টেলিফোন আমাদের আধুনিক জীবনে বড় উপকারী জিনিস। তবে এর অপকারিতার ব্যাপারে উদাসীন থাকা উচিত নয়। যেহেতুঃ এর সাহায্যেই অমত্মঃপুরবাসিনী অন্দর মহল হতেই প্রণয়ের বাঁশী বাজায়। এরই দ্বারা তরুণ-তরুণীরা আপোসে পরিচয়, প্রেমালাপন, সাক্ষাতের ওয়াদাদান, অভিরতি ও অভিসার প্রকাশ ইত্যাদি করে থাকে।

অজ্ঞাত-পরিচয় খল ব্যক্তি ও শত্রুরা এরই মাধ্যমে দাম্পত্যে ও পরিবারে ভাঙ্গন ধরায়। চুগলখোর ও গীবতকারীরা হিংসা, দ্বেষ ও মাৎসর্যবশে সোনার সংসারে আগুন লাগায়।

অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তায় (অধিকাংশ মহিলাদের পক্ষ থেকে) দূরবর্তী আত্মীয়ের সাথে আলাপে অনর্থক সময় ও অর্থ ব্যয় করা হয়।

অতএব আপনি সতর্ক হন এবং পরিবারকে ঈমানী জযবা দিয়ে এ যন্ত্রের মন্দ থেকে দূরে থাকুন।

দূরালাপের জন্য মোবাইল আমাদের জন্য আরো বেশী উপকারী যন্ত্র। কিন্তু তার অপকারিতাও টেলিফোনের চাইতে অনেক বেশী। আর ছেলে-মেয়েদের হাতে পড়লে তাতে আপনার সতর্কতার কিছুই নেই। আপনি কি তাদের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়াবেন?

মোবাইলের মাধ্যমে চিঠি পাঠাবার ব্যবস্থা আছে। খারাপ চিঠি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। তাতে ব্যবস্থা আছে কথা রেকর্ড করার। সুতরাং জাসূসী করা থেকে দূরে থাকুন।

ক্যামেরাবিশিষ্ট মোবাইল হলে কারো অজান্তে তার ছবি তুলবেন না। কোন অবৈধ ছবি অবশ্যই তুলবেন না।

আর টেলিফোন বা মোবাইলের রিং সাধারণ রাখুন। অবশ্যই কোন প্রকার মিউজিক বা গান লাগিয়ে রাখবেন না। এ ছাড়া মসজিদে বা দর্সে গেলে রিং বন্ধ রাখুন। আপনার মোবাইল দ্বারা অপরকে কষ্ট দিবেন না বা নিজ তথা অপরের ইবাদতের মনোযোগ ও একাগ্রতা নষ্ট করবেন না।

পরন্তু ইবাদতের জায়গায় যদি রিং বন্ধ করতে ভুলেই যান, তাহলে প্রথম রিং হওয়া মাত্র সাথে সাথে বন্ধ করে ফেলুন। নামায অবস্থায় হলেও তা ছেড়ে রাখবেন না। কারণ, তাতে আপনার সাথে প্রায় সকল নামাযীর মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে।

রেডিও শুনুন, কিন্তু গান-বাজনা শোনা থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।

টিভি দেখুন, কিন্তু গান-বাজনা শুনবেন না। অবৈধ কিছু দেখবেন না।

ভিডিও ক্যামেরা, ভিসিয়ার, ভিসিডি ইত্যাদি যন্ত্র খুব সাবধানে ব্যবহার করুন। এসব যন্ত্রকে দাওয়াতি কাজে ব্যবহার করুন। তবে সাবধান থাকবেন, যেন ‘কথা ভালো করতে গিয়ে কুষ্ঠব্যাধি’ না হয়ে বসে।

(টিভির অপকারিতা সম্বন্ধে জানতে ‘আদর্শ পরিবার ও পরিবেশ’ পড়ুন।)

আধুনিক যুগে কম্পিউটার একটি আশ্চর্য জিনিস। এটিকেও আপনি আপনার উপকারে ব্যবহার করুন। তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করুন খুব সতর্কতার সাথে। যেহেতু তাতে মধুও আছে এবং বিষও আছে।

গাড়ি চালালে অতি সাবধানতার সাথে চালান। ট্রাফিক আইন অবশ্যই মেনে চলুন। অপর সাইডে কোন গাড়ি থাক্ বা না-ই থাক্ আপনার শিগ্ন্যাল গ্রীন না হলে আপনি তা অতিক্রম করবেন না। অবশ্য গ্রীন হলেও অন্য সাইড ভালোভাবে দেখেই পার হন, কারণ আইন ভঙ্গকারী মানুষের অভাব নেই। মাত্রাধিক স্পীডে গাড়ি চালিয়ে নিজের তথা অপরের জীবনকে মরণের দিকে ঠেলে দিবেন না।

রোডে অপর গাড়ি বা পথচারীর খেয়াল অবশ্যই রাখবেন। পথের অধিকার সকলকেই যথোচিতভাবে প্রদান করবেন। উচিতভাবে সাইড দেবেন। খবরদার রোডে কারো সাথে প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে আগে যেতে চেষ্টা করবেন না। আপনার গাড়ির হর্নে ঘুমন্ত, রোগগ্রস্ত বা ইবাদতরত কোন ব্যক্তির ডিস্টার্ব করবেন না। রাতে সামনে গাড়ি থাকলে হেড-লাইট জ্বালিয়ে রাখবেন না।

গাড়ি চালানো একটি নেহায়তই টেনশনের কাজ। সুতরাং অপরের ভুলের সাথে আপনার প্রচুর ধৈর্যের দরকার।

একজন মুসলিম হবে এতই আদর্শবান যে, তার মাধ্যমে অন্য লোকে কোন প্রকার কষ্ট পাবে না।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে