এখানে প্রত্যেকে ইতিপূর্বে যা করেছে, সে সম্পর্কে জানতে পারবে। আর তাদেরকে তাদের প্রকৃত অভিভাবক আল্লাহর কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং তারা যা মিথ্যা রটাতো তা তাদের থেকে হারিয়ে যাবে। আল-বায়ান
সেখানে প্রতিটি আত্মা তার পূর্বকৃত কাজ (এর ফলাফল) দেখতে পাবে। তাদেরকে তাদের প্রকৃত অভিভাবক আল্লাহর নিকট ফিরিয়ে আনা হবে, আর তাদের রচিত সকল মিথ্যা তাদের থেকে বিলীন হয়ে যাবে। তাইসিরুল
সেখানে প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বীয় পূর্ব কৃতকর্মগুলি পরীক্ষা করে নিবে, এবং তাদেরকে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তিত করা হবে, যিনি তাদের প্রকৃত মালিক। আর যে সব মিথ্যা মা‘বূদ তারা বানিয়ে নিয়েছিল তারা সবাই তাদের থেকে দূরে সরে যাবে। মুজিবুর রহমান
There, [on that Day], every soul will be put to trial for what it did previously, and they will be returned to Allah, their master, the Truth, and lost from them is whatever they used to invent. Sahih International
৩০. সেখানে তাদের প্রত্যেকে তার পূর্ব কৃতকর্ম পরীক্ষা করে নেবে(১) এবং তাদেরকে তাদের প্রকৃত অভিভাবক আল্লাহ্র কাছে ফিরিয়ে আনা হবে এবং তাদের উদ্ভাবিত মিথ্যা তাদের কাছ থেকে অন্তর্হিত হবে।
(১) আয়াতে এটা স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন প্রতিটি আত্মা পরীক্ষা করে নেবে এবং জানবে ভাল বা মন্দ যা সে আগে করেছে। [ইবন কাসীর] অন্য আয়াতেও আল্লাহ তা বলেছেন, “সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে সে কী আগে পাঠিয়েছে ও কী পিছনে রেখে গেছে।” [সূরা আল-কিয়ামাহ ১৩] আরও বলেন, “যেদিন গোপন বিষয় পরীক্ষিত হবে।” [সূরা আত-তারেক: ৯] আরও বলেন, “তুমি তোমার কিতাব পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসেব-নিকেশের জন্য যথেষ্ট।” [সূরা আল ইসরা: ১৪–১৫] আরও এসেছে, “আর উপস্থাপিত করা হবে আমলনামা এবং তাতে যা লিপিবদ্ধ আছে তার কারণে আপনি অপরাধিদেরকে দেখবেন আতংকগ্ৰস্ত এবং তারা বলবে, হায়, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটা কেমন গ্রন্থ। এটা তো ছোট বড় কিছু বাদ না দিয়ে সব কিছুই হিসেব করে রেখেছে। আর তারা তাদের কৃতকর্ম সামনে উপস্থিত পাবে; আপনার রব তো কারো প্রতি যুলুম করেন না।” [সূরা আল-কাহাফ: ৪৯]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩০) সেদিন প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বীয় পূর্ব কৃতকর্মগুলো যাচাই করে নেবে[1] এবং তাদেরকে তাদের প্রকৃত অভিভাবক (আল্লাহর) দিকে প্রত্যাবর্তিত করা হবে। আর যেসব মিথ্যা (উপাস্য) তারা বানিয়ে নিয়েছিল সেসব তাদের নিকট থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে। [2]
[1] অর্থাৎ জেনে নেবে বা স্বাদ গ্রহণ করবে।
[2] অর্থাৎ তথাকথিত কোন উপাস্য বা ত্রাণকর্তা সেখানে কোন কাজে আসবে না, কেউ কারোর কোন কষ্ট দূর করার ক্ষমতা রাখবে না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান