তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’বার জীবন দিয়েছেন। অতঃপর আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব (জাহান্নাম থেকে) বের হবার কোন পথ আছে কি’? আল-বায়ান
তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি দু’বার আমাদের মৃত্যু দিয়েছ (জন্মের আগের মৃত অবস্থা আর জীবন শেষের মৃত্যু) আর আমাদেরকে দু’বার জীবন দিয়েছ। আমরা আমাদের পাপ স্বীকার করছি, (এখান থেকে) বের হওয়ার কোন পথ আছে কি? তাইসিরুল
তারা বলবেঃ হে আমাদের রাব্ব! আপনি আমাদেরকে প্রাণহীন অবস্থায় দু’বার রেখেছেন এবং দু’বার আমাদেরকে প্রাণ দিয়েছেন। আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি; এখন নিস্ক্রমণের কোন পথ মিলবে কি? মুজিবুর রহমান
They will say, "Our Lord, You made us lifeless twice and gave us life twice, and we have confessed our sins. So is there to an exit any way?" Sahih International
১১. তারা বলবে, হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’বার আমাদেরকে জীবন দিয়েছেন। অতঃপর আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব (জাহান্নাম থেকে) বের হবার কোন পথ আছে কি?(১)
(১) দু’বার মৃত্যু এবং দু’বার জীবন বলতে বুঝানো হয়েছে তোমরা প্রাণহীন ছিলে, তিনি তোমাদের প্রাণ দান করেছেন। এরপর তিনি পুনরায় তোমাদের মৃত্যু দিবেন এবং পরে আবার জীবন দান করবেন। কাফেররা এসব ঘটনার প্রথম তিনটি অস্বীকার করে না। কারণ, ঐগুলো বাস্তবে প্রত্যক্ষ করা যায় এবং সে জন্য অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু তারা শেষোক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হওয়া অস্বীকার করে। কারণ, এখনো পর্যন্ত তারা তা প্রত্যক্ষ করেনি এবং শুধু নবী-রসূলগণই এটির খবর দিয়েছেন। কিয়ামতের দিন এ চতুর্থ অবস্থাটিও তারা কার্যত দেখতে পাবে এবং তখন স্বীকার করবে যে, আমাদেরকে যে বিষয়ের খবর দেয়া হয়েছিলো তা প্রকৃতই সত্যে পরিণত হলো। [দেখুন: তাবারী]
তাফসীরে জাকারিয়া(১১) ওরা বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের দু’বার মৃত্যু দিয়েছ এবং দু’বার আমাদেরকে জীবিত করেছ।[1] আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করলাম।[2] এখন নিষ্কৃতির কোন পথ মিলবে কি?’ [3]
[1] অধিকাংশ মুফাসসিরগণের ব্যাখ্যা অনুযায়ী প্রথম মৃত্যু হল সেই বীর্য, যা পিতার পৃষ্ঠদেশে থাকে। অর্থাৎ, অস্তিত্বের পূর্বে তার অস্তিত্বহীনতাকে মৃত্যু বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় মৃত্যু হল ঐ মৃত্যু, যা মানুষ তার জীবন অতিবাহিত করার পর বরণ করে এবং যার পর সে কবরে দাফন হয়। আর দু’টি জীবন বলতে, একটি হল এই পার্থিব জীবন, যার আরম্ভ হয় জন্ম থেকে এবং শেষ হয় মৃত্যুর উপর। আর দ্বিতীয় জীবন হল, সেই জীবন, যা কিয়ামতের দিন কবর থেকে ওঠার পর লাভ করবে। এই দু’টি মৃত্যু ও দু’টি জীবনের উল্লেখ সূরা বাক্বারার ২৮ وَكُنْتُمْ أَمْوَاتًا فَأَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ আয়াতেও করা হয়েছে।
[2] অর্থাৎ, জাহান্নামে স্বীকার করবে, যেখানে স্বীকার করার কোন ফল হবে না এবং সেখানে অনুতপ্ত হবে, যেখানে অনুতপ্ত হওয়ার কোনই মূল্য থাকবে না।
[3] এটা তাদের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা, যা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে। আর তা হল এই আশা যে, আমাদেরকে পুনরায় পৃথিবীতে পাঠানো হোক, যাতে আমরা বহু নেকী অর্জন করে নিয়ে আসি।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান