সূরাঃ আত-তাওবা | At-Tawba | سورة التوبة - আয়াতঃ ১০৬
৯:১০৬ وَ اٰخَرُوۡنَ مُرۡجَوۡنَ لِاَمۡرِ اللّٰهِ اِمَّا یُعَذِّبُهُمۡ وَ اِمَّا یَتُوۡبُ عَلَیۡهِمۡ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَكِیۡمٌ ﴿۱۰۶﴾
و اخرون مرجون لامر الله اما یعذبهم و اما یتوب علیهم و الله علیم حكیم ﴿۱۰۶﴾

আর আল্লাহর আদেশের অপেক্ষায় অপর কিছু লোকের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়া হলো। তিনি তাদেরকে আযাব দেবেন নয়তো তাদের তাওবা কবূল করবেন। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। আল-বায়ান

আর কতক আল্লাহর ফায়সালার অপেক্ষায় থাকল, তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন অথবা তাদের তাওবাহ কবূল করবেন; আল্লাহ সর্বজ্ঞ, বড়ই প্রজ্ঞাময়। তাইসিরুল

এবং আরও কতক লোক আছে যাদের ব্যাপার মুলতবী রয়েছে আল্লাহর আদেশ আসা পর্যন্ত, হয় তিনি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন, অথবা তাদের তাওবাহ কবূল করবেন, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। মুজিবুর রহমান

And [there are] others deferred until the command of Allah - whether He will punish them or whether He will forgive them. And Allah is Knowing and Wise. Sahih International

১০৬. আর আল্লাহর আদেশের প্রতীক্ষায় অপর কিছু সংখ্যক সম্পর্কে সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়া হল—তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন, না ক্ষমা করবেন।(১) আর আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

(১) এখানে পূর্বোল্লেখিত দশ জন সাহাবী যারা তাবুকের যুদ্ধে অংশ নেয়নি এবং মসজিদের স্তম্ভের সাথে নিজেদের বেঁধে নেয়নি এমন বাকী তিন জনের হুকুম রয়েছে। এ আয়াত নাযিল করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। এক বছর পর্যন্ত তাদের এ অবস্থা ছিল। তাদেরকে কি শাস্তি দেয়া হবে, নাকি তাদের তাওবা কবুল করা হবে তা তারা জানে না। [আত-তাফসীরুস সহীহ] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের সমাজচ্যুত করার, এমনকি তাঁদের সাথে সালাম-দোয়ার আদান প্রদান পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ ব্যবস্থা নেয়ার পর তাদের অবস্থা শোধরে যায় এবং তারা এখলাসের সাথে অপরাধ স্বীকার করে তাওবাহ করে নেন। ফলে তাদের জন্য ক্ষমার আদেশ দেয়া হয়। যার আলোচনা অচিরেই আসবে।

তাফসীরে জাকারিয়া

(১০৬) আরো কতক লোক রয়েছে, যাদের ব্যাপারে (সিদ্ধান্ত) আল্লাহর আদেশ আসা পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে;[1] হয় তিনি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন[2] অথবা তাদের তওবা কবুল করবেন।[3] আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।

[1] তাবুক যুদ্ধ থেকে প্রথমতঃ মুনাফিক্বরা পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয়তঃ এমন কিছু (মুসলিম) লোক পিছিয়ে ছিল, যাদের কোন ওজর ছিল না। তারা তাদের নিজ অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছিল; কিন্তু তাদেরকে সাথে সাথে ক্ষমা করা হয়নি; বরং তাদের ব্যাপারে আল্লাহর আদেশ আসা অবধি অপেক্ষা করা হয়েছিল। এই আয়াতে সেই শ্রেণীর লোকদের কথা আলোচিত হয়েছে। (এরা তিনজন ছিল, যাদের বর্ণনা সামনে আসবে।)

[2] যদি তারা আপন ত্রুটির উপর অটল থাকে।

[3] যদি তারা আন্তরিকভাবে খাঁটি তওবা করে নেয়।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান