আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলে, ‘কেন একটি সূরা নাযিল করা হয়নি?’ অতঃপর যখন দ্ব্যর্থহীন কোন সুস্পষ্ট সূরা নাযিল করা হয় এবং তাতে যুদ্ধের উল্লেখ থাকে, তখন তুমি দেখবে যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তারা তোমার দিকে মৃত্যুভয়ে মূর্ছিত ব্যক্তির দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্য। আল-বায়ান
মু’মিনরা বলে- একটি সূরাহ নাযিল হয় না কেন? অতঃপর যখন কোন সুস্পষ্ট অর্থবোধক সূরাহ অবতীর্ণ হয় আর তাতে যুদ্ধের কথা উল্লেখ থাকে, তখন যাদের অন্তরে রোগ আছে তুমি তাদেরকে দেখবে মৃত্যুর ভয়ে জ্ঞানহারা লোকের মত তোমার দিকে তাকাচ্ছে। কাজেই ধ্বংস তাদের জন্য। তাইসিরুল
মু’মিনরা বলেঃ একটি সূরা অবতীর্ণ হয় না কেন? অতঃপর যদি সুস্পষ্ট মর্ম বিশিষ্ট কোন সূরা অবতীর্ণ হয় এবং তাতে জিহাদের কোন নির্দেশ থাকে তাহলে তুমি দেখবে যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা মৃত্যুভয়ে বিহবল মানুষের মত তোমার দিকে তাকাচ্ছে। শোচনীয় পরিণাম ওদের। মুজিবুর রহমান
Those who believe say, "Why has a surah not been sent down? But when a precise surah is revealed and fighting is mentioned therein, you see those in whose hearts is hypocrisy looking at you with a look of one overcome by death. And more appropriate for them [would have been] Sahih International
২০. আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলে, একটি সূরা নাযিল হয় না কেন? অতঃপর যদি মুহাকাম(১) কোন সূরা নাযিল হয় এবং তাতে যুদ্ধের কোন নির্দেশ থাকে আপনি দেখবেন যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা মৃত্যুভয়ে বিহ্বল মানুষের মত আপনার দিকে তাকাচ্ছে।(২) সুতরাং তাদের জন্য উত্তম হতো—
(১) কাতাদাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ যেসব সূরায় যুদ্ধ ও জেহাদের বিধানাবলী বিধৃত হয়েছে, সেগুলো সব মুহকমাহ তথা অরহিত। [কুরতুবী]
(২) তাদের এ অবস্থা অন্যত্র এভাবে বর্ণনা করা হয়েছেঃ “আপনি কি সে লোকদের দেখেছেন যাদের বলা হয়েছিলো, নিজের হাতকে সংযত রাখো, সালাত কায়েম করো এবং যাকাত দাও। এখন তাদেরকে যখন যুদ্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তখন তাদের এক দলের অবস্থা এই যে, মানুষকে এমন ভয় পাচ্ছে যে ভয় আল্লাহকে করা উচিত। বরং তার চেয়েও বেশী ভয় পাচ্ছে। তারা বলছে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে যুদ্ধের এ নির্দেশ কেন দিলে? আমাদেরকে আরো কিছু অবকাশ দিলে না কেন? [সূরা আন-নিসাঃ ৭৭]
তাফসীরে জাকারিয়া(২০) বিশ্বাসীরা বলে, ‘একটি সূরা অবতীর্ণ করা হয় না কেন?’[1] অতঃপর যদি সুস্পষ্ট মর্মবিশিষ্ট কোন সূরা অবতীর্ণ করা হয়[2] এবং তাতে যুদ্ধের কোন নির্দেশ থাকে, তাহলে তুমি দেখবে, যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা মৃত্যুভয়ে বিহ্বল মানুষের মত তোমার দিকে তাকাচ্ছে। [3] সুতরাং তাদের জন্য উত্তম ছিল,
[1] যখন জিহাদের নির্দেশ আসেনি, তখন জিহাদের জন্য উদ্গ্রীব মু’মিনগণ, যাঁরা জিহাদ করার অনুমতির আশা করতেন এবং বলতেন যে, ‘এ (জিহাদের) ব্যাপারে কোন সূরা অবতীর্ণ করা হয় না কেন?’ অর্থাৎ, এমন সূরা যাতে জিহাদ করার নির্দেশ থাকবে।
[2] অর্থাৎ, এমন সূরা যা ‘মানসূখ’(রহিত) নয়।
[3] এ হল সেই মুনাফিকদের কথা, যাদের কাছে জিহাদের নির্দেশ বড় কঠিন মনে হত। কিছু দুর্বল শ্রেণীর মু’মিনও কখনো কখনো তাদের দলভুক্ত হয়ে যেত। সূরা নিসার ৭৭ নং আয়াতেও এই বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান