আর তোমার নিকট যে ওহী পাঠানো হচ্ছে, তুমি তার অনুসরণ কর এবং সবর কর, যতক্ষণ না আল্লাহ ফয়সালা করেন। আর তিনিই উত্তম ফয়সালাকারী। আল-বায়ান
তোমার নিকট যে ওয়াহী অবতীর্ণ করা হয়েছে তুমি তার অনুসরণ কর আর তুমি ধৈর্য্য অবলম্বন কর যে পর্যন্ত না আল্লাহ ফায়সালা প্রদান করেন। বস্তুতঃ তিনিই হলেন সর্বোত্তম ফায়সালাকারী। তাইসিরুল
আর তুমি তোমার প্রতি প্রেরিত অহীর অনুসরণ কর, আর ধৈর্য ধারণ কর এই পর্যন্ত যে, আল্লাহ মীমাংসা করে দেন, এবং তিনিই উত্তম মীমাংসাকারী। মুজিবুর রহমান
And follow what is revealed to you, [O Muhammad], and be patient until Allah will judge. And He is the best of judges. Sahih International
১০৯. আর আপনার প্রতি যে ওহী নাযিল হয়েছে আপনি তার অনুসরণ করুন এবং আপনি ধৈর্য ধারণ করুন যে পর্যন্ত না আল্লাহ ফয়সালা করেন, আর তিনিই সর্বোত্তম ফয়সালাপ্রদানকারী।(১)
(১) আল্লামা শানকীতী বলেন, এখানে নবী ও তার শত্রুদের মাঝে কি ফয়সালা করেছেন সেটা বর্ণনা করেন নি। অন্য আয়াতে অবশ্য তা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, তিনি কাফেরদের উপর নবী ও তার অনুসারীদেরকে বিজয় দিয়েছেন। তার দ্বীনকে অপরাপর সমস্ত দ্বীনের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ বলেন, “যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আর আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার রবের প্রশংসাসহ তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী। [সূরা আন-নাসর] আরও বলেন, “নিশ্চয় আমরা আপনাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয় যেন আল্লাহ আপনার অতীত ও ভবিষ্যত ক্রটিসমূহ মার্জনা করেন এবং আপনার প্রতি তার অনুগ্রহ পূর্ণ করেন ও আপনাকে সরল পথে পরিচালিত করেন এবং আল্লাহ আপনাকে বলিষ্ঠ সাহায্য দান করেন। [সূরা আল-ফাতহঃ ১–৪] আরও বলেন, “তারা কি দেখে না যে, আমরা এ যমীনকে চতুর্দিক থেকে সংকুচিত করে আনছি? আর আল্লাহই আদেশ করেন, তার আদেশ রদ করার কেউ নেই এবং তিনি হিসেব গ্রহণে তৎপর।” [সূরা আর-রাদ: ৪১] অনুরূপ “তারা কি দেখছে না যে, আমরা যমীনকে চারদিক থেকে সংকুচিত করে আনছি।” [সূরা আল-আম্বিয়া: ৪৪] [আদওয়াউল বায়ান]
তাফসীরে জাকারিয়া(১০৯) তোমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ হয়েছে, তুমি তার অনুসরণ কর এবং আল্লাহর ফায়সালা না আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ কর।[1] আর তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ফায়সালাদাতা।[2]
[1] অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা যা প্রত্যাদেশ করেন, তা শক্তভাবে ধর, যা আদেশ করেন, তা পালন কর, যে জিনিস থেকে নিষেধ করেন, সে জিনিস থেকে বিরত থাক এবং কোন বিষয়ে শৈথিল্য করো না। আর অহী অনুযায়ী চলতে যে কষ্ট হবে, বিরোধীদের পক্ষ থেকে যে কষ্ট আসবে এবং দাওয়াত ও তবলীগের পথে যে সমস্যার সম্মুখীন হবে, সব কিছুর উপর ধৈর্য ধারণ কর এবং শক্তভাবে সব কিছুর মোকাবিলা কর।
[2] কারণ, তাঁর জ্ঞান পরিপূর্ণ, তাঁর ক্ষমতা ও শক্তি অপরিসীম এবং তাঁর করুণাও সর্বব্যাপী। ফলে তাঁর থেকে উত্তম বিচারক ও ফায়সালাদাতা আর কে হতে পারে?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান