(ক) স্বামীর জন্য শোক পালন হলো- স্ত্রী তার সকল প্রকার সাজগোছ পরিহার করবে। পরিধেয় অলঙ্কার খুলে ফেলবে। কোন প্রকার অঙ্গসজ্জা করবে না। স্বামীর বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যাবে না। এভাবে ৪ মাস ১০ দিন চলবে। (আরো বিস্তারিত দেখুন জানাযা অধ্যায়ের শেষে।)
(খ) আর সন্তান হলে তার জন্য শোক পালন হলো- তার জন্য নীরবে কাঁদতে পারবে, চোখের পানি ফেলতে পারবে। মাতাপিতা ও ভাই-বোন বা আপনজনদের জন্য একই নিয়ম। আর তা যেন ৩ দিনের বেশি না হয়।এ সময়ের পর কাঁদতেও পারবে না। তবে কান্না এসে গেলে চোখের পানি মুছে ফেলবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এ কঠিন অবস্থায় সবর করলে এ জন্য আল্লাহর কাছে পুরস্কার পাবে।সাবধান! নিম্ন বর্ণিত কাজগুলো করা হারাম। এগুলো থেকে সতর্ক থাকুন।
(১) চিৎকার করে বা বিলাপ করে কাঁদা। (বুখারী: ৪৮৯২) তবে যদি শুধু চোখের পানি ফেলে নীরবে কান্না করে তবে তা জায়েয। (বুখারী: ১২৪২, ৩৬৭০, ৪৪৫৪)।
(২) মুখে প্রহার করা, গাল চাপড়ানো, জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলা। (বুখারী: ৪৮৯২, ১২৯৪)
(৩) শোকে নিজের মাথার চুল কামিয়ে ফেলা। (আবু দাউদ: ৩১১৯) অথবা চুল লম্বা করা।(বায়হাকী- ৪/৬৪)। উল্লেখ্য যে, জীবিত লোকের ক্রন্দনের কারণে মৃত ব্যক্তিকে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়। (বুখারী: ১২৮৮, ১৩০৪, ৩৯৭৯, ১২৯০, ১২৯২) এ জন্য জীবিত অবস্থায় পরিবার-পরিজনকে বলে যাওয়া উচিত তারা যেন কান্নাকাটি না করে।এরপরও যদি তারা কাঁদে তাহলে এ জন্য মাইয়্যেতের কোন শাস্তি হবে না। (উমদাতুল কারী- ৪/৭৯)।