৪৩ সূরাঃ আয-যুখরুফ | Az-Zukhruf | سورة الزخرف - আয়াতঃ ২৯
৪৩:২৯ بَلۡ مَتَّعۡتُ هٰۤؤُلَآءِ وَ اٰبَآءَهُمۡ حَتّٰی جَآءَهُمُ الۡحَقُّ وَ رَسُوۡلٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۲۹﴾
بل متعت هؤلآء و ابآءهم حتی جآءهم الحق و رسول مبین ﴿۲۹﴾

বরং তাদের কাছে সত্য ও স্পষ্ট বর্ণনাকারী রাসূল আগমন না করা পর্যন্ত আমি তাদের এবং তাদের পিতৃপুরুষদের ভোগ করার সুযোগ দিয়েছিলাম। আল-বায়ান

হ্যাঁ, আমিই তাদেরকে আর তাদের পূর্বপুরুষকে ভোগের সামগ্রী দিয়েছিলাম। অবশেষে তাদের কাছে আসলো সত্য এবং সবকিছু স্পষ্টকারী রসূল। তাইসিরুল

বরং আমিই তাদেরকে এবং তাদের পূর্ব-পুরুষদেরকে সুযোগ দিয়েছিলাম ভোগের; অবশেষে তাদের নিকট এলো সত্য ও স্পষ্ট প্রচারক রাসূল। মুজিবুর রহমান

However, I gave enjoyment to these [people of Makkah] and their fathers until there came to them the truth and a clear Messenger. Sahih International

২৯. বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরকে দিয়েছিলাম ভোগ করতে, অবশেষে তাদের কাছে আসল সত্য এবং স্পষ্ট বর্ণনাকারী রাসূল।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৯) বস্তুতঃ আমিই ওদেরকে এবং ওদের পূর্বপুরুষদেরকে উপভোগের সুযোগ দিয়েছিলাম[1] যতক্ষণ না ওদের কাছে সত্য ও স্পষ্ট প্রচারক রসূল এল। [2]

[1] এখানে আবারও সেই সমস্ত নিয়ামতের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে, যা মহান আল্লাহ তাদেরকে দান করেছিলেন এবং নিয়ামতগুলো দেওয়ার পর আযাব প্রেরণ করার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করা হয়নি, বরং তাদেরকে পূর্ণ অবকাশ দেওয়া হয়েছিল। যার কারণে তারা ধোকায় পতিত হয়ে নিজেদের প্রবৃত্তির বান্দা বনে গিয়েছিল।

[2] ‘হক’ বা ‘সত্য’ বলতে কুরআন, আর ‘রসূল’ বলতে মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। مُبِيْنٌ হল রসূলের ‘সিফাত’ (বিশেষণ)। স্পষ্ট ও পরিষ্কারভাবে বর্ণনাকারী অথবা যাঁর রিসালাত একেবারে স্পষ্ট উজ্জ্বল। তাতে কোন প্রকারের অস্পষ্টতা ও প্রচ্ছন্নতা নেই।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান