২৫ সূরাঃ আল-ফুরকান | Al-Furqan | سورة الفرقان - আয়াতঃ ৪
২৫:৪ وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِنۡ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اِفۡکُۨ افۡتَرٰىهُ وَ اَعَانَهٗ عَلَیۡهِ قَوۡمٌ اٰخَرُوۡنَ ۚۛ فَقَدۡ جَآءُوۡ ظُلۡمًا وَّ زُوۡرًا ۚ﴿ۛ۴﴾
و قال الذین کفروا ان هذا الا افکۨ افترىه و اعانهٗ علیه قوم اخرون ۚۛ فقد جاءو ظلما و زورا ۚۛ۴

কাফিররা বলে ‘এটি তো জঘন্য মিথ্যা যা সে রটনা করেছে আর অন্য এক দল তাকে সাহায্য করেছে।’ এভাবে তারা যুলম ও মিথ্যা নিয়ে এসেছে। আল-বায়ান

কাফিররা বলে- ‘এটা মিথ্যে ছাড়া আর কিছুই নয়, সে তা (অর্থাৎ কুরআন) উদ্ভাবণ করেছে এবং ভিন্ন জাতির লোক এ ব্যাপারে তাকে সাহায্য করেছে।’ আসলে তারা অন্যায় ও মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছে। তাইসিরুল

কাফিরেরা বলেঃ এটা মিথ্যা ব্যতীত কিছু নয়, সে এটা উদ্ভাবন করেছে এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছে; অবশ্যই তারা যুল্‌ম ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে। মুজিবুর রহমান

And those who disbelieve say, "This [Qur'an] is not except a falsehood he invented, and another people assisted him in it." But they have committed an injustice and a lie. Sahih International

৪. আর কাফেররা বলে, এটা মিথ্যা ছাড়া কিছুই নয়, সে এটা রটনা করেছে এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছে। সুতরাং অবশ্যই কাফেররা যুলুম ও মিথ্যা নিয়ে এসেছে।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪) অবিশ্বাসীরা বলে, ‘এ মিথ্যা ব্যতীত কিছুই নয়; সে নিজে তা উদ্ভাবন করেছে এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছে।’[1] ওরা অবশ্যই সীমালংঘন করে ও মিথ্যা বলে।

[1] মুশরিকরা বলত যে, মুহাম্মাদ এই গ্রন্থ রচনা করতে ইয়াহুদীদের বা ওদের কিছু (শিক্ষিত) দাস (যেমন আবূ ফকীহা ইয়াসির, আদ্দাস ও জাবর ইত্যাদি)র সাহায্য নিয়েছে। যেমন সূরা নাহল ১০৩ নং আয়াতে জরুরী আলোচনা করা হয়েছে। এখানে কুরআন এই অপবাদকে অন্যায় ও মিথ্যা বলে অভিহিত করছে। একজন নিরক্ষর মানুষ অন্যের সাহায্য নিয়ে কেমন করে এত সুন্দর একটি গ্রন্থ রচনা করতে পারে; যা উচ্চাঙ্গের সাহিত্য-সমৃদ্ধ, শব্দালংকার ও ভাব-দ্যোতনায় অতুলনীয়, তথ্য ও তত্ত্বজ্ঞান পরিবেশনে অদ্বিতীয়, মানব জীবনের আদর্শ নিয়ম-নীতির বিস্তারিত আলোচনায় অনুপম, অতীতকালের সংবাদ ও ভবিষ্যতে ঘটিতব্য ঘটনাবলীর সঠিক বর্ণনায় এর সত্যতা সর্বজন-স্বীকৃত।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান