উলামাগন স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করেছেন যে, উভয় প্রকার খেলাই হারাম। আল্লাহ তাঁদের প্রতি করুনা করুন। যেমন আমাদের শাইখ ও ওস্তাদগণ তা উল্লেখ করেছেন। এই সিদ্ধান্তের কারণ এই যে, উভয় খেলাতে মানুষের মধ্যে ঔদাস্য এবং আল্লাহ সুবানাল্লাহু তাআলার যিকর ও স্মরনে বাঁধা সৃষ্টি হয়। আবার কখন কখন উভয় খেলাই খেলোয়ারদের মধ্যে শত্রুতা ও দ্বেষের কারণ হয়। পড়ন্ত অনেক ক্ষেত্রে ঐ সব খেলাতে অর্থের বাজিও রাখা হয়। আর এ কথা বিদিত যে, প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার উপর কোন পণ বা বাজি রাখা বৈধ নয়। তবে যে প্রতিযোগিতায় বাজি রাখায় শরীয়ত অনুমতি দিয়েছে তাতে রাখা চলে এবং তা মাত্র তিনটি প্রতিযোগিতা; তীর, উট ও ঘোড়া প্রতিযোগিতা। পক্ষান্তরে যে ব্যাক্তি তাস ও দাবা খেলার খেলোয়াড়দের অবস্থা চিন্তা করে, সে বুঝতে পারে যে, তারা তাতে কত বেশী সময় নষ্ট করে; যার সমস্তই আল্লাহ্‌র অনুগত্যের বাইরে এবং তাঁদের নিজস্ব কোন পার্থিব উপকার লাভ ছাড়াই তা অতিবাহিত করে ফেলে।

আবারও কিছু লোক বলে থাকে যে, তাস ও দাবা খেলায় নাকি ব্রেন খুলে এবং বুদ্ধি বাড়ে। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের দাবীর বাইরে। বরং ঐ সব খেলা ব্রেনকে ভোতা করে এবং এই প্রকার বুদ্ধিতেই ব্রেনকে সীমাবদ্ধ করে রাখে। সুতরাং যদি কেউ তার চিন্তাশক্তিকে উক্ত পদ্ধতি ছাড়া অন্যভাবে (ভিন্ন বিষয়ে) ব্যবহার করে, তবে সে কিছু ফল লাভ করতে সক্ষম হবে না।

অতএব এই কথার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, যে খেলা ব্রেন কে ভোতা করে এবং তাঁকে এক প্রকার বুদ্ধিতেই সীমাবদ্ধ করে রাখে সেই খেলা থেকে জ্ঞানি মানুষকে দূরে থাকা অবশ্যক। (ইবনে উষাইমীন)