتُهُ تَرَكَ الرَّكْعَتَيْنِ إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ الظُّهْرِ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْبَرَاءِ حَدِيثٌ غَرِيبٌ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْهُ فَلَمْ يَعْرِفْهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَلَمْ يَعْرِفِ اسْمَ أَبِي بُسْرَةَ الْغِفَارِيِّ وَرَآهُ حَسَنًا . وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَتَطَوَّعُ فِي السَّفَرِ قَبْلَ الصَّلاَةِ وَلاَ بَعْدَهَا . وَرُوِيَ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَتَطَوَّعُ فِي السَّفَرِ . ثُمَّ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَأَى بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَتَطَوَّعَ الرَّجُلُ فِي السَّفَرِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَلَمْ تَرَ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُصَلَّى قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا . وَمَعْنَى مَنْ لَمْ يَتَطَوَّعْ فِي السَّفَرِ قَبُولُ الرُّخْصَةِ وَمَنْ تَطَوَّعَ فَلَهُ فِي ذَلِكَ فَضْلٌ كَثِيرٌ . وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَخْتَارُونَ التَّطَوُّعَ فِي السَّفَرِ .
Al-Bara bin Azib said:
"I accompanied the Messenger of Allah on eighteen journeys, and I did not see him leave the two Rak'ah when the sun waned before Zuhr."