তাদের কাছে কি তাদের পূর্বের লোকদের সংবাদ পৌঁছেনি, নূহের কওম, আদ, সামূদ, ইবরাহীমের কওম, মাদায়েনবাসী ও বিধ্বস্ত নগরীর? তাদের কাছে তাদের রাসূলগণ প্রমাণসমূহ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। অতএব আল্লাহ তাদের উপর যুলম করার নন, বরং তারাই তাদের নিজদের উপর যুলম করছিল। আল-বায়ান
তাদের কাছে কি তাদের আগের লোকদের সংবাদ আসেনি, নূহের জাতি, ‘আদ, সামূদ, ইব্রাহীমের সম্প্রদায় এবং মাদ্য়্যানের অধিবাসীবৃন্দ আর উল্টে দেয়া নগরসমূহের? তাদের কাছে তাদের রসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিল, আল্লাহ তাদের উপর যুলম করেননি, আসলে (তারাই তাদের অন্যায় কার্যকলাপের মাধ্যমে) নিজেদের আত্মার উপর যুলম করেছিল। তাইসিরুল
তাদের কাছে কি ঐ সব লোকের সংবাদ পৌঁছেনি যারা তাদের পূর্বে গত হয়েছে, নূহ সম্প্রদায় এবং আদ ও ছামূদ সম্প্রদায়, আর ইবরাহীমের সম্প্রদায় এবং মাদইয়ানের অধিবাসীরা এবং বিধ্বস্ত জনপদগুলির? তাদের কাছে তাদের রাসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছিল। বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের প্রতি অত্যাচার করেননি, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছিল। মুজিবুর রহমান
Has there not reached them the news of those before them - the people of Noah and [the tribes of] 'Aad and Thamud and the people of Abraham and the companions of Madyan and the towns overturned? Their messengers came to them with clear proofs. And Allah would never have wronged them, but they were wronging themselves. Sahih International
৭০. তাদের পূর্ববতী নূহ, আদ ও সামূদের সম্প্রদায়, ইবরাহীমের সম্প্রদায় এবং মাদইয়ান ও বিধ্বস্ত নগরের অধিবাসীদের সংবাদ কি তাদের কাছে আসেনি? তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তাদের রাসূলগণ এসেছিলেন। অতএব, আল্লাহ এমন নন যে, তাদের উপর যুলুম করেন, কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করছিল।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৭০) তাদের কাছে কি তাদের পূর্ববর্তী নূহ সম্প্রদায় এবং আদ ও সামূদ সম্প্রদায়, ইব্রাহীমের সম্প্রদায় এবং মাদয়্যানের অধিবাসিগণ এবং বিধ্বস্ত জনপদের অধিবাসিগণের সংবাদ কি আসেনি?[1] তাদের কাছে তাদের রসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছিল।[2] বস্তুতঃ আল্লাহ তো তাদের প্রতি অত্যাচার করেননি, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি অত্যাচার করত। [3]
[1] এখানে সেই ছয় সম্প্রদায়ের দৃষ্টান্ত পেশ করা হচ্ছে যাদের বাসস্থান ছিল শাম দেশে। এ দেশ আরব দেশের সন্নিকটেই অবস্থিত। আর তাদের কিছু কথা হতে পারে তারা তাদের বাপ-দাদাদের কাছ থেকে শুনেও ছিল। নূহ নবী (আঃ)-এর সম্প্রদায়; যাদেরকে তুফানে ডুবিয়ে মারা হয়েছিল। আ’দ সম্প্রদায়; যাদেরকে বল ও শক্তিতে প্রবল থাকা সত্ত্বেও প্রচন্ড ঝড় দ্বারা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। সামূদ সম্প্রদায়; যাদেরকে এক আসমানী গর্জন দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল। ইবরাহীম (আঃ)-এর সম্প্রদায়; যাদের বাদশাহ নমরূদ বিন কিনআন বিন কূশকে মশা দ্বারা মারা হয়েছিল। মাদয়্যানবাসী (শুআইব (আঃ)-এর সম্প্রদায়); যাদেরকে বিকট শব্দ ও ভূমিকম্প দ্বারা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। মু’তাফিকাতবাসী (বিধ্বস্ত জনপদের অধিবাসী) লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়’ যাদের জনপদের নাম ছিল ‘সাদুম’। ‘মু’তাফিকাত’এর অর্থ হল, উল্টো-পাল্টাকৃত। এদের উপরে প্রথমতঃ আসমান থেকে পাথর বর্ষণ করা হয়েছিল, আর দ্বিতীয়তঃ তাদের জনপদকে উল্টো-পাল্টা করে দেওয়া হয়েছিল। যার কারণে বস্তিটার উপরিভাগ নিম্নে এবং নিম্নভাগ উপরে হয়ে গিয়েছিল। এই কারণেই তাদেরকে ‘আসহাবে মু’তাফিকাত’ বলা হয়।
[2] এ সকল সম্প্রদায়ের কাছে তাদেরই মধ্য হতে একজন করে পয়গম্বর এসেছিলেন, কিন্তু তারা তাঁদের কথার গুরুত্ব দেয়নি। বরং মিথ্যাজ্ঞান ও শত্রুতার পথ অবলম্বন করেছিল। যার পরিণামে আল্লাহর আযাব এসেছিল।
[3] অর্থাৎ, এই আযাব ছিল তাদের যুলুম, অত্যাচার ও সীমালংঘনে অবিচল থাকার পরিণাম। এমনি অকারণে কেউ আল্লাহর আযাবের শিকার হয়নি।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান