তিনি জানেন যমীনে যা প্রবেশ করে এবং তা থেকে যা বের হয়; আর আসমান থেকে যা নাযিল হয় এবং তাতে যা উঠে* । আর তিনি পরম দয়ালু, অতিশয় ক্ষমাশীল। আল-বায়ান
ভূমিতে যা প্রবেশ করে আর তাত্থেকে যা বের হয়, আর আকাশ হতে যা অবতীর্ণ হয় আর তাতে যা উত্থিত হয় তা তিনি জানেন। তিনি পরম দয়ালু, পরম ক্ষমাশীল। তাইসিরুল
তিনি জানেন যা ভূমিতে প্রবেশ করে, তা হতে যা নির্গত হয় এবং যা আকাশ হতে বর্ষিত হয় ও যা কিছু আকাশে উত্থিত হয়। তিনিই পরম দয়ালু, ক্ষমাশীল। মুজিবুর রহমান
He knows what penetrates into the earth and what emerges from it and what descends from the heaven and what ascends therein. And He is the Merciful, the Forgiving. Sahih International
২. তিনি জানেন যা যমীনে প্রবেশ করে(১) এবং যা তা থেকে নিৰ্গত হয়, আর যা আসমান থেকে নাযিল হয় এবং যা কিছু তাতে উত্থিত হয়।(২) আর তিনি পরম দয়ালু, অতিশয় ক্ষমাশীল।
(১) অর্থাৎ আসমান থেকে যে পানি নাযিল হয় সে পানির কতটুকু যমীনে প্রবেশ করে তা আল্লাহ ভাল করেই জানেন। [আদওয়াউল বায়ান] যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, “আপনি কি দেখেন না, আল্লাহ আকাশ হতে বারি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা ভূমিতে নির্ঝররূপে প্রবাহিত করেন তারপর তা দ্বারা বিবিধ বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, তারপর তা শুকিয়ে যায়।” [সূরা আয-যুমার: ২১]
(২) যমীন থেকে যা নিৰ্গত হয় যেমন, উদ্ভিদ, খনিজ সম্পদ, পানি। আর আসমান থেকে যা নাযিল হয়। যেমন, বৃষ্টির পানি, ফেরেশতা, কিতাবাদি। আকাশে যা উত্থিত হয় যেমন, ফেরেশতাগণ, মানুষের আমল। তিনি বান্দাদের প্রতি দয়াশীল বলেই তাদের অপরাধের কারণে তাদের উপর দ্রুত শাস্তি নাযিল করেন না। যারা তার কাছে তাওবা করবে, তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। [মুয়াস্সার]
তাফসীরে জাকারিয়া(২) তিনি জানেন যা ভূগর্ভে প্রবেশ করে,[1] যা তা থেকে নির্গত হয় এবং যা আকাশ হতে অবতরণ করে[2] ও যা কিছু আকাশে উত্থিত হয়। [3] তিনিই পরম দয়ালু, চরম ক্ষমাশীল।
[1] যেমন বৃষ্টি, প্রোথিত গুপ্তধন এবং খনিজ-সম্পদ ইত্যাদি।
[2] বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, মেঘগর্জন, বিদ্যুত ও আল্লাহর বরকত, ফিরিশতা এবং আসমানী কিতাব ইত্যাদি।
[3] অর্থাৎ, ফিরিশতা এবং বান্দাদের আমল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান