২৫ সূরাঃ আল-ফুরকান | Al-Furqan | سورة الفرقان - আয়াতঃ ৩৮
২৫:৩৮ وَّ عَادًا وَّ ثَمُوۡدَا۠ وَ اَصۡحٰبَ الرَّسِّ وَ قُرُوۡنًۢا بَیۡنَ ذٰلِكَ كَثِیۡرًا ﴿۳۸﴾
و عادا و ثمودا و اصحب الرس و قرونا بین ذلك كثیرا ﴿۳۸﴾

আর ধ্বংস ‘আদ, সামূদ, ‘রাস’ এর অধিবাসী এবং তাদের মধ্যবর্তী কালের বহু প্রজন্মের উপরও। আল-বায়ান

সে রকমই আমি ধ্বংস করেছি ‘আদ, সামূদ, কূপবাসী আর তাদের মধ্যবর্তী বহু বহু বংশধরকে। তাইসিরুল

আমি ধ্বংস করেছিলাম ‘আদ, ছামূদ, রা’স্ এবং তাদের অর্ন্তবর্তী কালের বহু সম্প্রদায়কেও। মুজিবুর রহমান

And [We destroyed] 'Aad and Thamud and the companions of the well and many generations between them. Sahih International

৩৮. আর আমরা ধ্বংস করেছিলাম ‘আদ, সামুদ, রাস’(১) এর অধিবাসীকে এবং তাদের অন্তর্বর্তীকালের বহু প্ৰজন্মকেও৷

(১) (أَصْحَابَ الرَّسِّ) অভিধানে رَسّ শব্দের অর্থ কাঁচা কুপ। তারা ছিল সামূদ গোত্রের অবশিষ্ট জনসমষ্টি এবং তারা কোন একটি কুপের ধারে বাস করত। [দেখুন: আদওয়াউল বায়ান, বাগভী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৩৮) আমি আদ, সামূদ, রাসবাসী[1] এবং ওদের অন্তর্বর্তীকালের বহু সম্প্রদায়কেও ধ্বংস করেছিলাম।[2]

[1] ‘রাসস্’ অর্থ কুয়া ‘আসহাবুর রাসস্’ অর্থাৎ, কুয়া-ওয়ালা। উক্ত জাতি সম্পর্কে মুফাসসিরগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম ইবনে জারীর তাবারী বলেছেন, এর দ্বারা ‘আসহাবুল উখদূদ’কে বুঝানো হয়েছে; যার বর্ণনা সূরা বুরুজে এসেছে। (ইবনে কাসীর)

[2] ‘قرن’ এর সঠিক অর্থ সমসাময়িক কালের লোকদের একটি দল। যখন একটি জাতি শেষ হয়ে যায় ও অন্য এক জাতির সৃষ্টি হয়, তখন তাকেও ‘ক্বার্‌ন’ বলা হয়। (ইবনে কাসীর) এই অর্থে প্রত্যেক নবীর উম্মত এক একটি ‘ক্বার্‌ন’ হতে পারে। (বাংলায় প্রজন্ম, জাতি বা সম্প্রদায় বলা যায়।)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান