৫৬১

পরিচ্ছেদঃ কুসূফ বা সূর্য গ্রহণের সালাত।

৫৬১. মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল মালিক ইবনু আবিশ্ শাওয়ারিব (রহঃ) .... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে সূর্য গ্রহণ দেখা দেয়। তখন তিনি লোকদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছিলেন। এতে তিনি দীর্ঘ কিরাআত তিলাওয়াত করেন, এর পর দীর্ঘ রুকূ করেন। পরে মাথা উঠালেন, পরে দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করেন তবে প্রথমবারের তুলনায় কিছু কম দীর্ঘ পরে মাথা তুললেন এবং সিজদা করলেন। এরপর দ্বিতীয় রাক’আতেও অনুরূপ করলেন। - সহিহ আবু দাউদ ১০৭১, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৬১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীস অনুসারেই শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা সালাতুল কুসূফ (সুর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণ) চার সিজদায় চার রাক’আতে উম্মুল কুরআন সূরা ফাতিহা এবং দিনের বেলায় (সূর্য গ্রহণের সময়) হলে অনুচ্চ শব্দে সূরাতুল বাকারা পরিমাণ কিরাআত করবে এবং কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। পরে তাকবীর দিয়ে মাথা তুলবে এবং সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং উম্মুল কুরআন সূরাতুল ফাতিহা পাঠ করে আলে-ইমরানের পরিমাণ কিরাআত তিলাওয়াত করবে। পরে কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে, পরে মাথা তুলবে বলবে, ’’সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ’’ এর পর পূর্ণ দুই সিজদা দিবে এবং রুকূতে যতক্ষণ অবস্থান করেছিল, সিজদায়ও ততক্ষণ অবস্থান করবে। পরে সিজদা থেকে দাঁড়াবে। উম্মুল কুরআন ও সূরাতুন নিসা পরিমাণ কিরাআত করবে। এর পর কিরাআতের সমপরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। পরে তাকবীর বলে মাথা তুলবে সোজা হয়ে দাঁড়াবে এবং সূরাতুল মায়িদা পরিমাণ কিরআত পাঠ করবে, এরপর কিরাআত পরিমাণ সময় দীর্ঘ রুকূ করবে। অতঃপর মাথা তুলবে। বলবে সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ পরে দুই সিজদা দিবে। এরপর তাশাহ্হুদ পাঠ করবে ও সালাম ফিরাবে।

باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ وَهِيَ دُونَ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَسَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَبِهَذَا الْحَدِيثِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ يَرَوْنَ صَلاَةَ الْكُسُوفِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ سِرًّا إِنْ كَانَ بِالنَّهَارِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا كَمَا هُوَ وَقَرَأَ أَيْضًا بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ تَامَّتَيْنِ وَيُقِيمُ فِي كُلِّ سَجْدَةٍ نَحْوًا مِمَّا أَقَامَ فِي رُكُوعِهِ ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَنَحْوًا مِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ بِتَكْبِيرٍ وَثَبَتَ قَائِمًا ثُمَّ قَرَأَ نَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً نَحْوًا مِنْ قِرَاءَتِهِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ تَشَهَّدَ وَسَلَّمَ ‏.‏


Aishah narrated: "The sun was eclipsed during the time of the Messenger of Allah, so the Messenger of Allah led the people in prayer. He recited a lengthy recitation, then he bowed a lengthy bowing, then he raised his head and recited a lengthy recitation that was less than the first. Then he bowed a lengthy bowing that was less than the first. Then he raised his head and prostrated. Then he did (similar to) that in the second Rak'ah."