২৯ সূরাঃ আল-আনকাবূত | Al-Ankabut | سورة العنكبوت - আয়াতঃ ৫৬
২৯:৫৬ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّ اَرۡضِیۡ وَاسِعَۃٌ فَاِیَّایَ فَاعۡبُدُوۡنِ ﴿۵۶﴾
یعبادی الذین امنوا ان ارضی واسعۃ فایای فاعبدون ﴿۵۶﴾

হে আমার বান্দারা যারা ঈমান এনেছে, নিশ্চয় আমার যমীন প্রশস্ত, সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদাত কর। আল-বায়ান

হে আমার বান্দারা! যারা ঈমান এনেছ, আমার যমীন প্রশস্ত, কাজেই তোমরা একমাত্র আমারই ‘ইবাদাত কর। তাইসিরুল

হে আমার মু’মিন বান্দারা! আমার পৃথিবী প্রশস্ত; সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদাত কর। মুজিবুর রহমান

O My servants who have believed, indeed My earth is spacious, so worship only Me. Sahih International

৫৬. হে আমার মুমিন বান্দাগণ! নিশ্চয় আমার যমীন প্রশস্ত; কাজেই তোমরা আমারই ইবাদত কর।(১)

(১) আলোচ্য আয়াতে মুসলিমগণের জন্যে কাফেরদের অনিষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করা, সত্য প্রচার করা এবং দুনিয়াতে ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার একটি কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে। এই কৌশলের নাম ‘হিজরত’ তথা দেশত্যাগ। অথাৎ যে দেশে সত্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে ও কাজ করতে বাধ্য হতে হয়, সেই দেশ পরিত্যাগ করা। আল্লাহ বলেছেন, আমার পৃথিবী প্রশস্ত। কাজেই কারও এই ওযর গ্রহণ করা হবে না যে, অমুক শহরে অথবা দেশে কাফেররা প্রবল ছিল বিধায় আমরা তাওহীদ ও ইবাদাত পালনে অপারগ ছিলাম। তাদের উচিত, যে দেশে কুফর ও অবাধ্যতা করতে বাধ্য করা হয়, আল্লাহর জন্যে সেই দেশ ত্যাগ করা এবং এমন কোন স্থান তালাশ করা, যেখানে স্বাধীন ও মুক্ত পরিবেশে আল্লাহর নির্দেশাবলী নিজেরাও পালন করতে পারে এবং অপরকেও উদ্বুদ্ধ করতে পারে। আর এজন্যই সাহাবায়ে কিরাম হাবশায় হিজরত করেছিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও অন্য সাহাবীগণ মদীনায় হিজরত করেছিলেন। [দেখুন: ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৬) হে আমার বিশ্বাসী বান্দাগণ! আমার পৃথিবী প্রশস্ত; সুতরাং তোমরা আমারই উপাসনা কর।[1]

[1] এখানে এমন জায়গা থেকে হিজরত (স্বদেশ ত্যাগ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে আল্লাহর ইবাদত করা কষ্টকর হয়ে পড়ে এবং দ্বীনের উপর অটল থাকা দুঃসাধ্য হয়। যেমন মুসলিমগণ প্রথমে মক্কা থেকে হাবশায় এবং পরে মদীনায় হিজরত করেছিলেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান