আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন কর, অবশ্যই তারা বলবে, ‘আমরা আলাপচারিতা ও খেল-তামাশা করছিলাম। বল, ‘আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলের সাথে তোমরা বিদ্রূপ করছিলে’? আল-বায়ান
তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা জোর দিয়েই বলবে, ‘আমরা হাস্য রস আর খেল-তামাশা করছিলাম।’ বল, ‘আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রসূলকে নিয়ে তোমরা বিদ্রূপ করছিলে?’ তাইসিরুল
আর যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর তাহলে তারা বলে দিবেঃ আমরাতো শুধু আলাপ আলোচনা ও হাসি তামাশা করছিলাম। তুমি বলঃ তাহলে কি তোমরা আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ এবং তাঁর রাসূলের প্রতি হাসি তামাসা করছিলে? মুজিবুর রহমান
And if you ask them, they will surely say, "We were only conversing and playing." Say, "Is it Allah and His verses and His Messenger that you were mocking?" Sahih International
৬৫. আর আপনি তাদেরকে প্রশ্ন করলে অবশ্যই তারা বলবে, আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও খেল-তামাশা করছিলাম। বলুন, তোমরা কি আল্লাহ, তার আয়াতসমূহ ও তার রাসূলকে বিদ্রুপ করছিলে?(১)
(১) যায়দ ইবন আসলাম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক মুনাফিক আওফ ইবন মালিককে তাবুকের যুদ্ধে বলে বসল: আমাদের এ কারীসাহেবগণ (রাসূল ও সাহাবায়ে কিরামদেরকে মুনাফিকদের পক্ষ থেকে উপহাস করে দেয়া নাম) উদরপূর্তির প্রতি বেশী আগ্রহী, কথাবাতায় মিথ্যাচার, আর শত্রুর সামনে সবচেয়ে ভীরু। তখন আওফ ইবন মালিক বললেন, তুমি মিথ্যা বলেছ, তুমি মুনাফিক, আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তা জানাব ৷ আওফ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জানাতে গেলে দেখতে পেলেন কুরআন তার আগেই সেটা জানিয়েছে।
যায়দ বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন উমর বলেন, তখন আমি ঐ মুনাফিক লোকটিকে দেখতে পেলাম যে, সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উষ্ট্রীর পেছনের দিকে ঝুলে ছিল, পাথর তার উপর ছিটে এসে পড়ছিল, সে বলছিল, আমরা তো কেবল আলাপ-আলোচনা ও খেল-তামাশা করছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলছিলেন, তোমরা কি আল্লাহ, তার আয়াতসমূহ ও তার রাসূলকে নিয়ে বিদ্রুপ করছিলে? [তাবারী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬৫) আর যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, তাহলে তারা নিশ্চয় বলবে যে, ‘আমরা তো শুধু আলাপ-আলোচনা ও হাসি-তামাশা করছিলাম।’ তুমি বলে দাও, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ এবং রসূলকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করছিলে?’ [1]
[1] মুনাফিক্বরা আল্লাহর আয়াত নিয়ে বিদ্রূপ করত। মু’মিনদের সাথে ঠাট্টা-ব্যঙ্গ করত। এমনকি রসূল (সাঃ) সম্বন্ধেও অসভ্য কথা বলা হতেও বিরত থাকত না। যার খবর কোন না কোনভাবে কিছু মুসলিম এবং পরে রসূল (সাঃ)-এর কাছে পৌঁছে যেত। কিন্তু যখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হত তখন পরিষ্কারভাবে বাহানা বের করত আর বলত যে, আমরা এমনি আপোসে হাসি-মজাক করছিলাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, হাসি-মজাকের জন্য তোমাদের সামনে (সব বাদ দিয়ে কেবল) আল্লাহ, তাঁর আয়াত এবং তাঁর রসূলই ছিলেন? উদ্দেশ্য এই যে, যদি উদ্দেশ্য আপোসে হাসি-মজাক করাই হত তাহলে আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ ও রসূল তার মাঝে কেন আসত? এটা নিঃসন্দেহে তোমাদের সেই কূট আচরণ ও কপটতার বহিঃপ্রকাশ, যা আমার আয়াত ও পয়গম্বরের প্রতি তোমাদের অন্তরে লুক্কায়িত রয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান