আর আমি তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তার কিছু যদি তোমাকে দেখিয়ে দেই, অথবা তোমাকে মৃত্যু দেই, তবে আমার কাছেই তাদের প্রত্যাবর্তন। তারপর তারা যা করে আল্লাহ তার সাক্ষী। আল-বায়ান
আমি তাদেরকে যে পরিণতির ভয় দেখিয়েছি তার কিছু অংশ আমি যদি তোমাকে দেখিয়ে দেই, কিংবা (তার পূর্বেই) তোমাকে যদি উঠিয়ে দেই, (অবস্থা যেটাই হোক না কেন) তাদের প্রত্যাবর্তন তো আমার কাছেই, (সর্বোপরি) তারা যা কিছু করছে আল্লাহ হচ্ছেন তার সাক্ষী। তাইসিরুল
আর আমি তাদের সাথে যে শাস্তির অঙ্গীকার করছি, যদি ওর সামান্য অংশও তোমাকে দেখিয়ে দিই, অথবা তোমাকে মৃত্যু দান করি, সর্বাবস্থায় তাদেরকে আমারই পানে আসতে হবে, আর আল্লাহ তাদের সকল কৃতকর্মেরই খবর রাখেন। মুজিবুর রহমান
And whether We show you some of what We promise them, [O Muhammad], or We take you in death, to Us is their return; then, [either way], Allah is a witness concerning what they are doing Sahih International
৪৬. আর আমরা তাদেরকে যে (শাস্তির) প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার কিছু যদি আপনাকে (দুনিয়াতে) দেখিয়ে দেই অথবা (তাদের উপর তা আসার আগেই) আপনার মৃত্যু দিয়ে দেই, তাহলে তাদের ফিরে আসা তো আমাদেরই কাছে; তদুপরি তারা যা করে আল্লাহই তার সাক্ষী।(১)
(১) অর্থাৎ যদি আপনার জীবদ্দশায়ই তাদের উপর কোন প্রতিশ্রুত শাস্তি এসে পড়ে অথবা আপনাকে তার পূর্বেই মৃত্যু দিয়ে দেই তারপরও তো তাদেরকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। অর্থাৎ সর্বাবস্থায় তাদের প্রত্যাবর্তন স্থল আমার কাছেই। আমি তাদের কাজ-কর্মের সাক্ষী। সে অনুসারেই তাদের বিচার করব।
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৬) আর আমি তাদের সাথে যে শাস্তির অঙ্গীকার করছি, যদি ওর কিছু অংশ তোমাকে দেখিয়ে দিই, অথবা তোমাকে মৃত্যু দান করি, সর্বাবস্থায় তাদেরকে আমারই কাছে ফিরে আসতে হবে। আর আল্লাহ তাদের সকল কৃতকর্মেরই সাক্ষী।[1]
[1] এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলছেন, আমি সেই কাফেরদের ব্যাপারে অঙ্গীকার করছি যে, যদি তারা কুফরী ও শিরকের উপর অনড় থাকে, তবে তাদের উপরেও আল্লাহর ঐরূপ শাস্তি আসতে পারে, যেরূপ পূর্ববর্তী জাতির উপর এসেছে। সেই শাস্তির কিছু অংশ তোমার জীবদ্দশায় প্রেরণ করাও সম্ভব, যা দেখে তোমার চক্ষু শীতল হবে। কিন্তু যদি তার পূর্বেও তোমাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, তবুও কোন ব্যাপার নয়। কারণ সেই সকল কাফেরদেরকে অবশেষে আমার নিকটেই ফিরে আসতে হবে। তাদের সকল আমল ও অবস্থা আমার জানা আছে। সেখানে তারা আমার শাস্তি থেকে কিভাবে রক্ষা পাবে? অর্থাৎ, পৃথিবীতে আমার বিশেষ হিকমতের ফলে ওরা শাস্তি থেকে বেঁচে যেতে পারে। কিন্তু আখেরাতে আমার শাস্তি থেকে বাঁচার কোন উপায় তাদের থাকবে না। কারণ কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার উদ্দেশ্যই হল, সেখানে অনুগতকে তার আনুগত্যের প্রাপ্য এবং অবাধ্যকে তার অবাধ্যতার শাস্তি প্রদান করা হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান