বল, ‘যদি তোমরা না-ই ডাক তাহলে আমার রব তোমাদের কোন পরওয়া করেন না। তারপর তোমরা অস্বীকার করেছ। তাই অচিরেই অপরিহার্য হবে আযাব। আল-বায়ান
(কাফিরদেরকে) বল : ‘তোমাদের ব্যাপারে আমার প্রতিপালকের কী প্রয়োজন পড়েছে তোমরা যদি তাঁকে না ডাকো? তোমরা তো তাঁকে অস্বীকার করেছ, কাজেই শীঘ্রই তোমাদের উপর এসে পড়বে অপ্রতিরোধ্য (শাস্তি)। তাইসিরুল
বলঃ তোমরা আমার রাব্বকে না ডাকলে তাঁর কিছুই আসে যায়না। তোমরা অস্বীকার করেছ, ফলে অচিরেই নেমে আসবে অপরিহার্য শাস্তি। মুজিবুর রহমান
Say, "What would my Lord care for you if not for your supplication?" For you [disbelievers] have denied, so your denial is going to be adherent. Sahih International
৭৭. বলুন, আমার রব তোমাদের মোটেই ভ্ৰক্ষেপ করেন না, যদি না তোমরা তাকে ডাক।(১) অতঃপর তোমরা মিথ্যারোপ করেছ, সুতরাং অচিরেই অপরিহার্য হবে শাস্তি।
(১) এই আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে অনেক উক্তি আছে। তবে স্পষ্ট কথা হলো, আল্লাহর কাছে তোমাদের কোন গুরুত্ব থাকত না যদি তোমাদের পক্ষ থেকে তাঁকে ডাকা ও তাঁর ইবাদাত করা না হত। কেননা, মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্যই আল্লাহর ইবাদাত করা। [বাগভী] যেমন অন্য আয়াতে আছে (وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ) [সূরা আয-যারিয়াতঃ ৫৬] অর্থাৎ আমি মানব ও জিনকে আমার ইবাদাত ব্যতীত অন্য কোন কাজের জন্য সৃষ্টি করিনি।
তাফসীরে জাকারিয়া(৭৭) বল, ‘তোমাদের দুআ (আহবান) না থাকলে আমার প্রতিপালক তোমাদের কোন পরোয়াই করতেন না। [1] তোমরা (দ্বীনকে) মিথ্যাজ্ঞান করেছ, ফলে অনিবার্য (শাস্তি) নেমে আসবে।’[2]
[1] দু’আ ও আহবানের অর্থ আল্লাহকে ডাকা ও তাঁর ইবাদত করা। অর্থ এই যে, তোমাদেরকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদত করা। এমন না করলে আল্লাহর কোন পরোয়া নেই। আল্লাহর নিকট মানুষের মূল্যায়ন ও মান নির্ণয় তাঁর প্রতি ঈমান ও তাঁর ইবাদতের ভিত্তিতেই হবে।
[2] এখানে কাফেরদের সম্বোধন করা হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহকে মিথ্যা মনে করেছ অতএব তার শাস্তি অবশ্যই তোমাদেরকে ভুগতে হবে। সুতরাং পৃথিবীতে এই অনিবার্য শাস্তি বদরে পরাজয়রূপে তারা পেয়েছে এবং পরকালে জাহান্নামে চিরস্থায়ী আযাবও তাদেরকে ভুগতে হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান