কখনো নয়, নিশ্চয় আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি তারা যা জানে তা থেকে। আল-বায়ান
কক্ষনো না, আমি তাদেরকে কী থেকে সৃষ্টি করেছি তা তারা জানে (এমন নগণ্য বস্তু থেকে সৃষ্ট মানুষ কেবল মানুষ হয়ে জন্ম নেয়ার কারণেই জান্নাতে চলে যাবে এ রকম লোভ করা বড়ই অবিবেচনাপ্রসূত ব্যাপার)। তাইসিরুল
না তা হবেনা, আমি তাদেরকে যা হতে সৃষ্টি করেছি তা তারা জানে। মুজিবুর রহমান
No! Indeed, We have created them from that which they know. Sahih International
৩৯. কখনো নয়(১), আমরা তাদেরকে যা থেকে সৃষ্টি করেছি তা তারা জানে।(২)
(১) অর্থাৎ তারা যা মনে করে, যা ইচ্ছা করে, ব্যাপার আসলে তা নয়। [সা'দী]
(২) বুসর ইবনে জাহহাস আল-কুরাশী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (فَمَالِ الَّذِينَ كَفَرُوا قِبَلَكَ مُهْطِعِينَ ٭ عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ عِزِينَ ٭ أَيَطْمَعُ كُلُّ امْرِئٍ مِنْهُمْ أَنْ يُدْخَلَ جَنَّةَ نَعِيمٍ ٭ كَلَّا إِنَّا خَلَقْنَاهُمْ مِمَّا يَعْلَمُونَ) এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন, তারপর তার হাতের তালুতে থুথু ফেলে বললেন, আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! কিভাবে তুমি আমাকে অপারগ করবে? অথচ তোমাকে আমি এর (থুথুর) মত বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর যখন তোমাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সুন্দর অবয়ব দান করে সৃষ্টি করেছি তখন তুমি দুটি দামী মূল্যবান চাদরে নিজেকে জড়িয়ে যমীনের উপর এমনভাবে চলাফেরা করেছ। যে, যমীন কম্পিত হয়েছে, তারপর তুমি সম্পদ জমা করেছ, তা থেকে দিতে নিষেধ করেছ। শেষ পর্যন্ত যখন প্ৰাণ কণ্ঠাগত হয়েছে তখন বল, আমি দান-সদকা করব! তখন কি আর সদকার সময় বাকী আছে?! [ইবনে মাজাহ: ২৭০৭, মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৫০২]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৯) না, তা হবে না।[1] নিশ্চয় আমি তাদেরকে এমন বস্তু হতে সৃষ্টি করেছি, যা তারা জানে। [2]
[1] অর্থাৎ, এটা হতে পারে না যে, মু’মিন এবং কাফের উভয়েই জান্নাতে প্রবেশ করবে। যাঁরা রসূল (সাঃ)-কে বিশ্বাস করেছে এবং যারা তাঁকে মিথ্যা ভেবেছে তারা উভয়েই আখেরাতের নিয়ামত লাভ করবে? এ রকম হতেই পারে না।
[2] অর্থাৎ, مَاءٍ مَهِيْنٍ (তুচ্ছ বীর্যবিন্দু) হতে। এটাই যখন প্রকৃত ব্যাপার, তখন অহংকার করা কি মানুষের শোভা পায়? যে অহংকারের কারণেই সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে মিথ্যা ভাবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান