৯১ সূরাঃ আশ-শামস | Ash-Shams | سورة الشمس - আয়াতঃ ১৪
৯১:১৪ فَكَذَّبُوۡهُ فَعَقَرُوۡهَا ۪۬ۙ فَدَمۡدَمَ عَلَیۡهِمۡ رَبُّهُمۡ بِذَنۡۢبِهِمۡ فَسَوّٰىهَا ﴿۪ۙ۱۴﴾
فكذبوه فعقروها فدمدم علیهم ربهم بذنبهم فسوىها ﴿۱۴﴾

কিন্তু তারা তাকে অস্বীকার করল এবং উষ্ট্রীকে যবেহ করল। ফলে তাদের রব তাদের অপরাধের কারণে তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দিলেন। অতঃপর তা একাকার করে দিলেন। আল-বায়ান

কিন্তু তারা রসূলের কথা অগ্রাহ্য করল এবং উটনির পায়ের রগ কেটে দিল। শেষ পর্যন্ত তাদের পাপের কারণে তাদের প্রতিপালক তাদেরকে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিলেন। তাইসিরুল

কিন্তু তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলল, অতঃপর ঐ উষ্ট্রিকে কেটে ফেলল। সুতরাং তাদের পাপের জন্য তাদের রাব্ব তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করলেন, অতঃপর তাদেরকে ভূমিসাৎ করে ফেললেন, মুজিবুর রহমান

But they denied him and hamstrung her. So their Lord brought down upon them destruction for their sin and made it equal [upon all of them]. Sahih International

১৪. কিন্তু তারা তার প্রতি মিথ্যারোপ করল এবং উষ্ট্রীকে জবাই করল।(১) ফলে তাদের পাপের জন্য তাদের রব তাদেরকে সমুলে ধ্বংস করে একাকার করে দিলেন।(২)

(১) পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, উটনীকে হত্যা করার পর সামুদের লোকেরা সালেহ আলাইহিস সালামকে বললো, “তুমি আমাদের যে আযাবের ভয় দেখাতে এখন সেই আযাব আনো।” [সূরা আল-আরাফ: ৭৭] তখন “সালেহ আলাইহিস সালাম তাদেরকে বললেন, তিনদিন পর্যন্ত নিজেদের গৃহে আরো আয়েশ করে নাও, তারপর আযাব এসে যাবে এবং এটি এমন একটি সতর্কবাণী যা মিথ্যা প্রমাণিত হবে। না।” [সূরা হূদ: ৬৫]

(২) আয়াতে উল্লেখিত دَمْدَمَ শব্দটি এমন কঠোর শাস্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, যা বার বার কোন ব্যক্তি অথবা জাতির ওপর পতিত হয়ে তাকে সম্পূর্ণ নাস্তানাবুদ করে দেয়। [কুরতুবী] এখানে فَسَوَّاهَا এর দ্বারা উদ্দেশ্য এই যে, এ আযাব জাতির আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাইকে বেষ্টন করে নিয়েছিল। [ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

১৪। কিন্তু তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলল। অতঃপর ঐ উষ্ট্রীকে হত্যা করল। [1] সুতরাং তাদের পাপের জন্য তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে[2] একাকার[3] করে দিলেন।

[1] এ কুকাজ ঐ ‘কুদ্দার’ নামক এক ব্যক্তিই করেছিল। কিন্তু যেহেতু এ কাজে জাতির সকল লোকেরাও তাতে জড়িত ছিল। সে জন্য তাদের সকলকে সমান অপরাধী গণ্য করা হল এবং মিথ্যাজ্ঞান ও উটনীর হত্যা ক্রিয়ার সম্বন্ধ পুরো জাতির প্রতি করা হয়েছে। এখান থেকে একটি নীতি জানা যায় যে, একই মন্দকর্মে জড়িত যদি জাতির কয়েকজন ব্যক্তি হয়, কিন্তু পুরো জাতির সমস্ত লোক যদি তাতে আপত্তি না করে; বরং পছন্দ করে, তাহলে তাদের সকলেই আল্লাহর নিকট মন্দ কাজে জড়িত হিসাবে পরিগণিত হয় এবং সেই অপরাধ ও মন্দকাজে সবাইকে সমান শরীক ভাবা হয়।

[2] دَمدَم عَلَيهِم অর্থ হল, আল্লাহ তাদের উপর কঠিন আযাব অবতীর্ণ করলেন এবং তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দিলেন।

[3] একাকার করে দিলেন। অর্থাৎ, এই আযাবকে তাদের উপর সমানভাবে ব্যাপক করে দিলেন। কাউকে তিনি ছাড়লেন না; এই আযাব দ্বারা তিনি ঐ জাতির আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকলকেই ধ্বংস করে দিলেন। অথবা এর অর্থ এই যে, মাটিকে তাদের উপর বরাবর ও সমান করে দিলেন। অর্থাৎ, সবাইকে মাটির নিচে ধসিয়ে দিলেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান