নামায ত্যাগের শির্ক বলতে নিজের খেয়াল-খুশিকে প্রাধান্য দিয়ে ইচ্ছাকৃত বা অলসতা বশত নিয়মিতভাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ দৈনন্দিনের ফরয নামায আদায় না করাকে বুঝানো হয়।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন:
أَفَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَـهَهُ هَوَاهُ وَأَضَلَّهُ اللهُ عَلَى عِلْمٍ، وَخَتَمَ عَلَى سَمْعِهِ وَقَلْبِهِ وَجَعَلَ عَلَى بَصَرِهِ غِشَاوَةً، فَمَنْ يَّهْدِيْهِ مِنْ بَعْدِ اللهِ، أَفَلاَ تَذَكَّرُوْنَ
‘‘আপনি কি লক্ষ্য করেছেন ওর প্রতি যে নিজ খেয়াল-খুশিকে মা’বূদ বানিয়েছে? জ্ঞানানুযায়ী না চলার দরুন আল্লাহ্ তা’আলা তাকে বিভ্রান্ত করেছেন, তার কর্ণ ও হৃদয়ের উপর মোহর মেরে দিয়েছেন এবং তার চোখের উপর আবরণ ঢেলে দিয়েছেন। অতএব আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া অন্য আর কে তাকে হিদায়াত দিতে পারে? তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’’ (জাসিয়াহ্ : ২৩)
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلاَةِ
‘‘কোন ব্যক্তি এবং শির্ক ও কুফরির মাঝে শুধু নামায না পড়াই পার্থক্য। অন্য কিছু নয়’’। (মুসলিম, হাদীস ৮২)