আর আমি মারইয়াম-পুত্র ও তার মাকে নিদর্শন বানালাম এবং তাদেরকে আবাসযোগ্য ও ঝর্নাবিশিষ্ট এক উঁচু ভূমিতে আশ্রয় দিলাম। আল-বায়ান
আমি মারইয়াম-পুত্র আর তার মাকে নিদর্শন করেছিলাম আর তাদেরকে স্বস্তি নিরাপত্তা ও ঝর্ণা বিশিষ্ট উচ্চ স্থানে আশ্রয় দিয়েছিলাম। তাইসিরুল
এবং আমি মারইয়াম তনয় ও তার জননীকে করেছিলাম এক নিদর্শন, তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলাম এক নিরাপদ ও প্রস্রবন বিশিষ্ট উচ্চ ভূমিতে। মুজিবুর রহমান
And We made the son of Mary and his mother a sign and sheltered them within a high ground having level [areas] and flowing water. Sahih International
৫০. আর আমরা মারইয়াম-পুত্র ও তার জননীকে করেছিলাম এক নিদর্শন এবং তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলাম এক অবস্থানযোগ্য ও প্রস্রবণবিশিষ্ট উচ্চ ভূমিতে।(১)
(১) আভিধানিক অর্থে “রাবওয়াহ” এমন সুউচ্চ ভূমিকে বলা হয় যা সমতল এবং আশপাশের এলাকা থেকে উঁচু। অন্যদিকে “যা-তি কারার” মানে হচ্ছে এমন জায়গা যেখানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাওয়া যায় এবং অবস্থানকারী সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন যাপন করতে পারে। আর “মাঈন” মানে হচ্ছে বহমান পানি বা নির্ঝরিণী। [ইবন কাসীর]। এখানে কুরআন কোন স্থানটির প্রতি ইংগিত করছে তা নিশ্চয়তা সহকারে বলা কঠিন। বিভিন্নজন এ থেকে বিভিন্ন স্থানের কথা মনে করেছেন। কেউ বলেন, এ স্থানটি ছিল দামেশক। কেউ বলেন, রামলাহ। কেউ বলেন, বাইতুল মাকদিস আবার কেউ বলেন, ফিলিস্তিন। [ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫০) এবং আমি মারয়্যাম তনয় (ঈসা) ও তার জননীকে করেছিলাম এক নিদর্শন,[1] তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলাম এক নিরাপদ ও প্রস্রবণবিশিষ্ট উচ্চ ভূমিতে।[2]
[1] কারণ ঈসা (আঃ) এর জন্ম হয়েছিল বিনা পিতায় যা আল্লাহর ক্ষমতার এক নিদর্শন। যেমন আদম (আঃ) কে পিতা মাতা ছাড়া, হাওয়া (আঃ) কে নারী ছাড়া আদম হতে এবং অন্য সকল মানুষকে পিতা মাতার মাধ্যমে সৃষ্টি করাও আল্লাহর নিদর্শন।
[2] رَبوَة (উচ্চ ভূমি) বলতে বায়তুল মুকাদ্দাস, আর مَعِين (প্রস্রবণ) বলতে সেই ঝরনাকে বুঝানো হয়েছে যা (এক মতানুসারে) মহান আল্লাহ ঈসা (আঃ)-এর জন্মের সময় মারয়্যামের পদতলে অলৌকিকভাবে প্রবাহিত করছিলেন। যেমন, সূরা মারয়্যামে এ কথা বর্ণিত হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান