আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে পারে না। তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং ক্ষমার অধিকারী। আল-বায়ান
আল্লাহর ইচ্ছে ব্যতীত কেউ উপদেশ গ্রহণ করবে না, তিনিই ভয়ের যোগ্য, তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী। তাইসিরুল
আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কেহ উপদেশ গ্রহণ করবেনা, একমাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী। মুজিবুর রহমান
And they will not remember except that Allah wills. He is worthy of fear and adequate for [granting] forgiveness. Sahih International
৫৬. আর আল্লাহর ইচ্ছে ছাড়া কেউ উপদেশ গ্ৰহণ করতে পারে না; তিনিই যোগ্য যে, একমাত্র তারই তাকওয়া অবলম্বন করা হবে, আর তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী।(১)
(১) আল্লাহ তা'আলা (أَهْلُ التَّقْوَىٰ) এই অর্থে যে, একমাত্র তারই তাকওয়া অবলম্বন করা যায়। তিনি ব্যতীত আর কারও তাকওয়া অবলম্বন করতে বলা যায় না। একমাত্র তাঁকেই ভয় করা এবং তার নাফরমানী থেকেই বেঁচে থাকা জরুরী। আর (وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ) হওয়ার উদ্দেশ্য এই যে, তিনিই অপরাধী গোনাহগারের অপরাধ ও গোনাহ যখন ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। অন্য কেউ এরূপ উচ্চমান হতে পারে না। [দেখুন: ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৬) আর আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতিরেকে কেউ উপদেশ গ্রহণ করবে না।[1] একমাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী। [2]
[1] অর্থাৎ, এই কুরআন থেকে হিদায়াত এবং নসীহত সে-ই গ্রহণ করতে সক্ষম হবে, যার জন্য আল্লাহ চাইবেন। وَمَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ (التكوير:২৯)
[2] অর্থাৎ, সেই আল্লাহই এর উপযুক্ত যে, তাঁকে ভয় করা হোক। আর তিনিই মাফ করার এখতিয়ার রাখেন। কাজেই তিনি এই অধিকার রাখেন যে, তাঁর আনুগত্য করা হোক এবং তাঁর অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা হোক। এতে মানুষ তাঁর ক্ষমা ও রহমত পাওয়ার অধিকারী সাব্যস্ত হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান