বরং তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে পূর্বে যা তারা গোপন করত। আর যদি তাদের ফেরত পাঠানো হয় অবশ্যই যা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে তারা তাতে ফিরে যেত এবং নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী। আল-বায়ান
বরং (আসল ব্যাপার হল) আগে (দুনিয়াতে) তারা (মিথ্যের আবরণে) যা গোপন করে রাখত এখন তা তাদের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে আর তাদেরকে (পৃথিবীতে) ফিরিয়ে দেয়া হলে তারা আবার তা-ই করবে যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, নিশ্চয় তারা হল মিথ্যুক। তাইসিরুল
যে সত্য তারা পূর্বে গোপন করেছিল তা তখন তাদের নিকট সুস্পষ্ট রূপে প্রতিভাত হয়ে পড়বে, আর যদি তাদেরকে সাবেক পার্থিব জীবনে ফিরে যেতেও দেয়া হয়, তবুও যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল তারা তা’ই করবে, নিঃসন্দেহে তারা মিথ্যাবাদী। মুজিবুর রহমান
But what they concealed before has [now] appeared to them. And even if they were returned, they would return to that which they were forbidden; and indeed, they are liars. Sahih International
২৮. বরং আগে তারা যা গোপন করত তা এখন তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। আর তাদের আবার (দুনিয়ায়) ফেরৎ পাঠানো হলেও তাদেরকে যা করতে নিষেধ করা হয়েছিল আবার তারা তাই করত এবং নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।(১)
(১) তাদের এ উক্তিকে মিথ্যা বলা পরিণতির দিক দিয়েও হতে পারে। অর্থাৎ তারা ওয়াদা করেছে যে, আমরা দুনিয়াতে পুনঃ প্রেরিত হলে মিথ্যারোপ করবো না, এর পরিণতি কিন্তু এরূপ হবে না; তারা দুনিয়াতে পৌছে আবারো মিথ্যারোপ করবে। [ইবন কাসীর] আবার এ মিথ্যা বলার এ অর্থও হতে পারে যে, তারা এখনো যা কিছু বলছে, তা সদিচ্ছায় বলছে না, বরং সাময়িক বিপদ টলানোর উদ্দেশ্যে, শাস্তির কবল থেকে বাঁচার জন্যে বলছে- অন্তরে এখনো তাদের সদিচ্ছা নেই। [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(২৮) বরং পূর্বে তারা যা গোপন করত, তা তখন তাদের নিকট প্রকাশ পেয়ে যাবে।[1] তারা প্রত্যাবর্তিত হলেও যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল, পুনরায় তারা তাই করবে। আর অবশ্যই তারা মিথ্যাবাদী। [2]
[1] بَلْ যেটা إِضْرَاب (অর্থাৎ, পূর্বের কথাকে প্রত্যাহার করার) জন্য আসে। এ বাক্যের কয়েকটি ব্যাখ্যা বর্ণনা করা হয়েছে। (ক) তাদের সেই কুফরী, বিরুদ্ধাচরণ এবং মিথ্যাজ্ঞান প্রকাশিত হয়ে যাবে, যা ইতিপূর্বে তারা দুনিয়াতে অথবা আখেরাতে গোপন করত। অর্থাৎ, যেটাকে অস্বীকার করত। যেমন, সেখানে প্রথম পর্যায়ে বলবে, مَا كُنَّا مُشْرِكِيْنَ ‘‘আমরা তো মুশরিকই ছিলাম না।’’ (খ) অথবা রসূল (সাঃ) এবং কুরআনে কারীমের যে সত্যতার জ্ঞান তাদের অন্তরে ছিল, কিন্তু তা তাদের অনুসারীদের নিকট গোপন করত, সেখানে প্রকাশিত হয়ে যাবে। (গ) কিংবা মুনাফেকদের সেই মুনাফেকী সেখানে প্রকাশিত হয়ে যাবে, যা তারা দুনিয়াতে ঈমানদারদের নিকট গোপন করত। (তাফসীর ইবনে কাসীর)
[2] অর্থাৎ, পুনরায় দুনিয়াতে আসার ইচ্ছা ঈমান আনার জন্য নয়, বরং কেবল সেই আযাব থেকে বাঁচার জন্য, যা কিয়ামতের দিন প্রকাশ হয়ে যাবে এবং যা তারা প্রত্যক্ষ দেখেও নেবে। তাছাড়া দুনিয়াতে যদি এদেরকে পুনরায় পাঠানোও যায়, তবুও তারা তা-ই করবে, যা পূর্বে করেছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান