২৭ সূরাঃ আন-নামাল | An-Naml | سورة النمل - আয়াতঃ ১৭
২৭:১৭ وَ حُشِرَ لِسُلَیۡمٰنَ جُنُوۡدُهٗ مِنَ الۡجِنِّ وَ الۡاِنۡسِ وَ الطَّیۡرِ فَهُمۡ یُوۡزَعُوۡنَ ﴿۱۷﴾
و حشر لسلیمن جنودهٗ من الجن و الانس و الطیر فهم یوزعون ﴿۱۷﴾

আর সুলাইমানের জন্য তার সেনাবাহিনী থেকে জিন, মানুষ ও পাখিদের সমবেত করা হল। তারপর এদেরকে বিন্যস্ত করা হল। আল-বায়ান

সুলাইমানের সামনে তার সেনাবাহিনীকে সমবেত করা হল, জ্বিন, মানুষ ও পক্ষীকুলকে; অতঃপর তাদেরকে বিভিন্ন বুহ্যে বিন্যস্ত করা হল। তাইসিরুল

সুলাইমানের সামনে সমবেত করা হল তার বাহিনীকে, জিন, মানুষ ও পক্ষীকুলকে এবং তাদেরকে বিন্যস্ত করা হল বিভিন্ন বুহ্যে। মুজিবুর রহমান

And gathered for Solomon were his soldiers of the jinn and men and birds, and they were [marching] in rows. Sahih International

১৭. আর সুলাইমানের সামনে সমবেত করা হল তার বাহিনীকে—জিন মানুষ ও বিহঙ্গকুলকে এবং তাদেরকে বিন্যস্ত করা বিভিন্ন ব্যূহে।(১)

(১) يوزعون শব্দটি وزع শব্দ থেকে উদ্ভূত। এর শাব্দিক অর্থ, বিরত রাখা। অর্থাৎ বাহিনীকে প্রাচুর্যের কারণে বিরত রাখা, যাতে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়। বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘুরাপিরা না করে একটি সুনির্দিষ্ট পন্থায় চলাফেরা করতে তাদেরকে বাধ্য করা হয়। [মুয়াস্‌সার]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৭) সুলাইমানের সম্মুখে তার সমস্ত বাহিনী; জীন, মানুষ ও পক্ষীকুলকে সমবেত করা হল;[1] তাদেরকে (এক এক) দলে বিন্যস্ত করা হল। [2]

[1] এখানে সুলাইমান (আঃ)-এর ব্যক্তিগত বিশেষ এক বৈশিষ্ট্যের কথা বর্ণনা করা হয়েছে; যাতে তিনি পুরো মানব ইতিহাসে একক। আর তা হল তাঁর আধিপত্য কেবলমাত্র মানুষের উপর ছিল না; বরং জীন, জীব-জন্তু ও পশু-পক্ষীর উপরেও ছিল। এমনকি বাতাসও তাঁর অধীনস্থ ছিল। এখানে বলা হয়েছে যে, সুলাইমান (আঃ) কোথাও যাবার জন্য সমস্ত সৈন্যদেরকে, অর্থাৎ জীন, মানুষ ও পাখীদেরকে জমায়েত করলেন।

[2] এই অনুবাদ تَوزِيع এর অর্থ تَفرِيق হিসাবে করা হয়েছে। অর্থাৎ, সকলকে ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত করা হল। যেমন মানুষের একটি দল, জিনের একটি দল, পশুর একটি দল, পক্ষীর একটি দল ইত্যাদি। দ্বিতীয় অর্থ হল, তাদেরকে থামিয়ে দেওয়া হত। অর্থাৎ, এই সেনাদল এত বিশাল হত যে, পথে থামিয়ে তা সুবিন্যস্ত করা হত। যাতে করে শাহী সেনা অসংগঠিত ও ছিন্ন-ভিন্ন না হয়ে পড়ে। এই অর্থ وَزَع يَزَع থেকে আসবে। যার অর্থ থামানো। এই শব্দের সাথে একটি আলিফ বাড়িয়ে দিয়ে أَوزِعنِي করা হয়েছে যেমন, এই সূরার ১৯নং আয়াতে আসছে। যার অর্থঃ আমার নিকট হতে এমন জিনিস দূর করে দাও, যা তোমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা করতে বাধা দিয়ে থাকে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান