ইসলামী জীবন-ধারা মহিলার সাজ-সজ্জা আবদুল হামীদ ফাইযী ১ টি

মহিলার লেবাসের শর্ত অনুসারে আমরা বুঝতে পারি যে টাইট্ফিট আটষাট (চুশ) পোশাক কেবল স্বামীর দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে বাড়ির ভিতর পরিধান বৈধ। অবশ্য কোন এগানা ও মহিলার সামনে, এমন কি পিতা-মাতা বা ছেলে-মেয়েদের সামনেও ব্যবহার উচিত নয়।[1]

যে পোশাকে অথবা অলঙ্কারে কোন প্রকারের মানুষ বা জীব-জন্তুর ছবি অঙ্কিত থাকে তা ব্যবহার করা বৈধ নয়। যেহেতু ইসলাম ছবি ও মূর্তির ঘোর বিরোধী।[2]

যে লেবাস বা অলঙ্কারে ছয় কোণবিশিষ্ট তারকা, ক্রুশ, শঙ্খ, সর্প বা অন্যান্য কোন বিজাতীয় ধর্মীয় প»তীক (অথবা হারাম বাদ্য-যন্ত্র) চিত্রিত থাকে মুসলিমের জন্য তাও ব্যবহার করা বৈধ নয়।[3]

সোনা, রূপা বা অন্য কোন ধাতুর অলংকারে কুরআনের আয়াত অথবা আল্লাহর নাম অঙ্কিত করে তা দেহে ব্যবহার করা বৈধ নয়।[4] বৈধ নয় কোন শির্কী কথা অঙ্কিত করে মঙ্গল আনয়ন এবং অমঙ্গল দূরীকরণের ব্যবস্থা।

নিউ মোডেল বা ফ্যাশনের পরিচ্ছদ ব্যবহার তখনই বৈধ, যখন তা পর্দার কাজ দেবে এবং তাতে কোন হিরো-হিরোইন বা কাফেরদের অনুকরণ হবে না।[5]

স্ক্যার্ট-ব্লাউজ বা স্ক্যার্ট-গেঞ্জি মুসলিম মহিলার ড্রেস নয়। বাড়িতে এগানার সামনে সেই ড্রেস পরা উচিত; যাতে গলা থেকে পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত পর্দায় থাকে। আর (বিনা বোরকায়) বেগানার সামনে ও বাইরে গেলে তো নিঃসন্দেহে তা পরা হারাম।[6]

প্যান্ট্-শার্ট মুসলিমদের ড্রেস নয়। কিছু শর্তের সাথে পুরুষদের জন্য পরা বৈধ হলেও মহিলারা তা ব্যবহার করতে পারে না; যদিও তা ঢিলেঢালা হয় এবং টাইটফিট না হয়। এই জন্য যে, তা হল পুরুষদের ড্রেস। আর পুরুষের বেশধারিণী নারী অভিশপ্তা।[7]

[1]. ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৮২৫

[2]. আল-ফাতাওয়া আল-ইজতিমাইয়্যাহ, ইবনে বায, ইবনে উষা­ইমীন ৪০পৃঃ

[3]. আল-ফাতাওয়াল মুহিম্মাহ, লিনিসাইল উম্মাহ ৭পৃঃ

[4]. ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ১/৪৫৮

[5]. আল-ফাতাওয়াল মুহিম্মাহ, লিনিসাইল উম্মাহ ১২পৃঃ

[6]. আল-ফাতাওয়াল মুহিম্মাহ, লিনিসাইল উম্মাহ ২১পৃঃ

[7]. আল-ফাতাওয়াল মুহিম্মাহ, লিনিসাইল উম্মাহ ৩০-৩১পৃঃ