২৯ সূরাঃ আল-আনকাবূত | Al-Ankabut | سورة العنكبوت - আয়াতঃ ৫৮
২৯:৫৮ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَنُبَوِّئَنَّهُمۡ مِّنَ الۡجَنَّۃِ غُرَفًا تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا ؕ نِعۡمَ اَجۡرُ الۡعٰمِلِیۡنَ ﴿٭ۖ۵۸﴾
و الذین امنوا و عملوا الصلحت لنبوئنهم من الجنۃ غرفا تجری من تحتها الانهر خلدین فیها نعم اجر العملین ﴿٭۵۸﴾

আর যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে, তাদেরকে অবশ্যই আমি জান্নাতে কক্ষ বানিয়ে দেব, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। কতইনা উত্তম আমলকারীদের প্রতিদান! আল-বায়ান

যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে, আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই জান্নাতে সুউচ্চ প্রাসাদে বাসস্থান দেব যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, তার ভেতরে তারা চিরকাল থাকবে। সৎকর্মশীলদের প্রতিদান কতই না উত্তম! তাইসিরুল

যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে আমি অবশ্যই তাদের বসবাসের জন্য সুউচ্চ প্রাসাদ দান করব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে, কত উত্তম প্রতিদান সৎ কর্মশীলদের – মুজিবুর রহমান

And those who have believed and done righteous deeds - We will surely assign to them of Paradise [elevated] chambers beneath which rivers flow, wherein they abide eternally. Excellent is the reward of the [righteous] workers Sahih International

৫৮. আর যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আমরা অবশ্যই তাদের বসবাসের জন্য সুউচ্চ প্রাসাদ দান করব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত(১), সেখানে তারা স্থায়ী হবে, কত উত্তম প্রতিদান সে সকল কর্মশীলদের জন্য,

(১) সে সমস্ত প্রাসাদ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয় জান্নাতে এমন প্রাসাদ আছে যার অভ্যন্তর থেকে বাইরের অংশ দেখা যায় আর বাইরের অংশ থেকে অভ্যন্তরের অংশ দেখা যায়। আল্লাহ্ তা তাদের জন্যই তৈরী করেছেন যারা খাবার খাওয়ায়, নরমভাবে কথা বলে, পরপর সাওম রাখে আর মানুষের নিদ্রাবস্থায় সে সালাত আদায় করে।’ [মুসনাদ: ৫/৩৪৩]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৮) যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ প্রাসাদসমূহে স্থান দান করব; যার নিচে নদীমালা প্রবাহিত থাকবে,[1] সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে।[2] সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কার কত উত্তম!

[1] অর্থাৎ, জান্নাতীদের বাসস্থান উঁচু উঁচু প্রাসাদ হবে, যার তলদেশে প্রবাহিত হবে পানি, শারাব, মধু ও দুধের নহর। এ ছাড়া সেই সব নহরকে যে দিকে ইচ্ছা সে দিকে প্রবাহিত করতে পারবে।

[2] না সুখ-সম্পদ নিঃশেষ হওয়ার ভয় থাকবে, আর না তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকবে। আর না সেখান হতে স্থানান্তরিত হওয়ার কোন ভয় থাকবে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান