শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনয়ন করা বলতে মরণের পর যা কিছু হবে বলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন তার প্রত্যেকটি বিষয়ের প্রতি ঈমান আনয়ন করা বুঝায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কবরের প্রশ্নোত্তর, কবরের আযাব এবং তার সুখ-শান্তি।
মৃত্যুর মাধ্যমে মানুষের প্রথম জীবন শেষ হয় এবং পুনরুত্থানের মাধ্যমে পরলৌকিক জীবন শুরু হয়। উভয় জীবনের মধ্যবর্তী আরেকটি জীবন রয়েছে। কুরআনুল কারীমে এ অন্তবর্তীকালীন সময়কে বারযাখী জীবন বলা হয়েছে। অন্য ভাষায় ছোট কিয়ামত ও বড় কিয়ামতের মধ্যবর্তী সময়কে বারযাখী জীবন বলা হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿حَتَّى إِذَا جَاءَ أَحَدَهُمْ الْمَوْتُ قَالَ رَبِّ ارْجِعُونِي لَعَلِّي أَعْمَلُ صَالِحًا فِيمَا تَرَكْتُ كَلَّا إِنَّهَا كَلِمَةٌ هُوَ قَائِلُهَا وَمِنْ وَرَائِهِمْ بَرْزَخٌ إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ﴾
‘‘যখন তাদের কারো কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলে, হে আমার পালনকর্তা! আমাকে পুনরায় দুনিয়াতে প্রেরণ করো। যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি করিনি। কখনই নয়, এটি তো তার একটি কথা মাত্র। তাদের সামনে রয়েছে বারযাখ বা একটি পর্দা পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত’’। (সূরা মুমিনূন: ৯৮-১০০) দু’টি জিনিষের মধ্যকার পর্দা বা প্রাচীরকে বারযাখ বলা হয়। আখেরাত দিবসের প্রতিদান থেকে এ বারযাখী জীবনে কিছু কিছু নমুনা রয়েছে। কবর হলো আখিরাতের অন্যতম স্টেশন। তাতে রয়েছে দু’জন ফেরেশতার প্রশ্ন। অতঃপর রয়েছে কবরের আযাব অথবা সুখ-শান্তি।