সেখানে গিয়ে কবরবাসীকে সালাম দিবে।এজন্য কয়েকটি পরিভাষা রয়েছে। তন্মধ্যে ২টি। নিম্নে দেওয়া হলো,

السلام على أهل الديار من المؤمنين والمسلمين، ويرحم الله المستقدمين منا والمستأخرين وانا إن شاء الله بكم للاحقون

উচ্চারণঃ আসসালা-মু আলা আহলিদ্দিয়া-রি মিনাল মু'মিনীনা অলমুসলিমীন, অয়্যারহামুল্লা-হুল মুস্‌তাকদিমীনা মিন্না অলমুসতা'খিরীন, অইন্না ইনশাল্লা-হু বিকুম লালা-হিকুন।

 

(ক) “সকল মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীর উপর শান্তি বর্ষিত হোক। যারা (কবরে) আগে চলে এসেছে এবং যারা পরে আসবে তাদের সকলকে আল্লাহ রহম করুন। আর অবশ্য আমরাও আল্লাহ চাহেতো (শ্রীঘ্রই) আপনাদের সাথে মিলিত হবো।” (মুসলিম: ৯৭৪, ৯৭৮)

 

السلام عليكم أهل الديار من المؤمنين والمسلمين وإنا إن شاء الله بكم للاحقون نسأل الله لنا ولكم العافية

উচ্চারণঃ আসসালামু আলাইকুম আহলাদ্দিয়া-রি মিনাল মু'মিনীনা অলমুসলিমীন, অইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লালা-হিকুন, নাসআলুল্লা-হা লানা অলাকুমুল আ-ফিয়াহ।


(খ) “হে মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীগণ! আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ চাহেতো আমরাও আপনাদের সাথে মিলিত হবো। আল্লাহর কাছে দু'আ করছি, তিনি যেন আমাদের ও আপনাদের নিরাপত্তা দান করেন।” (মুসলিম: ৯৭৪, ৯৭৮)

তবে কবর যিয়ারতের সময় রাসূল (সা.) ও তার সাহাবীগণ কুরআন পড়েনি। সূরা ফাতিহা পড়েননি। কবর যিয়ারত করতে গিয়ে তিনি (সা.) সে সময় দু'আ শিক্ষা দিলেন; কুরআনের কোন আয়াত পড়ার কথা শিক্ষা দেননি। (মুসলিম: ৯৭৪) অতএব, আপনারাও তা করবেন না। করলে তা হবে বিদআত।

কবরবাসীর জন্য তখন হাত তুলে একাকী দুআ করাই সুন্নাত, সকলে মিলে জমাতবদ্ধভাবে নয়। দু'আর মর্যাদা নামাযের মতোই। তাই কবরের দিকে মুখ করে নয়, বরং কিবলার দিকে মুখ করে দু'আ করা সুন্নাত। কবর যিয়ারতের জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নাই। নির্ধারিত কোন দিন-ক্ষণ নাই। যেকোন দিন বা রাতে কবর যিয়ারত করা জায়েয আছে।