আল্লাহ যা চান তা ছাড়া। নিশ্চয় তিনি জানেন, যা প্রকাশ্য এবং যা গোপন থাকে। আল-বায়ান
তবে ওটা বাদে যেটা আল্লাহ (রহিত করার) ইচ্ছে করবেন। তিনি জানেন যা প্রকাশ্য আর যা গোপন। তাইসিরুল
আল্লাহ যা ইচ্ছা করবেন তদ্ব্যতীত, নিশ্চয়ই তিনি প্রকাশ্য ও গুপ্ত বিষয় জ্ঞাত আছেন, মুজিবুর রহমান
Except what Allah should will. Indeed, He knows what is declared and what is hidden. Sahih International
৭. আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন তা ছাড়া।(১) নিশ্চয় তিনি জানেন যা প্ৰকাশ্য ও যা গোপনীয়।
(১) এই বাক্যটির কয়েকটি অর্থ হতে পারে। এক. কুরআনের কিছু আয়াত রহিত করার এক সুবিদিত পদ্ধতি হচ্ছে প্রথম আদেশের বিপরীতে পরিষ্কার দ্বিতীয় আদেশ নাযিল করা। এর আরেকটি পদ্ধতি হলো সংশ্লিষ্ট আয়াতটিই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সকল মুসলিমের স্মৃতি থেকে মুছে দেয়া। এ সম্পর্কে এক আয়াতে আছে, (مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا) অর্থাৎ “আমরা কোন আয়াত রহিত করি অথবা আপনার স্মৃতি থেকে উধাও করে দেই।” [সূরা আল-বাকারাহ: ১০৬] তাই “আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ছাড়া” বলে রহিত আয়াতগুলোর কথা বলা হয়েছে। দুই, অথবা আয়াতের উদ্দেশ্য, কখনো সাময়িকভাবে আপনার ভুলে যাওয়া এবং কোন আয়াত বা শব্দ আপনার কোন সময় ভুলে যাওয়া এই ওয়াদার ব্যতিক্রম। যে ব্যাপারে ওয়াদা করা হয়েছে তা হচ্ছে এই যে, আপনি স্থায়ীভাবে কুরআনের কোন শব্দ ভুলে যাবেন না।
হাদীসে আছে, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন একটি সূরা তেলাওয়াত করলেন এবং মাঝখান থেকে একটি আয়াত বাদ পড়ল। ওহী লেখক উবাই ইবনে কা'ব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মনে করলেন যে, আয়াতটি বোধ হয় মনসুখ হয়ে গেছে। কিন্তু জিজ্ঞাসার জওয়াবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ মনসুখ হয়নি, আমিই ভুলক্রমে পাঠ করিনি। [মুসনাদে আহমাদ: ৩/৪০৭] অন্য হাদীসে এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সাহাবীকে কোন আয়াত পড়তে শোনে বললেন, আল্লাহ তাকে রহমত করুন, আমাকে এ আয়াতটি ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল এখন মনে পড়েছে। [মুসলিম: ৭৮৮] অতএব, উল্লিখিত ব্যতিক্রমের সারমর্ম এই যে, সাময়িকভাবে কোন আয়াত ভুলে যাওয়া অতঃপর তা স্মরণে আসা বর্ণিত প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী নয়। [দেখুন: কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া৭। আল্লাহ যা ইচ্ছা করবেন তা ব্যতীত, নিশ্চয়ই তিনি ব্যক্ত ও গুপ্ত বিষয় পরিজ্ঞাত আছেন। [1]
[1] এ কথাটি ব্যাপক। ‘ব্যক্ত’ কুরআনের ঐ অংশকেও বলা যায়; যা নবী (সাঃ) মুখস্থ করে নেন। আর যা তাঁর অন্তর থেকে মুছে দেওয়া হয়, তা হল ‘গুপ্ত’ বিষয়। অনুরূপভাবে যা সশব্দে পড়া হয়, তা ‘ব্যক্ত’ এবং যা নিঃশব্দে পড়া হয়, তা ‘গুপ্ত’ এবং যে কাজ প্রকাশ্যে করা হয় তা ‘ব্যক্ত’ এবং যে কাজ গোপনে করা হয়, তা ‘গুপ্ত’ এ সকল বিষয়ের খবর আল্লাহ রাখেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান